Ticker

10/recent/ticker-posts

Add

সিনিয়ার মামাতো বোন যখন বউ (season_2)

সিনিয়ার মামাতো বোন যখন বউ (season_2)

Writer Rusel Mahmud Niloy(রাইসার আব্বু)



part_1

রাগিণী সাথে কথা বলতে বলতে, ফুচকার দোকানে এসে দেখলাম, দোকান বন্ধ করে পেলেছে। বন্ধ করা ও কারণ। একটা পর্যন্ত কে দোকান খুলা রাখবে...?  রাগিণী আমাকে এই কোথায় পাঠালো, শালার বাসর রাত. কেন যে রাগিণীকে ভালোবাসতে গেলাম।  আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে রাগিণী বললো, কি হলো চুপ করে আসো কেন...? না, মানি বলো।  তাঁর  মানি এতক্ষণ তুই আমার কথা শুনিস নাই..? সেইটা কেন হতে যাবে..। আচ্ছা এখন আমি ফোন রাখছি, কিছুক্ষণ পরে আবার কল দিবো, ফোনটা কেটে দিলো.. শালার এই দিনটা নিয়ে আমার কত স্বপ্ন ছিলো, এই শাকচুন্নিকে বিয়ে করে সব স্বপ্ন এক এক করে মনে হয়, আল্লাদ্দী হয়ে যাবে....। কেন যে নিজের গলায় জড়াতে গিয়েছিলাম নিজে ও জানি না..?  আর এত রাতে তাঁর জন্য কে দোকান খুলা রাখবে...? ফোনটা হাতে নিয়ে হাঁটতেছি কিছু দূর যাওয়ার পরে আলো দেখা যাচ্ছে..। ভয় ও করছে, আবার কিছুটা খুশি ও লাগছে, এই ভেবে যে এত রাতে দোকান খুলা আছে..। দোকানের সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম,  আমার মতো পাঁচ ছয় জন ছেলে বসে আছে..। আর হাতে মধ্যে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে.. তাঁর মানি তাঁরা এখানে বসে বসে ইয়াবা খাচ্ছে...?

আমি এখান থেকে কেটে পড়ি যত তারাতাড়ি সম্ভব..। ছেলে গুলো আচার আচরণ ভালো লাগছে না..? আমি ফিরে চলে আসতে যাবো তখন... এরে তুই তো রাশেল ..।(আমার কাঁদে হাত দিয়ে একটা ছেলে বললো..) আমি পিছনে ফিরে অবাকক হয়ে গেলাম..? এটা তো নীল, রাগিণীর সাথে মিথ্যা ভালোবাসার নাটক করে তাঁদের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলো..। ওরে তোরা দেখ আমাদের রাশেল আজকে তাঁর বাসর রাত আর সেই এখান ঘুরছে..? কি মশাই মেরে কি পাঠিয়ে দিয়েছে তোকে..?(নীল) নাকি এখান অন্য কোনো মেয়ে আছে..। এই বলে তাঁরা উচ্চস্বরে হেঁসে দিলো, দেখ নীল এখানে আমি ঝগড়া করতে আসি নাই, সো আমাকে ডিস্টার্ব করিস না..?  এই রোহিত বেটাকে ভালো করে ধর, আজকে তাঁর বিয়ে বন্ধুত্ব,র, কাতিলে তাঁকে তো কিছু একটা সারপ্রাইজ দিতে হবে..।

রোহিত নামের ছেলেটা আমার কাছে এসে আমার  একটা হাত ধরলো..। এই কি করছিস তোরা..? চুপ কোনো কথা বলবি না.. আমরা যা করছি তা দেখে যা...এই নোবেল তাঁর  হাত ধর...?(নীল চিৎকার দিয়ে বললো)

আমার হাত দুইটা ধরে আমাকে নড়তে দিচ্ছে না..। এই নীল তুই কাজটা ভালো করছিস না..? রাখ তোর ভালো আর খারাপ.. আমি কি করি তা দেখ আগে..? হাতে একটা বোতল নিয়ে আমার কাছে আসলো...।

আমি বুঝতে পারলাম এটা মদের বোতল...। দেখ নীল এই সব আমি পছন্দ করি না..? সেই জন্য তো তোকে খাওয়াচ্ছি, সারা জীবন মনে রাখবি এই রাতটা কথা, কালকে পত্রিকায়  হেটলাইন বের হবে বাসর রাতে বর মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে...।

সবাই এক সাথে হেঁসে দিলো, তাঁদের কথা শুনে আমার অনেক রাগ হলো..। হাত ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করি যাচ্ছি, কিন্তু পারছি না..। আমাকে নড়াচড়া করতে দেখে আরো চার জন ছেলে এসে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো..।

নীল আমার কাছে এসে আমার মুখটা ধরে বোতলের কর্কটা খুলে আমার বুকে পুরে দিলো..। মদটা আমার মুখে পড়তে  কি রকম যেনো একটা গন্ধ পেতে লাগলাম..।

না চাওয়ার শর্তে মদ গুলো খেতে হলো, পুরো এক বোতল আমাকে খাওয়াই দিলো,  আমাকে ছেড়ে দিয়ে তাঁরা চলে গেলো, আমি দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না, মাথাটা চক্কর দিতে লাগলো..। বমি করে দিলাম, স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চাচ্ছি কিন্তু পাড়ছি না..।

কোনো রকম কষ্ট করে এক সাইডে চলে আসলাম, ধপ করে মাঠিতে পড়ে গেলাম, আস্তে আস্তে চোখ দুইটা বন্ধ হয়ে গেলো..। 

যখন আমার জ্ঞান ফিরলো, তখন নিজেকে বিছানায় আবিস্কার করলাম..। আমার মাথা রাগিণীর কোলে আর রাগিণী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে..। হু, কি পরম সুখে আমার মাথাটা কোলে নিয়ে বসে আছে..।

ঘড়ির দিকে থাকিয়ে দেখি, ঘড়ির কাঁটা পাঁচ টাই চলে আসলো..। তাঁর মানি এখন ও সকল হয় নাই..? অনেক ঘুমাস এখন একটু আমাকে উঠতে হবে..।(রাগিণী)  ঘুমাছি কই তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমার তো রাতটা কেটে গেছে..?

