সিনিয়ার মামাতো বোন যখন বউ (season_1)
Writer Rusel Mahmud Niloy(রাইসার আব্বু)
part_1
এই রাশেল কোথায় যাচ্ছি.....?(মা)
।
একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাবো...!
তাদের সাথে দেখা হচ্ছে না..তাই আমি চলে যাচ্ছি তাদের কাছে..।।
।
আচ্ছা ঠিক আছে..। তুই এই বাটিটা নিয়ে গিয়ে.। তোর বড় মামিকে দিয়ে দিস..!!(মা)
।
এখন না দিলে হয় না...!
।
না তুই এখন নিয়ে যা..আর কালকে রাগিণীকে আমি আসতে বলেছি বলিস...।(মা)
।
[ রাগিণী আসলে ভালো হবে থাকে জ্বালানো যাবে হি হি হি]
।
বাটিটা নিয়ে..বাসা থেকে বের হয়ে বাইকটা নিলাম...।।
।
তার পরে চলে আসলাম মামা বাড়ি..বাসার পাশে এসে দেখলাম..রাগিণী ছাদের দাড়িয়ে আছে.....।।।
।
বাইকটা গেইটে সামনে রেখে বাসার ভিতরে ঢুকে পড়লাম....।।
।
রাশেল কেমন আছো....(মামি)
।
ভালো আছি মামি তুমি কেমন আছো...??
।
আমি ও ভালি আছি...।। (মামি)
।
মামার শরীর ভালো হয়ে গেছে তো...!
।
রুমে গিয়ে দেখে আসো...!
।
আমি মামা রুমে এসে দেখলাম...মামা বিছানা শুয়ে আছে...আমি মামা পাশে এসে বসলাম..।।
।
হঠাৎ মামা চোখ খুললো...।
রাশেল কেমন আছো......??(মামা)
।
মামা ভালো আছি..তুমি কেমন আছো...??
।
আমার আর ভালো থাকালো হলো কয়...!!(মামা)
।
আচ্ছা এখন কি ভালো আছো...!!
।
হুম ভালো আছি...।।
।
আমি মামা কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ছাদে আসলাম...।।
।
ছাদে এসে আমি তো অবাককক হয়ে গেছি...।।।
।
রাগিণী একটা ছেলে সাথে বসে বসে গল্প করতেছে....আমি যখন আসলাম তখন তো ছেলেটাকে দেখতে পেলাম না...।।।
।
তার মানি রাগিণী আমাকে জ্বালানোর জন্য ওই ছেলেটাকে ডেকে আনলো....।।।
।
আমি তো কম না...।।। হেই রাগিণী কেমন আছি..??
।
ভালো আছি...তুই কেমন আছি..(রাগী ভাব নিয়ে বললো)
।
হুম আমি ও ভালো আছি...।।।
।
ও হলো আমার বি এফ নীল...(রাগিণী ছেলেটাকে হাত দিয়ে দেখিয়ে বললো)
।
(মুহূর্তে মধ্যে আমার মুখটা কালো হয়ে গেছে...ধ্যত আমার কেন খারাপ লাগতেছে রাগিণী মনে হয় আমার সাথে ফান করতেছে..কিন্তু ফান করলে আমার খারাপ লাগতেছ কেন]
।
হ্যালো ভাইয়া কেমন আছেন.....??
।
হুম ভালো আছি...তুমি কেমন আছো....???(নীল)
।
এই তো ভালো আছি.....।।
।
রাগিণী তোমাকে কালকে আম্মু যেতে বলেছে...।।।
।
আচ্ছা ঠিক আছে যাবো.......।।।
।
ও হ্যাঁ আসল কথা তো থেকে গেছে.....।।
।
আই লাভ ইউ.....রাগিণী....।।।
।
মাইর দিবো কিন্তু......! (রাগিণী)
।
একটা পাপ্পি হলে হবে...হি হি হি..
।
রাগিণী আমার দিকে রেগে আসতেছে তাই আমি ও এক দোড়ে নিচে চলে আসলাম....।।।।
।
বাইকটা স্টার্ট দিয়ে চলা শুরু করলাম...।।
।
আপু এবং নীলের কথা.....
।
আচ্ছা রাশেল তোমাকে আয় লাভ ইউ কেন বললো..?(নীল)
।
আরে রাশেল ফাজিল তাই সব সময় আমাকে ডিস্টার্ব করে....ওই গুলো আমাকে সেই সব সময় বলে...।।
প্রায় প্রতিদিন আমাদের বাসায় আসে....।।
।
প্রতিদিন ই বলে...সেই আমাকে এক বছর ধরে বলতেছে.. তুমি বসো আমি কপি নিয়ে আছি...(রাগিণী)
।
কিছুক্ষণ পরে চা আনলো.....।।।
।
চা শেষ করে নীল বাসায় চলে আসলো...।।
।
আমি বাইক চালাচ্ছি... আর চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে.....।।।
।
কখন ও ভাবি নাই রাগিণী বি এফ আছে...।।।
।
রাগিণীকে আমি অনেক ভালোবাসি..প্রতিদিন রাগিণীকে আমি আই লাভ ইউ বললাম...।।প্রায় এক বছর ধরে আপুকে আই লাভ ইউ বলতেছি..কোনো না কোনো সময় থাপ্পড় দেয়...আবার কোনো না কোনো সময় কান ধরে রাস্তা মাঝে দাড় করিয়ে রাখে...।।
।
ধ্যত আমি কেন কান্না করতেছি...আপু ও মনে হয় আমার সাথে ফান করেছে....।।।।
।
তার পরে বন্ধুদের কাছে চলে আসলাম....।।
।
তাদের।সাথে গল্প করতেছি.....।।।
।
তাদের সাথে আড্ডা দিয়ে বসায় চলে আসলাম...।।
।
বাসায় এসে রাতে ডিনার করার জন্য মা ডাক দিলো.......।।।
।
রুম থেকে বের হয়ে...মা এবং বাবা সাথে বসে ডিনার করলাম...।।
।
তার পরে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম........
part_2
সকাল ঘুম থেকে উঠে যখন রুম থেকে বের হবো তখন কারো সাথে যেনো ধাক্কা খেলাম...।।
।
আমি থাকিয়ে দেখলাম এটা তো রাগিণী..খায়ছে আজকে আমাকে রাগিণী...।।
।
সেই যখন পরে। যাবে তখন আমি থাকে ধরে পেললাম....।।।
।
হঠাৎ আমার চোখ দুইটি তার ঠোঁটের দিকে গেলো...
।
সেই তার ঠোঁটে গোলাপি লিবিস্টিক দিলো...।।।
আমার দুই নয়ন শুধু তার ঠোঁট দুইটি...।।।
।
দেখতে চাচ্ছে...তার ঠোঁটে লোভটা সামলাতে পারতেছি না...।
।
তবো ও নিজেকে অনেক কষ্টে রাখলাম...।।। সেই যে এক অন্য রকম অনুভূতি....।।
।
যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না...।। আমার ঘুর কাটলো...রাগিণী ডাকে...।।
।
ওই ছাড়বি নাকি...মাইর খাবি...।।। আমি রাগিণীকে ছেড়ে দিলাম...।
।
রাগিণী ধাপত করে ফ্ললে পরে গেছে...।।।
ওমা কুমড়ো চলে গেছে রে....।।(রাগিণী চিৎকার দিয়ে বললো)
।
আমি থাকিয়ে দেখলাম রাগিণী ফ্ললে পরে আছে...।।
সাথে সাথে নিচ থেকে মা চলে আসলো....।।।
।
ওই মামুনি কি হলো চিল্লালি কেন......??(মা)
।
মা তোমার ছেলে আমাকে ফ্ললে পেলে দিয়েছে...।।।
।
কি তার এত বড় সাহস আমার মামুনিকে ফ্ললে পেলে দিয়েছে.তোর আজকে খাবার বন্ধ....!(মা কথাটা বলতে বলতে রাগিণীকে ফ্লল থেকে উঠালো)
।
মা এমন কাজ করো না..আমি না খেয়ে থাকতে পারবো না....!!
।
যখন আমার মামুনিকে ফ্ললে পেলেছি তখন তুই ভেবে পেলালি না কেন....।।।
।
(দেখলাম রাগিণী হাসতেছে.আবার ও তার হাসির প্রেমে পড়ে গেলাম...।।।।)
।
মা থাকে নিয়ে চলে গেছে...আমি ও ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম...।।।
।
তার পরে সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করলাম...।।।
।
তার পর রাগিণী এক কাপ কপি নিয়ে ছাদে উঠলো...।
।
আমি ও তার পিছু পিছু উঠলাম...।।। তার পরে সেই বসে বসে কপি খাচ্ছে..।।
।
এই মেয়ে এত কিপ্টা কেন..আমাকে এক বার ও বলে নাই...এই নে খা....।।।
।
তার পরে রাগিণী কিসের জন্য নিচে গেছে...।।।।
সুযোগ কি বার বার আছে...সুযোগ এক বার আছে.....।।
।
এক বার সুযোগ কে কাজে লাগাতে হয়...।।।
আমি ও কপির মখটা হাতে নিয়ে খাচ্ছি...।।।
।
মকে তার লিবিস্টিক লেগে আছে...।।। আহহহ প্রিয় মানুষ ঠোঁটের ছোঁয়া আজ প্রথম কপি খাচ্ছি...।।।
।
এটা একটা ভালো লাগার মুহূর্ত...প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে...
।
হঠাৎ রাগিণী আসার তার পায়ের শব্দ পাচ্ছি..।।
আমি ও মখটা রেখে দিলাম...।।।
।
তার পর নিজেকে সাভাবিক করলাম...।।।
রাগিণী এসে কপি মখটা হাতে নিলো...।।
।
তার পরে বললো...। আমার কপি খেয়েছি কেন...??
।
আমি কপি খেয়েছি...কে বলেছে তোমাকে...।।।
।
ওই তোকে না বললাম আমাকে তুমি করে বলবি না..আমাকে আপনি করে বললি...আমি তোর বড় ভুলে যাস না.....!
।
(ভালোবাসার মানুষকে কি আপনি করে বলা যান...ছোট করে বললাম)
।
ওই তোকে না বললাম আমাকে বিরবির করে কিছু বলবি না....।।
।
আচ্ছা যাই হোক কপি কেন খেয়েছিস বল....।।।
।
আমি কেন তোমার কপি খেতে যাবো.....।।।
আমি তো আমার মতো দাড়িয়ে আছি....!
।
তুই তোর মতো দাড়িয়ে আছিস তাই না...তাহলে তোর মুখে লিবিস্টিক লেগে আছে কেন.....।।।(রেগে বললো)
।
(এই রে তারাতাড়ি করতে গিয়ে লিবিস্টিক মুছার কথা ভুলে গেছি....এখন কি করে পাকি দেবো..)
।
এটা তো মা লিবিস্টিক দিচ্ছিলো ওই খান থেকে লেগেছে.....।।।।
।
আমাকে মিথ্যা কথা বলা তোকে তো আজকে আমি মেরে পেলবো..আমার কাছে এসে কলা ধরে...
।
দিলো দুইটা থাপ্পড়....আমি তো অবাকক হয়ে দাড়িয়ে রয়েছি....।।
।
রাগিণী ছাদ থেকে নেমে যাচ্ছে...রাগিণী আমি তোমাকে ভালোবাসি....।।
।
আমার দিকে একবার থাকিয়ে ছাদ থেকে নেমে গেছে........।।।
।
চলোন আপনাদেরকে পরিচয়টা দিয়ে পেলি...।।।
আমার নাম রাশেল মাহাম্মুদ নীলয়....এতক্ষণ যার হাতের থাপ্পড় খেলাম...।।
।
সেই হলো আমার রাজকুমারী...তার পিছনে প্রায় এক বছর তিন মাস বারো দিন পরে আছি....প্রতিদিন আই লাভ ইউ বলি কিন্তু তার পরিবর্তে...।।
।
তার কাছ থেকে পুরস্কার হিসাবে দুইটা করে থাপ্পড় পায়....এমন কোন দিন নেই তার কাছ থেকে থাপ্পড় খায় না...।।।তার হাত থেকে প্রতিদিন থাপ্পড় খাওয়া আমার জন্য একটা নিয়মিত ব্যায়াম হয়ে গেছে।
।
সেই আমার মামা মেয়ে দেখতে মাশাল্লাহ তামিল সিনামা হিরোয়েন.... আমি অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি.....।।।
।
তার নাম ইশিতা জাহান রাগিণী..সেই আমার এক বছর সিনিয়ার...।।।
।
শুধু আমি ছাড়া কলেজে সবাই তার উপর ক্রাশ খায়ছে..কারণ আমি তার উপর অনেক আগে ক্রাশ খায়ছি.....।।।।
।
তার নামের সাথে তার কিছু অপশন মিল আছে হি হি হি.. তার নাম রাগিণী নামের পাশাপাশি সেই অনেক রাগি এবং বদ মেজাছি...।।।
।
কলেজে যে প্রপোজ করে সেই তার হাত না হলে পা ভেঙ্গে দেয়....।।।
।
আমার কথা তো বলতে হয় না..আমার কাল দুইটা লাল করে দেয় হি হি হি...।।।
।
তার বাবা অনেক টাকা বলতে গিলে শিল্পী প্রতির এক মাত্র মেয়ে..রাগিণী....
।
নিচে চলে আসলাম তার পরে দেখলাম রাগিণী নিচে নেই হয় তো বা বাসায় চলে গেছে...।।।
।
আমি ও রুমে চলে আসলাম...হঠাৎ মোবাইল বেজে উঠলো রিসিভ করে যা শুনলাম.........
part_3
কলটা দিয়েছে মামি....।। হ্যালো আসসালামু আলাইকুম মামি কেমন আছো.....??
।
সালামের জবাব নিয়ে বললো...এই তো বাবা ভালো আছি...একটু বাসায় আসতে পারবে...?(মামি)
।
কেন কি হয়েছে মামি.......??? তোমার মামাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে....।।।
।
পাটা ফোলে গেছে তাই...।।।(মামি) মামাকে আনতে হবে না আমি ওষুধ নিয়ে আসতেছি...।।
।
ফোনটা কেটে দিয়ে... বাসা থেকে বাইকটা নিয়ে বের হয়ে পড়লাম....।
।
ফ্যারমেসিতে এসে মামা জন্য ওষুধ নিলাম...।।। তার পরে কিছু ফল মূল নিলাম...।।।
।
তার পরে বাইক নিয়ে সোজা মামা বাসায় চলে আসলাম....।।।।
।
বাইকটা বাসা সামনে রেখে ভিতরে ঢুকে পড়লাম...।।।
মামিকে গিয়ে ওষুধ গুলো দিলাম...।।।
।
তার পরে আমি ছাদে এসে দেখলাম...রাগিণী আর ওই ছেলেটা বসে বসে কিসের যেনো কথা বলতেছে...।।
।
আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে বোঝতে পারলাম...তার টাকা কথা বলতেছে.....।।
।
রাগিণী আমার কিছু টাকা লাগবে......!(নীল)
।
বলো কতটাকা দিতে হবে...।।।।
তিন লক্ষ হলে হবে....(নীল)
।
এটা কোনো কথা হলো...।।।
তার পরে আমি ছাঁদে উঠে গেলাম...।।।
।
ছেলেটা আমার দিকে বড় বড় চোখে থাকালো...।।।
বোঝতে পারলাম ছেলেটা ভয় পেয়েছে....।।।
।
তুমি এই খানে বসো আমি চেকটা নিয়ে আছি...(কথাটা বলে রাগিণী নিচে চলে গেছে)
।
ওই শালা মামার টাকা গুলো কি তোর বাপে কামাইছে....যে টাকা গুলো তুই নিয়ে যাই বি....।।
।
এখন এই ছাদ থেকে এই মুহূর্তে চলে যাবি....
যদি কথা গুলো রাগিণীকে বলিস তাহলো তোর হাত পা ভেঙ্গে দিবো কথাটা যেনো মনে থাকে.....।।
।
ছেলেটা মাথা নিচু করে চলে গেছে...।। কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আসলো....।।
।
ওই নীল কোথায়....?? আমি কি ভাবে বললো...সেই তো চলে গেছে....।
।
তুই থাকে কিছু বলেছিস...।। তা না হলে সেই কেন চলে যাবে....বল তুই কি বলেছিস....(আমার শার্টের কলার ধরে বললো)
।
আমি আবার কি বললাম...মনে হয় তা কোনো ইম্পর্ট্যান্ট কোনো কাজ আছে সেই জন্য চলে গেছে মনে হয়
.....।।
।
সেই যদি তোর কথা কিছু বলে তাহলে তোকে আমি শেষ করে পেলবো....।।।।
।
আমার শার্টের কলাটা ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে...।।।
এই মেয়েকি আমার ভালোবাসা বোঝে না.....!
।
কেন সেই আমাকে সব সময় অবহেলা করে....।।।
আমি কি তার ভালোবাসার যোগ্য নয়...!
।
নাকি সেই আমার ভালোবাসার যোগ্য নই...।।
মনে মনে কথা গুলো ভাবতেছি...।
।
ছাঁদ থেকে নেমে চলে আসলাম...।।। যখন বাসা থেকে বের হতে যাবো তখন মামি বললো...।।
।
কিছু খেয়ে যা..আর ওষুধের টাকা গুলো নিবি না....?(মামি)
এটা কোনো টাকা হলো...।। টাকা দিতে হবে না...।।।
।
আমি চলে যাচ্ছি আর মামা পা ভালো হলে আমাকে বলি ও...।।।
।
আর অফিস কে দেখতেছে.....??
ম্যানেজার কে দিয়েছে দেখার জন্য...।।।
।
আচ্ছা আমি আছি আবার কাল থেকে কলেজ খুলা.........।।।।
।
বাইক টা নিয়ে সোজা বন্ধুদের কাছে চলে আসলাম.....।
এই খানে এসে আরেক কাণ্ড হলো...।।
।
এই রাশেল তোকে কে থাপ্পড় মেরেছে...।।(রাফি)
পাশ থেকে রবি বলে উঠলো...।।
।
কে আর মারবে রাগিণী ছাড়া..! সেই শুধু রাগিণী রাগিণী বলে পাগল হয়ে গেছে..।যে মেয়ে তোকে অবহেলা করে।তুই কেন তার পিছনে পড়ে আছি...?(রবি)
।
[আমি গালে হাত দিলাম বোঝতে পাড়লাম সকালে থাপ্পড়টা এখন ও দাখ লেগে আছে...।।
।
মামা অপেক্ষা ফল একটু ভালো হয় তা তো তোরা ভালো করে জানিস....।।
।
বেশি অপেক্ষা করলে নিজে বুড়া হয়ে যাবি...তখন বিয়ে করা মতো কাউকে পাবি না...।।।
।
তার পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি....।।
।
রাগিণী নীলকে কল দিলো...।।। প্রথম বার রিসিভ করে নাই দ্বিতীয় বার ও রিসিভ করে নাই...।
।
তৃতীয় বার রিসিভ করলো....।।।
।
হ্যালো তুমি চলে গিয়েছো কেন...???
।
(নীল চুপ করে রয়েছে)
কি হলো কথা বলো...।।।।
।
রাশেল খারাপ খারাপ কথা বলে থারিয়ে দিয়েছে.....! আর আমার হাত পা ও নাকি ভেঙ্গে দিবে....! যদি তোমার সাথে কথা বললি।(নীল) কিইইইই এই ফকিন্নির পোলার এত বড় সাহস
যার কি ফরনের কাপড় আছে কি নাই..।।
।
সেই তোমাকে থারিয়ে দিয়েছে....কাল সকালে। কলেজে সবার সামনে তাকে আমি কি করি দেখতে পাবে......।।।।
।
এখন ওই পার্কে চলে আসো....(রাগিণী)
আচ্ছা ঠিক আছে...।। টাকাটা যদি...।
।
টাকা চিন্তা তোমাকে করতে হবে না...।।।
তুমি এসে নিয়ে যাও....।।।।
।
তাঁরা ফোনটা কেটে দিলো...
আমি আড্ডা শেষ করে বাইকটা নিয়ে চলে আসতেছে.....।।।
।
পার্কের সামনে এসে তো আমি অবাককক হয়ে গিছি.......।।।।(আমাদের বাসায় আসতে একটা পার্ক পিছিয়ে পেলে আসতে হয়)
ছি ছি ছি রাগিণী এত খারাপ মেয়ে...।।।
।
আমি কিনা এই মেয়েকে এতদিন ভালোবাসে গিয়েছি......।।
ছি ছি ছি আমার ভাবতে ও গাঁটা ঝিম করে উঠে............।।।।
।
এটা কি ভিডিও করবো না...না না এটা ভিডিও করলে মামার মান সম্মান টা মাটিতে মিশে যাবে...।।।
।
বাইকটা স্টার্ট দিয়ে চলে আসলাম বাসায়....।।।।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম...।।
।
অচিন নাম্বার থেকে একটা কল আসলো....।।
কলটা রিসিভ করলাম.....।।
।
হ্যালো।কে বলছে....?
আমি নীল...।
তো ফোন কেন দিয়েছি....!
।
ব্রো এত রাগলে আসল কথা কি ভাবে বললো...।।
কি আসল কথা আর আমার নাম্বার কোথায় পেলি...??
।
তোর নাম্বার তো তোর বন্ধুদের কাছ থেকে নিয়েছি...।।
শুন তোকে একটা প্রভু দিচ্ছি এটা শুনে শুধু হাসবি তুই...হা হা হা হা
।
সেই কি তার নিজে মামা মেয়ে তাকে ফকিন্নি পোলা বলে...।।।
আরে অনেক কিছু বললো....।।। আমি তোকে পাঠাচ্ছি।শুন তো...।।।
।
তার পর আমাকে নীল অডিও রেকর্ড টা দিলো...।।
আমি তো।অডিও রেকর্ড টা শুনে পোড়া ত হয়ে গেছি...এটা কি ভাবে বলতে পারলো...রাগিণী।।।
।
আমার তো বিশ্বাস ও হচ্ছে না...।।
তার মানি রাগিণী আমাকে সত্যি কথা বলে ছিলো.....।।
নীল তার বয় ফ্রেন্ড...।।। এই মেয়ে পিছনে আর ঘুরা যাবে...।।
।
সেই যখন আমার ভালোবাসা বোঝতেছে না...।।
তখন আমি তাঁকে বিরক্ত বা ডিস্টার্ব করে কি লাভ..........।।
।
সেই তার মতো চলক আমি আমার মতো নিজেকে ফুটিয়ে তোলি...।।।
।
কাল সকালে...।।
ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে কলেজে চলে আসলাম...।।
।
কলেজে এসে দেখতে পেলাম রাগিণী আমার কাছে এসে ঠাস...............
part_4
ঠাসসসস ঠাসসসস... আমি তো রাগিণী কাণ্ড দেখে অবাকক হয়ে গেছি...।।
।
কলেজে সবার চোখ আমাদের দিকে....।।। এই ভাবে মারা কাহিনী টা কি...???
।
রাগিণী নীলকে হাত ধরে টেনে এনে বললো..।। তুই কালকে নীলকে খারাপ কথা বললি কেন....?
।
আমি কেন তাকে খারাপ কথা বলতে যাবো....!! (আমার ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে)
।
তুই বলিস নাই..!থাকে খারাপ কথা...?
আমি কেন থাকে খারাপ কথা বলতে যাবো....!
।
এই নীল কি কি বলেছে সবার সামনে বলো...!
তুই আমার হাত পা ভেঙ্গে দিবি বলিস নাই...।।
।
তার পরে গুন্ডা দিয়ে মার খাওয়া বি বলিস নাই...।।
আর ওই বাসায় না যেতে বলিস নাই....?
।
ওই ফকিন্নি পোলা তোকে আজকে আমি বলতেছি...।।
তোকে যেনো আমাদের তৃরি সীমানার ভিতরে না দেখি.....।।।
।
আর হা আমার পিছনে যদি আর কোনো দিন দেখি না তাহলে তোকে পুলিশে হাতে ধরিয়ে দেবো....।।।
।
কথাটা যেনো মনে থাকে....। কথাটা বলে রাগিণী চলে গেছে...।।
।
আমি নিজে কানকে ও বিশ্বাস করতে পারছি না....।।
সেই আমাকে ফকিন্নি পোলা বললো..ধ্যত এটা তো সাভাবিক.।।
।
আমি তো নীলেরটা ভোয়া মনে করছি...এখন তো ডিজিটাল যুগ সব কিছু চেঞ্জ করা যাই...।।
।
আমি কি স্বপ্নের মাঝে আছি....।। যাকে এতটা ভালোবাসি সেই কি না আমাকে কলেজে সবার সামনে অপমান করলো....।।।
।
হায় রে ভালোবাসা..হঠাৎ আমার পাশে বন্ধুরা আসলো...কি রে শালা এখন মজা লাগতেছে তাই না.......।।
।
আরে লাগবে না কেন...সেই তো তার মামাতো বোন থাকে এই কথা গুলো ফান করে বলেছে...।।
।
কতবার বলেছি ওই মেয়ে পিছন ছেড়ে দেয়...কিন্তু তুই সব সময় তার পিছনে লেগে আছি...।।
।
এই বার তো নিজেকে একটু চেঞ্জ কর...।।। না হলে যে তোকে অপমান হতে হবে.....।।।
।
(আমি শুধু চুপ করে সবার কথা শুনে আছি...যার যা ইচ্ছে তাই বলতেছে)
।
কথা শেষে বললাম..তোদের কথা শেষ হলো...???
