Ticker

10/recent/ticker-posts

Add

পিংকি মন্ডলের আত্মা ।

পিংকি মন্ডলের আত্মা

পিংকি মন্ডলের আত্মা ।


রনির বউকে একটা রুমে বন্ধি করে, নষ্টামি চালাচ্ছে রবি। 

রনির বউও কাজটা অনিচ্ছাকৃত করে যাচ্ছে। 

করতে বাধ্য সে। যদি সাইমুন ( রনির স্ত্রী) রবির সাথে নষ্টামি না করে,

তাহলে রনির ঘরের ভাত, তার কপালে জুটবেনা।

রনি এ ব্যাপারে কিছু না জানলেও, কিছুটা সন্দেহ করতো সে।

মাঝে মধ্যে বাড়িতে ঢুকার পর রনি বুঝতে পারে, জানালা দিয়ে কেও যেনো পালিয়ে যায়।  (golper dibba)

আবার এইটাও বুঝতে পারে, সাইমুন রাতে কারো সাথে চুপি চুপি ফোনে কথা বলে। সন্দেহ করলেও,ব্যাপারটা স্পষ্ট করে তুলতে পারেনা রনি। এদিকে রনির অনুপস্থিতিতে আকাম কুকাম করে যাচ্ছে রবি। পরকীয়া করার কারণ হচ্ছে, কিছুদিন আগে রনি তার বন্ধু রবিকে নিয়ে আসে তার বাসায়। রনির একটা কাজ পড়াতে,রবিকে বাসায় রেখে চলেও যায় রনি।  (golper dibba)

আসল গেমটা রবি তখনি খেলে। শরবতের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিক্সড করে,খাইয়ে দেয় সাইমুনকে। আইডিয়াটা সে আগে থেকেই করেছিলো। অনেকবার ট্রাই পর্যন্ত করেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। 

আজ সে হাতের মাঝে যেনো ধন খুজে পেলো। সাইমুনকে ঘুমে রেখেই নষ্টামো করে রবি। পাশাপাশি একটা ভিডিও বানিয়ে ফেলেছে। যে ভিডিও টা নিয়ে, প্রতিদিন সাইমুনকে হুমকির মুখে রাখে রবি। যদি সাইমুন রনিকে কিছু বলে,তবে ভিডিও টার লিংক ভাইরাল করার হুমকি। যার ভয়েই সাইমুন কিছু বলতেও পারেনা,আর করতেও পারেনা কিছু। কিছু করতে পারেনা বললে ভুল হবে, আকাম তো করেই যাচ্ছে।  (golper dibba)

১ মাস যায়,২ মাস যায়,  এভাবে কয়েক মাস যাওয়ার পর, প্রায় ৭ মাস পরে রবি ধরা খায়। সে এলাকার একজন বড় ভাই,রবিকে ফলো করতে করতে সেদিন ধরে ফেলে বাসায়। অতএব,

ফলাফল - রবির সাথে সাইমুনের বিয়ে দেয়,আর রনির লাইফ হয়ে যায় সিঙ্গেল। 

বইটা পাশে রেখেই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো রিয়াজ। এতক্ষন একটা পরকীয়া প্রেমের গল্প পড়লো সে। এত বড় নোংরা কাজ কিভাবে মানুষ করে,সেটাই ভাবছে। রিয়াজের কাছের একজন বন্ধু, নাম আকাশ। সেও পরকীয়ায় লিপ্ত আছে। ওর পাশের বাড়ির এক ভাবির সঙ্গে। আবার রিয়াজের এলাকায়ও অনেকে আছে, যারা বিবাহিত মহিলাদের সাথে, রাতে গিয়ে টি-টুয়েন্টি খেলে আসে। এসব খানিক শুখের জন্য মানুষ এতো নিচু কাজ করতে পারে, তা জানা ছিলোনা রিয়াজের। চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে রিয়াজ। (golper dibba)