হয়ছে উঠে গোসল করে আসো..? আর একটু থাকি না..? তোমার কোলে থাকতে অনেক ভালো লাগছে..। এই মুঠে ও না, রাতে তো ঘুমাতে দাও নাই, তাড়াতাড়ি উঠো..?

কি আর করা তাঁর পরে উঠে দাঁড়ালাম, এখন ও মাথাটা ঝিম ধরে আছে, কি হলো দাঁড়িয়ে আছো কেন..?  গোসল করে আসো..। চলো তুমি ও দুই জনে এক সাথে গোসল করবো..?

এই মুঠে ও না, চলো গোসল করে আসো, আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাথরুমে ডুকিয়ে দিয়ে বাইর থেকে লক দিয়ে দিলো..। আমি কি গোসল করবো না বলে দিলাম..এই শীতের মাঝে কে গোসল করবে..?

আমাকে আসতে হলে কিন্তু খবর আছে বলে দিলাম..। তুমি তো আমার কিছু করতে পারবে না..? কি এত বড় কথা..?(রেগে) দেখাচ্চি তোমাকে। দরজা খুলে আমার কাছে আসতে আমি রাগিণী কে জড়িয়ে ধরে....।

শরীরটাকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিলাম..। এই এটা তুমি কি করলে..? হা, হা, হা, আমার সাথে গোসল না করা ফল..। তোমাকে বিয়ে করছি আমার সব ইচ্ছে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তো নাকি...?

এই একদম দুষ্টুমি করবে না বলে দিলাম..। আমি তাঁর কথা না শুনে তাকে জড়িয়ে ধরে একটা লম্বা লিপ কিস করলাম..। আমি তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দুই জনে হাঁপাতে লাগলাম..

রাগিণী আমার দিকে চোখ লাল করে থাকিয়ে আছে, আমি একটা মিষ্টি করে হেঁসে দিলাম, রাগিণী, হঠাৎ আমার হাতটা ধরে আমাকে টান দিলো, আমি টানটার তাল সামলাতে না পেরে গিয়ে পড়লাম রাগিণী বুকে,

দুইজনে বাথরুমে ফ্লোরে পড়ে গেলাম, আমার ঠোঁট দুইটা গিয়ে স্পর্শ করলো, রাগিণী ঠোঁট কে...। রাগিণী চোখ বন্ধ করে পেললো..। আমি রাগিণী দিকে থাকিয়ে আছি,

কিছুক্ষণ পরে রাগিণী চোখ খুলে বললো, এই যে বাবু আব্বু? আপনি কি আমার উপর থেকে উঠবেন..? সেইটা কি করে হয়, আজকে থেকে চার পাঁচ দিন হচ্ছে কোনো ধরণে তোমার কাছ থেকে আদর পাচ্ছি না, বাবুনির আম্মু...।

এতক্ষণ কি করছিলে তাহলে..?(চোখ লাল করে) আমি তো কিছু করি নাই...? তোমার সাথে তর্ক করে কোনো লাভ নেই, চলো গোসল করে নিয়...। আমি রাগিণী উপর থেকে উঠে থাকে ও উঠালাম...

তাঁর পরে দুইজনে গোসল করলাম, কিন্তু এখন কাপড় কে এনে দিবে..? কি হলো কিছু বলছো না কেন..? আস্তে সেইটা না হয়, ভাবতে হবে না, আগে এটা বলো তুমি এটা বলো আমাকে আসার আগে দরজা খুল ছিলে..?

আমার মনে নেই, তোমার তো কিছু মনে থাকবে না। এখন ভিজা কাপড় নিয়ে আমার জন্য কাপড় নিয়ে আসো..। কি আমি আনবো..?(চোখ লাল করে) না, মানি তাহলে কি আমি আনবো...?

হুম তুমি আনবে, তুমি আমাকে কাপড় আনতে দাও নাই কেন..? আমি আর কোনো কথা না বলে বাথরুমে দরজা খুলে দেখলাম, রুমে কেউ আছে কি না..।

হায় আল্লাহ আমরা তো শেষ..। আমি দরজাটা লক করে দিলাম.. কি হলো না গিয়ে আবার চলে আসলে কেন..? আমার থুক্কু আমাদের রুমে শাঁকচুন্নি খালাতো বোন বসে আছে...।

কি আমি শাঁকচুন্নি..?(খুব রেগে) আমার গেঞ্জির কলার ধরে বললো. হঠাৎ আমার চোখ গেলো রাগিণীর শরীরের দিকে..। হায় আল্লাহ এই মেয়েতো আমাকে পাগল করে দিবে...?

নিত্যদিন তাঁর প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে, ভিজে যাওয়ার কারণে তাঁর শরীরের সাথে তাঁর কাপড় এক হয়ে গেছে,  থাকে দেখে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না..। এই অবস্থায় রাগিণীকে কখনো ও দেখি নাই..