এই কি তোকে এত কথা বললাম তোর গাঁয়ে একটা ও লাগে নাই....।।।
।
আরে লাগবে কি করে তাকে তো হরিণের মাংস খাওয়া নাই যে তার গাঁয়ে লাগবে.....।।
।
আমি তাদের কথা না শুনে বাসায় চলে আসলাম.....।।
।
রাগিণী এমন না করলে পারতি রাশেল সাথে...?(রাগিণী বান্ধবী নীলা)
।
তুই জানিস না এই ফকিন্নি পোলা নীলের সাথে কি কি করেছে...।।
।
আরে তোকে সেই ভালোবাসে সেই জন্য সেই নীলকে বকা দিয়ে মনে হয়...সেই ফকিন্নি পোলা হয়ে...।।
।
তোর মা তার কি হচ্ছে ভালো করে ভেবে দেখ....।।
দেখবি একদিন তুই তার কাছে ঠিকই যাবি...।।
কথাটা মনে রাখিস তুই...।।
।
আর হ্যাঁ যে নীলের জন্য তুই রাশেলকে কলেজে সবার সামনে অপমান করলি না....।।
।
দেখবি একদিন ওই নীল তোকে ধোঁকা দিয়ে তোকে ছেড়ে চলে যাবে কথাটা ভালো করে শুনে রাখ...।।
।
এই কথা গুলো তো কাজে আসবে...।। কি করে নাই সেই তোদের বাসার জন্য তোর বাবা ওষুধ এনে দিয়েছে.....।।
।
কোনো টাকা নিয়েছে নেয় নাই...তাহলে ফকিন্নি পোলা কে হলো তোদের বাসার সবাই নাকি রাশেল...।।
।
আর তোর বাড্ডেতে তোকে কেমন ভালো ভালো দিন উপহার দিয়েছে...।।।
।
কিন্তু এই নীল তোর কাছ থেকে কালকে ও তিন লক্ষ টাকা নিয়েছে...।।
।
তুই কি ভাবে জানিস..নীল আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে....?(রাগিণী অবাকক হয়ে বললো)
।
হা হা হা হাঁসালি আমি তোর ব্রেস্ট ফ্রেন্ড..আমি জানবো না তো কে জানবে...।। আর টাকাটা কেন নিয়েছে জানিস....?
।
না তো...! টাকাটা নিয়েছে তোর মতো আরেকটা মেয়েকে পটানোর জন্য নিয়েছে...।।
।
আর তার কি প্ল্যান ওটা ও জানি....।।।
।
সেই আবার কি প্ল্যান করলো....?(অবাকক হয়ে বললো)
।
কিছু দিন তোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার পরে তোর শরীর টা সেই লোটে নিবে..।।
।
তার পরে তোকে ছেড়ে দিয়ে সেই চলে যাবে....আর তোর বাবাকে কে এক্সিডেন্ট করেছে জানি...।।
।
না তো...বাবা তো গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে...।।
।
না তোর বাবা গাড়ি এক্সিডেন্ট করে নাই...।। তোর বাবাকে নীল মারতে চেয়েছে...।।।।
।
এক্সিডেন্ট হওয়ার পরে নীল কি তোর বাবার সামনে এক বার ও গিয়েছে.....??
।
না যায় নাই...।। এখন তুই নিজে বোঝে নে.....।।।
কিন্তু তুই কি ভাবে জানলি....?
তো বাবা নীলের প্ল্যানের কথা জানতে পারে সেই জন্য নীল তোর বাবাকে মারতে চেয়েছে...আমাকে আঙ্কেল বলেছে....।।। ক্লাস করবি নাকি বাসায় চলে যাবি....???(নীলা রাগিণীকে জিগ্যেস করলো)
।
আমি ক্লাস করবো না....।।। রাগিণী রিকশা একটা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো...।।
।
আমি বাসায় এসে মা বললো...।
কি হলো বাবা বাসায় চলে আসলি যে...।।।
।
আরে মা আমি তো ফকিন্নি পোলা আমার কি কলেজে যাওয়া মানায়...?(ছোট করে বললাম)
।
কি বলছিস...? আর তোর ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়তেছে কেন...?কিছু না মা আমার ভালো লাগতেছে তাই চলে আসলাম...।। আসার সময় পড়ে গিয়েছিলাম তাই হালকা লাগছে....
।
ও তাই বল...।।। চল চল ঠোঁটে ওষুধ লাগিয়ে দিয়....।
না মা থাক আমি লাগাতে পারবো আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আসো ফ্রিজ থেকে...তার পরে রুমে এসে দরজাটা লাগায় দিলাম...।।। তারপরে ইচ্ছে মতো কাঁদলাম...।।।
।
এর আগে আরো কেঁদে ছিলাম...কিন্তু এই বারে মতো না...। আজকে বেশি কষ্ট লাগতেছে...।।
।
মা দরজা ঠকঠক করতে....চোখের পানিটা মুছে পানি গ্লাসটা নিলাম...।।।
।
তার পরে।পানি খেয়ে গ্লাসটা টেবিলে রাখলাম....।।।
কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই....।।
।
হঠাৎ রাগিণী তার হাতে দিকে থাকিয়ে অবাকক হয়ে গেছে...।।
।
তার হাতে আমার ঠোঁটের রক্ত লেগে আছে...।।। সেই ভাবতেছে না জানি বোকা ছেলেটা কত কষ্ট পেয়েছে.........।।।
।
তার পরে বাসায় চলে আসলো..।।ব্যাগটা মেলা মেরে তার বাবা কাছে আসলো...।।।
।
আব্বু তোমাকে নীল মারতে চেয়েছে আমাকে বল নাই কেন....।।।।
।
তুই কষ্ট পাবি সেই জন্য বলি নাই...কোনো বাবা চায় না তার ছেলে মেয়ে কষ্ট পাক..।।।
।
আর তা ছাড়া রাশেল না বলতে মানা করেছে...।। তুই খুশি থাকলে নাকি পরিবারের সবাই খুশি থাকবে সেই জন্য আমাকে না বলতে মানা করেছে....।।
।
রাগিণী তার বাবা কথা শুনে অবাককক হয়ে গেছে....।।
part_5
রাশেল আমাকে এতটা ভালোবাসে কিন্তু আমি কি করলাম থাকে সব সময় অবহেলা করলাম..।।
।
আজ আরো কলেজে সবার সামনে থাকে অপমান করলাম...এটা আমি কি করেছি...!
।
সেই কি আমাকে ক্ষমা করবে...! এখন কল দিয়ে দেখি.....! ধ্যাত সেই কাল আমার কাছে চলে আসবে.......!
।
তাকে অনেক বার থাপ্পড় দিয়ে ছিলাম...সেই তার পরের দিন আবার আমাকে জ্বালায়...!
।
কালকে সকালে রাশেল কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবো....! এখন নীল থেকে টাকা বের করতে হবে..........।
।
কোনো একটা প্ল্যান তো করতে হবে..তা না হলে আমার টাকা সব ওই ফকিন্নি পোলা খেয়ে পেলবে.....!
।
নীলের কথা ভাবতে ভাবতে নীল রাগিণীকে কল দিলো...।
বাবুনি কেমন আছো...?(নীল)
বাবু ভালো নেই..তোমাকে একটা কথা বলতে চাই.....?(রাগিণী)
।
কি কথা বলো....!(নীল) আমার না চার লক্ষ টাকা লাগবে বাবু....!(রাগিণী)
টাকা তো তোমার আব্বু কাছে আছে...তাহলে আমার কাছ থেকে নিতে চাচ্ছো কেন....!(নীল অবাকক হয়ে বললো)
।
আমি আমাদের কথা বাসায় জানিয়েছি...আর বাবা ও রাজি হয়ে গেছে..কিন্তু...!(রাগিণী)
কিন্তু কি বাবুনি.....?(নীল)
।
বাবা বললো যদি নীল তোকে আজকে ভিতর চার লক্ষ টাকা দিতে পারে তাহলে তোর আর নীলের সাথে বিয়ে দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই......! এখন কি করবো বলো বাবু....!(রাগিণী ইমোশনাল হয়ে বললো)
।
তুমি চিন্তা করো না আমি বিকালে তোমার কাছে টাকা নিয়ে আসবো......।(নীল খুশি হয়ে মনে মনে বলতেছে আমার প্ল্যান কাজ করতেছে এই সুযোগ তোমার বাবা টাকা গুলো নিয়ে নিবো)
।
তার পরে ফোনটা কেটে দিলো.....!
বিকালে নীল টাকা নিয়ে আসলো...। রাগিণী বাসার সামনে নীল রাগিণীকে টাকা ব্যাগটা দিলো....।।
তুমি এই খানে দাড়াও আমি এখন আসতেছি....!(রাগিণী)
।
তার পরে রাগিণী বাসার ভিতরে এসে তার ভাড়া করা গুন্ডা গুলো কে নিয়ে বের হলো তার পরে....।।
গুন্ডা গুলো সবাই নীলকে গিরে ধরলো....।।
নীল তো রাগিণী কর্ম কাণ্ড দেখে অবাকক হয়ে গেছে
(নীল ভাবতেছে তার মানি কি রাগিণী আমার প্ল্যান যেনে গেছে এটা কি ভাবে হয়..! আমার প্ল্যান তো তার বাবা ছাড়া আর কেউ জানে না...তাহলে কি তার বাবা আমার প্ল্যান বললো থাকে...?)
।
এই রাগিণী হচ্ছেটা কি...!(নীল) কি হচ্ছে বোঝতে পারিস নাই... হকি স্টিকের ঢান্ডা দিয়ে নীলের পায়ে দিলো একটা বারি...।।।
।
নীল হাটু গিরে মাটিতে পরে গেছে....। তো মিথ্যা কথা জন্য আমি রাশেলকে কলেজে সবার সামনে অপমান করলাম...আর তুই আমার বাবাকে রোট এক্সিডেন্ট করেছিস...আমার বাবা তোর প্ল্যান যেনে গেছে সেই জন্য মারতে চেয়েছি.....।।
।
কিন্তু এই কথা গুলো আমাকে বাবা বলে নাই...তুই অবশ্য অবাকক হয়েছিস...তাই না.! অবাকক হওয়ার ও কথা কারণ আমার বাবা কথা গুলো আমাকে না বললে আমি কি ভাবে জানলাম...এই প্রশ্ন টা তুই মনে মনে ভাবতেছি তাই না...!!
।
শুন তাহলে এই কথা গুলো আমার বান্ধবী আমাকে বলেছে......।।। তার পরে রাগিণী ইচ্ছা মতো নীলকে মারলো....।
তার পরে গুন্ডা গুলোকে বললো...এই তোদের যা যা ভাঙ্গতেই বলেছি তোরা তাই তাই ভাঙ্গ....পরে থাকে রাস্তা উপর পেলে দিয়ে...চলে যাইস...এই নে তোদের টাকা.....।(রাগিণী)
।
তার পরে রাগিণী কথা মতো নীলকে তার হাত.!পা..ভেঙ্গে দিলো.....।।
।
পরে দিন
এই রাশেল ওঠ কলেজে যাবি না...?(মা)
মা ফকিন্নির পোলারা কলেজে যায় নাকি....!
ফকিন্নির পোলারা তো বাসায় বসে বসে কাজ করে..........।
এই ঘুমের মধ্যে এই সব আবোল তাবোল কি বলছি........!(মা)
মা কি হয়েছে....? কলেজে যাবি না.....?(মা)
ভালো লাগতেছে না..! যাবো না..?
মা আমার কপালে হাত দিয়ে দেখলো...।।
হয় তো বা মা ভাবতেছে...আমার গাঁয়ে জ্বর আসলো.......।
।
মা কিছু বোঝতে না পেরে চলে গেছে...।।
আমি ও আবার ঘুমের রাজ্যে ফিরে গেলাম....!
...রাগিণী কলেজে গিয়ে তার ক্লাস রুমে চলে গেছে...কলেজ ছুটি পরে সেই ভাবতেছে প্রতিদিনের মতো আজকে ও.,রাশেল থাকে ভালোবাসে কথাটা বলবে.....।
।
কিন্তু তার ধারণা টা ভুল ছিলো...।। রাশেল আজ কলেজে আসে নাই......!
এই যে রাগিণী এই দিক ওই দিক কি খুঁজতেছি....?(পিছন থেকে নীলা বলে উঠলো রাগিণীকে)
রাগিণী নীলা কথা শুনে চমকে উঠলো....।
কই কিছু না......!
।
তোকে বলতে হবে না.......।। আমি জানি তুই রাশেলকে খুঁজতেছি....তুই ও থাকে ভালোবেসে পেললি...!
এই একদিনের মধ্যে....। আমার তো বিশ্বাস ও হচ্ছে না.....!(নীলা অবাকক হয়ে বললো)
এই বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু...(রাগিণী রেগে বললো)
।
ওরে বাবা রে যাকে ভালোবাসি...তার কথা বললে ও রাগ করতে হয় বুঝি.....!(নীলা)
তুই ও না সিরিয়াসলি কথায় ও ফান করতে পারিস বটে.....!(রাগিণী)
আচ্ছা ঠিক আছে...কিন্তু এখন ভালোবেসে কি হবে...যখন সেই তোর পিছু পিছু আটা মতো লেগে থাক ছিলো তখন তো তোর ভালোবাসা কোথায় হারিয়ে গেয়েছিলো......।
।
ও তখন তো ওই মিথ্যা ভালোবাসা নীলের কাছে চলে গিয়ে ছিলো....যাই হোক এত কথা তোকে বলে কোনো লাভ নেই...তুই তো আবার সত্যি কারের ভালোবাসা বোঝিস না...।।। আমি এখন বাসায় যাবো..তুই কি যাবি...? (নীলা)
।
হুম চল...তার পরে তারা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলো...,
বিকালে...! রাগিণী আজকে রাশেল আসে নাই কেন......?(রাগিণী মা বললো)
রাগিণী তার মার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে..! অবাকক হওয়ার কথা রাশেল রাগিণী বাসায় আসতো
রাশেলের একটা নিত্যদিনে রুটিন হয়ে গিয়ে ছিলো... রাগিণী বাসায় আসার)
।
হয় তো মা তার কোনো কাজ আছে.....।(রাগিণী মিথ্যা কথা বললো তার মা কে রাগিণী জানে রাশেল কেন তাদের বাসায় আসতেছে না)
না তুই কল করে দেখ তার কাজ থাকলে ও সেই প্রতিদিন বাসায় আসতো.....।।।
।
তুই বাসায় ফোন করে দেখ.....।।(রাগিণী মা)
রাগিণী তার মার কথা মতো রাশেল মোবাইলে কল দিলো....।।
কিন্তু মোবাইল বন্ধ...।।।
মা সেই নাকি নানুর বাসায় গিয়েছে..সেই জন্য আছে নাই...।।(রাগিণী মিথ্যা কথা বললো)
।
আচ্ছা ঠিক আছে...।।(রাগিণী মা)
তার পরে নীলাকে ডেকে নিয়ে রাশেলের বন্ধুদের কাছে চলে আসলো...।
ওই খানে এসে রীতি মতো নীলা অবাকক হয়ে গেছে.........
..........পরবর্তী পর্ব জন্য আমাকে ফলো করেন......
...আর ভুল গুলো নিজে দায়িত্বে শুধলে নিও ধন্যবাদ....
part_6
নীলা আর রাগিণী রীতি মতো অবাকক হয়ে গেছে...!
এই খানে তো রাশেল ও নাই তাহলে সেই কোথায় গেছে.....।।
এই রাফি রাশেল কোথায়..?(রাগিণী রাশেলের বন্ধু রাফিকে বললো)
কালকে থেকে থাকে দেখতে পারতেছি না আপু....!(রাফি)
ওই খান থেকে চলে আসলো তাঁরা....।।।
।
বাসায় এসে রাগিণী ভাবতেছে...তাঁর মোবাইল ও বন্ধ তাহলে সেই কোথায় গেছে...!
পরেদিন কলেজে গিয়ে দেখলো...আজকে ও রাশেল কলেজে আসে নাই....!
এই দিকে নীলের ও কোনো খুঁজ খবর নেই..হয় তো বা তাকে হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে...!কথাটা ভাবতে রাগিণী মুখতে হাসি বের হলো...।
।
রাশেলের কথা কারো কাছ থেকে ও কিছু জিগ্যেস করতে পারতেছে না...!
এমন করে পাঁচ দিন চলে গেছে...।। রাশেল কোনো খুঁজ খবর নেই....।। রাগিণী ও তার ফুফির বাসায় গিয়ে দেখে নাই রাশেল কোথায়.....।।।
।
আজকে সেই ডিসিশন নিয়েছে সেই রাশেল বাসায় যাবে.....।। যেই ভাবার সেই কাজ...রাশেলের বাসায় আসার জন্য রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লো....।।।
এই রাশেল তোর কি হয়েছে বলতো আজ পাঁচ দিন ধরে কলেজে যাচ্ছি না...তার চেয়ে বড় কথা হলো বাসা থেকে ও বের হচ্ছিস না...তোর কি হয়েছে বলবি.....?(বাবা)
।
বাবা আমার তেমনি কিছু হয় নাই..আসলে ভালো লাগতেছে না তাই বের হতে মন চাচ্ছে না......।।
শুন তোকে দেখার জন্য প্রায় পাঁচ বার ডাক্তার আনলাম কিন্তু তুই নিজেকে দেখতে দিস না.....।।।
।
শুন বাবা অন্য একটা মেয়ে জন্য তুই আমাদেরকে কেন কষ্ট দিচ্ছি...। দেখ তোর মা দুই দিন হচ্ছে তোর জন্য কিছু খাচ্ছে না....।।। তুই এখন নিজে কে চেঞ্জ কর তাহলে দেখবি সব গুলো আগে মতো হয়ে যাবে....!শুধু আফসোস করবে ওই মেয়েটি....।।।
।
আব্বু কথা শুনে অবাকক হয়ে গেছি...।।। মা আমার জন্য খাবার খায় নাই দুই দিন...! এটা আমি কি করলাম না আমার চেঞ্জ হতে হবে.... আব্বু তো ঠিকই বলেছে...আমি কেন অন্য একটা মেয়ে জন্য নিজে পরিবারকে কষ্ট দিবো...। যেই মেয়ের পিছনে প্রায় এক বছরে চেয়ে বেশি লেগে থাকলাম....।সেই মেয়ে তো আমার ভালোবাসা বোঝতে পারলো না......।।।
আমার মা বাবা তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে তাহলে আমি কেন তাদেরকে কষ্ট দিবো না নিজেকে পাল্টাতে হবে....।।
।
ওই রাশেল কি ভাবতেছি....চল খাবার খাবো....।।
তার পরে আব্বু আর আম্মু সাথে টেবিলে বসে পড়লাম...মা আমাকে খাবার খেয়ে দিচ্ছে.....।।
আর মা চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে....।।
আরে মা কাঁদছো কেন..আমার কিছু হয় নাই...
আমি ঠিক আছি.....।।
।
তার পরে মা চোখ থেকে পানি মুছে নিয়ে...।।
খাবার শেষ করলাম...।।। রুমে এসে রেডি হয়ে বের হতে যাবো তখন আমি তো অবাকক হয়ে গেছি.....।।
রাগিণী আজ পাঁচ দিন পরে আমাদের বাসায় আসলো......।। কাহিনী টা কি বোঝতে হবে.....।।।
।
রাগিণী এসে আমার পাশে দাড়ালো তবে পাশে বললে ভুল হবে একেবারে সামনে দাড়ালো....আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাচ্ছি..! কিন্তু, ওই খানে ও এসে দাড়ি পড়লো...।। ডান সাইডে গিলাম কিন্তু ওই খানে ও এসে দাড়ালো...।।।
কেমন লাগে আপনার বলেন তো...।।।
মাথাটা উঠালাম...।।।।
।
আপু সাইড দিন আমি বাইরে যাবো.....।।।
আপু হঠাৎ আমার চোখের দিকে থাকালো....(রাগি লোক নিয়ে)
বোঝতে পারলাম রেগে গেছে....!রাগলে আমার কি আমি তো তার কিছু নয়...।।।
।
এই কি সেই রাশেল যে আমাকে সব সময় রাগিণী বলে ডাকতো....প্রতিদিন আই লাভ ইউ বলে জ্বালাতন করতো....।। যাকে আপু বলতে বললে ও রাগিণী বলতো....তাকে আপু বলার জন্য ও কয়েক বার থাপ্পড় ও দিয়েছি ছিলাম.....।।।
কিন্তু আজ না জানতে চেয়ে ও আপু বললো....।।।
সেই কি আমার কথা গুলোতে অনেক কষ্ট পেয়েছে.........।।
।
একটা লোক কতটা কষ্ট পেলে এতটা চেঞ্জ হতে পারে.....।।।।
(রাগিণী কথা গুলো ভাবতেছে..আমি পাশ কাটিয়ে চলে আসলাম)
বন্ধুদের আড্ডা খানায় চলে আসলাম...।।। ওই খানে এসে তো আমি অবাককক হয়ে গেছি.......
part_7
এটা.! এটা তো ইরা.! ইরা কেন এই খানে আসলো....।
(আপনার ভাবছে ইরাটা কে আবার...তাহলে শুনো ইরা আমাকে ভালোবেসে..আমাকে একবার প্রপোজ ও করেছিলো..। কিন্তু আমি না করে দিলাম..। কারণ আমি তো সিনিয়ার আপুকে ভালোবাসি.....।।।)
।
মাথায় একটা শয়তানী বুদ্ধি আসলো....।।।
কিন্তু একদিক দিয়ে খারাপ ও হচ্ছে....!
যদি আমি ইরা সাথে নাটক করে রাগিণীকে কষ্ট দিয়ে....।।।
তাহলে ইরা আমার প্রতি আবার দুর্বল হয়ে যাবে....।।
আমি চায় না সেই আবার আমার জন্য কষ্ট পাক......!
তাদের পাশে গিয়ে বসলাম....। সবাই তো আমাকে দেখে অবাকক হয়ে গেছে...।।
।
কি রে সবাই এই ভাবে থাকিয়ে আছিস কেন...?
তুই কি সত্যি সত্যি আমাদের সামনে আসলি নাকি...আমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে.....!(রাফি
ও ভুল হচ্ছে তাই না.! দেখাচ্ছি তোদেরকে মজা..।
বলে তার কাছে গিয়ে দিলাম কয়েকটা ঘুসি.....।
আউউউ লাগতেছে তো বাবা.....!(রাফি)
।
লাগবে যে ওটা কি তুই জানিস না.....?
জানি তো....!(রফি)
(বাকী গুলো বন্ধুরা আমাদের কাণ্ড দেখে হাসতেছে)
তাহলে মজা করতে গেলে কেন..?
আরে বাপ ভুল হয়ে গেছে..এই বারের মতো ক্ষমা করে দেয়.....!(রাফি)
মনে থাকবে তো.....!
একশো বার মনে থাকবে....।(রাফি)
।
ছেড়ে দিলাম...।। হঠাৎ আমাদের পাশে রবি এসে বললো....।।
মামা তুই আসলি..।। আসছিস ভালো হলো..।( রবি)
কেন কি হয়েছে মামা....?
চল চল আজকে একটা টুর্নামেন্ট আছে....।(রবি)
কখন...? এই তো পাঁচ মিনিট পরে শুরু হবে..।(রবি)
।
তার পরে রবি সাথে খেলার মাঠে চলে আসলাম...।।
রবিকে ডেকে বললাম...মামা কতটাকা বাজেট...?
চার হাজার টাকার বাজেট....।।
মামা আমাকে এক হাজার দিতে হবে..!তাহলে আমি খেলতে পারবো..না হলে আমি চলে যাবো...!
আমরা ট্রপিক করে ফিলিং পেলাম
আচ্ছা মামা দিবো এই বার তো ফিলিং কর....।(রবি)
।
তার পরে ফিলিং করতেছি....।।
ওই অভ্র রাশেলকে দেখলি...?(রাগিণী)
হুম দেখেছি আপু...।
(বাহহ যারা ভাবি বলে ডাকতো তাঁরা ও এখন আপু ডাকতেছে)
ওই তোরা তো আমাকে ভাবি ডাকতি...।তাহলে আজকে আপু ডাকলি কেন....?(রাগিণী কিছুটা অবাকক হয়ে)
আরে আপু..তুমি কি ফকিন্নি পোলার কখনো বউ হতে পারো..কোথায় তুমি আর কোথায় রাশেল...তা ছাড়া এতদিন আপনাকে ভাবি ডাকার জন্য ক্ষমা করে দিবেন.....(অভ্র কথাটা বলে চলে গেছে)
।
(আর অভ্রর কথাটা রাগিণী বুকে এসে তীরের মতো লাগলো...।।)
চোখ দিয়ে অশ্রু কন্যা বের হচ্ছে..।। সেই কি এতটা খারাপ ছিলো...। যার জন্য থাকে ফকিন্নি পোলা বললাম....।। পিছন থেকে অভ্র কে ডাকলো দিলো...রাগিণী..!