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রিয়াজ। ব্রাশটা হাতে নিয়ে,দাত কেলাতে কেলাতে ছাদে চলে যায়। সকাল বেলার মিষ্টি পরিবেশটাকে উপভোগ করার মজা অন্য রকম। তখনি রিয়াজ দেখতে পায়, পাশের বাড়ির ছাদে একটা মেয়ে এসে দাঁড়ায়। মেয়েটিকে নতুন মনে হচ্ছে। রিয়াজ এক নজরে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। মেয়েটি প্রথমে না বুঝলেও, পরে রিয়াজের হাব ভাব দেখে বুঝতে পারে। এবার মেয়েটির মনেও গান বাজতে শুরু করে।( পড়েনা চোখের পলক) (golper dibba)

নিত্যদিনের ডিউটি শুরু হয় রিয়াজের। সকালবেলা ছাদে আসে। মেয়েটির চোখে চোখ রেখে প্রেম বিনিময় করে।তারপর সোজা অফিস। আবার পরের দিন সকাল বেলা একই কাজ। মেয়েটিও রিয়াজকে দেখার জন্য চলে আসতো ছাদে।  (golper dibba)

এলাকার নাম হচ্ছে সুন্দরপুর। সুন্দরপুরের কালো ছেলেদের মাঝে, প্রচল হয় সুন্দরী, সেক্সি,টাইট ফিগারওয়ালা এক মহিলা। (Bangla romantic golpo)

মহিলার পিছনে ঘুরঘুর করে এলাকার সব ছেলে। শুধু ছেলেদের বললেই ভুল হবে। টঙ দোকানের করিম চাচাও নিজে নিজে ঘষাঘষি করে। আর বাচ্চাদের কথা কি বলবো।তারা তো স্কুলের বেঞ্চে বসেই ঘুমিয়ে পড়ে। আর ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখে, মহিলাটি তাকে চকলেট দিচ্ছে,আর চুমু দিচ্ছে।  (Valobasar Golpo)

এভাবে দিনে দিনে মহিলাটির ফ্যান ফলোয়ার বাড়তে থাকে। ফেসবুকেও সে ঢুকে কম।কারণ সেখানেও মেসেজের জ্বালা। এলাকায় অনেকজন বহু সুযোগ খোজে।কিন্তু কেও এক শব্দ উচ্চারণ করার সাহস পায়না। মহিলাটির বিবরণটা জেনে নিন।  (Valobasar Golpo)

চেহারা দেখতে পুরো হিট।সব সময় লাল শাড়ী আর নীল শাড়ী পড়ে চলেন। কোমরের দিকে শাড়ী থাকেনা বলে,সবার আগে সেদিকে নজর যায়। স্লিম এবং ফর্সা। আর উনার পেয়াজ কেজি ৪২ হবে। মোটকথা ক্রাশ খাওয়ার মতো সবই আছে। কিন্তু চান্স পায়না কেও। মহিলার নামটা একটু অদ্ভুত।  উনার নাম পিংকি মন্ডল।  (Valobasar Golpo)

তবে নামে কি আসে যায়,যদি কামে হয় সেরা। পিংকি মন্ডলের স্বামী থাকে বিদেশ।  এখানে তিনি নতুন ভাড়াটিয়া।  বাসাটা রিয়াজের ফ্লাটের পাশেই। পিংকি মন্ডল সারাদিন শাড়ী পড়লেও,সকালে পড়ে গেঞ্জি আর লুঙি ( প্লাজো) (Valobasar Golpo)

পিংকি মন্ডল যে, এলাকার ভাইরাল পার্সোন,তা জানতোনা রিয়াজ। সকালে কুমারী কুমারী লাগে,সেটাই দেখে আসছে সে। এরপর তো সারাদিন অফিস, আর রাতে বাড়ি ফেরা। তবে অনেকের মুখে শুনে এসেছে,এলাকার ক্রাশ পিংকি মন্ডল। কিন্তু এই পিংকি  যে তার পিংকি । সেটা বুঝেছে কিছুদিন পর। 