রাগিণী  আমাকে বকা দিয়ে যাচ্চে, কিন্তু আমার কানে কিছু ডুকছে না, ওই, এই ভাবে কি দেখছো..? আমি এক দানে থাকিয়ে আছি..। এই মার খাবে কিন্তু বলে দিলাম..?(গা(শরীর) ধাক্কা দিয়ে বললো)

কি হয়েছে..? কিছু না, আমরা কি এই ভাবে এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো, শাঁকচুন্নি যাচ্ছে না তো..। কি ভাবে কাপড় আনবো..? আমি দরজা খুলে হেই নাবিলা একটা হেল্প করবে..?(নাবিলা রাগিণী খালাতো বোন)

হা দুলাভাই কি করতে পারি আমি আপনার জন্য..? বেশি কিছু করতে হবে না..। দুই জোড়া কাপড় আনলে হবে, ঠিক আছে, কিন্তু আপু কোথায়..? তোমার আপু মনে হয় কারো সাথে দুষ্টুমি করছে ..?(রাগিণী দিকে থাকিয়ে বললাম)

রাগিণী রেগে লাল হয়ে গেছে, এখন কিছু করছে না মানি পরে আমার অবস্থা টাইট করে দিবে..।এখন কি তুমি কাপড় গুলো আনবে..? ঠিক আছে. তাঁর পরে নাবিলা দুই জোড়া কাপড় আনলো..।

কিন্তু কাপড় গুলো আমার আর সব গুলো ছেলেদের..। ভাই তুমি এই হলুদ রঙের গেঞ্জি টা পড়ো এটা পড়লে তোমাকে সেই লাগবে..?(হেঁসে বললো নাবিলা) thanks you Nabila  

আমি দরজাটা লাগিয়ে ভিতরে চলে আসলাম, রাগিণী আমার কাছে এসে দাঁড়ালো আমি হলুদ রঙের গেঞ্জি টা পড়তে রাগিণী কেঁড়ে নিয়ে গেঞ্জি টা তাঁর হাতে নিলো..।

কি হলো তুমি গেঞ্জি টা নিয়ে নিলে কেন..? আমার কথা শুনে চোখ মুখ লাল করে পেললো..। এখানে কথা বললে কিছু না কিছু হবে, তাঁর  চেয়ে এইটা পড়ে বের হতে হবে..।

রাগিণী ওই দিকে ফিরো আমি পেন্ট পড়বো..? আমার সাথে গোসল করতে পারো আর পেন্ট পড়তে পারো না, এত কথা না বলে পড়ে আমার জন্য কাপড় এনে দাও.. কি আর করা কাপড় চেঞ্জ করে রুমে এসে রাগিণীকে কাপড় দিলাম...।

আমি বেডে বসে পড়লাম, কিছুক্ষণ পরে রাগিণী ডাক দিলো..।  হুম বলো জানু.. আমাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যাও..। মেঘ না চাইতে বৃষ্টি, এটা মিস করা যাবে না..

তাঁর পরে রাগিণী কে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম, আমি রাগিণীকে বেডে রেখে তাকে বললাম, রাগবতী আমার না প্রচুর ঘুম আসছে..। আমি ঘুমাবো..? মুঠে ও না তুমি তো তিন চার ঘন্টা ঘুমাছ।  আমি  একটু ও ঘুমাতে পারি নাই..।

আচ্ছা আমি এখানে কি করে আসলাম..? আমি তো রাস্তা পড়ে গিয়ে ছিলাম..। তুমি যখন ফোন ধরছিলে না, পরে লোকেশনের মাধ্যমে তোমাকে খোঁজে পেলাম,  আমি আগে তোমার মোবাইলে লোকেশন চালো রাখছিলাম, তাঁর সাহায্যে তোমাকে খুঁজে পেয়েছি..। 

কিন্তু তুমি একা আমাকে কি ভাবে আনলে..? তুমি কি আমার থেকে বড়, চিকন একটা ছেলে, থাকে নাকি আমি আনতে পারবো না..? আর এটা বলো তোমাকে মদ কে খায়ে দিয়েছে..?

বাদ দাও তো রাগিণী এই সব, মুঠো না, তুমি বলবে নাকি আমি কিছু করবো..? না, তোমাকে কিছু করতে হবে না, নীল খাইয়ে দিয়েছে...। কিই তাঁর এত বড় সাহস, তাঁর মানি গতবারের মাইর গুলো কম হয়েছিলো...।

সেই জন এত তারাতাড়ি উঠতে পেরেছে..। এই বার কিন্তু আমি থাকে ছাড়ছি না..?(খুব রেগে বললো) রাগিণী এই ভাবে রেগে যেও না, আমি থাকে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরলাম..। তাঁর কি করে সাহস হলো আমার প্রাণটা মদ খাওয়াতে...?(বুকের ভিতর থেকে রাগিণী বললো)

হয়েছে, আর কিছু বলতে হবে না, এই বার একটু ঘুমাও, এখন পাঁচটা ত্রিশ মিনিট, তুমি কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নাও..। আমি কিন্তু থাকে ছাড়ছি না...। আচ্ছা বাবা ছাড়ি ও না, এখন একটু ঘুমিয়ে নাও...। রাগিণীকে আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম..।

রাগিণী গুটিশুটি মেরে আমাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো, কখন ও ভাবি নাই আমাদের বাসর রাতটা এই রকম হবে..উপভোগ  করতে না পেরে ও আমার জন্য এক ধরণের ভালো হয়েছে..।

তাহলে কি এই মুহূর্ত টা উপভোগ করতে পারতাম, রাগিণী পিচ্চি বাচ্চা মতো আমার বুকে ঘুমিয়ে আছে..। তাঁর ঠোঁট দুইটা আমাকে সব সময় আকর্ষণ করে..। এখন যদি নিজেকে ধরে রাখতে না পারি তাহলে..