এই অভ্র রাশেল কোথায় এখন..?(রাগিণী কান্না ভাব কন্ঠেই)
সেই আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করতেছে......।(অভদ্র)
।
রাগিণী স্কুলে মাঠে চলে আসলো...।। আমাদের বিপক্ষে দল ১৪ ওভারে ১৭৮ টার্গেট দিলো...।
আমাদের জিততে হলে ৮৪ বলে ১৭৯ রান নিতে হবে...।।
মামা তুই নাম মাঠে..।আর দেখে দেখে খেলবি..মনে রাখিস আমরা জিতলে তুই এক জনে এক হাজার পাবি.....।।।(রবি)
মামা তুই চিন্তা করিস না...মনে কর এই মেইসটা আমরা জিতেছি...।আর টাকাটা আমার হাতে দিয়ে দেয়.....!
।
মামা টাকা তো আম্পায়ারের কাছে...।। শালা জিতলে আমাকে একটা টাকা ও না দেওয়ার ধান্দায়...তা হবে না তোর কাছ থেকে এক হাজার দিয়ে দেয়....।।।
তার পরে রবি কাছ থেকে এক হাজার একটা নোট নিয়ে নিলাম...।। আহহহ আজকে পাঁচ দিন পরে টাকা হাতে নিলাম...।। তা ও আবার নিজে শক্তি ক্রয় করে.......।।। আজকে নিজেকে অনেক খুশি খুশি লাগতেছে.....।।। মাঠের চার পাশটা দেখে নিলাম...।।
বাহহ শালা মাঠ তো লোকে বড়ে গেছে...।।।
আমি মনে হয় কোনো দেশ থেকে ক্রিকেট খেলোয়ার আসছি...।। ফুটবল খেলোয়ার মেসি আসলে ও মনে হয় এত লোক আসতো না.....।।।
।
হঠাৎ মাঠে এক কন্যারে চোখ যেতে আমি অবাকক হয়ে গেছি...।। এই খানে রাগিণী খেলা দেখতেছে...।।
বাহহ যে মেয়েকে পনেরো বিশ বার ডাকার পরে ও খেলা দেখতে আসতো না...সেই না ডাকার পরে ও খেলা দেখতে চলে আসলো..।
।
রাগিণী পাশ থেকে কয়েকটা মেয়ে বলে উঠলো...।।।
এই এটা রাশেল না...।(খেলা দেখতে আসা একটা মেয়ে আরেকটা মেয়েকে জিগ্যাস করতেছে)
হ্যাঁ কেন তুই চিনিস না...।। তার উপর তো সব মেয়ে রাশেলকে ক্রাশ খেয়েছিস...।। কিন্তু সবাই তার জুনিয়ার হওয়া কারণে কাউকে পাত্তা দেয় না...!
দেখবি সেই একাই এই মেসটা জিতিয়ে দিয়ে আসবে....।(মেয়েটি)
।
তার পাশ থেকে আরেকটা মেয়ে বলে উঠলো...।।।
তোমরা কি পাগল হয়ে গেছ...।।
৮৪ বলে ১৭৯ রান কি ভাবে নিবে...।। তা ছাড়া রাশেল এক ওভার ও টিকে থাকতে পারবে না...।(আরেকটা মেয়ে বললো)
রাগিণী তাদের কথা শুনতেছে..।।।
তাই নাকি তাহলে বাজেট হয়ে যাক...।।।(মেয়েটা)
পাঁচ হাজার টকার বাজেট ধরলাম...।।।
তার পরে তাঁরা বাজেট ধরলো...।।
।
রাগিণী তাদের কাণ্ড দেখে অবাকক হয়ে গেছে...।।।
মামা এস্টাইগার তুই যা....!(তানজিল)
ঠিক আছে...।।।।
আমি এস্টাইগার আসলাম...।।।
রীতি মতো খেলা শুধু হয়ে গেছে...।।।
প্রথম বল করলো..।কিন্তু! বল আমাকে পাকি দিয়ে কিপারের হাতে চলে গেছে..।।
কি দেখলি তো তোদের পিলিয়ার এস্টাইগারে গিয়ে কেমন ভোয়া হয়ে গেছে....।।।(বিপক্ষে মেয়েটি)
।
আমাদের পক্ষে মেয়েটা মাথা নিচু করে আছে..।)
দ্বিতীয় বল করলো...দ্বিতীয় বল ও কাজে লাগাতে পারি নাই...।।।
কি দেখলি তো তোদের পিলিয়ার....(বিপক্ষে মেয়েটি)
আমাদের পক্ষে মেয়েটা এখন ও মাথা নিচু করে আছে......।।।
এমন করে এক ওভার চলে গেছে... এক ওভারে আমার রান হয়েছে তিন রান...।।।
।
দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে ছয়...।। দ্বিতীয় বল কিপারের হাতে...।।। তৃতীয় বলে চার.....।।।
চতুর্থ বল ও ছয়...।।। পঞ্চম বল কিপারের হাতে ষষ্ঠ বল ছয়....।।।।
এমন করে ওভার চলে যাচ্ছে ৭ ওভারে আমার ব্যাক্তি গত রান ৪৯...।।। আমাদের রানের খাতায় মোট রান ৮০...আমাদের হাত থেকে ওকেট চলে গেছে তিনটা.........।।।।
।
কিরে চুপ করে আছিস কেন...।।। দেখলে আমাদের রাশেলের ব্যাক্তি গত রান কত...।।।
বিপক্ষ মেয়েটি মাথা নিচু করে আছে...।।। হঠাৎ মাথা তোলে বললো....।। সেই ফ্রিপটি করা আগে Out হয়ে যাবে...।।।।(বিপক্ষে মেয়েটি)
ওটা জন্য বাজেট ধরবি....(আমাদের পক্ষে মেয়েটি)
আমি তোদের টাকা গুলো খেতে চাই না....(বিপক্ষে মেয়েটি বললো)
।
তুই টাকা খেলে কিছু হবে না...।। বাজেট ধর....(আমাদের পক্ষে মেয়েটি)
না থাক....।আমার কাছে টাকা নেই...।।
আচ্ছা থাক....।।
আট ওভার চলতেছে..প্রথম বলে কেছ উঠিয়ে দিলাম....।।
।
ওই দেখলি তো কেছ উঠিয়ে দিলো.....।(বিপক্ষে মেয়েটি)
শুধু শুধু টাকা গুলো খেয়ে দিতি...।(বিপক্ষে মেয়েটি)
আগে কেছটা ধরতে পারবে কি না তা দেখে.....।।(আমাদের পক্ষে মেয়েটি)
রাগিণী তাদের কাণ্ড দেখতেছে...।।।
কেছটা ম্যাচ করলো...।।।।
আমি ফ্রিপটি করে পেলাম...।।।।
।
এমন করে ওভার চলতেছে...।।।।।
১১ ওভার শেষ আমাদের রানের খাতায় মোট ১৩৬ রান.....।।
ওকেট ৫ টা চলে গেছে...।।। (আমি চেনচুরি করে পেললাম)
আরো এক ওভার শেষ আমার রান ১৫০...।।।।
রবি দোড়ে আমার কাছে আসলো.....।।
মামা পাঁচ বলে পাঁচটা মেরে দিয়ে আয় নারে...!(রবি)
তুই কি পাগল হয়ে গেছি...।।
মামা না করিস না আমাদের আসিফের বলে ও তুই ছয় বলে ছয়টা মারলি...।। ওই গুলো তো তোর জন্য কোনো বলার না মামা....প্লিজ না করিস না...।।।
।
তার বিনিময়ে আমার জন্য কি আছে...মামা আরো এক হাজার পাবি...(রবি)
হি হি হি হবে না....।।।।
তো আর কি আছস...?(রবি)
রাতে পার্টি ও চায়...।।।
ঠিক আছে পাবি......(রবি)
ওকে মামা...।।।।
লঙ্গে দেখতে পেলাম একটা বেনার উঠাচ্ছে....।।।
বাহহ আমার জন্য আরো ভালো হলো আমার টার্গেট শুধু বেনার....। বেনার ও ঠিকতে পারবো...।।।।। তার উপর ছয় ও মারতে পারবো.....।।
।
হঠাৎ মাইক থেকে বলতেছে...।। যেই বেনারের নিশানা লাগাতে পারবে তার জন্য দুই হাজার টাকা পুরস্কার আছে...।।।।
বাহহহ আজকে সকাল কার মুখ দেখে যে ঘুম থেকে উঠলাম...।।।
হুম মনে পড়ছে আব্বু মুখ দেখে উঠেছি....।।।
প্রথম বলে ছয় সোজা গিয়ে বেনারে লাগলো.....।।।
দ্বিতীয় বল ও গিয়ে নিশানা গিয়ে লাগলো....।।।
তৃতীয় বল ও গিয়ে নিশানা লাগলো.....।।।
।
বাহহ আজকে বেটের কি হলো সব গুলো বেনারের দিকে যাচ্ছে...।।।।
কপারটা ভালো মনে হয় আজকে.....।।।।
মাঠের সব লোক আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে.......।।।
নিজেকে হিরো হিরো লাগতেছে.....।।।।
পাঁচ বলে পাঁচ টা লাগিয়ে দিলাম....।।।।
আরেক বলের জন্য রেডি হচ্ছি....।।।
এমন সময় এসক্রুব বলে উঠলো...!!
এই রাশেল অনেক লজ্জা দিলি...।।।
।
এখন মাঠ থেকে চলে আয়...।।।।
মামা আরেকটা মারি না...জোর করেদি...।।।
না থাক আর জোর করে দিতে হবে না.....।।
মেন অপ দ্যা মেস রাশেল কে দিলাম...।।।
তোমাদের খেলা আরেকটা আমি কল করে বলে দিবো.......।।।
আমি কথাটা শুনে রবি দিকে রাগি লোকে থাকিয়ে থাকলাম....।।।
দোস্ত সরি সরি তোকে এই কথা না বলে আজকে মেসটা তুই জিতিয়ে দিতি না...সেই জন্য মিথ্যা কথা বললাম...।। আর মামা পাঁচ বলে পাঁচ টা নিশানা কি ভাবে লাগিয়ে দিলি...।।।
।
প্রথম তোর বেটকে নিশানা ঠিক কর তার পরে তোর চোখকে নিশানা রাখ দেখবি তুই ও পারবি...!
শুন আমার জন্য পানি নিয়ে আয়....।।।।
পিছন থেকে একটা মেয়ে বলে উঠলো...।।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ..।।
আমি ঘুরে থাকিয়ে দেখলাম একটা মেয়ে বললো...।।।
ধন্যবাদ কেন...?
আপনার জন্য আজকে আমার টাকা গুলো ফিরিয়ে পেয়েছি....!
আমি আবার আপনার জন্য কি করলাম...!
আপনি খেলা জিতিয়ে সেই জন্য....।(মেয়েটি)
।
এটা আমার দল তাই আমি জিতিয়েছি.....।।
পাশে পিরে দেখলাম...।।। রাগিণী রেগে আমার দিকে থাকিয়ে আছে.!আমি তো কিছু বোঝতে পারছি না....
part_8
রাগিণী আমার দিকে রাগি লোক দিয়ে থাকিয়ে আছে...।। আমি পাশ খাঁটিয়ে চলে আসলাম...।
রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে আছে...।।
(রাগিণী ভাবতেছে রাশেল কি আমাকে দেখতে পায় নাই)
এই রাশেল এই নে পানি...। আর রাতে মামা রেস্টুরেন্ট চলে আছিস..।(রবি)
আমি পানি বোতলটা নিয়ে বললাম রেস্টুরেন্ট কেন যাবো...?
।
আরে আগে ডিনার করবো তার পরে যাবো...।।(রবি)
আচ্ছা টাকা গুলো কি তুই আমার জন্য খরচ করতেছি নাকি অন্য কোনো কারণ আছে...?
আরে ওটা মামা দিচ্ছে যে আমাদের টিমের সবার জন্য..!(রবি)
তা কেন দিচ্ছে...?
আমরা যে দল কে হারিয়ে দিলাম..সেই দল নাকি অনেক শক্তি শালী..আমরা যদি তাদেরকে হারিয়ে দিতে পারি তাহলে মামা আমাদের জন্য পার্টি দিবে বলেছে...।।(রবি)
।
আচ্ছা ঠিক আছে..।আমি আসবো...?
হাঁটা দিলাম..।। কিন্তু সামনে রাগিণী চলে আসলো....।।।
চোখটা উঠিয়ে বললাম আপু কিছু বলবে....!
এই নে টাকা গুলো রাখ....।(রাগিণী আমার দিকে কিছু টাকা দিয়ে বললো)
কার টাকা..?
তুমি বেনার ঠিকার কারণে তোমাকে টাকা দেবার কথা ছিলো তাই টাকা দিচ্ছি....।।
।
সরি আপু আমি ফকিন্নি না..ও হ্যাঁ আমি তো ফকিন্নি তবে অন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়ার মতো ফকিন্নি আজ ও হয় নাই...।।।
সরি রাশেল ওই দিনের কথা জন্য আমাকে ক্ষমা করে দে.....!(রাগিণী)
আরে আপনি কেন ক্ষমা চাচ্ছে..ক্ষমা তো আমাকে চাওয়ার কথা পুরা এক বছর আপনাকে বিরক্ত করেছি......।।।।
যাই হোক আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন
...।
।
কথাটা বলে বাসায় চলে আসলাম...।।।
এই দিকে রাগিণী কথাটা শুনে কাদঁতে কাদঁতে বাসায় চলে আসলো....।।।।
এই রাগিণী তোর কি হয়েছে...?(রাগিণীর মা)
রাগিণী কোনো কথা না বলে রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে দেয়ে শুয়ে শুয়ে কান্না করতেছে...।।।
আর বালিশ ভিজাচ্ছে.....।।।।
এই মামুনি তোমার কি হয়েছে আমাকে বল মা(রাগিণী মা দরজার বাইর থেকে বলতেছে)
।
রাগিণী কোনো কথা না বলে রুমে শুয়ে আছে.....।।।
মা দরজাটা খুল নারে....(রাগিণী মা)
কোনো কথা বলতেছে না রাগিণী...।।।
কিছুক্ষণ ডাকার পরে রাগিণী দরজা খুললো....।।
রাগিণী মা তার কাছে এসে বললো...।।।
তোর কি হয়েছে বলতো মা...?(মা)
মা আমি যে অনেক বড় অপরাধ করে পেলেছি....।।
কার সাথে কি করেছি....?(মা)
।
কোনো কথা বলতেছে না...!
আচ্ছা না বললে বলিস না ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে আয়......।(মা)
কথাটা বলে রাগিণী মা চলে গেছে...!
কিরে মামা আসলি...তোর আসতে এত দেরি হলো কেন......।(রবি)
বলিস না আর রাস্তা জ্যাম ছিলো....!
আর বলতে হবে না তোকে...।।
তাদের সাথে ডিনার করলাম...।।।।
।
তারপরে অনেক মজা করলাম..।। দুইটা বাসায় আসলাম....।।। খায়ছে মা আমাকে। চোরের মতো বাসায় ডুকলাম...।।। কিন্তু হঠাৎ কে যেনো বাসার লাইট জ্বালিয়ে দিলো...।।। মনে হয় মা বসে আছে..আমার জন্য...।।।
সোজা এসে মা আমার কান ধরলো...।। ওই এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি...?(মা)
আসলে মা বন্ধুরা একটা পার্টি দিয়েছিলো ওটাতে গিয়েছিলাম...।।।
।
কানে ধরে বিশ বার ওঠ বস কর...।।।
মা আর কমানো যায় না...?
তুই করবি নাকি তোর আব্বুকে ডাকবো.....?(মা)
না ঠিক আছে দিচ্ছি...এত পর ওঠ বস করা শেষ...।।
ফ্রেশ হয়ে আয় খাবার খাবি....!(মা)
মা আমি খাবার খেয়েছি...।।
তার মানি তুই নেশা করেছি...।।
মা তোমার মাথা ছোঁয়ে কছম খেয়েছি না ওই খারাপ জিনিস গুলো খাবো না...!
।
এই তো আমার ভালো ছেলে...। যা গিয়ে শুয়ে পড়...।।।
রুমে এসে।শুয়ে পড়লাম...।।।।
সকালে কে যেনো আমাকে জড়িয়ে ধরে পাপ্পি দিচ্ছে আমি চোখ খুলে অবাকক হয়ে গেছে...।।।
রাগিণী আমার রুমে ঢুকে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে...।।
আমাকে কিস করতেছে...।।।।
আমি তারাতাড়ি বিছানা থেকে উঠিয়ে পড়লাম...।।।
আপু আপনি এই গুলো কি করছে...!!
আর আপনি এত সকালে আমাদের বাসায় কি করছেন....?
আর আমার রুমে দরজা বন্ধ করলে কেন...?
।
আগে উঠে ফ্রেশ হয়ে আয়...?(রাগিণী)
আপনি আমার রুম থেকে বের হন আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি...।।।।
বলে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লাম...।।।
ফ্রেশ হয়ে বের হলাম..কিন্তু আপু এখন ও বসে আছে...।
আপু কিছু বলবে.....!
হুম.ওই দিনের জন্য আমি তোর কাছে লজ্জিত.তুই আমাকে ক্ষমা করে দেয়.....?(রাগিণী)
।
ঠিক আছে আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম....।
সত্যি তো তুই আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি.....!(রাগিণী)
হুম আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম...।।
ধন্যবাদ তোকে..। রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে চলে গেছে...।।।
সেই ভাবতেছি আমি থাকে ক্ষমা করে দিয়েছি...।।।
তবে ঠিক ক্ষমা করে দিয়েছে...।।
কিন্তু আগে মতো হতে পারবো না...।।।
রাগিণী সাথে...।।।
।
হঠাৎ মা আমার রুমে আসলো...।।।
এই রাশেল ধর তোর বড় মামি কেন ফোন দিয়েছে দেখ...?(মা)
মা মোবাইলটা দিয়ে চলে গেছে...।।
আমি মোবাইলটা কানে ধরলাম....।।।
রাশেল তোমার মামা ঠ্যাং আবার ফোলে গেছে...?(মামি)
আচ্ছা মামি আমি দেখতেছি......!
।
বলে ফোনটা কেটে দিলাম...। এখন কি হবে...।।
আমি তো তাদের বাসায় যাবো না.....।।
তাহলে এখন মামাকে কে নিয়ে আসবে....?
part_9
এখন মামাকে কি ভাবে নিয়ে যাবো..? মাথায় কিছু আসতেছে না..। কি করি এখন আমি.. না পারছি তাদের বাসায় যেতে ..না আসতেছে মাথায় বুদ্ধি...।। ওই বুদ্ধিমামা কোথায় তুমি..তারাতাড়ি চলে আসো মাথায়...!
হুম পেয়েছি একটা সলিউশন..। দেখি কাজ হয়ে কি না.....।
।
হ্যালো মামা কোথায় তুই..?
আকাশে উড়তেছি.!তুই উড়বি আমার সাথে....?(রবি)
ওই শালা তুই কি আমাকে পাগল পেয়েছি যে তোর সাথে আকাশে উড়বো..। এখন বল তুই কোথায়..?
শালা এই সময় আমি কোথায় থাকি...!(রবি)
কলেজে থাকিস..?
তো..!(রবি)
।
শালা তোর ক্লাস করতে হবে না তারাতাড়ি আমার বাসায় চলে আয়....!
আমি পারবো না..!আমার ক্লাস করতে হবে...!(রবি)
ঠিক আছে..! আমি ও ক্রিকেট মেস গুলো খেলবো না....?(বলে ফোনটা কেটে দিলাম...)
আমি জানি সেই আমার বাসায় চলে আসবে..।
।
পাঁচ মিনিট পরে বাসার কলিং বেল বাজতেছে...।।
গিয়ে দরজা খুললাম...।। দেখলাম রবি ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে...।। আমি তার কাদ থেকে ব্যাগটা নিয়ে সোফায় রাখলাম...।। চল চল...!
আরে আরে দাড়া কোথায় যাবো..আর তুই এমন করতেছিস কেন...?(রবি)
।
আগে বাইকে বস তার পরে বলতেছি...!
তার পরে বাইকে বসলো..। আমি ও গাড়ি চলা শুরু করলাম...।।
মামা শুন তুই রাগিণীর বাসায় গিয়ে মামাকে নিয়ে আসবি..? আর মামি জিগ্যেস করলে বলবি আমি গাড়ির জন্য গিয়েছি...।।
কেন আমি কেন তোর মামাকে আনবো..?(রবি)
তোকে আমি যা যা বললাম..তাই করবি তুই...।
।
এখন গাড়ি থেকে নাম...।
সেই গাড়ি থেকে নেমে চলে গেছে মামা বাড়ি...।।
আমি ও গাড়ির জন্য বসে পড়লাম...।।।(মামা গাড়ি আছে তবো ও গাড়ির জন্য দাড়িয়ে আছি)
কিরে রবি রাশেল কোথায়..?(রাগিণী)
সেই গাড়ির জন্য গিয়েছে....।(রবি)
গাড়ি তো আমাদের বাসায় আছে...।। তাহলে সেই গাড়ির জন্য গিয়েছে কেন...?(রাগিণী)
গাড়ি ড্রাইভ করতে জানে না তাই গাড়ির জন্য গিয়েছে মনে হয়...!(রবি)
আমার জানা মতে তো রাশেল গাড়ির ড্রাইভ করতে পারে...
(তার মানি কি রাশেল আমার কথা মতো আমাদের বাসায় আসবে না..!)
তার পরে রবি মামাকে নিয়ে আসলো...।।।
।
আমি গাড়িতে উঠালাম.মামাকে.।। রাগিণী আমার দিকে কয়েক বার থাকিয়েছে...।। আমি তার দিকে এক বার ও থাকিয়ে দেখি নাই...।।। তাঁরা সবাই মামাকে নিয়ে একটা গাড়ি বসে পড়লো...।।।
হঠাৎ দেখলাম রাগিণী গাড়ি থেকে নেমে আসতেছে...।।
সোজা আমার কাছে এসে বাইকে বসলো...।।।
।
আমি তো রাগিণী কাণ্ড দেখে অবাকক হয়ে গেছি...।।
আরে আপু আপনি গাড়ি থাকতে বাইকে বসতেছে কেন...?
বসলে কোনো সমস্যা....!(রাগিণী)
বসলে কোনো সমস্যা না.! তবে যদি এক্সিডেন্ট হয়ে যাই তাহলে তো আপনার মা বাবা অনেক কষ্ট পাবে....!
তাদেরকে নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না...। তুই বাইক ট্রার্ট দেয়...?(রাগিণী)
।
কি আর করা বাইক ট্রার্ট দিলাম...।। গাড়ি তার আপন গতিতে চলতেছে...।।।
হঠাৎ বোঝতে পারলাম রাগিণী আমাকে তার দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো ...।।। আমার সারা শরীর শিউলিত হয়ে উঠলো...।।। যেনো কেউ আমার গাঁয়ে কারেন্টের শখ দিয়েছে..।
এই আপু আপনি কি করতেছে...।। আপনার বয়ফ্রেন্ড দেখতে পেলে খারাপ ভাববে....ছাড়েন আমাকে..?
।
তুই গাড়ি চালাবি নাকি মাইর খাবি...?(রাগিণী রেগে বললো)
আর কোনো কথা বললাম না..।। চুপ চাপ গাড়ি চালাচ্ছি...।। সেই খুব শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো...।। যেনো আমি তার বয়ফ্রেন্ড...।।।
তার পরে হসপিটালে চলে আসলাম...।।।
ডাক্তার মামির সাথে কথা বলতেছে...।।
।
আমি গিয়ে মামির পাশে দাড়িয়ে বললাম মামি কি হয়েছে মামা..?
তেমনি কিছু না..সামান্য একটু ফোলে গেছে যে...।।
ডাক্তার ওষুধের লিখে দিচ্ছে...।।।
আচ্ছা ওষুধ আমি নিয়ে আসবো আপনারা চলে যান........।
রবি তাদেরকে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়....?
কিন্তু রাগিণী আমার পাশে দাড়িয়ে আছে...!
।
আপু আপনি যাবেন না...?