রিয়াজ সকাল ছাদে আসতেই দেখে, মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। আজকে সাহস করে রিয়াজ। হাতের ইশারায় নাম্বার চেয়ে বসে। পিংকিও একটা কাগজে, নাম্বার লিখে ব্লুটুথে সেন্ট করে ( ওই ছাদ থেকে,এই ছাদে নিক্ষেপ করছে আরকি। (Best Bangla Love Story Collection)

শুরু হয় প্রেমালাপ।  ২ দিন পর রিয়াজ ওর নাম জিজ্ঞাস করাতেই, চমকে উঠে। নিজে নিজে গর্ববোধ করা শুরু করে। যে মেয়ে পুরো এলাকার ক্রাস,সে তার গার্লফ্রেন্ড? ভাবতেই রিয়াজ ভোগলা ভেটকি দেয়।

তবে কাহিনী অন্যটা। রিয়াজ এখনো পিংকি মন্ডলের ব্যাপারে অনেক কিছু জানেনা। যেমন,- সে বিবাহিত,  হিন্দু, নতুন ভাড়াটিয়া এসব। 

ইচ্ছে করেই জিজ্ঞাসা করেনা রিয়াজ। ভাবে যে, ধীরে ধীরে হবে। তো এভাবে কথা বলতে বলতে কেটে যায় ৩ দিন। পরের দিন তাদের কথা হচ্ছে, প্রথমে রিয়াজ বলল,

- তোমার নামটা এতো সুন্দর কেনো?

- মা রেখেছে তাই।

- ওহ হ হ্যা হ্যা, তা তোমার ফিগার এতো হট কেনো? 👀

- আল্লাহ দিছে তাই। 

- ওহ হ হ্যা হ্যা, আচ্ছা আমরা কি হিসেবে কথা বলছি।

- ফ্রেন্ড।

- মানে..? 

- মানে আবার কি। আমরা তো ফ্রেন্ড। আর তুমি তো কখনোই আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দাওনি।

- আমাকে দেখে তুমি কিছু ফীল করোনি? 

- নাহহহ

- আমি ভালোবাসি তোমায়। 

- sorry , I have a জামাই। 

টুট টুট টুট।

মনের আকাশে কালো মেঘ জমে যায়। স্বপ্নগুলো ঢুবে যায় বিশাল গভীর সাগরে। হেলান দিয়ে কান্না শুরু করে রিয়াজ। একটা বিবাহিত মহিলাকে নিয়ে,সে এতদিন স্বপ্ন দেখেছে? ভাবতেই পানি বের হয়। চোখে।

সারারাত অনেক কস্টের মাঝে কাটায় রিয়াজ। আজ আর ছাদে যায়নি। সোজা অফিসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময় পুলিশ এসে রিয়াজকে ধরে নিয়ে যায়। রিয়াজকে বাসার বাহিরে আনতেই দেখে,এলাকায় হৈ চৈ চলছে। কিছুই বুঝতে পারেনা রিয়াজ। ধীরে ধীরে জানতে পারে, পিংকি মন্ডলকে কেটে টুকরোটুকরো করা হয়েছে। পিংকির ফোনে  লাস্ট কল রিয়াজের। নিশ্চয় রিয়াজ কিছু জানে। তাই ধরে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। রিয়াজ সব সত্যটাও বলে দেয়। না বলেও বা কি করবে। মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া মানেই ফেসে যাওয়া। ধীরে ধীরে আরো রিপোর্ট বের করে পুলিশ।

  পিংকির মৃত্যুর আগে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু তার স্বামী তো বিদেশ।  তাহলে কিভাবে হলো এমন।👈  (Best Bangla Love Story Collection)