রাগিণী ঘুমটা নষ্ট হয়ে যাবে, আমি চাই না, রাগিণী কষ্ট পাক, সারা রাত আমার জন্য ঘুমাতে পারে নাই..। আর এখন ও ঘুমাতে না পারলে রাগিণী কষ্ট পাবে..আমি বেঁচে থাকতে তা হতে দিবো না..।

এক ঘন্টা পরে, আমি দেখে পেলেছি ভাইয়া..? (নাবিলা) দরজা দিকে থাকিয়ে দেখি নাবিলা, আমি মুখে আঙ্গুল দিয়ে নাবিলাকে চুপ থাকতে বললাম..। নাবিলা ও চুপ হয়ে গেলো..। সেই আমার কাছে এসে বসতে বসতে বললো..।

বাহ, তোমার ভালোবাসা দেখে আমার হিংসা হচ্ছে, কেউ কি কাউকে এতটা ভালোবাসতে পারে..? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না..(অবাকক হয়ে বললো)  এত অবাকক হওয়ার কিছু নেই..।  সবাই ভালোবাসতে জানে..

কিন্তু কেউ টাকা পিছনে তাঁদের ভালোবাসা উড়িয়ে দেয়..। আর কেউ কারো ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারে না..। যে ভালোবাসা জিনিস টি উপলব্ধি করতে পারে, সে পৃথিবীতে সব চেয়ে সুখী মানুষ...।

ভিন্ন রকমের আরো কিছুক্ষণ গল্প করে নাবিলা চলে গেলো, আমি আবার ভাবনায় চলে গেলাম,  আবার নাবিলা এসে ডিস্টার্ব করছে, এই শাঁকচুন্নি কি হয়েছে বলবি..? তোমাদের নিচে আসতে বলেছে..।

তোমাদের জন্য সবাই টেবিলে বসে আছে, আচ্ছা ঠিক আছে, আমরা আসতেছি..। তাঁর পরে নাবিলা চলে গেলো, আমি কি রাগিণীকে ডেকে দিবো..? কিন্তু সেই তো সারা রাত ঘুমাতে পারে নাই...।

আমি আরো কিছুক্ষণ থাকে জড়িয়ে ধরলাম৷ আস্তে আস্তে রাগিণী চোখ খুললো..। আমার দিকে থাকিয়ে একটা হাসি দিলো, আমি রাগিণী হাসার অর্থ টা বুঝতে পারলাম না..। কি হলো এই ভাবে থাকিয়ে থাকবা নাকি নিচে নিয়ে যাবে...।

হ্যাঁ মহারানী আপনাকে তো নিচে নিয়ে যেতে হবে..। কিন্তু আমার না মুঠে ও মন চাচ্চে না..? ওগো কি চাচ্ছে না তোমার মন..?(আহ্লাদী শুরে বললো) তোমাকে নিচে নিয়ে যেতে..। তাহলে যে আম্মু এসে যাবে..? আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে কোল থেকে নামো। মুঠে ও না আমাকে কোলে করে নিচে নিয়ে যাবে, কিন্তু....কোনো কিন্তু না, আমি যা বলছি তাই করবে..? আচ্ছা ঠিক আছে, পরে কিন্তু আমাকে দোষ দিতে পারবে না..! এখন কি কথা বলবে নাকি নিয়ে যাবে..? তাঁর পরে রাগিণী কোলে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে, সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখতে পেলাম, খাওয়া টেবিলে আব্বু আম্মু, মামা, মামি, আরো অনেকে বসে আছে. আমার যে কি লজ্জা লাগছে বলতে পারবো না..। আমি রাগিণী কানে কানে বললাম, রাগিণী বাসার সবাই কিন্তু এখানে উপস্থিত আছে...। এবং আমাদের এই অবস্তায় দেখে পেলেছে..?😫😫😫 রাগিণী আমার কথা শুনে লজ্জা আমার গেঞ্জি শক্ত করে ধরলো..। আমি তো ভিতরে শেষ, বাসার সবাই জিজ্ঞেস করলে কি বলবো..? সিঁড়ি বেয়ে নামছি আর ভাবছি..। নিচে এসে রাগিণী কে চেয়ারের বসিয়ে দিলাম, কিন্তু রাগিণী এখন ও আমার গেঞ্জি ধরে আছে... আমার যে পরিমানের লজ্জা করছে তা বলতে পারবো না..। আমি রাগিণী কানে কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললাম, রাগিণী গেঞ্জি ছেড়ে দাও,সবাই দেখছে..। আমার কথা শুনে রাগিণী গেঞ্জি ছেড়ে দিলো.. আমি ও রাগিণী পাশের চেয়ারে বসলাম..। আমি বসে উপরে থাকিয়ে দেখি সবাই আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে.. মনে হচ্ছে আমাকে আজকে প্রথম দেখছে... হঠাৎ আব্বু একটা প্রশ্ন করে উঠলো...আমি তা শুনে জ্ঞান হারায় হারায় অবস্থায় পরে গেলাম.......