ওই তুই আমাকে আজকে থেকে আপু ডাকবি না..?(রাগিণী চোখ রাঙিয়ে বললো)
কি বলেন আপু আপনি তো আমার সিনিয়ার...।।
সিনিয়ারকে কি বলতে হয় তা আপনি ভালো করে জানে....?
ওই সব কিছু আমি জানি না...আমি যা বললাম তুই তা করে বলবি....?(রাগিণী রেগে বললো)
সরি আপু আমি পারবো না....!
।
তোকে পারতে হবে....!(রগিণী)
আমি পারবো না.....?
তোকে পারতে হবে....?
আমি পারবো না...।।
এক পর্যায়ে কথা কাটা কাটির মধ্যে কে যেনো এসে দিলো.........
part_10
আমার ঝগড়া মাঝে ডাক্তার এসে থামিয়ে দিলো...!
তোমাদের ভাই বোনের ঝগড়া তো অনেক করলে এখন একটু থামেন...?(ডাক্তার)
(আপনার ভাবছেন ডাক্তার কি ভাবে আমাদের চিনলো ডাক্তার হলো আমার আব্বু বন্ধু )
আমরা ডাক্তার আঙ্কেল কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম..।।
এই নাও এই ওষুধ গুলো নিয়ে তোমার মামা কে খায়ে দিও...।।।
।
ডাক্তার আঙ্কেল থেকে রিসিভটা নিয়ে একটা ফ্যারমেসিতে এসে ওষুধ নিলাম...।।
তার পর বললাম আপু আপনি গাড়ি করে বাসায় চলে যান...? কেন তুই কোথায় যাবি....?(রাগিণী রেগে বললাম) (এই খানে এই মেয়েকে কিছু বলা যাবে না যদি আমার মান সম্মান উপর হানি এনে তাহলে তো আমি শেষ.আর এই পৃথিবীতে থাকা হবে না..। উপর ওয়ালা টিকেট কাটতে হবে...।। টিকেট কাটা চেয়ে তাকে নিরাপদ জায়াগায় নিয়ে যাই....।।
।
আপু ওই দিকে চলেন..। এই খানে আপনাকে লোকে দেখতেছে...? দেখলে দেখক..।।
এক প্রকার জুর করে থাকে এক সাইডে নিয়ে আসলাম...।। আপু আমি একটা কাজে যাবো আপনি বাসায় চলে যান....।।
আমি কোথা ও যাবো না..। আজকে তোর সাথে ঘুরবো...।।।(রাগিণী)
কি নিয়ে ঘুরবে...? কেন তোর বাইক নিয়ে ঘুরবো....।।(রাগিণী) আমার বাইক তো নষ্ট হয়ে গেছে।।
।
ওই মিথ্যা কথা কেন বলতেছিস...! এখন না তো বাইক নিয়ে আসলাম..।(রাগিণী রেগে বললো)
হুম আমি ও জানি তো..! এই খানে রেখে গিয়েছিলাম..।
তাঁর ফলে কে যেনো বাইকটা নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে.....।।।।
ওই তোকে ঘুরতে হবে না..। তুই বাইকে চাবি দেয়.!(রাগিণী)
আহহ তার মানি আমি বেঁচে গেলাম..! আহহ ভাবতে ও কেমন যেনো ভালো লাগতেছে...)
।
তারাতাড়ি চাবিটা দিয়ে দিলাম..।। আমি পিছন ফিরে হাঁটা ধরলাম...।।
ওই দাড়া...?(রাগিণী) ধ্যাত আবার কেন ডাকতেছে...!
তার পরে তাঁর কাছে এসে দাড়ালাম...।
হুম আপু বলো..! টাকা দেয়.(রাগিণী)
আপু টাকা তো আপনার কাছে আছে..। তাহলে টাকা আমার কাছে চাচ্ছেন কেন..।। তা ছাড়া ফকিন্নি পোলা কাছে তো টাকা থাকে না...?(খুব গভীর কন্ঠ বললাম)
।
এই ভাবে বলছিস কেন..। তার জন্য তো সরি বললাম আমি..!(রাগিণী কাদুঁ কাদুঁ কন্ঠ বললো)
আচ্ছা বাদ দাও ওই সব কথা..। এখন বলো কত টাকা লাগবে আপনার...।।।
আমি যত চাইবো ততটাকা দিতে পারবি তো..?(রাগিণী)
না থাকলে ও দেওয়া চেষ্টা করবো...!
আমার বিশ হাজার লাগবে দিতে পারবি তো...?
।
(সেই ভাবতেছে মনে হয় আমার কাছে এখন এতটা টাকা নেই)
পকেটে থেকে টাকা বের করে আপুকে দিলাম...।।
আপু আবাকক হয়ে টাকা গুলো নিলো...।।
আমি টাকা গুলো দিয়ে আবার পিছু হাঁটা দিলাম...।।
পিছন থেকে রাগিণী আবার ডাক দিলো....।।
এই মেয়ে না জানি আবার কি করে....।।।।
হুম বলো আপু...।।
।
আমাকে একা রেখে কোথায় যাচ্ছি...। তোর কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই...। একটা মেয়েকে একা রেখে যাচ্ছি...। তার উপর আবার বাইক ও চালাতে বলতেছি...।।।।
আমি মাথা নিচু করে আছি....!
এই নে চাবি আর বাইক স্টার্ট দেয়...।।
কি আর করা বাইক চালাচ্ছি আর রাগিণী আমাকের তার বয়ফ্রেন্ড মতো জড়িয়ে ধরে আছে....।
।
আপু কোন দিকে যাবো....?
ডান দিকে যা...।।
তার পরে ডান দিকে চালাচ্ছি...।।। কিছু দূর যাওয়ার পরে রাগিণী বললো...।। এই থাম...।।
আমি বাইকটা ব্র্যাক করতে রাগিণী এসে আমার উপর লেপ্টে পড়লো...।।।।
সরি সরি আপু আসলে আমি বোঝতে পারি নাই..।
আপনি আমার উপর পড়ে যাবে...।।।
আচ্ছা ঠিক আছে...(আপু হেঁসে উত্তর দিলো)
।
এখন কোন দিকে যাবো..।এই রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়...।।
তার পরে চিকন রাস্তা টা দিয়ে বাইক ঢুকিয়ে দিলাম..।।
জানি না আপু আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে....।
কিছু দূর যাওয়ার পরে বললো...। এই খানে দাড়া..।।
আমি বাইকটা ব্র্যাক করে দাড়াল...।।।
আপু বাইক থেকে নেমে পড়লো...।।।
।
আমি বাইকটা ঘুরিয়ে চলে আসতে যাবো...।।
তখন আপু ডাক দিলো...।।।
ওই তুই কোথায় যাচ্ছি...???
আপু আপনি আপনার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুড়বেন ওই খানে আমি বডের হাড্ডি হয়ে থাকতে চায় না...!
তোকে কে বলেছে..। আমি আমার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে আসছি...????
এতে বলার কি আছে...।
এমন নিস্তব্ধ পরিবেশে বয়ফ্রেন্ড আর গার্রফ্রেন্ড ছাড়া আর কেউ আছে না...।।।
।
সো আমার কেউ নেই..। তাই আমার এই জায়গায় থাকার কোনো প্রশ্ন উঠে না....।।
তুই বেশি কথা বলিস...।। এখন বাইক থেকে নেমে আয়....।।।
সরি আপু আমি এই খানে থাকতে পারবো না...।।।
তা ছাড়া এই এখানে ভুতে ভয় আছে....!
তাই আমি চাই না...আমার মায়ের এক মাত্র ছেলে ভুতের পাল্লায় ফরুক...।।
সো আমি এখন চলে যাবো....!
।
তুই আর একটা কথা ও বললে আমি তোর..। হাত পা ভেঙ্গে দিবো..। আর এই খানে জানুয়ার গুলো কে দিয়ে চলে যাবো...। বোঝতে পারছিস তো...?(রাগিণী রেগে বললো)
আমি তাঁর ভয়ে বাইক থেকে নেমে তার পাশে গিয়ে দাড়ালাম...।।।
হুম চলো...!
এই তো গুড বয়...! তার পরে রাগিণী আমার হাতটা ধরলো...।।।
আমি তার দিকে থাকিয়ে দেখলাম...।।।
।
সেই সামনে দিকে থাকিয়ে আছে...।।।
কি রে এই ভাবে থাকিয়ে আছি কেন...??(রাগিণী)
কিছু না...।।।
কথাটা বলতে রাগিণী তার ঠোঁট দুইটি আমার ঠোঁটের সাথে জুরা করে দিলো...।।।
প্রায় তিন মিনিট পরে ছেড়ে দিলো...।।।
এটা কি হলো আপু...?
যা হবার তাই হয়েছে...!
আমি তো কিছু বোঝতে পারছি না...।।।
আরেকটা দিয় তার পরে বোঝতে পারবি....!
।
না না আর লাগবে না...।আমি বোঝতে পেরেছি...!
রাগিণী হাসতেছে...। আর আমার হাত ধরে হাটতেছে।
কিছুক্ষণ হাঁটা পরে আমরা একটা জায়গায় চলে আসলাম...।। এই বাবু এই দিকে থাকাও...!(রাগিণী)
এই খানে ছোট বাচ্চা কোথায় থেকে আসলো...?
তাই তো তুমি ওই দিকে থাকাও তো..?
আমি তো থাকিয়ে অবাকক হয়ে গেছি....
part_11
আমি তো থাকিয়ে অবাকক হয়ে গেছি..। সামনে দেখতে পাচ্ছি একটা বড় বট গাছ..।। গাছটা অনেক শাখা উপশাখা আছে..।। মনে হয় অনেক বছরে একটা বড় বট গাছ..। যে কেউ এই গাছটা দেখলে পাগল হয়ে যাবে...! কিন্তু এই রাগিণী এই জায়গার সন্ধান কোথায় পেলো...! হতে ও পারে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে আসছিলো...।। এই আপু এখন কোথায় যাবো...?
ওই তোকে না বললাম আমাকে আপু বলে ডাকবি না....! তাহলে কি বলে ডাকবো...? কেন রাগিণী বলে ডাকবি....? আমি পারবো না..! আপনি আমার বড় আমি কি ভাবে আপনাকে নাম ধরে ডাকি...?
.
। আমি চাই না.! তুই আমাকে আপু বলে ডাক..! সো তুই আমাকে নাম ধরে ডাকবি...? কিন্তু আপু.লোকে শুনলে কি বলবে...? তুই কি লোকে খাবার খাচ্ছি যে তোকে লোকে কথা কান দিতে হবে..! আমি যেটা বললাম..! তুই সেইটা করবি....? আচ্ছা দেখা যাবে..!
.
। ওই সব দেখা টেকা বাঁধ দেয়..! আজ থেকে তুই আমাকে নাম ধরে ডাকবি...? চল এখন তোকে নিয়ে ঘুরবো...! এই মেয়ে কি আমাকে ভালোবেসে পেলেছে...? সেই যদি আমাকে ভালোবেসে পেলে তাহলে তো আমার মান সম্মানের উপর হানি আনবে..!
এখন কি করে থাকে আমার কাছ থেকে দূরে ছড়িয়ে দিয়.....!
ওই কি ভাবছিস..! চল আমার সাথে..!( রাগিণী আমার হাতটা ধরে হাঁটতেছে..!)
বোঝতে পারলাম.! মেয়েটা আমার প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে..! যত তারাতাড়ি সম্ভব তার কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে.......।
.
। সেই আমাকে বট গাছে নিচে নিয়ে আসলো..! এই খানে কেন নিয়ে আসলে..?(আপু ডাকলে আবার কি করে আল্লাহ জানে সেই জন্য আপু ডাকলাম না)
এই খানে তোর সাথে প্রেম করবো তাই নিয়ে আসলাম....!
.
ছিঃ ছিঃ ছিঃ আপু আপনার লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই...! একটা ছোট ছেলে সামনে ভালোবাসা কথা বলতেছো....? পাললে ছোট ছেলেটাকে আইসক্রিম এনে দাও...।। আপনি জানো না.! ছোট ছেলেদেরকে সামনে এই সব কথা বলতে নেই...?
.
এই চুপ কর..! বেয়াদব.! ছোট বাচ্চা তাই না..।।
দেখাচ্ছি তোকে আমি...।।( বলে আমার ঠোঁটে সাথে তার ঠোঁট এক করে দিলো..।। আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছি..।। কিন্তু আমি পারতেছি না..।।
.
সেই অনেক শক্ত করে ধরলো..।। ৪ মিনিট পরে ছেড়ে দিলো..।। আমি হাঁপাচ্ছি.। তুই ছোট বাচ্চা তাই না..।।
আরেক বার যদি ফাজলামো করি তাহলে তোকে এই জঙ্গলে রেখে চলে যাবে...। এখন চুপ চাপ আমার খুলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়.....!
.
রাগিণী বট গাছের নিচে বসে পড়লো..।।
আমি ও জীব জন্তু ভয়ে তার খুলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লাম..।। আমার এমন ব্যাহার দেখে মিটমিট করে হাসতেছে...।।। আর তার হাত দিয়ে আমার মাথা স্পর্শ করতেছে..।। তার ছোঁয়া গুলো আমার অনেক ভালো লাগতেছে...।
.
আমার মনে হচ্ছে যদি হাজার ও বছর তার খুলে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকতে পারতাম..। তাহলে আমার জীবনটা পুরা ধন্য হয়ে যেতো...।।
.
প্রকৃতি থেকে হালকা হালকা বাতাশ বয়ে আসতেছে..।।
আর তার খুলা চুল গুলো উড়তেছে..।। যেনো হাজার ও বক আমার সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে..।। তার নাকের পাশে একটা কালো তিন আছে..।। যা দেখতে থাকে অনেক সুন্দর লাগে...!
.
কিছু কিছু চুল তাঁর নাকে মুখে চলে আসতেছে..।। সেই হাত দিয়ে চুল ছড়ানোর ব্যাস্ত আছে..।। আমি তার দিকে এক নজরে থাকিয়ে আছি..।।
যেনো আমার চোখে পলক এক হতে চাচ্ছে না...!
তাকে ভীষণ সুন্দর লাগতেছে...।
.
বলা মতো ভাষা নেই...।। সেই চুল গুলো ছড়ানোর চেষ্টা করতেছে..।। কিন্তু বার বার চুল গুলো চলে আসতেছে...।।
এখন দুই হাত দিয়ে চুল ছড়াচ্ছে...।।।
তবো ও পাড়তেছে না...সেই...!
হঠাৎ রাগিণী বলে উঠলো..।। এই রাশেল এমন করে কি দেখতেছি...? তোমাকে দেখতেছে...!
কিইই বললি...? না মানি বট গাছ দেখতেছিলাম...!
.
রাগিণী আমার কথা শুনে হাসতেছে...! এখন হয়েছে চল তো..! আমার মনে হচ্ছে আরেক টু থাকতে কিন্তু রাগিণী এখন চলে যাচ্ছে কেন....?
আরেক টু থাকি না...?
এই কিছু বললি....?
না কিছু বলি নাই...! ওই তোকে না বললাম আমার সামনে বিরবির করে কিছু বলবি না...?
.
আরে আমি আবার কি বললাম..।। চলো তো...।।
তার পরে রাগিণী আমার হাতটা ধরে হাঁটতেছে...!
এখন সময় হবে চারটা..।। আমরা দুপুরে পরে এই খানে আছিলাম..।। পুরা দুই ঘন্টা বট গাছে কাছে চলে গেছে..।। এখন এই জঙ্গলে দিকে রাগিণী কোথায় যাচ্ছে....?
.
এই খানে আবার পার্কে টাক আছে নাকি...! এই জঙ্গলে ভিতরে পার্কে কেন থাকবে...? পার্ক থাক আর না থাকলে তাহলে এই দিকে কেন যাচ্ছে রাগিণী...।।।
সেই কি আমাকে মেরে পেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছে...!
আপু আমরা এই দিকে কেন যাচ্ছি...।।
আপু বলার সাথে সাথে রাগিণী চোখ দুইটা লাল করে পেলেছে...! মনে হচ্ছে আপু বলে অনেক বড় ভুল করে পেলেছি.....? এই দিকে তোকে মেরে পেলার জন্য নিয়ে যাচ্ছি..(রাগিণী বেশ রেগে বললো).......
part_12
আমরা একটা জায়গায় চলে আসলাম.! জায়গায় মনে হয়..। এটা কোনো পার্ক..। আপু এই পার্কে নাম কি..?
এই পার্কে নাম..। এখন ও দেওয়া হয় নাই..! পার্কে জঙ্গলে পাশে হওয়ার কারণে...! সরকার অনুমতি দিচ্ছে না...। (রাগিণী) যাই হোক আগে নতুন পার্কে দেখে আছি..তার পরে ঘুরে ঘুরে দেখলাম...।
তুই আমার সাথে চল নৌকায় করে ঘুরবো...।। আমি পারবো না..। আপনি একা ঘুরেন...! তুই যদি আমার সাথে না ঘুরিস তাহলে এই পানিতে চুবামো..।। (পানি দেখিয়ে বললো)
কি আর করার পানি ভয়ে তার সাথে নৌকা বসলাম...।।
কিন্তু নৌকা মাঝি আমাদের তুইটা জ্যাগেট দিলো...।।
রাগিণী বললো জ্যাগেট লাগবে না....!
.
কি করবো মাঝি নৌকা চলাচ্ছে..।। আমি রাগিণী দিকে মুখ করে বসে আছি..। রাগিণী আমার দিকে এক নজরে থাকিয়ে আছে..। বোঝতে পারলাম.রাগিণী আমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লো..! কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আমার দিকে পানি মারলো...! এই কি করছো কি...?
যা করছি চোখ বোঝে সয্য করো...! এই মাইয়ার কি কোনো আক্কেল জ্ঞান নাই...।। এই কি ভাবছি..?(রাগিণী) কিছু না..! এমন করে থাকিয়ে আছে রাগিণী...। যেনো আমাকে হাজার বছর দেখে নাই...!হঠাৎ রাগিণী নৌকা উপর দাঁড়ালো...!
এই রাগিণী থুক্কু আপু পরে যাবে তো...?
আমি পরে গেলে বাঁচার জন্য তুই আছিস তো...?
আমি পারবো না..। আমি সাঁতার জানি না...!
বললে হলো...।। নৌকা এই দিক ওই দিন নরা ছড়া করতেছে.....!!
.
এই আপু পরে যাবে তো...। আমি তার হাতটা ধরতে যাবো সেই সময়...। পানিতে পরে গেছে...।। পানি পরে একবার উঠতে আরেক বার ডুপতেছে....।। আমি তারাতাড়ি পানি লাপ দিলাম...।। (পানিতে পরলে কোনো লোকে গাঁ ধরবেন না..। যদি মেয়ে হয় তার কাপড় ধরে উঠাবেন..। আর যদি ছেলে হয় তাহলে অবশ্য তার গায়ে কাপড় থাকবে না..। ছেলে হলে চুল ধরে উঠাবে..। হি হি হি ফ্রিরিতে জ্ঞান দিলাম আপনাদের...!)
আমি আপুকে ছেলে মনে করে চুল ধরে পেললাম....।
উঠাল...। তার গায়ে পানি ডুকে পুরায় গেছে...!
তার পরে অনেক কষ্টেই থাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম...।
কষ্ট করে কুলে নিয়ে আসলাম...।। তাঁকে রাখলাম...।
নিজে অনেক ক্ল্যান্ত মনে হচ্ছে...।। যার কারণে আমি ও হাত দুইটা প্রসারিত করে শুয়ে আছি...।।। মনে হয় রাগিণী পানি খেয়ে পেলেছে....।।।
.
তার পরে আমি তার মুখে আস্তে আস্তে আমার হাত দিয়ে নারতেছি...।। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না...।।
এখন তার পেটে হাত ও দিতে পারছি না...।।।
আর এই খানে কোনো মেয়ে মানুষ ও দেখা যাচ্ছে না...।। কি যে করি...। শালা কোন ঝামেলায় পড়লাম আল্লাহ জানে...।। এখন থাকে বাঁচাতে তো হবে...।।
পরে থাপ্পড় একটা খেলে খেলাম..। কাউকে বাঁচা জন্য থাপ্পড় খেলে কোনো সমস্যা নেই....! তারপরে হাত দিয়ে তার পেটে বর দিয়ে চিব দিলাম..।। মুখ থেকে পানি বের হচ্ছে...।। কিন্তু কোনো নরা ছড়া করতেছে না.....!
এই ভাবে চার বার চিবলাম কোনো কাজ হলো না.......।। এখন কি হবে...।। তার পরে ভয়ে ভয়ে তার মুখে আমার ঠোঁট দুইটা দিয়ে ফু দিলাম...।।। এমন করে দিতে দিতে সেই কাঁছলো ...।। তার পরে আমার প্রাণ টা যেনো ফিরে আসলো...।।
.
তার পরে আপু আমাকে এই অবস্থায় দেখে একটা হাসি দিলো...।। বোঝতে পারলাম না মেয়েটা কেন আসলো...! তার মানি কি সেই এতক্ষণ আমার সাথে অভিনয় করতেছে..।। অভিনয় কেন করবে...।।।
এই রাশেল আমাকে কোলে নেয়...!(রাগিণী)
কি আমি আপনাকে কোলে নেবো....? হুম তুমি আমাকে কোলে নিবে...! আপনি হেঁটে হেঁটে গিলে কেমন হয় বলেন তো...! আরে আমি হাঁটতে পারতেছি না তাই তো তোমাকে বলতেছি...!(রাগিণী) কি হয়েছে তোমার ঠ্যাং..? ব্যাথা পেয়েছি...! কি আর করা তাকে কোলে নিলাম..। কিছু দূর এসে দেখতে পেলাম এই খানে নারকেল গাছ..। তার মাঝে মাঝে একটা একটা বেঞ্চ আছে....!
.
কেউ কেউ ডাপ বিক্রি করতেছে...। আর ফুচকা ও বিক্রি করতেছে...! আরো নানা রকম জিনিস বিক্রি করতেছে...।।। কিছু কিছু জুটি ও আছে...!
আমি ফুচকা খাবো....! আমি পারবো না...?
আমি কিন্তু বাসায় যাবো না...! কি আর করা থাকে ফুচকাওয়ালা কাছে নিয়ে আসলাম...। মামা দুই প্লেট ফুচকা দেন তো...।। মামা আমাটাই বেশি করে ঝাল দিবে...।।।আর টক ও বেশি হতে হবে...।।
এই আপনি এত টক আর ঝাল কি করে খাবেন....।
সেইটা আমি দেখবো...! তোমাকে ওই সব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না...! এই নাও মামা আপনাদের ফুচকা..?
তার পরে ফুচকা নিয়ে খাচ্ছি....! খাওয়া শেষ রাগিণী মুখটা বন্ধ করে আছে.! মনে হয় ঝাল হয়েছে...।।
.
বোঝো এই বার মজা..। কিছুক্ষণ পরে রাগিণী সোজা আমার কাছে এসে আমার ঠোঁট আর রাগিণী ঠোঁট এক করে দিলো...।।( ফুচকাওয়ালা তো চোখ দুইটি বন্ধ করে পেলো) প্রায় পাঁচ মিনিট পরে ছেড়ে দিলো...!
এটা কি হলো আপু...।। এই ছাড়া আমার ঝাল কমানো রাস্তা চিলো না..। তাই টা করলাম..! আর কোনো কথা বললাম না..।। কথা বললে।কথা আরো বারবে...।। তার পরে ঘুরতে ঘুরতে বাইকে কাছে চলে আসলাম...।।।
বাইকে উঠে বসলাম...।। প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে পেলছে...।।। আমি বাইক চালাচ্ছি...।। কিছু দূর যাওয়ার পরে ল্যাম্পপোস্টে আলোতে রাগিণী মুখটা গ্ল্যাসে দেখা যাচ্ছে..। চুল গুলো উড়তেছে....।। তার পারফিউম ঘ্রাণ টা কোথায় চলে গেছে...।
মনে হয় পানি সাথে এক হয়ে গেছে....!
.
তার পারফিউম ঘ্রাণ টা অনেক খরা...। কিন্তু গন্ধটা অনেক ভালো...।। গন্ধটা কোনো ছেলেকে পাগল করে দিবে...!! তার পরে থাকে বাসার সামনে চলে আসলাম...। আপু এখন ও আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে....। আপু আমরা চলে আসছি...? আপু কোনো কথা না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে...।।
ছোট বাচ্চা মতো...।। যেনো থাকে কেউ ভয় দেখিয়েছে....।। আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো...। আপু আমরা চলে আসছি এখন ছাড়েন...।।
আপু কাপড়টা এখন ও ভিজা থেকে গেছে...।।
আপু বাইক থেকে নেমে বললো...।। চল রাশেল আজকে রাত আমাদের বাসায় থাকবি....!
না রে আপু আমাদের মতো ছেলেদের এই রকম আলিসান বাসার থাকার মানায় না..। আমরা তো ফকিন্নি পোলা...। ফকিন্নি পোলা কি ভাবে এই রকম বাসায় থাকবে..। তা ছাড়া বাসাটা আপনাদের জন্য পারফেক্ট.......!