রিয়াজ কিছুই বুঝতে পারেনা। এখন সে করবেটা কি। পিংকির সাথে প্রেম শুরু করার আগেই শেষ। এদিকে পিংকি মারাও গেছে। পুলিশ তাকে আটক করেছে,যেখানে সে কিছুই জানেনা।  কিছুক্ষন বাদে রিয়াজের রুমমেট আকাশ এসে জামিন করে ছাড়িয়ে নেয়। প্রমান করে দেয়,রিয়াজ কাল সারা রাত নিজের রুমেই ছিলো। আর পিংকিকে সে পছন্দ করতো ঠিকই, কিন্তু রিলেশন যে হয়নি, সেটাও উপস্থাপন করলো। আসলে কথা হচ্ছে এইটাই, রিয়াজের কপালে প্রেম জুটার কথা না। 

রিয়াজ ক্লান্ত  হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। চেয়ারে হেলান দিয়ে ভাবে, কে হতে পারে পিংকির হত্যাকারী। ভাবতে ভাবতে রিয়াজের কানে ভেসে এলো ঠুক ঠুক শব্দ। চমকে উঠলেও বুঝে, দরজায় কেও নক করছে। বসা থেকে উঠে রিয়াজ দরজা খোলে। দরজার অপরপাশ থেকে আকাশ এসে খবর দেয়। টঙ দোকানের করিম চাচা মারা গেছে। 

হ্যা,আপনাদের মতো আমারও সন্দেহ হয়েছে যে করিম চাচা পিংকির হত্যাকারী। আসলে তা নয়, উনি অনেক আগ থেকেই অসুস্থ রোগী,  রোগের আক্রান্তে মারা যাবেই। স্বাভাবিক।  

কথাটা ভাবতেই রিয়াজের মাথায় নতুন গেম খেলে যায়। রোগ। হ্যা রোগ। এই এলাকার একটা দল আছে ( ফ্রেন্ড সার্কেল)  যারা সবাই সেক্সুয়ালী রোগী।  যেমন হচ্ছে, বখাটে কাকে বলে, সেটা ওদের দেখেই বলা যায়। এরপর আসেন নেশার দিকে। সারাদিন গাঞ্জা আর ইয়াবা নিয়ে তাদের দিন চলে। তবে প্রশ্ন, এসবের টাকা পায় কোথায় তারা? 

হুম এর উত্তরও আছে। রাতের বেলা ভাবি আন্টিদের রুমে যায়। যাদের স্বামী বিদেশ থাকে তাদের। এরপর ওদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করে টাকা নিয়ে আসে। না দিলে জোর করে গলার চেইন বা হাতের বালা এনে বিক্রি করে। আর উপার্জিত টাকা দিয়েই চালিয়ে নেয় তাদের নেশার টাকা। এভাবেই ওদের দিনকাল যাচ্ছে। 

তো রিয়াজের চিন্তাধারায় এইটা একটা রোগ। নেশাখোরের বিচার নেই। এরা যেকোনো সময় যা কিছু করতে পারে। রিয়াজ আর করিম চাচার কাছে না গিয়ে, সোজা চলে ওদের আড্ডাস্থানে। ওরাও এক সাথে ছিলো সবাই। এরপর ওদের মাঝে যা কথাকলি হলো,তা নিজেরাই দেখুন।

- কিরে ব্যাটা গোলাম। এখানে কি। আমাদের আড্ডার জায়গায় আসলি কেন।

- আমি গোলাম হলাম কার?

- ওইজে? তুই চাকরি করিস? তাও অন্যের। সেজন্য তুই গোলাম। আমাদের দেখ, কোনো খাটাখাটি নাই। আরামের জীবন। ( মাতাল মাতাল হয়ে কথাগুলো বলল ওরা)

- এইটা আরামের না। আর শুন, বেশি কথা না বলে সোজাসুজি ভাবে উত্তর দে। 

- কিসের?

- পিংকির সাথে কি করেছিস তোরা?

- তোকে বলতে বাধ্য নই।

- দেখ? আমি মামলা করে দিবো কিন্তু। 

- শালা মাদারবোর্ড, তুইও পিংকির মতো ডায়লগ মারাস?