part_2


জ্ঞান হারায় হারায় অবস্থায় পরে গেলাম.. আম্মুকে কোলে করে আনলি কেন..? কি হয়েছে আমার মেয়ের..?(আব্বু) এখন আমি কি বলবো..? মাথায় তো কিছু আসছে না.. কি বলি, হঠাৎ পিছন থেকে নাবিলা বললো, আসলে আপু বাথরুমে পা পিসলিয়ে পড়ে গেছে তাই ভাইয়া আপুকে কোলে করে আনছে..?(নাবিলা) What, কি বলছো তোমরা? বাথরুমে কি করে পড়লো..? আর তোমরা একে নিচে আনতে গেলে কেন..?(আম্মু) আরে আম্মু তেমনি কিছু হয় নাই, একটু ব্যার্থা পেয়েছি, এখন ভালো হয়ে যাবে, আর তা ছাড়া তোমার ছেলে পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়েছে.। ( রাগিণী বলে উঠলো) তুমি কি বসে থাকবে এখন ডাক্তার কে কল করো..(আম্মু আব্বুকে বললো মামা  মামি আম্মু আব্বু দিকে থাকিয়ে আছে, তাঁরা কিছু-ই বলছে না, খালো তুমি কিছু বলো না এদেরকে রাতে আপু কিছু খাই নাই, এখন ও যদি না খাই তাহলে তো আপু অসুস্থ হয়ে পড়বে...?(নাবিলা) আমি কিছু না বলে চুপ করে রাগিণী পাশে বসে আছি, রাগিণী একবার আমার দিকে থাকাচ্ছে, আরেক বার আম্মু আব্বু দিকে থাকাচ্ছে..।  মামা মামি থুক্কু এখন তাঁরা আমার শশুর শাশুড়ী হয়,😅😅😅 তাঁরা ও চুপ করে বসে আছে, আম্মু তোমরা কি রাগিণী কে খাবার খেতে দিবে না..? কিন্তু রাগিণী তো ব্যার্থা পেয়েছে..।(আম্মু) ও কিছু হবে না, আমি মলম লাগিয়ে দিয়েছি, একটু পরে ব্যার্থা চলে যাবে, এখন তোমরা কি খাবার দিবে নাকি ডাক্তার নিয়ে টানা টানি করবে..? না, থাক খাবার খাওয়া যাক..। তাঁর পরে খাবার খাচ্ছি, রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে হাসতে লাগলো..। আমার তো তাঁর উপর রাগ হচ্ছে, আমাকে লজ্জায় পেলে এখন হাসছে..।

মামি বুঝতে পেরে মনে হয়, কিছু বলে নাই, খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসলাম, রাগিণী আমাকে চলে আসতে দেখে আমার দিকে থাকিয়ে আছে, রুমে এসে শুয়ে পড়লাম, কালকে ঘুমাতে পারি নাই, নীলকে ও একটা শাস্তি দিতে হবে..। আমাকে মদ খাওয়াছিলো, শালা তোরা তো আমি খায়ছি, ঘুমিয়ে গেলাম, হঠাৎ কারো কান্না শব্দ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো..। আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি আমার পাশে গুটিসুটি মেরে কান্না করছে..। কিন্তু রাগিণী কান্না করছে কেন..? কারণটা কি..? আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না..। রাগিণী কে তো কখনও এই ভাবে কান্না করতে দেখি নাই..। আজকে হঠাৎ তাঁর কি হলো..? রাগবতী তুমি কান্না করছো কেন..? তোমাকে কি কেউ কিছু বলেছে..কিছু বলছে না শুধু কান্না করে যাচ্ছে, আচ্ছা বাসায় কি কেউ নাই..?  তোমাকে কি মামা কিছু বলেছে..? না, তাহলে কে কি বলেছে..? তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরো নাই কেন..? আমি কি ভাবে তোমাকে জড়িয়ে ধরবো আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম.. ঘুমালে কি আমাকে জড়িয়ে ধরা যায় না..? না, মানি তখন তো আমি ঘুমাচ্ছিলাম, কি ভাবে জানবো তুমি আমার পাশে ঘুমায় ছিলা...? তার মানি তুমি অন্য মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ ছিলা..। আমি আজকে বাসায় চলে যাবো.. কালকে থেকে আমি আবার আগের রাগিণী হয়ে যাবো..।

তোর মহারানী এখন রাগবতী আছো নাকি, আমার রাগ না ভাঙ্গিয়ে আরো তুমি আমার উপর রাগ করছো..? ব্যাপারটা কি বলোতো রাগবতী..? আমি কারো রাগবতী না, সো আমাকে রাগবতী বলে ডাকবে না..।

সেইটা না হয় পরে দেখা যাবে, সো এখন তোমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য কি করতে হবে..? সেইটা না হয় তুমি ভেবে দেখো, আজকে বুঝতে পারবো তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো..? তাঁর মানি তুমি আমার কাছে লাভ টেস্ট নিচ্ছ,

তুমি কি নাম দিবে সেইটা পুরো পুরি তোমার উপর..। আমি কি পাগল কুকুর নাকি, রাতে ও দৌড়াছে আর এখন ও দৌড়াচ্ছে..। বিয়ে করছি নাকি বাসায় আজরাইল ডেকে আনছি..?

কি হলো কি ভাবছো..? না, কিছু না, তোমাকে ছাড়া কি আমি কিছু ভাবতে পারি নাকি..? হুম, কথাটা যেনো মনে থাকে...। তাঁর পরে রাগিণী রুম থেকে চলে গেছে, এখন আমি কি ভাবে জানবো রাগিণীর কি পছন্দ...