.
দেখ রাশেল আমাকে ওই দিনের কথা জন্য ক্ষমা করে দেয়...।। বিশ্বাস কর তুই তো জানিস আমার রাগ উঠলে..। আমি কি কি করে পেলি তা আমি নিজে ও জানি না...! প্লিজ তুই আমাকে।ক্ষমা করে দেয়...!
বাদ দাও ওই সব কথা..। আপনি বাসায়।চলে যান..।
তুই যদি এখন আমার সাথে আমার বাসায় না থাকিস তাহলে আমি কিন্তু এই রাস্তা মাঝে দাড়ি থেকে এক্সিডেন্ট করবো....? আমি আপনার সাথে আপনার রুমে থাকবো মানি...? তুই আমাদের বাসায় থাকবি বলেছি...(তোকে আমি আগে বাসায় ডুকায় তার পরে বোঝতে পারবি তোকে আজকে রাতে কি করি ...!) আমার বাসায় কাজ আছে..। অন্য কোনো একদিন থাকবো...! না তোর কোনো কথা আমি শুনতে চাই না...। তুই এখন আমার সাথে চল...।।
.
আরে আপু আমার কথাটা শুনো...! ঠাসসস ঠাসসসস তোকে কই বার বললো আমাকে আপু ডাকবি না...। তোকে না বললাম আমাকে নাম ধরে ডাকবি...?(কথা গুলো চিৎকার দিয়ে বললো) ফলে তাঁর বাসা থেকে মামি নিচে চলে আসলো...।। কি হয়েছে মা তুই ভাবে চিৎকার করতেছি...!(মামি) দেখো মা রাশেলকে বলতেছি আমার বাসায় থাকতে..! কিন্তু সেই বলতেছে থাকবে না...? হয় তো বা তার কাজ আছে সেই জন্য থাকতেছে না....!(মামি) না মা আমি থাকে না আসতে বলেছি সেই জন্য সেই আমাদের বাসায় আসতেছে না.....? বিশ্বাস করো মা আমি সেই দিন রাগের বসে বলে দিয়েছিলাম....!(রাগিণী কান্না করতে করতে বললো) আরে না মামি আসলে আমার গোসল করতে হবে তাই চলে যাচ্ছি...।।
.
আর তা ছাড়া এই খানে তো আমার কাপড় নেই..। তাই চলে যেতে চাচ্ছি...।। কে বলেছে এই খানে তোমার কাপড় নেই...। তুমি আমার সাথে চলো তোমার জন্য আমি কাপড় দিবো...।।। (এই কথা বলে ও বাঁচতে পারলান...। কি যে করি এখন...?) এই রাশেল চলো..। তুমি এখন কোনো রাগিণীর বাসায় যাচ্ছ না...! তুমি যাচ্ছ তোমার মামা বাসায়..। সো এখন তুমি তোমার মতো আসবে...। এই বাসায় কে আসবে কে আসবে না...।
ওই সব তোমার মামা বলবে...। সো এখন আমার সাথে চলো....।। কি আর করার বাইক টা ঘুরিয়ে ভিতরে ঢুকলাম...। রাগিণী দিকে থাকিয়ে দেখলাম...।।তার ঠোঁটের খুনায় হাসি চলে আসলো....।।।
তার পরে বাসায় ভিতরে পা দিলাম....। বাসার ভিতরে চোখ পড়তে আমি তো অবাকক হয়ে গেছি.......
part_13
আমার তো চোখ পড়তে আমি অবাকক হয়ে গেছি..! এটা আমি কি দেখতেছি..। আমি তো আমার চোখকে ও বিশ্বাস করতে পারতেছি না...। এটা কি আমি স্বপ্ন দেখতেছি...! নিজে নিজের হাতে একটা চিমটি কাটলাম...। আউউউউউ...। আমি তো স্বপ্ন দেখতেছি না.! আমি তো সত্যি সত্যি কিছু দেখতেছি...।
মামা বাসায় আমার ছবি টাঙানো..।(এই খানে তো আমি আগে কোনো দিন ও আমার ছবি দেখি নাই তাহলে আজকে কোথায় থেকে আসলো) আমার বিশ্বাস হচ্ছে না...।। এই ভ্যাবলার মতো এই খানে দাড়ি আছি কেন....! না মানি যাচ্ছি তো..! তার পরে বাসায় ঢুকলাম...। বাসায় ঢুকে মামার রুমে চলে গেছি...।।
মামা এখন কেমন লাগতেছে...? হুম ভালো লাগতেছে...। তো তোমাদের আসতে এতক্ষণ লাগলো কেন..। কোথায় গিয়েছিলা...?
.
কোথাও যাই না..। আপু একটু পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলো....। আচ্ছা ঠিক আছে..। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নাও...। মামা রুম থেকে বের হতে দেখলাম...। রাগিণী আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে থাকিয়ে আছে...।।
গাল দুইটি লঙ্কার মতো লাল হয়ে গেছে..। দেখতে অনেকক সুন্দর লাগতেছে....। খায়ছে রে আপু তো আমার দিকে আস্তেছে...। আপু আমার কাছে এসে শার্টের কলারটা ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে...।।
আপু এই ভাবে আমাকে টেনে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন...? হঠাৎ আমার দিকে ফিরে বললো...।।
আমি তোর আপু না দেখাচ্ছি আমাকে আপু ডাকা...!
আমাকে আপু ডাকা তোর মুখ থেকে কি ভাবে বের হয় দেখবো...।।
.
বলে টানতে টানতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠাচ্ছে...।। হঠাৎ নিচ থেকে মামি বলে উঠলো...। এই রাগিণী রাশেলকে এই ভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস...? তোমাকে এই খানে কে আসতে বলেছে..! তুমি তোমার কাজ করো...।।(ধমক দিয়ে বললো) আমি রাগিণীর ধমক শুনে চুপ হয়ে গেলাম...।। মামির কথা কি বলবো...। মামি তো রাগিণী ধমক শুনে ওই খান থেকে সাথে সাথে চলে গেছে...।।
বোঝতে পারলাম রাগিণী বেশ রেগে আছে...।। এই বার সোজা আমাকে তাঁর রুমে নিয়ে আসলো.....। এনে খাটে ধাক্কা দিয়ে পেলে দিলো...।। আমার কাছে আস্তে আস্তে আসতেছে....।।। এই আপু কি করছো...?
আমাকে আপু ডাকার ফল বোঝাচ্ছি....।।। কথা বলে আমার উপর উঠে পড়লো.....।।
.
এই আপু কি করছো..।। আমার কেমন যেনো লাগতেছে.....! ও মা তাই নাকি..! তার মানি আমার প্রতি তোর ফিলিংস আছে...।। যাই হোক ভালো হলো...! এই আপু আগে তো গোসল টা করো..।।
তোমার ভিজা কাপড় গুলো আমাকে কামড় দিয়ে ধরলো...।। না আগে একবার ইয়ে দিয়ে দি তার পরে গোসল করবো...? ইয়ে মানি কি...? ওরে বাবুরে ইয়ে মানি কি জানো না...? আমি দিয়ে দেখায় তার পরে বোঝতে পারবে...! না থাক আমি গোসল করবো(বলে থাকে খাটে পেলে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে আসলাম...।।
আপু দরজার সামনে এসে বলতেছে...। এই রাশেল দরজাটা খুল..? কেন কি করবে...! তোর সাথে আমি ও গোসল করবো...! আপনি কি পাগল হয়েছেন...?
.
আমি কোনোটা হয় নাই..! এটা আমার ইচ্ছে বিয়ে আগে বরের সাথে গোসল করবো...?(হায় আল্লাহ এটা কেমন ইচ্ছে) তো গিয়ে বরে সাথে গোসল করেন..! আমার কাছে আসলেন কেন....?
আমি তো জানি না আমার বর কে তাই তোর সাথে গোসল করতে চাই.....?(মিথ্যা কথা বললো) আমি পারবো না আমি একা গোসল করবো....! অনেক বার বললো..! তার পরে যখন আমি দরজা খুলতেছি না...।
তখন রাগিণী চলে গেছে...।। গোসল কোথায় করবে এখন রাগিণী আমি তো টারটাই চলে আসলাম...!
কিছুক্ষণ পরে গোসল করা শেষ কিন্তু এখন কাপড় কোথায় পাবো...।। আপু..আপু..। আপু....!
বোঝতে পারলাম আপু ডাকতেছি সেই জন্য আসতেছে না......!
.
রাগিণী.আমাকে কি কাপড় গুলো দেবে...!(নরম শুরে বললাম) রাগিণী হঠাৎ আমার কাছে চলে আসলো...।
দরজাটা খুলে বললাম..। আমি কি পড়বো এখন..?
কেন আমার কাপড় পড়বি...!(হেঁসে বললো)
আমাকে কি পাগলে পেয়েছে যে তোমার কাপড় পড়বো..! আমার কাপড় না পড়লে এই ভাবে ওই খানে বসে থাক...? আপু হাঁসতে হাঁসতে চলে গেলো...।।
এখন আমার কি হবে...। মোবাইল ও নাই যদি মোবাইল থাকতো তাহলে রাফিকে ফোন করে কাপড় নিয়ে আসতে বলতাম....।। শালা কেন যে এই বাসায় আসতে গেলাম...। নিজে মান সম্মানের বারোটা বেজে যাচ্ছে...।
দেখলাম আপু আমার সামনে আসলো...।।
এই দরজা খুল...? আমি দরজা খুলাম....!
.
দেখলাম আপু হাতে একটা জিন্স প্যান্ট আরেকটা গেঞ্জি...।। আমি দরজাটা খুলার সাথে সাথে আপু আমার কাছে চলে আসলো...।। আপু কি করছেন..?
মামি দেখলে খারাপ ভাববে...! সেইটা তোকে চিন্তা করতে হবে না...! রাগিণী আমার টি শার্টে বোতাম খুলতেছে.....। এই আপু প্লিজ আপনি এই খান থেকে চলে যান..! আমি একা ওই গুলো পড়তে পারবো..!
আমার কারো সহায়তা লাগবে না...? আমি তোকে পড়িয়ে দিবো...!(হাঁসতে হাঁসতে বললো)
রাগিণী আমার টি শার্ট টা খুলে গেঞ্জিটা পড়িয়ে দিলো..।।
বাহহহ গেঞ্জি তো একদম পারফেক্ট..।। আপু আমার গাঁয়ের সাইজ কোথায় পেলো....! এই কি ভাবছিস...।।
এই নে জিন্স প্যান্টটা পড়ে নেয়....?
.
রাগিণী কথাটা শুনে যেনো হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম...।।
আপনি বের হয়ে যান....! না.!আমি দেখবো তুই কি ভাবে জিন্স প্যান্ট পড়িস....! হায় আল্লাহ এটা আমাকে কোন পৃথিবীতে পাঠিয়েছো...।। হা হা হা তোকে আমার জন্য এই পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছে...।।
বলে বের হয়ে গেছে...। আমি আপু কথা শুনে হাসবো না কাঁদবো কিছু ভাবতে পারতেছি না...! তার পরে প্যান্ট পড়ে চলে আসলাম...।। নিচে...।। নিচে এসে দেখলাম...।। এই খানে রাগিণী নেই...! রান্না ঘরে মামিকে খুঁজতে চলে আসলাম....। রান্না ঘরে এসে তো আমি অবাকক হয়ে গেছি...।। যেই মেয়ে আমার জানা মতো কোনো দিন ও রান্না করতে আসে নাই...।। সেই মেয়ে আজকে রান্না ঘরে কি করতেছে...?
.
বাহহ রান্না ঘরের টা কে...।। ভুত নাকি পেত্নী.....!(নিজে অজান্তে বলে দিলাম) তুই আমাকে কি বললি...।। এখন তোকে কিছু করতে পারতেছি না...।। কারণ রান্না করতেছি তাই...? সরি আপু আসলে আমি কথাটা বলতে চাই নাই...।। জানি না কি করে নিজে অজান্তে মুখ ফস্কে চলে আসলো....! সরি আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো.....! আরে এই ভাবে বলতেছিস কেন আমি তো মজা করতেছি....!(মুহূর্তে মধ্যে ইমোশনাল হয়ে বললো)
মামি কোথায় বলবে একটু...? কেন কি হয়েছে...! না মানি বাসায় চলে যাবো সেই জন্য....?(রাগিণীকে রাগানো জন্য বললাম) তোর কোনো বাসায় যাওয়া যাবে না...।। আজ থেকে এই খানে থাকবি.....!(রেগে বললো) না না আমি থাকতে পারবো না...? তোকে থাকতে হবে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না...?
.
কিছু না বলে মামি রুমে চলে আসলাম...।। মামি আর মামা রুমে বসে আছে...।। মামি আসতে পারি.....?
আরে আসো এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে....!
তার পরে ভিতরে এসে বসলাম...।।। মামি আপনার মোবাইলটা যদি দিতে...? এই নাও...! এই তোর মোবাইল কোথায়...?(পিছন থেকে রাগিণী বলে উঠলো) আসলে মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে..।।
তাই তো হাতে নেয় না....(ঠ্যাডা মিছা কথা)
মোবাইল কেন নিয়েছি...? আম্মু কে চিন্তা না করা জন্য ফোন দিচ্ছিলাম.....! তোকে ফোন দিতে হবে না...।।
ফুফুকে আমি ফোন করে বলে দিয়েছি...?
রাগিণী কথাটা বলে চলে গেছে....।।।
আমি তো ভ্যাবলার মতো তার চলে যাও দিকে থাকিয়ে আছি...........
part_14
সবাই খাবার খাওয়ার জন্য বসলাম..। আজকে মনে হয় কাজে বোয়া আছে নাই...! আজকে দেখলাম...।।
মামি সবাইকে খাবার বেরে দিচ্ছে...।। রাগিণী আমার সামনে বসলো....! খাওয়ার মাঝে মাঝে রাগিণী আমার পায়ে লাথি মারতেছে...! আমি আমার পা টা আমার চিয়ারে কাছে নিয়ে আসলাম....! রাগিণী এই বার ও লাথি মারলো...।। লাথিটা এসে মামি পায়ে লাগলো...!
এই রাগিণী লাথি কাকে মারতেছি..! যাকে মারা কথা থাকে তো মারতে পারতেছি না..?(মামি আমার দিকে থাকিয়ে বললো। রাগিণী মামির কথা শুনে লজ্জায় চোখ দুইটি নিচে নামিয়ে পেললো.....! আমাদের আর রাগিণী ব্যাপারে মামি জানে সেই জন্য এই ভাবে বললো)
মামি আজকে খাবার কে রান্না করেছে...?
কেন কি হয়েছে....? আজকে রাগিণী রান্না করেছে...।
আমি রাগিণীর দিকে থাকিয়ে দেখলাম..। রাগিণী মুখটা যেনো খুশি খুশি লাগতেছে...।।
আমি বললাম আমি খাবার গুলো কেমন যেনো হয়েছে...!( যদি ও খাবার গুলো খুব ভালো হয়েছে রাগিণীকে রাগানো জন্য বললাম)
হঠাৎ রাগিণী আমার দিকে চোখ উঠিয়ে থাকালো...!
.
খাবার শেষে চিয়ার থেকে উঠে...। যাওয়ার সময় আমার দিকে রাগি চোখে থাকিয়ে চলে গেলো...।।। আমি ও তাঁর দিকে থাকিয়ে একটু হাসলাম(তাঁকে আরো রাগানোর জন্য....! রাগিণীকে সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে রাগলে...! আমি ছাঁদে এসে এক কন্যারে দাঁড়িয়ে আছি...।। পিছনে কারো আসার অনুভব করলাম...।।
তাঁর পারফিউমের ঘ্রাণ টা পেয়ে বোঝে গেলাম এটা রাগিণী...।।। আমি পিছনে না ফিরে....।।
আমি তাঁরা দেখার ব্যাস্ত আছি...।। যদি এই সময় আমার বউ থাকতো তাহলে তাঁকে জড়িয়ে ধরে...।। তার সাথে গল্প করে করে তাঁরা দেখতাম...।। কিন্তু আমার এই সৌভাগ্য নেই...! রাগিণী আমার পাশে এসে ডাকতেছে...! আমার সেই দিকে কেয়ার নেই.....।
.
আমি আমার রোমান্টিক মোমেন্ট কাল্পনিক স্বপ্ন নিয়ে ব্যাস্ত আছি...।। কয়েক বার ডাকার পরে বোঝতে পাড়লাম আমাকে কেউ ডাকতেছে...! তার পরে আমি তাঁর দিকে ফিরলাম..! এই রাশেল তোর কি হলো এতক্ষণ ডাকতেছে..। তোর তো কোনো সারা শব্দ নেই...? আসলে তাঁরা আর কাল্পনিক রোমান্টিক স্বপ্ন নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম তো সেই মনে বুঝতে পারি নাই..!(এই রে কি বলে পেললাম আমি)
কি বললি...! না আমি তাঁরা দেখতেছি তাই আপনার দিকে মনো যোগ দিতে পারি নাই...? আচ্ছা চল দোলনায় গিয়ে বসি...।। তার পরে রাগিণী আর আমি দোলনায় গিয়ে বসলাম...! রাগিণী আমার হাতটা ধরলো...। এই রাগিণী কি করতেছো...? ( আমার ও ভালো লাগতেছে তবো ও বললাম) কেন তোর হাত ধরলে কোনো সমস্যা...?
.
না.! তাহলে চুপচাপ বসে থাক...। কিছুক্ষণ বসে থেকে হঠাৎ রাগিণী বলে উঠলো....। এই খানে বসো তুমি আমি আসতেছি....!( বাহহ তুই থেকে তুমি মেয়েদের কে কোনো দিন ও মাফা যান না...?) রাগিণী নিচে চলে গেছে..। কিছুক্ষণ পরে দুই হাতে দুইটা কপি মক নিয়ে আসলো...! আমার কাছে এসে একটা দিলো...।।
আমি ও মকটা নিয়ে খাচ্ছি...! কপি অনেক ভালো হয়েছে...।। খেতে খেতে রাগিণী বললো...।।
এই রাশেল মকটা এই দিকে দাও তো...?
কেন কি হয়েছে...? আগে দাও তার পরে বোঝতে পারবে..! আমি মকটা তার কাছে দিলাম...।।
সেই দোলনায় থেকে উঠে দাঁড়ালো.....।। তুমি এই খানে বসো আমি আসতেছি...! রাগিণী ছাঁদের এক কন্যারে গিয়ে কি যেনো করলো...।। তাঁর পরে এসে আমাকে কপি মকটা দিলো...।।
.
আমি ও মকটা নিয়ে কেয়ার করে দেখলাম...। মকে লিপিস্টিক লেগে আছে...। আমার বোঝতে আর বাকী রয়লো না...।। তার মানি রাগিণী আমার মকটা চেঞ্জ করে পেলেছে...। আমি ও আর কোনো কথা বললাম না...।।। কপি খাওয়ার মাঝে হঠাৎ নীলের কথা মনে উঠলো...।। রাগিণী নীল কোথায় থাকে চার পাঁচ দিন হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি...।। তা ছাড়া আপনার বয়ফ্রেন্ড অবশ্য আপনি জানবে.....! আমার মুখ থেকে নীল ডাকটা শুনে আমার দিকে থাকিয়ে দেখলো....।।
এই ওই ফকিন্নি পোলা নাম যেনো তো মুখ থেকে উচ্চারণ না হয়...। যদি উচ্চারণ হয় তাহলে তোকে মেরে পেলো...।।। কেন কি হয়েছে..! আপনার সাথে কি ব্রেকআপ হয়েছে....? আমাকে ওই ফকিন্নি পোলা ব্রেকআপ করবে....।। আমাকে ব্রেকআপ করা আগে তার হাত পা ভেঙ্গে পেলবো....?
.
তো কারণ টা কি...? তোকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার কাছ থেকে কথা শুনিয়েছে...। তাই তাঁর হা পা ভেঙ্গে দিয়ে..!দুই তিন বছরে জন্য হসপিটালে বসিয়ে দিয়েছি....। আর টাকা গুলো ও ব্ল্যাকমেইল করে নিয়ে নিয়েছি.....! আমি আর রাগিণী বসে আছি দোলনায়....। কপি শেষ মকটা রাখলো...। তার পরে আমার কাঁদে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো...।।। চাঁদে জ্যোস্না এসে রাগিণী মুখে পড়লো...। থাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে....। আমার মনে হচ্ছে একটা চাঁদ আমার পাশে বসে আমার কাঁদে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে.....। আমি তার কপালে একটা ভালোবাসা পলশ একে দিলাম...। এই প্রথম আমি ইচ্ছা করে তার কপালে একটা পাপ্পি দিলাম....।
.
রাগিণী নরে উঠলো...।। আমি আমার একটা হাত দিয়ে তার চুল গুলো নরা চড়া করতেছি....! তাঁর চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে...।।। যে একটা পেত্নী পেত্নী ভাব....। এক সময় এই শাঁকচুন্নি আমাকে অনেক থাপ্পড় দিয়েছে..।। তাঁর কাছে আসার কারণে...।। আর সেই নিজে আমার কাঁদে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো....।।
সেই ও হয় তো বা আমাকে ভালোবাসে...।।।
রাস্তা পাশে দেখতে পেলাম ল্যাম্পপোষ্টের নিচে একটা ছেলে আরেকটা মেয়ে হাত হাত রেখে হাঁটতেছে...।।
ছেলেটা আর মেয়েটা হয় তো বা তাঁর মনে অনুভূতি গুলো একে অপরকে বলতেছে...।। এটা ও একটা ভালোবাসার আট্ট........!
.
এই দিকে আমরা দুই জন্য নিস্তব্ধ আকাশে নিচে বসে আছি...।। আমি সজাগ অবস্থায় আর আমার প্রিয়তমা ঘুমের রাজ্য হারিয়ে গেছে...।।। এই রকম হাজার ও মানুষ রাতের আঁধারে তাঁদের মনের অনুভূতি গুলো তাঁদের প্রিয়তমার কাছে প্রকাশ করার ব্যাস্তয় আছে...।।
আমি রাগিণী কে কয়েকবার ডাকলাম...।। কিন্তু রাগিণী উঠতেছে না...।। কি আর করার রাগিণীকে কোলে করে তাঁর রুমে নিয়ে আসলাম...।।। তার বিছানায় শুয়ে দিয়ে উঠতে যাবো...।। তখন রাগিণী আমাকে জড়িয়ে ধরলো.....।। এই মেয়ে মনে হয় আমাকে ঘুমের ঘুরে জড়িয়ে ধরেছে....।।। অনেক কষ্টেই থাকে ছাড়িয়েছি তাঁর পর তাঁর চুল গুলো ঠিক করে দিয়ে আমি তাঁর গাঁয়ে একটা কম্বল দিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম......!
.
আগে এই রুমে আমি থাকতাম..। তাই কারো কাছ থেকে জিগ্যেস না করে শুয়ে পড়লাম...।।।
সকালে যখন রাগিণী ঘুম ভাঙ্গলো...।। তখন সেই তাকে রুমে দেখে অনেক খুশি হয়েছে...।। রাতে তাহলে রাশেল আমাকে কোলে করে আমার রুমে নিয়ে আসছে.....। (কথাটা ভাবতে রাগিণী মুখে এক তিলকি হাসি চলে আসলো) তার পরে ফ্রেশ হয়ে এসে রাগিণী আমার রুমে এসে দেখলো আমি ঘুমিয়ে আছি....।।।
রাগিণী এসে সোজা আমার বুকের উপর শুয়ে আছে...।
আমি ঘুমের মাঝে ভারি কিছু অনুভব করলাম...।।
ঘুমের কারণ চোখ খুলতে পারতেছি না...।।। কারণে কাল রাতে অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছি.....।।।
.
আমি ঘুমের ঘুরে রাগিণীকে জড়িয়ে ধরেছি...।। রাগিণী দেখলো আমি থাকি জড়িয়ে ধরেছি...।। রাগিণী কোনো কথা না বলে..।। সেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো...।।
এই রাশেল উঠো ব্রেকফাস্ট করতে হবে...!(বলে মামি আমার রুমে ঢুকে গেছে) মামি তো রাগিণীকে এই অবশ্য দেখে অবাকক হয়ে গেছে...।। মা ডাকি ও না সেই এখন ও ঘুম...? তুই থাকে জড়িয়ে ধরলি কেন...?