- ওও এইবার বুঝলাম। পিংকি তোদের মামলা দিতে চেয়েছে, তাই তোরা তাকে খুন করেছিস। তাই তো?

- এখন কি তোকেও মারতে হবে?

রিয়াজ কিছু বলার আগেই, সে নেশাখোরগুলা ধুপ করে পড়ে যায় মাটিতে। রিয়াজ আগামাথা কিছুই বুঝেনা। এরা এমন কেনো করছে। ঠিক তখনি, কালো ওড়না আর সাদা ড্রেস পড়া একটা মেয়ে এসে দাঁড়ায় ওদের সামনে। রিয়াজ এবার বুঝে, এইটা পিংকি মন্ডলের আত্মা। ভয়ে রিয়াজ লুকিয়ে পড়ে একটা গাছের আড়ালে। এতক্ষনে পিংকির আত্মা ওদের সবাইকে, তীর তীর করে মেরে ফেলে। কিভাবে মেরেছে,সেটা রিয়াজ নিজের চোখে দেখেনি। তবে আন্দাজ করা যায়, আ আ আ আ আ আ আ এরকম একটা সুর এসেছিলো। হয়তো সে সুর শুনেই ওরা মারা যায়। 

রিয়াজও ফিরে চলে যায় বাসায়। কি আর করবে। আসল টা তো বুঝলোই যে, পিংকির আত্মা তার প্রতিশোধ নিয়েছে। 

সমাপ্ত।

গল্পটা এখানে শেষ হতে পারতো। কিন্তু গালি খাওয়ার ভয়ে আর শেষ করিনি।

হয়তো অনেকে রহস্য বুঝছেন, আবার অনেকে বোঝেনি। তবে আসল কথাটা আমি এইবার বলবো, কেও গালাগাল করবেন না, কারণ আপনি কি জানেন? একটা গালির জন্য হলেও আপনি দোযখে যেতে পারেন।

গল্পটা কোনো হরর, রহস্য আর মজার জন্য না। একটা মেসেজ বলতে পারেন। এখন অনেকে বলবে কিসের মেসেজ। 

হুম সেটাই বলি, ঘটনা সত্য, আমাদের এলাকার, সবাই শুনুন।

আমাদের এলাকায় একজন ভাবি আছে।দেখতে মাশাল্লাহ রুপবতী গুণবতী বালবতী।

তাকে পছন্দ করতো একটা নেশাখোর। নামটা বলতে যাচ্ছিনা, নইলে ২ হাত দিবো আমারে। 

নেশাখোর প্রতিরাত ভাবির বাসায় যেতো, বিপিএল খেলতো, খেলা শেষে চলে আসতো। ভাবির স্বামী থাকে বিদেশ। সারাদিন শ্রম করে টাকা উপার্জন করে। সে টাকা বউয়ের হাতে দেয় নিজের বাচ্চা আর ফ্যামিলি দেখার জন্য। আর সে টাকাটা ভাবি খরচ করে অন্য ধান্দায়। পোলা রাতে আসে, ভাবি তার বাচ্চাদের অন্য রুমে রেখে,  এক্সট্রা রুমে কাজ চালায় রেলগাড়ির। কাজ শেষে নিষ্পাপের মতো ভাবির বুকে মাথা রেখে ছেলেটি ভিক্ষে চায় " আমার কিছু টাকা লাগবে"।

ভাবি ক্লান্ত দেহ নিয়ে উঠে, আর তুলে দেয় নেশাখোরের হাতে,স্বামীর কস্টের উপার্জিত টাকা। নেশাখোর টাকা নিয়ে চলে যায় ইয়াবার আসরে। এদিকে ভাবি সুখে কাতর হয়ে পড়ে থাকে বিছানায়। ভাবির মন বলে " স্বামী বিদেশ তো কি হয়েছে। আমার সুখ আমি পাচ্ছি, ছেলেটা হয়তো আমায় অনেক ভালোবাসে। আমি বিবাহিত জেনেও প্রতিরাতে যুদ্ধ করে জয়ী হয়। সত্যিই,আমি ভাগ্যবতী, আর সে ভগ্যবতা।"