শালার কে বলেছিলো এই মেয়েকে ভালোবাসতে...? নিচে গিয়ে দেখি মামা মামি বাসায় আছে কি না, তাঁর পরে অন্য কিছু ভাবা যাবে..। নিচে এসে দেখলাম বাসার সবাই বসে গল্প করছে..।

এখন মামির সাথে কি ভাবে কথা বলবো, যাক আগে তো বাসায় গিয়ে দেখি, যদি কাজে বেটি থাকে, তাহলে আর মামিকে ডাকতে হবে না, দরজা দিয়ে বের হতে আম্মু ডাক দিলো..।

রাশেল কোথায় যাচ্ছি..? আম্মু আমি একটু বাইরে যাচ্ছি..। আচ্ছা তারাতাড়ি চলে আসিস..। তাঁর পরে বাইরে এসে দেখি আমার বন্ধুরা সবাই দাঁড়িয়ে আছে..আমি তাঁদের কে দেখে অবাকক হয়ে গেছি..।

তাঁরা বাসায় না ডুকে দরজা সমানে দাঁড়িয়ে আছে কেন..? কিরে রানা এই ভাবে তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন..? শালা তোর জন্য তো এত কিছু হলো..। এই বলে মারতে লাগলো...।

এই থাম বেটা ব্যার্থা পাচ্ছি, তাঁর পরে থামলো তাঁরা এখন বল কি হয়ছে..? না, আগে মাইর দিয়ে নিই তাঁর পর না হয় বলবো..। থাম একজন ও সামনে আসবি না..। প্রথমেই তো আমি যাচ্ছি একটা কাজে, 

আর তোরা আছিস আমাকে মারতে, শালা এটা আমার জীবন মরণের প্রশ্ন,  মানি কি..?(আবিদ) মানি টানি বুঝি না, প্রথমে বাইকের চাবি দেয়, পরে দেখা হলে কথা হবে..। ওই কেউ থাকে বাইকের চাবি দিবি না...? যেই দিবি তার কিন্তু পিঠের চামড়া থাকবে না বলে দিলাম..।

ছাঁদে দিকে থাকিয়ে দেখি রাগিণী,  শালা তোর জন্য মা-র খেতে পারবো না, সো তুই তোর রাস্তা ধর, এই বলে সবাই চলে গেছে, 😥😥😥 এখন আমার কি হবে..? গাড়ি কোথায় পাবো, 

আচ্ছা আমার ভাঙ্গা বাইকটা কোথায় রে..? দেখে আসি তো ঠিক আছে কি না..। বাসায় এসে দেখলাম, বাইকটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে, হঠাৎ দেখতে পেলাম, রাগিণী নিচে আসছে..

কিরে এখানে কি খুঁজতেছিস..? এই নাও চাবি, রাস্তায় গাড়ি আছে, ওটা নিয়ে যাও, কার গাড়ি..? কেন, আমার গাড়ি, এখন যাবে নাকি কথা বলবে..। যাচ্ছি, চাবিটা নিয়ে রাগিণীর মুখে একটা পাপ্পি দিয়ে পিছনে না ফিরে চলে আসলাম..।

হি, হি, হি রাস্তায় এসে দেখি এটা তো মামা গাড়ি, তাঁর পরে গাড়ি টা নিয়ে মামার বাসায় চলে আসলাম, বাসার সমনে এসে দেখি দরজা খুলা, তাঁর মানি কাজে বেটি আছে,

তাঁর পরে গাড়ি থেকে নেমে,  বাসায় ডুকে দেখে কাজের মেয়ে টিভি দেখছে, আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলো, ভাইয়া তুমি এখানে..? কেন আসতে পারি না, নাকি..। সেইটা না কালকে বিয়ে হয়েছে আজকে শশুরের বাসায় তাই বললাম..।

সেই সব পরে দেখা যাবে, আমার সাথে আয়, তাঁর পরে জরিনা আমার পিছু পিছু আসছে..। আচ্ছা ভাইয়া এখানে কেন আসলে..। কথা না বলে আমার সাথে আয়, কিছুক্ষণ চুপ থেকে...।

আপনি কি ভাইয়া নাকি অন্য কেউ..? মানি কি..?(অবাকক হয়ে) না, মানি আগে থেকে কেমন যেনো চিকন হয়ে গেছো..(হেঁসে বললো) আমি শরীরের দিকে থাকিয়ে দেখলাম, 

আমি তো ঠিকই আছি, তাহলে জরিনা এটা কি বললো, আচ্ছা জরিনা তুই আমাকে কোন এংগেলে চিকন দেখলি বলতো..? আসলে আপু তোমাকে ভালো করে আদর করছে তো তাই চিকন হয়ে গেছ মনে হয়..?(হেঁসে বললো)

দেবো একটা বেশি পাঁকনা হয়ে গেছি তাই, চল তাঁর পরে রাগিণীর রুমে এসে বললাম, জরিনা তোর আপুর ডাইরি গুলো আমাকে এনে দে তো..। আপু ডাইরী দিয়ে তুমি কি করবে..? আর তা ছাড়া কারো পার্সোনাল কিছু ধরা ভুল, 

ওমা তোকে এই গুলো কে শিখাছে..? আপু শিখাছে..।(খুশি হয়ে) ওই দাঁত সব গুলো পেলে দিবো,যা বলেছি তাই কর..?(চিৎকার দিয়ে বললাম) আরে বাপরে এ-ই ভাবে কেউ চিৎকার করে..।(ভয়ে পেয়ে)

তোর আপু আমার জীবনটা তামা তামা বানিয়ে পেলছে, আর তুই আমার সাথে মজা নিচ্ছিস..। তারাতাড়ি নিয়ে আয়..? তাঁর পরে জরিনা আমার কাছে অনেক গুলো ডাইরী রাখলো..। আমি তো ডাইরী দেখে জ্ঞান হারিয়ে পেললাম..

এত গুলো ডাইরী আমি একা কি করে পড়বো..? আর এই গুলো যদি আমি পড়ি তাহলে কম পক্ষে দুই মাস লাগবে। বিয়ে করছি কালকে রোমাঞ্চ না করে এখানে বৌয়ের পছন্দ খাবার জন্য টানাটানি করতে হচ্ছে..