যাও তো এখন ডিস্টার্ব করো না...! তার মানি তুই ও রাশেলের প্রেম পড়ে গেছিস....! মা তুমি ও না....।।।
রাগিণীর মা হাঁসতে হাঁসতে চলে গেছে....।।।।
আমার যখন ঘুম ভাঙ্গলো..।। আমি রাগিণীকে আমার বুকে দেখে একটা চিৎকার দিলাম...।।। কিন্তু চিৎকার দিচ্ছি ঠিক আছে..।। কিন্তু চিৎকার বের হতে দেয় নাই....। রাগিণী তাঁর ঠ................
part_15
(আরে ভাই আপনার যেটা ভাবছে..! ওটা না আসলে হয়েছে কি, আমি নিজে ও জানি না.! চলো জেনে আছি)
আমি চিৎকার দিয়ে উঠতে যাবো, তখন আমার পাশে টিভি রিমোট টা ঠাস করে ফ্লোরে পরে গেছে...।
সাথে সাথে রাগিণী ও খাটে পড়ে গেছে....! আমি বিছানা থেকে ওঠে গালে হাত দিয়ে দোড়ে ওয়াশরুমে চলে আসলাম, এই মেয়েকে বিশ্বাস করা যায় না.!
যদি থাপ্পড় মেরে দেয় তাহলে তো আমি শেষ শুধু থাপ্পড় আর থাপ্পড় খেতে হবে..।। ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলাম..। রাগিণী চার কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। বাহহ আমি আমার চোখে ও বিশ্বাস করতে পারছি না....।
.
এটা কি রাগিণী নাকি অন্য কেউ..! আমি আপু কাছে এসে বললাম..। রাগিণী আপনি কি এই চার কাপটা ভুল করে আমার কাছে নিয়ে আসছেন...? না তোর জন্য আনলাম..! যদি তুই খেতে না চাস তাহলে নিয় যাচ্ছি..।( ফিরে চার কাপ টা নিয়ে যাচ্ছে) রাগিণী আমি কি বলেছি খাবো না...? না বলিস নাই..! তো.! তোর কথা শুনে বোঝতে পাড়লাম, তুই খাবি না.। তাই নিয়ে যাচ্ছি..। না থাক নিয়ে যেতে হবে না আমাকে দিয়ে যাও.....। চার কাপটা আমার হাতে দিলো....।।।
আমি চার কাপের দিকে থাকাতে অবাকক হয়ে গেছি....।।। চা কেন অধ্যেক...। তার মানি কি রাগিণী চা খেয়েছে...! রাগিণী এই খানে চা কেন অধ্যেক...?
.
সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় চা পড়ে গেয়েছে...। ( ওরে বাবারে মনে হচ্ছে ওনি ছোট মানুষ) আর কিছু না বলে চা খেয়ে পেললাম...।।। চল খাবার খাবো....?
আমার খেতে মন চাচ্ছে না, আপনি গিয়ে খেয়ে নাও...!
না তোকে ও খেতে হবে...? বললাম তো আমার খেতে মন চাচ্ছে না...! তার পরে রাগিণী নিচে চলে গেছে...।।
আমি সোফায় বসে বসে টিভি দেখতেছি...।।। জি সিনামায় একটা রোমান্টিক মুভি চলতেছে...।।
বাহহ এটা দেখে রোমান্টিক হতে হবে....।। বিয়ে করে বউয়ের সাথে এই রকম রোমান্টিক মোমেন্টে চলে যাবো হি হি হি....। নায়ক অসুস্থ হয়ে পড়েছে...।।
নায়িকা এসে নায়ক কে খাবার খেয়ে দিচ্ছে...।।
বাহহহ মোমেন্ট টা বেশ রোমান্টিক.....।।।
.
হঠাৎ রাগিণী আমার রুমে আসলো...! হাতে একটা খাবারের প্লেট আছে....। এসে আমার কাছে বসলো...।।
হা কর..! আমি খাবো না তো...? তোকে খেতে হবে না.! তুই শুধু হা কর..! যার খাওয়ার সেই খাবে...? আচ্ছা ঠিক আছে.! খাচ্ছি খাবারের প্লেট টা আমাকে দাও আমি খাচ্ছি...? না তোকে খেতে হবে না আমি তোকে খায়ে দিচ্ছি..। কিইই আপনি আমাকে খায়ে দিবে...।। কেন ছোট বেলায় আমি তোকে খেয়ে দিতাম না...?? এটা ছিলো ছোট বেলা আর এটা হলো আমাদের কিশোর জীবন..! তো কি হয়েছে আমি তোকে খেয়ে দিচ্ছি তুই হা কর...! যদি আর একটা কথা ও বলিস তাহলে তোর খবর আছে....? কি আর করা তার হুকুম অনুযায়ী হা করলাম....।
.
সেই আমাকে খাবার খেয়ে দিচ্ছে...! আপনি খাবার খেয়েছেন..? না খায় নাই...! আমি ও থাকে খেয়ে দিলাম হাজার হলে ও আমার মাঝে একটা নৈতিকতা আছে....!খাবার শেষে রাগিণী তাঁর ওড়না দিয়ে আমার মুখ মুছে দিলো...।। আমি রাগিণী কাণ্ড দেখে অবাকক হচ্ছি.., রাগিণী আপনি কলেজে যাবে না..? আজকে কলেজে যাবো না...।। আজকে বড় খালো বাসায় যাবো..? তোকে কিন্তু নিয়ে যাবো না..! আমি কি যাবো বলেছি...? না বলিস নাই তবে যদি বলিস তাই বললাম...! আপনাকে বলতে হবে না তাদের বাসায় যাচ্ছি না প্রায় দশ বছর হয়ে যাচ্ছে...।।
সো এখন ও না গিলে পারবো...।। আচ্ছা ঠিক আছে..।।
আমি চলে যাচ্ছি...? আমার কিছু কাজ আছে...! তোর কোন কাজ নেই...।।। এখন বসায় থাক...। দুপুরে আমি আর তুই শপিং করতে যাবো...! আপনি শপিং করতে গিলে আমি কেন ওই খানে যাবো...?
.
বেশি কথা বলিস তুই...।। আর কোনো কথা না বলে আমার সাথে নিচে আয়...? তার পরে নিচে চলে আসলাম..।
নিচে এসে দেখলাম..। রাগিণী বান্ধবী আসলো...।।
নীলা হ্যালো রাশেল তুমি না এই বাসায় না আসার কথা..?( নীলা রাগিণী দিকে থাকিয়ে বললো)
কোনো কথা না বলে বাইরে চলে আসলান...।।।
পিছন থেকে রাগিণী বললো...।। এই রাশেল কোথায় যাচ্ছ...? আমি এখন আসবো...! ( কে আর পাই আমাকে আর এই বাসায়....!) বাসায় চলে আসলাম একটা রিকশা নিয়ে ওই দেখে রাগিণী আমাকে খুঁজতেছে...।।। তাঁর মানি কি রাশেল চলে গেছে...?
ওই তোর জন্য রাশেল চলে গেছে...। তাকে অনেক কষ্ট করে বাসায় আনছিলাম...।। কিন্তু তোর দুইটা অক্ষর বলাতে আবার থাকে অপমান করা হলো...!
.
আসলে বিশ্বাস কর আমি ওই ভাবে কথাটা বলতে চাই না...। কে জানতো রাশেল ওটা নেগেটিভ ভাবে নিয়ে নিবে...? তোর ওই একটা শব্দ জন্য আবার আমাকে ভুল বোঝলো...। এখন কি ভাবে আমি তার ভুল ভাঙ্গবো...? তুই চিন্তা করি না আমি গিয়ে থাকে বললো...? চল তাহলে এখন যাই...।। হুম চল..!
তার পরে তাঁরা আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো...।।। আমি বাসায় এসে কলিং বেল চিপলাম...।।
তার পরে মা এসে দরজা খুলে দিলো...! আমাকে দেখা সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলো...।। আরে মা আমার কিছু হয় নাই...।। এই একদিনে দেখতো মুখে কি হাল করেছিস...? আরে মা আমার মুখের কি হলো আবার...? চল খাবার খাবি...? আমি খেয়েছি, আব্বু কোথায়...? তোর আব্বু অফিসে চলে গেছে....!
.
আচ্ছা আমি রুমে যাচ্ছি...! বলে রুমে চলে আসলাম...। রুমে এসে মোবাইলটা ওপন করে গেম খেলতেছি...।।। প্রায় এক ঘন্টা পরে আমার কানে বাসার কলিং বেলের শব্দ আসলো...।।। আমি আবার গেম খেলায় মনো যোগ দিলাম...।। আম্মু গিয়ে দরজা খুললো....। দরজা খুলে দেখলো রাগিণী দরজা ওই পাশে দাড়িয়ে আছে...।।। ফুপু কেমন আছো..?
হুম ভালো আছি মা...।। বাসার ভিতরে আয়..! তার পর বাসার ভিতরে আসলো...।। সোফায় গিয়ে বসলো...।
তোরা বসে বসে গল্প কর আমি চা নিয়ে আসতেছি...?
তোমার গুণধর ছেলে কোথা ফুপি...? তার রুমে আছে সেই..! কেন কি হয়েছে..? কিছু হয় নাই...।। আমরা আসতেছি...! তুমি চা বানাও...। তার পরে রাগিণী আমার রুমে দিকে আসতেছে......
part_16
আমি আমার রুমে বসে, গেইমের দিকে চোখ দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহকারে খেলতেছি..। আমি যেনো গেইমের মাঝে ঢুবে গেলাম..! সেই রকম অবস্থা, রাগিনী আর নীলা আমার রুমে ঢুকে দাড়িয়েছে..। তাঁরা আমার কর্ম কাণ্ড গুলো দেখতেছে। এই রাশেল..? হুম বলো.।(মোবাইলের দিকে তাকিয়ে বললাম) ওই এই দিকে থাকিয়ে বল..! আরে কি বলবে বলো তো..! দেখছো না গেইম খেলতেছি..?(রাগিণীকে রাগানোর জন্য বললাম..) কি বললি তুই গেইম খেলতেছি.! সেই জন্য আমার দিকে তাকাতে পারছি না..? আরে ডিস্টার্ব করো না তো..! দেখছো না আমি মোবাইলে পছুর মনোযোগ দিয়েছি...? কি বললি তুই..(বলে আমার কাছে এসে মোবাইলে কেড়ে নিয়ে ফ্লোলে আছার মেরে ভেঙ্গে পেললো...!) আপু এইটা কি করলেন আপনি..? তোকে কই বার ডাকছিলাম....?
.
আপনি ডাকছে, আর আমি কথা বললাম তো..!
তোকে আমার দিকে ফিরতে বলেছি..! তখন তুই ফিরন নাই কেন..? আরে আমি গেইম খেলছিলাম তাই তো আপনার দিকে থাকাতে পারি নাই...! যদি আপনার দিকে থাকায় থাম তাহলে আমার গেইম খেলা হতো না...।। তখন মাইর খেয়ে পেলতাম..! তাই তো থাকায় নাই...? যখন থাকাইলি না, তখন তোর মোবাইলটা ও হারিয়ে পেললি...! আচ্ছা যাই হোক মোবাইল গেছে. সমস্যা নেই আরেকটা নতুন কিনবো..! এখন বলোন আপনি কেন আসলে..? আমি কেন আসছি তাই তো..? আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতেছে রাগিণী
আমার কাছে এসে আমার শার্টের কলারটা ধরলো..।।
তার পরে আমার মাথাটা উঁচু করলো...!
.
তুই আমাকে না বলে বাসা. থেকে চলে আসলি কেন..?
ভালো লাগতেছে তাই চলে আসলাম.। ওই সত্যি কথা বল না হলে তোর কিন্তু ঠ্যাং ভেঙে দিবো..? তাহলে তো আরো ভালো বসে বসে খেতে পারবো হি হি হি...। ওই দাঁত কিলাইবি না.। দাঁত ভেঙে দিবো..! নীলা বলে উঠলো রাশেল আমি আসলে কথাটা ওই ভাবে বলতে চাই নাই.! আমি জানতাম না তুমি নেগেটিভ ভাবে নিয়ে নিবে..! যাই হোক তাঁর জন্য সরি..! আরে এতে সরি বলার কি আছে.! আমার ভালো লাগতেছে না তাই চলে আসলাম..। তাহলে এখন আমি চলে যাই রাগিনী..?
আপনি কোথায় চলে যাচ্ছেন.? নাস্তা করে বাসা থেকে বের হবেন...! ওই তো মা ডাক দিয়েছে..! আপনারা গিয়ে নাস্তা করেন...? নীলা তুই নিচে যা আমি কিছুক্ষণ পরে আস্তেছি...! নীলা চলে গেছে..।
.
তোমাকে না বললাম আমাকে আপনি বলবি না..?(দরজা লক করতে করতে বললো) আরে আপনি দরজা বন্ধ করতেছে কেন..? কেন জানি না.? আমি কি ভাবে জানবো..? আজকে তোকে আমার মনের ইচ্ছে মতো আদর করবো তাই তো দরজা লক করতেছি...!
রাগিণী আমার কাছে এসে আমার কলারটা ধরে তার কাছে নিয়ে আসলো..।। আমরা এত কাছাকাছি যে এক জন্য অপর জন্যে গরম নিঃশ্বাস অনুভব করতে পারতেছি.! রাগিণী দিকে আমার নিঃশ্বাস পরতে শিউলিয়ে উঠলো...! তার ঠোঁট জোড়া কাঁপতেছে..।। আমি নিজেকে কি ভাবে ধরে রাখবো..!
তবো আফপান চেষ্টা করে যাচ্ছি...।। হঠাৎ তার হাতে স্পষ্ট পেতে আমি তাঁকে ধাক্কা মেরে দিলাম..।।
দোড় দিয়ে ওয়াশরুমে চলে আসলাম...। ওয়াশরুমে ঢুকে ভাবতেছি...! এটা আমি কি করতে যাচ্ছিলাম.?
.
(আপু আবার কোথাও লাগে নাই তো)ফ্রেশ হয়ে বের হলাম..।। দেখলাম রাগিণী এখন ও আমার বিছানায় বসে আছে..! আমি পাশে গিয়ে দাড়ালাম কি হলো আপনি এই খানে বসে আছেন কেন..? ওই তুই আমাকে তুমি বলে বলবি কি না বল.?
না বলবো না.! তাহলে ঠিক আছে আমি ও ফুফিকে
বলে দিচ্ছি.! তুই আমার গাঁয়ে হাত দিয়েছিস..! আমি আপনার গাঁয়ে হাত দিয়েছি নাকি..? না দিস নাই তবে ফুফিকে মিথ্যা কথা বলবো..! কেন আম্মুকে কেন মিথ্যা কথা বলবে..? কারণ তুই আমাকে আপনি করে বলতেছি সেই জন্য..? আপনি তো আমার বড় তাই আপনি করে বলতেছি...? তুই আমাকে তুমি করে বলবি..? না আমি পারবো না..? ফুফি তোমার ছেলে.(আমি গিয়ে রাগিণী মুখ চিবে ধরলাম.) এই কি করছে আপনি..?
.
তাহলে বল তুমি আমাকে তুমি করে বলবে..? যদি না বলি..? তার মানি তুই ডাকবি না..? আমি ফুফিকে ডাক দিতেছি..? না আমি ডাকবো..! ওই তো গুড বয়.। যদি আবার আপনি বলিস তাহলে থাপ্পড় দিতে দিতে দাঁত সব গুলো পেলে দিবো...? আচ্ছা ঠিক আছে আর বলবো না..? হুম চল এখন নাস্তা করবো..! তার পরে নিচে এসে নাস্তা করলাম..।। নাস্তা শেষে নীলা চলে গেছে..! রাগিণী বসে বসে মার সাথে গল্প করতেছে..!
আমি আমার রুমে চলে আসলাম..। রুমে এসে দেখলাম মোবাইল ভাঙার টুকরো গুলো কোথায় আছে দেখতেছি।। কিন্তু টুকরো গুলো কোথাও নাই..! তার মানি রাগিণী কোথাও ফেলে দিয়েছে মনে হয়..! এখন কি করবো..।
বিছানায় শুয়ে পড়লাম..। হাতটা যেনো কাতুকুতু দিচ্ছে..।। তবো ও সামলে নিয়ে শুয়ে পড়লাম...।।
.
চোখটা নিবো নিবো হচ্ছে, তখন কে যেনো আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দিলো..। এই খানে আমার ঘুমের বারোটা বাজার জন্য একজনেই আছে..। সেইটা হলো রাগিণী.। চোখটা খুলে দেখলাম রাগিণী ও আমার পাশে
শুয়ে আছে..! আমি চিৎকার দিয়ে উঠে পড়লাম..।
আপনি..সরি তুমি এই খানে কেন..? কেন এই বাসায় কি ঘুমাতে পারি না..? না তা ঘুমাতে পারো কিন্তু আমার সাথে কেন..? আমি তোর সাথে কখন ঘুমালাম...!
আমি তো আমার সাইডে শুয়ে পড়েছি..।। দেখ তোর আর আমার মাঝে প্রায় এক ইঞ্চি পার্থক্য...।।।
(আমার পাশে দেখিয়ে বললো) থাক আর বলতে হবে না..! কেন ডাকলে বলো..? তোর বাইক কোথায়..?
তোমাদের বাসায়..। চল শপিং করতে যেতে হবে...?
.
আমি না গিলে হয় না...! চল তো বেশি কথা বলিস..? তার পরে বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম..।। রিকশা ডাকি..? না আজকে হেঁটে যাবো...? কিইইইই তাপমাত্রা অবস্থা দেখো কত বেড়ে গেছে..।।
যদি হেঁটে হেঁটে যাই না..।। তাহলে গরমে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে...! সেইটা নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না..।। তুই যদি অসুস্থ না হইস তাহলে ডাক্তার কি ভাবে চলবে..। আর ডাক্তারের ছেলে মেয়েকে কি ভাবে পড়া লেখা করাবে..? হয়েছে এতে বেন শুনতে হবে না..!
হাঁটতে তো হবে। হাঁটতে হাঁটতে অর্ধেক চলে আসলাম..।
ওই খানে এসে আরেক ঝামেলা বাদলাম...।।।
কি হলো তুমি বসলে কেন..? আমি আর হাঁটতে পারতেছি না...?
.
কেন কি হয়েছে..? আমার পায়ে যেনো কি একটা ঢুকেছে..? কি হলো দেখিতো...! রাগিণী পা দেখলাম..।
কিন্তু কোনো চিন্ন পাওয়া যাচ্ছে না..।। তাহলে রিকশা ডাকি আমি একটা..? না আমি রিকশা নিয়ে যেতে পারবো না..? তাহলে কি করবো এখন..। আমাকে কোলে করে নিয়ে যা...? কি আমি তোমার মতো আটার বস্তু কোলে নিবো আমার তো কোমড় চলে যাবে..?
কি বললি আমি আটার বস্তুা..।। তোকে তো আমি..!
এখন কিছু করতে পারতেছি না..! কারণ পায়ে ব্যাথা পেয়েছি সেই জন্য...। (এই রে কি বলে পেললাম আমি)
সরি ভুল হয়ে গেছে...! তোকে ক্ষমা করা যাবে না..।
তোকে ক্ষমা করা যাবে যদি ১৫ বার উঠবস করি...।
কিইইই এই গরমের মধ্যে ১৫ বার উঠবস তার মাঝে রাস্তায় আচ্ছা বাসায় করা যাই না..? হুম যাবে যদি আমাকে এই খান থেকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যাস..? উঠবস করার চেয়ে কোলে করে বাসায় নিয়ে গেলে ভালো হবে.........
.
part_17
কি হলো এত কি ভাবছিস.? না কিছু না রিকশা নিলে হয় না..! তাহলে উঠবস কর.? না না নিচ্ছি তো, তাঁর পরে রাগিণীকে কোলে উঠালাম, সেই তাঁর দুই হাত দিয়ে আমার গলা ধরে রাখছে.! যেই পরিমানে ভারি.! আল্লাহ জানে মামা বাসায় যেতে যেতে আমার কি হয়., প্রায় অর্ধেক চলে আসলাম। আমার মাথা দিয়ে ঘাঁম বেয়ে মুখে চলে আসতেছে..। রাগিণী তাঁর ওড়না দিয়ে ঘাঁম গুলো মুছে দিচ্ছে.! এই গরমের মধ্যে আমাকে কি করা দিচ্ছে..! অনেক কষ্টেই মামা বাসার সামনে এনে রাখতে যাবো তখন রাগিণী বললো..। কি হলো এই খানে রাখতেছিস কেন..? আমি আর পারতেছি না.! আমাকে আমার রুমে দিয়ে আয়.। আমি পারবো না সিঁড়ি দিয়ে কি ভাবে উঠবো.? আমি তোমাকে নিয়ে..! আমি এত কথা শুনতে চাই না,তুই আমাকে আমার রুমে দিয়ে আসবি.। এটাই আমার লাষ্ট কথা.!(রেগে বললো)
.
নিয়ে যাচ্ছি তো এত রাগার কি আছে.? আবার হাঁটা দিলাম..। বাসায় ঢুকে মামি বললো রাশেল রাগিণীর কি হয়েছে..? তেমনি কিছু না পায়ে একটু ব্যাথা পেয়েছে.।
মামি আমাদের কাণ্ড দেখে মিটি মিটি হাসতেছে.।(মনে হয় মামি অন্য একটা বোঝচ্ছে) আমি রুমে এসে রাগিণীকে শুয়ে দিলাম..। যখন আমি উঠতে যাবো তখন গেঞ্জি বোতামের সাথে রাগিণী চেইন সাথে আটঁকে গেছে..। আমি যখন গিট্টা খুলে দিয়ে আসতে যাবো তখন রাগিণী আমাকে টান দিলো..।। আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না.! ফলে তার উপর গিয়ে পড়লাম, ওই কোথায় যাচ্ছি..? এই ছারু মামি চলে আসবে..! তা ছাড়া আমি ফ্রেশ হবো..? এখন তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না..! চুপচাপ আমাকে জড়িয়ে ধরো..! আমি পারবো না আমি ফ্রেশ হতে যাবো..!
.
তোকে এখন ফ্রেশ হতে হবে না..? আরে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো..? হুম আমি পাগল হয়ে গেছি, শুধু তোর জন্য..? কিইই.! আমার জন্য পাগল হয়ে গেছো..?
হুম আমি তোকে ভালোবাসি..! হা হা হা.। হাসি কেন..?
হাসার কথা বললে তো সবাই হাসবে..? আমি এমনি কি বললাম তোকে হাসতে হবে..? এই যে ভালোবাসো কথাটা বললে..? ভালোবাসার কথা বললে কি কেউ হাসে..? কেউ হাসে কি না তা জানি না..। তবে আমার হাসতে মন চাইলো তাই হাসলাম, বিশ্বাস কর রাশেল আমি তোকে অনেক ভালোবাসি..? আমি এই সব ব্যাপারে আর কোনো কথা বলতে চাই না..। পরে রাগিণীর কাছ থেকে ছারিয়ে চলে আসলাম...! হয় তো বা রাগিণী আমার চলে আসার দিকে থাকিয়ে আছে...।
.
তাকিয়ে থাকলে থাক, আমি ও এক সময় তাঁর চলে যাও সময় থাকিয়ে ছিলাম..। একটু ভালোবাস জন্য প্রায় এক বছর তিন মাস তাঁর পিছু নিয়েছিলাম...।।
প্রতিদিন আমি তাঁর হাত থেকে থাপ্পড় খেয়েছি...!
কিন্তু সেই আমাকে এক বার ও ভালোবাসে নাই..।
তাহলে আমি কেন এত সহজে থাকে মেনে নিবো.?
তার পরে ওয়াশরুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম..।।
রুমে এসে বসে বসে টিভি দেখতেছি..।। প্রায় দুই ঘন্টা পরে আমার রুমে রাগিণী আসলো। তাঁর চোখ দুই মনে হচ্ছে ফুলে গেছে.., মনে হয় কান্না করেছে, আমি ও করেছি এক সময় কান্না.। আমাকে এক বারের জন্য ও শান্তনা দেয় নাই., কিছু বলবে..? (টিভির দিকে থাকিয়ে বললাম)
.
চল শপিং করতে যাবো.? আমি ও কোনো কথা না বলে রুম থেকে বের হয়ে, ড্রইং রুমে বসে আছি..। কিছুক্ষণ পরে রাগিণী সিঁড়ি দিয়ে নামতেছে..।। আমি থাকিয়ে দেখলাম রাগিণীকে অনেক সুন্দর লাগতেছে..।। লাল রংগের শাড়ি পড়েছে..। দেখতে একদম বধূ মতো লাগতেছে..। ঠোঁট জোড়া গোলাপি রঙের লিপস্টিক.।
চোখে হাল্কা কাজর..। চুল গুলো কোমড়ে বেয়ে পড়লো..। দেখতে একদম পরীর মতো লাগতেছে..।
কিন্তু লাল রঙের শাড়ি কেন পড়লো..। তারাতাড়ি বিয়ে করা প্ল্যান আছে নাকি.হি হি হি ! রাগিণী সামনে এসে দাড়ালো..।। সেই মনে করছে আমি তার সৌন্দর্যের বিস্তারিত করবো..।। আমি কোনো কিছু না বলে বসে রয়লাম...!
.