এভাবে প্রতিরাত চলতো তাদের পরকীয়া।  একদিন ভাবির কাছে টাকা চাওয়ায়,ভাবি মুখ নিছু করে বলে," আজ টাকা নাই। জামাই পাঠায়নি এখনো "।

কথাটা শুনে ক্ষেপে যায় ছেলেটা।বেশি কিছুনা, সেদিন রাগের বসে ভাবিকে ১ ঘন্টার জায়গায়,২ ঘন্টা সম্মান করে।

ওদিকে বিদেশে জামাই অসুস্থ। কাজ নাই বলে টাকা দিচ্ছেনা। আর এদিকে নেশাখোর জ্বালাচ্ছে ভাবিকে। এভাবে কেটে যায় ১৫ দিন। হুট করে মাত্র রাত ৮ টায় এসে পড়ে নেশাখোর।  ভাবি ভয় পেয়ে যায়। কেও দেখে ফেললে সব শেষ। কিন্তু নেশাখোর জেদ ধরেই আছে। টাকা লাগবেই লাগবে। ভাবি নিজের স্বর্ণ বিক্রি করে দেয়,আর টাকা তুলে দেয় শেষে। পরেরদিন আবার একই কাজ। ভাবি আর পারবেনা বলে,নিজেও জেদ ধরে বসে। নেশাখোর রাগের মাথায় ভাবিকে, রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ফেলে দিয়েই আকাম শুরু করে। ভাবি কি আর বাধা দিবে, মুভিটা তো নতুন না।

কিন্তু তখনি দেখে ফেলে একজন লোক। ধরা খায় ভাবি আর নেশাখোর।  শেষ হয়ে যায় একটি সংসার। শেষ হয়ে যায় ভাবির বাচ্চাদের ইজ্জত।  শেষ হয়ে যায় একটা পরিবারের সম্মান। শেষ হয় উচু করে কথা বলার অধিকার।  স্বামী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। 

এদিকে ওদের মারধর করে বিচার করলেও, তাদের সম্পর্ক শেষ হয়নি। ভাবি নেশাখোরকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। রাগের মাথায় নেশাখোর নিজের হাতে ভাবিকে মেরে ফেলে।

ঘটনা এইটা, কিন্তু একবার ভেবেছেন? বাচ্চা দুইটার কি হবে? স্বামীর এতোদিনের উপার্জিত টাকা এভাবে বিপলে গেলো? যে নিজের যৌন সহ্য করে বিদেশ যায়। নিজেকে জীবন্ত লাশ মনে করে চিন্তা করে তার সংসারের কথা, তার কি লাভ হয়? 

কিছু গীমা আছে, স্বামীর অনুপস্থিত কালে জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়। কিন্তু ওরা ভাবেনা, সুখটা শুধু বিছানায় নয়, সুখটা হয় মন থেকে ।  রানু মন্ডলের আত্মার মতো ভাইবোনা প্রতিশোধ নিতে পারবা। ওটা শুধু গল্পে মানায়। বাস্তবতা দেখুন বোন, বাস্তবতা শিখুন ভাই। নিজের জন্য অন্যের সুখ কেড়ে নিওনা।

সমাপ্ত।

( গল্পটা ছিলো, জাস্ট একটা মেসেজ। গালি দিলে দোযখে যাইতে পারেন কইলাম।

কি কি শিখলেন গল্প পড়ে।

জানান কমেন্টে। অথবা প্রতিবাদ করুন আপনিও। 🙏🙏🙏🙏🙏

আরো ভালো ভালো গল্প পরতে এখানে ক্লিক করেন - Golper Dibba

Post a Comment

2 Comments