আমি এখন কি করি..? আগে বৌয়ের কাছে ফোন দি তাঁর পরে না হয় দেখা যাবে..। ভাইয়া আমি কি হেল্প করবো..? না, লাগবে না, দুই আরাম করে টিভি দেখ, আর আমাকে শান্তি মতো ডাইরী গুলো দেখতে দেয়..।

জরিনা হেঁসে চলে গেলো, এই মেয়েটার হাসার মানি বুঝি না..। এখানে হাসার কি বললাম আমি..? রাগিণী কে কি কল দিবো..? না থাক আগে কয়েকটা দেখি পরে না হয়, অন্য কিছু ভাববো...।

এক এক করে দেখছি ডাইরী,পাঁচটা দেখলাম, কিন্তু এখানে লেখা কাহিনী গুলো তো আমাকে নিয়ে লেখা, এই গুলো দিয়ে হবে না, ওকে রেখে চলে আসলাম, দুপুরের আজান দিচ্ছে,

নিচে এসে দেখি জরিনা টেবিলা খাবার সাজাচ্ছে..। কি রে জরিনা তোর কেউ আসছে নাকি..? সেই রকম তো কেউ নাই ভাইয়া..।(মন খারাপ করে)😥😥😥  আচ্ছা সরি আর ডাকবো না এই নামে..।

নাহিদা, তোর নামে তোকে ডাকবো, এখন একটু হাস, তোকে তো ওই নাম এমনি তোর সাথে ফাজলামো করে ডাকি...। এখন বল এত আয়োজন কার জন্য...?

তোমার জন্য তো এত আয়োজন, আরে আমি তো কিছুক্ষণ আগে খাবার খেয়েছি, আরে এখানে আসছিলাম একটা কাজে। কিন্তু কাজটা হলো না, আচ্ছা কাজটা আমি বলে দিবো, এখন বসে খাবার খাও...।

কি আর করার বসে খাবার খেলাম, টেবিল থেকে উঠে এসে দেখি নাহিদা একটা ডাইরীর নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কিরে এই ভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন..। আর ডাইরীটা কার...?

জানি না, বাইরে পেয়েছি, পড়ে দেখ। আমি তো পড়তে পারি না, তুমি পড়ে দেখি ও..। রাখ তোর ডাইরী আমি মরছি আমার জ্বালায় আর তুই বলছি অন্য ডাইরী পড়তে...। 

যদি তোমার কাজ গুলো এখানে পেয়ে যাও তাহলে তোমার জন্য ভালো হবে..। নাহিদা কথা শুনে থেমে গেলাম, ডাইরী তাঁর হাত নিয়ে বললাম নাহিদা আজকে খাবার গুলো কিন্তু সেই টেস্ট হয়ছে.. তাঁর পরে, গাড়িতে চলে আসলাম, 

গাড়ি টা স্টার্ট করে,  একটা নিস্তব্ধ জায়গায় নিয়ে আসলাম, গাড়ি থেকে নেমে, গাড়ি সামনে শোতে বসে ডাইরীটা খুললাম, দুইটা অক্ষর দেখে অবাকক হলাম..। এবং  নিচে আরো দুইটা অক্ষর আছে..

R+R নিচে দুইটা ও সেইম অক্ষর..। এখন এই অক্ষর গুলো মানি কি..। চারটা অক্ষর একই..। চারটা অক্ষরের নাম একটা ছোট পরিবারের হতে পারে না..। যদি ও ছেলে মেয়ে এবং স্বামী বা স্ত্রীর যেই কোনো একজনে নামের অক্ষর এক হতে পারে..।

সেইটা না হয় পরে বুঝা যাবে, আগে ডাইরীটা তো পড়ে দেখি, আরেকটা পেইজ গুলো দেখলাম, রাগবতী আর রাগরাজা কাহিনী..। ও, মাই ব্রলো ইন, রাগবতী নামটা তো আমার সুইট হার্টকে ডাকি..।

এই গল্প রাগবতী নাকি রাগরাজা কোথায় পেলো নামটা..। কি কষ্ট করে নামটা নিজের মনের গহীন থেকে বের করছি..। আর এরা আমার নামটা পাবলিশ করে পেলছে..।  এরা কখনো মানুষ হবে না অমানুষ থেকে যাবে..।

....................ডাইরী....................

আমার ছোট একটা পরিবার..পরিবার বললে ভুল হবে, এখন ও আমার বিয়ে হয় নাই, আমি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি.. আমি ও না কেমন পাগল..😋😋 আমি যাকে বিয়ে করছি সেই আমার থেকে এক বছরের কি দুই বছর ছোট....।

এবং তাঁর চেয়ে বড় কথা গুলো সেই আমার ফুফাতো ভাই, মাইরে এর কাহিনী আমার আমার কাহিনী তো এক..? 🤡🤡🤡 কি ভাবে যে থাকে ভালোবেসে পেলেছি , তা নিজে ও জানি না...। পাগলটা আমাকে অনেক ভালোবাসে..