আমি কিছু বলতেছি না দেখে রাগিণী বললো.!আমাকে কেমন লাগতেছে..?(রাগিণী ) সুন্দর লাগেছে না.। তার হাসি খুশি মুখটা ফ্যাকাশ হয়ে গেছে..। যদি লাল শাড়িটা না পড়ে অন্য একটা পড়তে তাহলে অনেক সুন্দর লাগতো..। এখন বউ বউ ভাব পাওয়া যাচ্ছে..।
মনে হয় তারাতাড়ি বউ হওয়ার ইচ্ছে আছে..?
হুম আছে তো তোর বউ হওয়ার(গুন গুন করে বললো)
আচ্ছা তুই দাড়া আমি এখন আসতেছি..। তাঁর পরে রাগিণী আবার উপর চলে গেছে..! কিছুক্ষণ পরে একটা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়লো...।।।
তাঁর ঠোঁটের লিপিস্টিকের সাথে শাড়ি মিসিং হয়েছে..!
কিন্তু কুঁচি গুলো ঠিক করতে পারে নাই..! এত বড় মেয়ে কুঁচি ঠিক করতে পারে নাই..! নাকি ভুল করে দেয় নাই..। লাল শাড়িটার তো কুঁচি ধরেছিলো...।।
.
তাহলে কি ভুল করেছে..? এই কি হলো কি ভাবছি..?
আমার রাগিণীর ডাকে ঘুর কাটলো..। এখন কেমন লাগতেছে..? হুম ভালো লাগতেছে..! কিন্তু...
কিন্তু কি..? কুঁচি টা ঠিক হয় নাই..?।। তাই নাকি তাহলে ঠিক করে দেয়..? কেন তুমি ঠিক করো..!
আমি ঠিক করতে জানি না। তাহলে লাল শাড়িটা কি ভাবে ধরলে..? ওটা তো আম্মু ধরিয়ে দিয়েছে..!
তাহলে এখন ও মামিকে দিতে বলো...? আম্মু তো নেই.
কোথায় গিয়েছে..? আম্মু মনে হয় নীলাদের বাসায় গিয়েছে..! আমি পারবো না.? তুমি ঠিক করো..!
তাহলে আমি ও এই রকম মার্কেটে চলে যাবো...।।
তখন সবাই আমার দিকে থাকিয়ে তাখবে...!! তখন কি তোর ভালো লাগবে বল..? আমার কেন ভালো লাগবে না..?
.
তাঁর মানি তোর ভালো লাগবে..! আচ্ছা চলো ঠিক করে দিয়..। তার পরে রুমে এসে থাকে কুুঁচি ধরিয়ে দিলাম..। এই নাও পড়ে নাও..? তুই পরিয়ে দেয় না..!
আমি পারবো না..। ওই এই বার কিন্তু বেশি বারাবাড়ি হয়ে যাচ্ছে ..? ওই তুই কি করবি.!( আমার হাত থেকে কুঁচি নিয়ে পড়ে নিলো) তাঁর পরে আস্তে আস্তে আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে..! ওই আমার দিকে আসছেন কেন..? আমি কিন্তু চিৎকার দিবো..। তাঁর পর কিন্তু মামা রুমে চলে আসবে মনে রাখিয়েন। রাগিণী আমার কাছে এসে আমাকে টান দিয়ে তার কাছে নিয়ে গেলো...!
আমি কিন্তু চিৎকার দিবো..? চাই দেয় তো..?
মামি তোমার ম....! রাগিণী আর কিছু বলতে দিলো না..। তার ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁট জোড়া এক করে পেললো...!
.
আমি ছারাতে চাচ্ছি, কিন্তু পারছি না, অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো..! প্রায় চার মিনিট পরে ছেড়ে দিলো.
দুই জনেই হাঁপাচ্ছি..।। আমি জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিয়ে বললাম এটা কি করলেন..? তা তোকে বোঝতে হবে না। চল এখন তার পরে বাইকে এসে বসলাম।
লোকার গ্লাসে দেখলাম আমার মুখের রাগিণীর লিপিস্টিক লেগে আছে..। তাঁর পরে মুছে নিলাম..।
রাগিণী বাইকের চাবি কোথায়..? এই নেই চাবি..!
আমাকে চাবি দিলো তাঁর পরে রাগিণী ওঠে বসলো..।
আমাকে অনেক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো...।
আরেক টু আস্তে ধরো..। আমি নাস্তা করলাম..!
সব গুলো বের হয়ে যাবে..? আরো শক্ত করে ধরলো আমাকে...!
.
ওই করছোটা কি..? এখন আর কথা না বলে.! বাইক স্টার্ট দাও। কি আর করা বাইক স্টার্ট দিয়ে চলা শুধু করলাম মার্কেটে এসে বাইক পার্কিং করে রেখে শপিং মহলে ঢুকলাম..।। রাগিণী তার ইচ্ছে মতো শপিং করতেছে..! আমি আমার মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছি...।। নীল রঙের একটা পাঞ্জাবি নিলো..।
আরেকটা নীল রঙের শাড়ি নিলো..। মিসিং করে ওই গুলো কার জন্য নিচ্ছে..! যদি আমাকে বিল দিতে হয় তাহলে তো আমি শেষ..। আমি তো একটা টাকা ও আনি নাই..? এমন করে রাগিণী আরো নানা রকম জিনিস নিচ্ছে..। হঠাৎ কে যেনো আমাকে ডাক দিলো..। পিছনে ফিরে তো আমি অবাকক হয়ে গেছি....
part_18
আমি তো পিছন ফিরে অবাক হয়ে গেছি? আমার পিছন আমার পরিচিত একটা বন্ধু। আরে রানা তুই এই খানে? আরে মামা তোর ভাবি সাথে আসলাম। তুই বিয়ে ও করেছি? হা রে মামা। একটি বারের জন্য ও আমাকে জানালি না.... আরে মামা রাগ করি না.!
তোর নাম্বার আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে, আচ্ছা চল ওই দিকে গিয়ে কথা বলি.?( আমার রাগিণীর কথা মনে নেই) একটা রেস্টুরেন্ট এসে বসলান.. রানা বউটা বেশ সুন্দর। তবে রাগিণী মতো না..! রাগিণী একটু বেশি মায়াবী। তাঁর চোখে দিকে থাকালে প্রেমে পড়ে যাবে, আমার ভেলায় ও তাই হলো! আমি ও তাঁর প্রেমে একবছর হাবুডুবু খেয়েছি.... ভাবি কেমন আছেন..? হুম ভালো আছি..। আপনি কেমন আছে..? হুম মোটামুটি ভালো আছি..! মোটামুটি কেন...?(একটু হেঁসে বললো)
.
মোটামুটি মানি আপনার চেয়ে একটু কম ভালো আর কি(হেঁসে বললাম) আমরা আপনি আপনি কেন বলতেছি..? আমরা একে অপরকে এখন চিনি তুমি করে বলতে পারি তো...! হুম পারি. এর মধ্যে ওয়েটার নাস্তা নিয়ে আসলো..। আমরা বসে বসে নাস্তা করতেছি..! আচ্ছা ভাবি তোমার নাম কি..? ও আমার নাম তো বলা হয় নাই..! আমার নাম ইরা..। তাঁর পরে বেশ কথাবার্তা হয়েছে, তাঁদের সাথে.। এই খানে কখন আসলি রানা..? পনেরো দিন হবে...! কিইইই তুই এই খানে আসছি পনেরো দিন হয়েছে..! আর তুই আমাদের বাসায় একটি বার ও গিলি না...? আরে মামা বিশ্বাস কর অনেক ব্যস্ততাই ছিলাম, সেই জন্য আস্তে পারি নাই..! জানি, সব জানি। কেন আসতে পারি নাই...!
.
ভাবিকে কোথায় থেকে বিয়ে করলি...? তোদের এইখান থেকে...। কিইইই আমাদের এই খান থেকে..!(অবাকক হয়ে বললাম) হুম তোদের এই খান থেকে..। কিন্তু আমি চিনি না কেন...? তুই কি ভাবে চিনবি তোদের বাসা থেকে ইরা বাসায় যেতে প্রায় ১ ঘন্টা লাগবে। আচ্ছা যাই হোক বাসায় কখন চলে যাবি...? এই তো আর দুই দিন পরে চলে যাবো...। কালকে আমার বাসায় চলে আছিস..! সরি রে রাশেল আসতে পারবো না..! কালকে ইরা খালোর বাসায় যেতে হবে..।
আচ্ছা ঠিক আছে, এতে মন খারাপ করা কিছু নেই..।
আচ্ছা আমার নাম্বার টা নিয়ে যা! আর কোনো একদিন আসলে আমার বাসা থেকে ঘুরে যাবি...। তাঁর পরে নাম্বার টা দিলাম..। চেয়ার থেকে ওঠে রানা সাথে হাত মিলিয়ে যখন ইরা হাত হাত দিতে যাবো.....!
.
তখন রাগিণীর পারফিউমের ঘ্রাণটা পেলাম..। আমি যখন পিছন ফিরে থাকাবো.। তখন ইরা আমার হাতে ভিতর তাঁর হাতটা ঢুকিয়ে দিলো..। আমি পিছন ফিরে তো বড় ধরনের একটা ভ্যাব ছ্যাগা খেলাম...। রাগিণী আমার দিকে রাগিণী চোখে থাকিয়ে আছে..! হায় হায় আমার তো রাগিণীর কথা মনে ছিলো না..! এখন কি করে আল্লাহ জানে, এই রেস্টুরেন্ট যদি আমাকে থাপ্পড় মারে তাহলে তো আমি শেষ..! আমার মান সম্মান মাটিতে মিশে যাবে...! যেই ভাবে আমার দিকে থাকিয়ে আছে মনে হয় আমাকে গিলে খাবে..।। তাঁর পরে রাগিণী আমার কাছে এসে ঠাসসসসসস ঠাসসসস দুইটা থাপ্পড় দিয়ে দিলো(আমি গালে হাত দিয়ে, একটু আগে কি হয়েছে ভাবতেছি) এটা কি হলো..?(কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম)
.
এই দিকে রেস্টুরেন্ট সব, লোক জন্য আমার দিকে থাকিয়ে আছে..। হয় তো বা তাঁরা ও আমার মতো ভাবতেছে এটা কি হলো..! লোক গুলো যে ভাবে থাকিয়ে আছে..! মনে হয় আমি কোন ভিন দেশের মানুষ)
কি হলো মানি! তুই আমাকে ওই খানে একা রেখে এসে..। এই খানে মেয়েদের সাথে টাংকি মারতেছি..?(রাগিণী রেগে বললো) আপনি যে.....হঠাৎ ইরা বলে উঠলো রাগিণী তুই এই খানে..? রাগিণী ইরা কথার কোনো উত্তর না দিয়ে আমার দিকে রাগি চোখে থাকিয়ে আছে...! রানা আমি আসি ভালো থাকিস...।।
তাঁর পরে বিলটা দিয়ে রেস্টুরেন্ট বাইরে চলে আসলাম...। বাইক তাঁর আপন গতিতে চলতেছে..।।
আমি একটু আগে কি হয়েছে ভাবতেছি..!
.
রাগিণী আমাকে ওই খানে থাপ্পড় টা না মারলে ও পারতো…! কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ লক্ষ করে দেখলাম..। আমার সামনে থেকে একটা ট্রাক আসতেছে...।। (প্রায় আমার কাছে চলে আসলো)আমি যখন সাইট মারতে যাবো...!
তখন ট্রাকটা সামনে সৌতে লেগে এক্সিডেন্ট করি..।।
রাস্তায় পরা সাথে সাথে আমার হাঁট থেকে রক্ত বের হচ্ছে...।। ভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে..! একটু একটু করে চোখটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে..! আমি কান দিয়ে অনুভব করতেছি..। আমার পাশে লোক জন্য হয় তে চই করতেছে...! আমি তাঁর পরে জ্ঞান হারিয়ে পেলি...!
এই দিকে রাগিণী হঠাৎ লক্ষ করলো..। তাঁর পাশে ইরা দাড়িয়ে আছে..? ইরা তোর সাথে রাশেলের এত কি কথা বললো..?(রাগিণী রেগে বললো) আরে তুই এমন ভাবে কথা বলছিস কেন..?
.
ঠান্ডা মাথায় কথা বল..! আসলে রাশেল আমার সাথে কথা বলে নাই..! রাশেল আমার স্বামী রানা সাথে কথা বলেছে...। হ্যাঁ কিন্তু আপনি কে..? আর রাশেল কে ওই পাবলিক প্লেসে থাপ্পড় টা না দিলে ও পারতে....?
কিইইই রাশেল তোমার সাথে কথা বলতেছে..?
হুম, তাঁর পর রাগিণী রেস্টুরেন্ট দোড়ে বের হয়ে দেখলো...। আমি বাইরে আছি কি না..।। যখন আমারকে বাইরে পেলো না..! তখন আর শপিং না করে রাগিণী একটা রিকশা নিয়ে আমার বাসায় চলে আসলো, বাসায় এসে কলিং বেল চাপলো..।। আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো..! খালো মনি রাশেল আসছে..?(কৌতুহল বসে বললো) আরে তুই এমন করতেছি কেন...? আর বাসার ভিতরে এসে কথা..!
.
আগে বলো রাশেল আসছে কি না..? না আসে নাই..! রাশেল তো তোর সাথে গিয়ে ছিলো। রাশেলের কি কিছু হয়েছে..? আরে খালো মুনি কিছু হয় নাই...।। আমি যাই.। পরে আবার আসবো..। বলে রাগিণী চলে আসলো..। রাগিণী রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে ভাবতেছে..।
রাশেল মোবাইল ও আমি ভেঙ্গে পেলেছি...! এখন থাকে ফোন ও দিতে পারছি না...! কি যে করি..। তখন কেন যে থাকে থাপ্পড় দিতে গেলাম..। আমি ও না একটা গাঁধি কি না কি, না যেনে থাপ্পড় মেরে দিলাম..! রাগিণী মনে মনে কথা গুলো ভাবতেছে..।। হঠাৎ সেই নীলাকে ফোন করলো...। হ্যালো নীলা তোর কাছে কি রবি নাম্বার আছে..? হুম আছে তো কেন..? ওই সব পরে বলবো আগে নাম্বার টা দেয় তো...? তার পরে রাগিণী নাম্বার টা নিয়ে রবিকে কল করলো.....।
.
হ্যালো রবি আমি রাগিণী বলছি..? আপু আপনি কল দিয়েছে...! হুম কেন দিতে পারি না..? তা না কিন্তু কেন কল দিয়েছে..? ওই খানে কি রাশেল গিয়েছে..? না আপু থাকে তো তিন চার দিন হচ্ছে দেখতে পারছি না...।। ওই দিকে একটা টিম খেয়ে বসে থাকলাম...!
আর, তাঁর ফোনটা যেনো বন্ধ। আচ্ছা ঠিক আছে। সেই যদি আসে তাহলে আমাকে ফোন দিয়ে বলিস..?
আচ্ছা ঠিক আছে। আপু, তাঁর পর ফোনটা কেটে দিয়ে..।। নানা কথা ভাবতেছে..।। তিন দিন পর্যন্ত আমার কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছে না...! এই দিকে মা তো পোরা পাগল হয়ে গেছে আমাকে না পেয়ে...! আব্বু কে ফোন করে অফিস থেকে নিয়ে আসলো...। রাগিণী তিন দিন ধরে কিছু খায় নাই..।
.
আমার যখন জ্ঞান ফিরলো..! তখন নিজেকে হাসপাতাল আবিস্কার করলাম.। আমার পাশে দেখলাম একটা মেয়ে বসে আছে..! আমি মেয়েটাকে দেখা অবাক হলাম...। আমার পাশে কেন মেয়ে..! তাই মেয়েটাক, জিগ্যেস করলাম। আপনি কে..? আমার নাম কারমিন.। আপনি তিন দিন ধরে অজ্ঞান অবস্থায় ছিলে..। কিইইইইই...!কিন্তু আমাকে এই খানে কে নিয়ে আসলো..।
আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসছি.। তখন রাস্তা পাশে কয়েকটা লোক আপনাকে ঘিরে ধরে আছে...।
আপনি রক্তা আক্ত অবস্থায় পরে আছে....।
কিন্তু কেউ আপনাকে হাসপাতাল নিয়ে যাচ্ছে.না.।
তাই আমি আপনাকে নিয়ে আসলাম......
part_19
আমি আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম। তাঁর চেয়ে বড় কথা হলো আপনি তিন দিন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন..! কিইই বলেন আপনি আমি তিন দিন পর্যন্ত অজ্ঞান ছিলাম.?(অবাকক হয়ে) আমি আমার শরীর পুরা দেখতেছি..। আমার শরীর বেশি ভাগ ব্যান্ডেজ করানো..! হুম আপনি তিন দিন পর্যন্ত অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন।(কারমিন) আপনাকে যে কি ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো! তার ভাষা আমার জানা নাই.। তবো ও আপনাকে ছোট একটা ধন্যবাদ দিলাম.!(আপনাকে ধন্যবাদ দিলে ও ছোট করা হবে) আপনি আমার জন্য যা করলে আমি সারা জীবন আপনার কাছে ঝৃণি হয়ে থাকবো...! এই সব আপনি কি বলছে.।
এটা তো আমার নৈতিকতা মধ্যে পরে..। যাই ও আপনাকে হাসপাতালে আরো সাতদিন থাকতে হবে..!
আমি হাসপাতালে সব কিছু আমি দেখে নিয়েছি..। আপনি শুধু সুস্থ হয়ে বাসায় চলে যাবে, আর কাউকে ফোন করতে চাইলে আমার মোবাইল থেকে ফোন করে বলেন...! (কানমিন)
.
আরে আপনি কেন টাকা দিতে গেলেন..? আমি দিতে পারতাম তো..? আমি কখন টাকা দিলাম..! এই হাসপাতালে আমার আব্বু একজন ডাক্তার তাই আব্বু সব কিছু করে দিয়েছে..। ও (তার পরে কানমিন থেকে ফোনটা নিয়ে রবিকে ফোন করে আসতে বললাম।
তারপরে কানমিন ফোনটা নিয়ে চলে গেছে..। প্রায় এক ঘন্টা পরে রবি আমার বেডে আসলো..। কিন্তু তাঁর পিছে একটা মেয়ে আসতেছে..। মেয়েটা মুখটা দেখতে পারছি না..। রবি যখন আমার পাশে এসে বসলো..। তখন আমি মেয়েটা মুখটা দেখে অবাকক হয়ে গেছে.!
এটা কি ভাবে হতে পারে, রাগিণী কি ভাবে জানলো আমি হাসপাতালে আছি! আমি তো রবিকে বলে দিয়েছে যেনো কাউকে না জানাতে..! তাহলে রাগিণী কি ভাবে জানলো...?
.
রাগিণী আমার কাছে এসে আমার হাতটা ধরতে আউউউ, ও সরি!(রাগিণী) তোমার শরীর এত গুলো ব্যান্ডেজ কেন..?(রাগিণী) আমি চুপ করে আছি?
কি হলো কথা বলতেছো না কেন..? ও বোঝতে পেরেছি, তুই আমার সাথে রাগ করে কথা বলতেছি না..! তোর রাগ কি ভাবে ভাঙতে হয় তা আমি ভালো করে জানি..! রবি তুই একটু বাইরে যা..? তাঁর পরে রবি চলে গেছে..। রাগিণী আলতো করে আমার গালে হাত দিলো, এই রাশেল কথা বল না প্লিজ.! আমি অন্য দিকে চোখ দুইটা দিয়ে আছি। এই রাশেল আমার দিকে থাকা.?(আমি যখন রাগিণী দিকে থাকাচ্ছি না তখন রাগিণী তাঁর মুখটা আমার মুখের সামনে আনলো)
ওই কি হলো? তুই আমার সাথে কথা বলছিস না কেন..!
.
তাঁর পরে রাগিণী আমার কপালে একটা পাপ্পি দিলো..।
সরি রে বিশ্বাস কর, আমি সবার সামনে তোকে মারতে চাই নাই.! যখন দেখলাম তুই ইরা সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলতেছি, তখন আমি তোকে ওই অবস্থায় থেকে আমার রাগ ওঠে গেছে, যখন জানতে পারলাম। তুই রানা সাথে কথা বলতে গিয়েছি..। তখন তোকে রেস্টুরেন্ট বাইরে দোড়ে এসে খুঁজতেছি, আর তোকে খুঁজতে পাই নাই..। আজ তিন দিন পরে তোর খোঁজ পেলাম। প্লিজ তুই আমার সাথে কথা বল.? আমি চুপ করে রয়েছি, দেখতে পেলাম তাঁর চোখের নিচে কালি পড়ে আছে! মনে হয় এই তিন দিন কান্না করেছে..। আগে চেয়ে একটু চিকন হয়ে গেছে, হয় তো খাবার খায় নাই.।
.
তুই যদি আমার সাথে কথা না বলিস.! তাহলে আমি কিন্তু ওই বার কোনো কিছু করে পেলবো..! আমি তাঁর চোখের দিকে থাকালাম, তাঁর চোখ দুইটা পানিতে ছলছল করতেছে। মনে হয় যেই কোনো মুহূর্তে বন্যা হতে পারে।
মুখটা ম্লান হয়ে গেছে..। আমি তাঁর দিকে থাকিয়ে আছি..। সেই ও আমার দুই নয়নের দিকে এক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে.। তাঁর চোখ যেনো কিছু বলতে চাই..।
তাঁর ঠোঁট জোড়া কাঁপতেছে..। সেই তাঁর মুখটা একটু একটু নিয়ে আসতেছে। যখন সেই আমাকে কিস করতে যাবে তখন নার্স এসে বললো..। আপনাকে ওই খানে কে ঢুকতে দিয়েছে..? আর আপনি পেসেন্টকে ডিস্টার্ব করতেছে কেন..! শালা নার্স আসার আর সময় পেলি না( অস্পষ্ট করে রাগিণী বললো)
.
আমি রাগিণীর ভাব বোঝতে পেলে। হেঁসে দিলাম, ওই তুই হাসতেছিস কেন..? এখন দিতে পারি নাই কি হয়েছে..। আর কয়েক দিন পরে তো আমি তোকে একেবারে কাছে নিয়ে নিবো..! তোমার কাছে নিয়ে নিবে মানি..?(অবাকক হয়ে) যাক বাবা ওই বার তো কথা বললি।(রাগিণী খুশি হয়ে বললো) আর নার্স দাঁড়িয়ে থেকে আমার কাণ্ড দেখতেছে। নার্স পেসেন্টকে কি আজকে নিয়ে যেতে পারবো..?(রাগিণী) হুম নিয়ে যেতে পারবেন..! তবে সাত দিন পর্যন্ত সেই হাঁটা হাঁটি করতে পারবে না, যদি হাঁটে তাহলে তাঁর পা আবার ফুলে যাবে। ঠিক আছে। (রাগিণী)নার্স তোমার কারমিন ম্যাডামকে বলিও কোনো একদিন আমাদের বাসায় ঘুরতে যেতে..?
.
রাগিণী মেয়ের নাম শুনে আমার দিকে রাগি লোক নিয়ে থাকিয়ে আছে। আচ্ছা ঠিক আছে..। তাঁর পরে নার্স কে আমার বাসার এড্রেস দিয়ে দিলাম, আরে ওই ভাবে থাকিয়ে থাকলে আমার ভয় করে তো.? ওই কারমিনকে বল..? আরে সব বলবো, আগে আমাকে বাসায় নিয়ে যাও। আচ্ছা ঠিক আছে, তাঁর পরে রবি আর রাগিণী আমাকে বাসায় নিয়ে আসলো। বাসায় এসে আমাকে মা এই রকম দেখে কান্না করে দিলো। আরে মা কান্না করতেছো কেন..? আমি ঠিক আছি তো, তোর এই রকম কি ভাবে হলি..? আব্বু কোথায়..? তোর আব্বু তোকে খোঁজতে গেছে...!
আমি কি ছোট বাচ্চা যে আমাকে খুঁজে যেতে হবে..।
ফোন করে আব্বুকে চলে আসতে বলো...!
তাঁর পরে মা প্রশ্নের উত্তর টা না দিয়ে রাগিণী আর রবি আমাকে আমার রুমে নিয়ে আসলো..। আমার আস্তে করে আমার বিছানায় শুয়ে দিলো,
.
রবি ওই নাম্বার ফোন করে, বাইকটা নিয়ে আছি.? আচ্ছা ঠিক আছে, তারপরে রবি চলে গেছে। তুই বাইকে এক্সিডেন্ট করেছি..? সেইটা অনেক বড় কাহিনী। না জানলে ভালো হবে, আমি ফ্রেশ হবো,
তুই বিছানা বসে থাক আমি নিয়ে আসতেছি...। তার পরে রাগিণী কিছুক্ষণ পরে একটা বাটি আরেকটা মক নিয়ে পানি আনলো..। আমি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম..।
রাগিণী নিচে চলে গেছে, কিছুক্ষণ পরে বোঝতে পারলাম আমার রুমে কেউ আসতেছে। একদম আমার কাছে এসে ডাক দিলো, বোঝতে পারলাম এটা রাগিণী।
চোখ খুলে দেখলাম রাগিণী হাতে খাবারের প্লেট, আমাকে ধরে উঠিয়ে বসালো। আমাকে রাগিণী খাবার খেয়ে দিচ্ছে। খাবার মাঝে জিগ্যেস করলাম, তুমি খেয়েছো? (আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলতেছে) হ্যাঁ খেয়েছি। আমি জানি রাগিণী কিছু খায় নাই..।
.
আমি জানি তুমি ও খাবার খাও নাই.! সো এখন বেশি কথা না বলে খাবার খেয়ে নাও। বোঝতে পারলাম, (রাগিণী আমার কাছ থেকে এই কথাটা আসা করে ছিলো) খুশি হয়ে বললো, আমি খাবাব খাবো আগে তুমি খেয়ে নাও..।। আমি খাবার শেষে শুয়ে পড়লাম..।
রাগিণী নিচে গেছে অনেকক্ষণ হয়েছে, যখন আসতেছে না। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম..। ব্যাথা আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো ওঠে দেখলাম রাগিণী আমার মাথার সাথে মাথা লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে আছে..। তাঁর চুল গুলো আমার মুখে এলোমেলো হয়ে গেছে, হঠাৎ লক্ষ করে দেখলাম রাগিণী নরেচরে উঠতেছে। আমি তারাতাড়ি আমার চোখ দুইটি বন্ধ করে পেললাম, সেই ঘুম থেকে ওঠে আমার মুখ থেকে তাঁর, চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে। আমার কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে চলে গেছে..। সেই নিচে চলে গেছে...।
.
এমন করে সাতটা দিন কেটে গেছে, আমি এখন পুরা পুরি সুস্থ। এই সাতদিনে রাগিণী আমার অনেক সেবা করলো, এই সাতদিনে আমি থাকে বোঝতে পারলাম।
সেই আমাকে কতটা ভালোবাসে, এখন তো থাকে চোখের পলকে পলকে রাখতে চাই। এই মেয়েটাকে এই সাত দিনে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবেসে পেলেছি। সেই আমার হৃদয়ে স্পন্দনে জুড়ে আছে..।
যেনো থাকে হারাতে চাই না, ওই যে মিস্টার..! এত কি ভাবছো..?( রাগিণীর ডাকে আমার ঘোর কাটলো)
কিছু না মিস, ওমা তুই আমাকে মিস কেন বললি..?
কেন তুমি তো সিঙ্গেল তাই না..! আরে তোকে কে বলেছে..? আমার তো দুই দিন পরে বিয়ে..। কিইইই তোমার দুই দিন পরে বিয়ে..?(তাঁর বিয়ে কথা শুনে মুখটা হঠাৎ কালো হয়ে গেছে) হুম কেন খুশি হলি না..! খুশি হবো না কেন..।(মনটাকে কালো ছাঁয়া ঢেকে দিলো) তা বিয়ে কাকে করছে..? সেইটা তোকে বলবো না। তুই সরা সরি দেখবি..। তুমি কি বিয়েটা করতে চাও..? ও মা কেন করতে চাইবো না, ছেলটা দেখতে বেশ স্মার্ট আর বিদেশে থাকে..। আমাকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে যাবে,(খুশি হয়ে বললো) তুমি না বললে বিয়ে করলে, আমাদের এলাকার ছেলেকে করবে। হুম তখন তো আবেগের বসে বলছিলাম। ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর, চল তোর সাথে শপিং করবো। আজ তুই তোর পছন্দের মতে গয়না আর শাড়ি দেখিয়ে দিবি....।
আরে আমি যাবো না..। আমার মাথাটা যেনো ঝিম ধরেছে.! তা ছাড়া আমার পছন্দ দিয়ে কি হবে..। তোমার বরের পছন্দ হলে তোমার ভালো হবে...?(কান্না চেপে ধরে বললাম) কিইইই তোর মাথা ঝিম ধরেছে..? চল চল রুমে..। তার পরে রুমে এনে রাগিণী আমার মাথায় হাত দিয়ে কপালে মলম দিয়ে দিচ্ছে.....।।
প্রায় এক ঘন্টা পরে রাগিণী আমাকে ডাক দিলো..!!
আমি চাদরে টা ভিতরে মুখ লুকিয়ে কান্না করতেছি..।
আমি কি রাগিণীকে পেয়ে ও হারিয়ে পেলবো..!
রাগিণী যখন ডাক দিলো, তখন চোখের পানি গুলো মুছিয়ে চাদরটা মুখ থেকে নামিয়ে বললাম, কি হয়েছে..? চল দেরি হয়ে যাচ্ছে, আমি না গিলে হয় না..?
ওই তোর চোখ ফুলে গেছে কেন..? কই,(না জানার ভান করে চোখে হাত দিয়ে বললাম) এই পাগল কান্না করছিস কেন..! আমি তো দেখতে চেয়েছি.....
part_20_last
আরে বুদ্ধু আমি দেখতে চেয়েছি,তুই আমাকে কতটা ভালোবাসি! কিইইই তাঁর মানি তোমার বিয়ে হচ্ছে না.?
এই সব বলে আমাকে কষ্ট দিয়েছো, কে বলেছে আমার বিয়ে হচ্ছে না, আমার বিয়ে হচ্ছে। তবে বিয়ে কিন্তু তোর সাথে হচ্ছে!(রাগিণী খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো) কিইইই আমার সাথে বিয়ে হচ্ছে..!(অবাকক হয়ে) হুম, কেন! তুই আমাকে বিয়ে করতে চাস না..?
আরে আমি কি তা বলেছি নাকি! আমি বলতে চেয়েছি, মা বাবা কি তোমার সাথে আমার বিয়ে দিবে বলেছে। ও মা কেন বলবে না..! আমি কি দেখতে খারাপ নাকি..? আরে না, তাহলে আমাকে আম্মু জানায় নাই কেন...! আমি না বলতে বলেছি..! কিইইই তুমি না বলতে বলছো..! সমস্যা নেই,আমাকে যখন কষ্ট দিয়ছো..। তাহলে আমি ও তোমার সাথে মার্কেটে যাবো না..!
.
তুমি একা গিয়ে শপিং করে আসো..! সরি, আর হবে না। আমি দেখতে চেয়েছি,তুমি আমাকে আগের মতো ভালোবাসো কি না ..। তো কি বুঝলে..? হুম যা বোঝার তা আমি বোঝে গেছি.! চলো এখন শপিং করবো তাঁর পরে ঘুরবো.। আচ্ছা দাঁড়াও আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি, তাঁর পরে ওয়াশরুমে চলে আসলাম..। কিছুক্ষণ পরে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম, বিছানা দেখতে পেলাম, রাগিণী খুব সুন্দর করে সেজেগুজে বসে আছে..। আমি তারপর ওর পাশে গিয়ে বসলাম..। কি হলো আবার বসলে কেন..? তো কি করবো..? কিই করবে মানি, এখন এই ড্রেস টা চেঞ্জ করে আসো..!(রাগিণী ড্রেসটা ধরে বললো)কি আর করার রাগিণী কথা মতো, ড্রেসটা চেঞ্জ করে পেললাম।
.
এখন চলো, রাগিণীকে আজকে বেশ সুন্দর লাগতেছ, নীল রঙের শাড়ি, (আমার প্রিয় রং)হাতে নীল রঙের চুরি, ঠোঁটে আকাশী রঙের লিপস্টিক, চোখে হাল্কা কাজল, তাঁর চুল গুলো খুলা,সেই যেনো একটা পরী, বাসার বাইরে এসে রিকাশ জন্য দাঁড়িয়ে আছি। শালার বাইকটা ও নষ্ট হয়ে গেছে..! তাঁর পরে একটা রিকশা নিয়ে, দুইজনে বসলাম। রাগিণী আমার হাত একটা শক্ত করে ধরে আছে, যেনো আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি,সেই শুধু আমার দিকে চেপে বসতেছ..। এখন যদি আমি কিছু বলি, তাহলে আমার সাথে সারা দিন কথা বলবে না। তাই মুখ বুঝে সয্য করে নিচ্ছি...! হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, রাগিণী আমার কাঁদে তাঁর মাথাটা দিলো, হাল্কা বাতাশ বয়তেছে, রাগিণীর চুল গুলো আমার মুখ এলোমেলো হয়ে গেছে, সেই আমার মুখ থেকে তাঁর চুল গুলো নিয়ে পেলছে...।
.
আবার ও হাল্কা বাতাশ বয়ে গেছে, সাথে সাথে তাঁর চুল গুলো এসে আমার মুখে পড়লো, আমার এই দৃশ্য টা অনেক ভালো লাগলো, এটা যেনো একটা অন্য রকম অনুভূতি, রাগিণীর চুলে যেনো একটা মাতাল করা ঘ্রাণ আছে, এই রকম অনুভূতি কই জনে পায়..। এই বার রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে একটা মুচকি হেঁসে চুল গুলো আমার মুখ থেকে নিয়ে পেললো...। (আবার ও তার হাসির প্রেমে পড়ে গেলাম) আবার ও আমার মুখে এসে চুল গুলো পড়লো, এই বার রাগিণী তাঁর চুল গুলো আমার মুখ থেকে নিয়ে বেঁধে পেলতেছে। কি হলো চুল গুলো বাঁধতেছো কেন..?
চুল গুলো তোমাকে ডিস্টার্ব করতেছে, তাই তো বেঁধে পেলতেছে..। আমি কি বলেছি তোমার চুল গুলো আমাকে ডিস্টার্ব করতেছে..? তা না.! ধ্যাত ওটা কেউ ডিস্টার্ব বলে নাকি..! ওটা আমার কাছে সব চেয়ে বেশি ভালো লাগতেছে..। যা ভাষা প্রকাশ করতে পারবো না..।
.
ও মা তাই নাকি! তাহলে আমার বাবুটা জন্য চুল গুলো খুলা রাখতে হয়..। তাঁর পরে রাগিণী তাঁর চুল গুলো খুলা রাখলো..! কিছুক্ষণ পরে আমরা শপিং মহলে চলে আসলাম, রাগিণী এখন ও আমার কাঁদে মাথা দিয়ে আছে..। রাগিণী ওঠো, আরেকটু থাকি না..? আরে আমরা শপিং মহলে চলে আসছি..! তাঁর পরে রিকশা ভাড়া দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম..! আমি তো ভিতরে ঢুকে অবাকক হয়ে গেছি, মামা, মামি,এবং আব্বু, আম্মু তাঁর সবাই শপিং করতেছে। তোদের এতক্ষণ লাগে আসতে..?(আব্বু) আসলে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে আব্বু..। হয়েছে, আর বলতে হবে না.। রাগিণীকে নিয়ে তোর পছন্দ মতো শপিং করে আয়...! চলো,(রাগিণী পিছন থেকে বললো) তাঁর মানি রাগিণী আমাকে আব্বু কাছ থেকে বকা খাওয়াচ্ছে...!
.
ওই দিকে যায় তাঁর পরে বোঝাবো তোমাকে..!মনে মনে বললাম) হাঁটতে, ওই যে ভাই ওই শাড়িটা দেখান তো..?(রাগিণী একটা নীল শাড়ি দেখিয়ে বললো)
ওই তুমি নীল শাড়ি দিয়ে কি করবে..? বিয়ের মধ্যে কি কেউ নীল শাড়ি পড়ে..? নীল শাড়ি তোমার পছন্দ তাই নীল শাড়ি..। পড়বো, আরে পাগল হলে নাকি। ওই লাল বেনা রশিটা নাও, তোমাকে খুব সুন্দর মানাবে...। না আমি নীল শাড়িটা পড়বো..! দরকার নাই, তুমি ওই শাড়িটা পড়বে..। আচ্ছা ঠিক আছে, (মন খারাপ করে বললো) ভাই ওই শাড়িটা প্যাক করে দাও...।।। তাঁর পরে অনেক ক্ষণ শপিং করলো..।। আমার গুলো আম্মু আর রাগিণী নিয়ে নিয়েছে...।। তাঁর পরে শপিং মহল থেকে বের হয়ে।সবাই একটা রেস্টুরেন্ট আসলাম...।।
.
সবাই মিলে খাবার খেলাম..।। মা বাবা, মামা মামি চলে গেছে..। আমি আর রাগিণী একটা পার্কে চলে আসলাম..। দুই জনে একটা বেঞ্চে বসে আছি..। রাগিণী আমার হাতটা ধরে আছে..। দুই জন্য চুপচাপ করে বসে আছি..। কেউ কোনো কথা বলতেছি না..!
হঠাৎ রাগিণী নিরবতা ভেঙে বললো..। কি হলো চুপচাপ বসে আছো কেন..? তুমি কথা বলতেছো না তাই আমি ও কোনো কথা বলতেছি না..। আচ্ছা চলো তুই জনে হাঁটি তাঁর পরে পার্ক থেকে বের হয়ে একটা নির্জন রাস্তা হাঁটতেছি। এই রাস্তা তেমনি কোনো লোকের আনাগোনা নেই...! হঠাৎ রাগিণী হাতে সাথে আমার হাত স্পর্শ হলো..। আমি দুইজনে শিহরিত হয়ে উঠলাম..। রাগিণী আমার দিকে থাকি..। একটা লজ্জা মার্কা হাসি দিয়ে আমার হাতটা ধরলো..! তার পর হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ রাগিণী লক্ষ্য করলো....।
.
একটা ফুচকার দোকান...! আমি ফুচকা খাবো..।(ছোট বাচ্চা মতো করে বললো) এখানে ফুচকার দোকান কোথায় পাবো..? (চার দিকে থাকিয়ে বললাম) হঠাৎ রাগিণী দিকে থাকাতে আমি অবাকক হয়ে গেছি..।।
এখানে রাগিণীকে দেখতে পাচ্ছি না..! (আমার মনে ভয় ঢুকে গেছে) রাগিণী কোথায় গেছে..। হঠাৎ পূর্ব সাইডে দেখতে পেলাম, রাগিণী একটা ফুচকার দোকান ফুচকা খাচ্ছে..। এই মেয়েকে হঠাৎ ফুচকা কি ভাবে বানিয়ে দিলো...!( আমার কেমন যেনে একটা কটকা লাগলো)
আমি দোড়ে গিয়ে তাঁর পাশে আসলাম..। তোমাকে ফুচকা কে খেতে বলেছে..!(ধমক দিয়ে বললাম) রাগিণী আমার ধমক শুনে রাগিণী ফুচকা খাচ্ছিলো।
ওই ফুচকাটা মুখের সামনে ধরে.. আমার দিকে থাকিয়ে থাকলো.....!
.
আমি তাঁর হাত থেকে ফুচকা প্লেট টা নিয়ে ফুচকাওয়ালা দিয়ে দিলাম..। তাঁর পরে বিলটা প্লে করে চলে আসলাম...। আসার সময় রাগিণী আমার সাথে একটা কথা ও বলে নাই..! মনে হয় রাগ করেছে..।।
তাঁকে একটা রিকশায় উঠিয়ে বাসায় দিয়ে আসলাম..।
আমি থাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে হাঁটা ধরলাম..।
পিছনে ফিরে দেখলাম..। রাগিণী প্রায় বাসায় ঢুকে যাচ্ছে..। একবার ও পিছনে ফিরে থাকায় নাই...।।
আমি ও বাসায় এসে রাতে থাকে একটা মেসেজ দিলাম..।। রাগিণী মোবাইল টুংটুং করে উঠলো..।
সেই মেসেজটা সিন করে পড়তে লাগলো...।।
সরি রাগিণী তোমার সাথে তখন রেগে বকার জন্য..।
বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ধমক দিতে চাই নাই..!
আমি যখন চার দিকে থাকিয়ে দেখলাম এখানের ফুচকার দোকান কোথায় পাবো...। তোমার দিকে থাকিয়ে দেখলাম..। তুমি ওই খানে নেই..। তখন আমার মনে একটা ভয় ঢুকে গেছে......!
.
তেমাকে খুঁজতে খুঁজতে যখন ওই খানে ফুচকা খাচ্ছ দেখতে পেলাম..। হঠাৎ কি ভাবে ফুচকাওয়ালা তোমাকে ফুচকা দিলো...।তখন আমার মনে আরো বেশি ভয় ঢুকে গেলো..! তাই তখন তোমাকে রেগে ধমক দিয়েছি...! সরি এই বারের মতো ক্ষমা করে দাও......। রাগিণী মেসেজটা পরে হাসলো, আর মনে মনে বললো, এখন ও এত বড় হয়েছি, তবো ও ভয় পাস.., পিচ্চি একটা। বলে রাগিণী কোনো মেসেজের রিপ্লাই দিলো না। এই দিকে আমি রিপ্লাই জন্য অপক্ষা করে আছি...।। কোনো রিপ্লাই আসতেছে না..। রাগিণী মেসেজটা সিন করে রেখে দিলো..!
দুই দিন পরে আমার বিয়ে হয়ে গেলো..।। আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি..। ভয়ে ভিতরে ঢুকতেছি না...।
তবো ও ভয়ে ভয়ে দরজাটা খুলে ভিতরে ঢুকলাম..!
রাগিণী এসে আমাকে সালাম করলো..।(বাহহ বাহহ আমার সিনিয়ার পিয়ছি তো ভালো গুণ ও আছে)
আমি থাকে উঠিয়ে নিলাম..! চল নামাজ পড়ে নিয়(রাগি কন্ঠ বললো) আল্লাহ জানি না আমার কপালে কি আছে..!( হঠাৎ তাঁর দিকে থাকিয়ে দেখলাম সেই নীল শাড়ি পড়েছে) তাঁর মানি আমার পছন্দ শাড়ি পড়েছে..। তাহলে আমাকে আর কিছু করবে না।.. ওই কি হলো এত কি ভাবছিস..? কিছু না..! তাঁর পরে রাগিণী সাথে দুই রাকাত নামাজ পড়লাম...। আমি রাগিণীকে ধরে এনে খাটে বসালাম...।। আমার খুব ইচ্ছে করতেছে,তাঁর ঠোঁট জোড়া দুইটা আমার দখলে করে নিয়..! যখন তাঁর ঠোঁটে কিস করতে যাবো..! তখন রাগিণী তাঁর একটা আঙ্গুল দিয়ে দিলো, ওই কি করছি, আমি তোকে স্বামী হিসাবে মানি না...! ধ্যাত এটা ও কি ফান করার দিন..!
ওই তোর কি মনে হয় আমি তোকে স্বামী হিসাবে মেনে নিয়েছি..! আমি তো তোর কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তোকে বিয়ে করেছি..। কিইইই!(রাগিণী কথাটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো) কেন আমি আবার কি করলাম তোমার সাথে..!(মুখটা মলিন করে)
তুই আমাকে দুই দিন আগে ফুচকা খেতে দিস নাই..! আর ফুচকাওয়ালা সামনে আমাকে ধমক দিয়েছি..।
এখন যদি তুই আমাকে কিস করতে চাস তাহলে এখন আমার জন্য ফুচকা নিয়ে আয়...! কিইইই একটা কিসের জন্য এত বড় কাজ..! তোমার কাছ থেকে কিস নিবো না, তাঁর চেয়ে সখিনাবোর কাছ থেকে কোনো কিছু ছাড়া কিস নিবো...! আল্লাহ গো এই কথাটা বলে মনে হয় অনেক বড় ভুল করে পেলেছি..! রাগিণী আমার কলারটা ধরে বললো..! ওই সখিনাবো কে..?
আছে কোনো একটা..! তুই যদি এখন আমার জন্য ফুচকা নিয়ে না আছিস তাহলে.. থাক এখন আর কিছু বলবো না..! তুই এখন গিয়ে আমার জন্য ফুচকা নিয়ে আয়...। আরে এত রাতে আমি ফুচকা দোকান কোথায় খুলা পাবো...? ওই সব কিছু আমি জানি না..।(রাগিণী) আর তার চেয়ে বড় কথা হলো এত রাতে রুম থেকে বের হলে লোকে কি বলবে..? (আমি) তোকে দরজা দিয়ে কে যেতে বলেছে...! (রাগিণী) তো কি দিয়ে যাবো..? বেলকুনিতে গিয়ে ওই খান থেকে আমার জন্য ফুচকা নিয়ে আয়...! আল্লাহ গো এটা আমার কপালা কি দিলা...।। শালার এই রাতে ছোট ভেলা কি রকম স্বপ্ন দেখতাম..! আর এখন এই রাতে বউয়ের ফুচকা জন্য পাঠাচ্ছে...। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম..।
রাগিণী আমার খুব কাছাকাছি, আহহ তাঁর ঠোঁট দুইটা দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না...! চুমুক দিয়ে দিলাম,তাঁর ঠোঁটে, তিন মিনিট পরে ছেড়ে দিলাম..।
দৌড়ে বেলকুনিতে চলে আসলাম..! ওই প্রিয়তমা, আমি যাচ্ছি তোমার জন্য ফুচকা খুঁজতে, আর তুমি ওই খানে বসে বসে কারো সাথে প্রেম করো না..! ওই তুই এখন ও এই খানে..!(রাগিণী খাট থেকে উঠতে উঠতে বললো) আমি অনেক কষ্টেই বেলকুনি থেকে নামলাম..। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় রটের সাথে আমার পা টা লেগে..। আউউউউ (চিৎকার টা অনেক জোড়ে ছিলো..! বোঝতে পাড়লাম আমার পায়ে বেশ লেগেছে..) হঠাৎ বেলকুনিতে রাগিণী এসে বললো। এই তোর কি হয়েছে...! এই ভাবে চিৎকার করলি কেন.? আমি সিঁড়ি থেকে নেমে হাঁটতে যাবো তখন পড়ে গেলাম..! কি হলো কথা বলছিস না কেন .? আরে আমার কিছু হয় নাই..! তাহলে তুই পড়ে গেলি কেন.?
আরে না এমনি বসে পড়লাম..! তাঁর পরে ওঠে দাড়ালাম..! ওই তোকে ফুচকা আনতে হবে না..।
আরে তুমি রুমে চলে যাও আমি ফুচকা নিয়ে আসতেছি..! তাঁর পরে হাঁটা ধরলাম, এত রাতে ফুচকার দোকান কোথায় খুলা পাবো..! তবো ও প্রিয়তমার জন্য ফুচকা আনতে হবে..। এত রাতে রাস্তা একা একা হাঁটতেছি..! শালার একটা মোবাইল ও নাই..! হঠাৎ কোথায় থেকে যেনো মোবাইলে রিংটোন শব্দ আসতেছে..! চার দিকে থাকিয়ে দেখলাম..! কোথাও লোক নেই..। তাহলে মোবাইলের রিংটোন শব্দ কোথায় থেকে আসতেছে..। হঠাৎ আমার হাতটা পাঞ্জাবি পকেটে পড়লো..! আমি থাকিয়ে দেখলাম ওই খানে..! একটা মোবাইলের স্ক্রিন দেখা যাচ্ছে..। পকেটে হাত দিয়ে বের করে দেখলাম..। আইফোন এক্সটেন..। আমি বেশ অবাকক হলাম..। আমার পাঞ্জাবির পকেটে মোবাইল..। তা ও আইফোন..! ফোনটা রিসিভ করলাম..! হ্যালো আপনি যেই লোককে কল দিয়েছে..!
ওই লোকটা তার ফোনটা হারিয়ে পেলেছি..।
ওই থাম..?(রাগিণী কন্ঠ শুনে আমি অবাকক হয়ে গেলাম..। তাঁর মানি কি রাগিণী প্রতিশোধ নেবার জন্য আমাকে বিয়ে করেছে...?) রাগিণী তুমি..? হুম কেন, কি হয়েছে? না মানি কে যেনো আমার পাঞ্জাবির পকেটে ফোনটা দিয়ে দিছে..! কেউ দেয় নাই আমি দিয়েছিলাম..? তুমি দিয়েছো..!(অবাকক হয়ে) সারা রাত তোর সাথে প্রেম করবো বলে) ধ্যাত ভালো লাগে না আর..? কেন কি হয়েছে..? এখন ও তোর, আর তুই শব্দ টা পেলে দিতে পারো নাই..? ওরে বাবারে তাই নাকি..! তো এখন কি করছিস..? আমি এখন আকাশের সখিনাবোর সাথে উড়তেছি..! তুমি জানো না., এখন আমি কোথায়..? হুম জানবো না কেন..। রাত একটায় রাস্তা মধ্যে একা একা হাটতেছি..। তা জানলে জিগ্যেস করতেছো কেন..? আমি বিছানার মধ্যে এলাম দিয়ে কথা বলতেছি তো তাই..! তোর কথা একটু জিগ্যেস করতেছি..? হুম হুম সবি বুঝি...।।
আমি আর আমার প্রিয়তমা সারা রাত প্রেম করবো এখন আপনারা আসতে পারে.....। হি হি হি..।
...................The End...................
0 Comments