কিন্তু কিছু দিন আগে তাঁর ভালোবাসা আমি বুঝতে পারি নাই..। কিন্তু এখন ঠিকই বুঝতে পারি.. হাজার হলে ও সেই যে এখন আমার জীবনের এক অংশ..।  আরেক পেইজ দেখলাম...। 

আজকে আমাদের বিয়ে, বাসর রাতে অনেকক্ষণ বসে আছি, একটা বাজতে চললো, এখন ও আসছে না..। তাঁর উপর অনেক রাগ হচ্ছে..। সেই আমাকে বিয়ে দুইদিন আগে ঝাড়ি দিয়েছো.. তখন কিছু বলতে পারি নাই..।

আজকে সব শুধরে নিবো, আমাকে একা একা বসে রাখানো..। একটা বাজে সেই রুমে ডুকলো, আমার পাশে এসে বসলো, দুইজনে ওজু করে নামাজ পড়লাম, নামাজের শেষ আমি আমার রুপ ধারণ করলা...। 

এই রাতে তাঁকে ফুচকার জন্য পাঠাচ্ছি..। আমাকে ঝাড়ি দেওয়ার শাস্তি এখন বুঝতে পারবে.. আমি তাঁর বড় সেই কিনা আমাকে ঝাড়ি দেয়..। ঝাড়ি দিছে ভালো কথা, কিন্তু ঝাড়ি একজন ফুচকাওয়ালা সামনে...।

রাগ উঠলে, সেই নিজেকে ধরে রাখতে পারে, তাই বলে কি নিজে স্ত্রীকে মাঝ রাস্তা লোকের সামনে ঝাড়ি দিতে হবে..? থাকে ও কিছু বলতে পারছি না, জানি আপন মানুষের কাছে ঝাড়ি খেলে নিজে অনেক কষ্ট পায়..।

তাই আমি ও কিছু বলবো না..। বেলকুনিতে পাঠিয়ে দিলাম, আমি বেডে সামনে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ দেখে রাগরাজা আমার দিকে দৌড়ে আসছে, জানি না এই ভাবে দৌড়ে আসার মানি কি..। জানি সেই এখন আমাকে পাপ্পি দিতে চাচ্ছি..। আমি ও মুখটা তাঁর দিকে দিয়ে দিলাম..। যাতে পাপ্পি দিয়ে ভালোভাবে বেলকুনি থেকে নামতে পারে..। পাপ্পি দিয়ে অপরাধির মতো সেই কি দৌড় দিয়েছিলো, আমি পুরো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম..। আমার তাঁর দৌড়ানি দেখে হাসি আসলো..সিঁড়ি বেয়ে নামতে সেই নিচে পড়ে গেলো..। মনে হয় ব্যার্থা পেয়েছে, অনেক জোরে চিৎকার করলো, আমি তাঁর  চিৎকার শুনে বেলকুনিতে চলে আসলাম, নিচে তাকিয়ে দেখি সেই মাটিতে পড়ে গেছে, আমি জিজ্ঞেস করা শর্তে সেই বলেছিলো কোনো ব্যার্থা পায় নাই..। কিন্তু সেই দাঁড়ার সাথে সাথে আবার মাঠিতে পড়ে গেছে..। মাইরে এই কাহিনী গুলো তো আমার কাহিনী সাথে মিলে যাচ্ছে..। তাঁর মানি কি এই ডাইরীটা রাগিণী লেখা..?🤔🤔🤔 কিন্তু নাহিদা বলেছিলো সেই নিচে পায়ছে...। সেই তো কোনো দিন ও আমাকে মিথ্যা কথা বলে নাই.. তাহলে আজকে কেন মিথ্যা কথা বলেছে..? তাঁর মানি কি রাগিণী থাকে বলে দিয়েছে..আমি এখানে আসবো...? কিন্তু আমি তো রাগিণীকে বলি নাই।  তাঁদের বাসায় যাবো..? তাহলে কি ভাবে 

রাগিণী নাহিদাকে জানালো..


part_3


তাহলে নাহিদাকে কি করে বললো...? ডাইরীটা আবার পড়তে লাগলাম, তাঁর পরে সেই আমার জন্য, ফুচকা আনতে গেলো। রাত যখন দুইটা বা তিনটা শেষ বার তাঁর সাথে কথা বলে ফোনটা রেখে দিলাম..। আদা ঘন্টা পরে কল দিয়ে দেখি ফোনটা ধরছে না..। আমার অনেক ভয় করছিলো..। আমি আবার রাশেলকে হারিয়ে পেললাম না তো..। মাইরে  এটা আমর-ই কাহিনী...😯😯 কিন্তু কালকে রাতের কাহিনী আজকে ডাইরীতে কি করে আসলো..? তাঁর মানি কি রাগিণী রাতে বসে বসে ডাইরীতে কাহিনী গুলো লেখছিলো...? কিন্তু ডাইরী প্রথম পেইজে চারটা অক্ষর, তাঁর মাধ্যে দুইটা বুঝলাম, কিন্তু আর দুইটা কি কি...? উয়ে🤔🤔 তাঁর মানি কি আমার ছেলে মেয়ের নামের অক্ষর...? রাগিণীর কাছ থেকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবো..। পরের পেইজে আর কিছু নেই..। এক এক করে সব পেইজ দেখলাম কিন্তু আর কোনো লেখা নেই..। এখন কি করে জানবো রাগিণীর পছন্দ কি...?  এই ডাইরীতে তো তাঁর পছন্দের কিছু লেখা নেই..। এখন কি করি..?😥😥😥 গাড়িতে এসে ড্রাইভ সিডে বসলাম, গাড়ি টা নিয়ে ফুচকার দোকানে এসে ফুচকা নিলাম, কিছু ফুল ও নিলাম..। এই গুলো দিয়ে যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে বাঁচা গেলো..। না হলে তো আমার কি হবে আল্লাহ জানে..। গাড়িতে উঠতে মোবাইলটা বেজে উঠলো..এই সময় কে আবার ডিস্টার্ব করতেছে...? বিরক্ত নিয়ে ফোনটা পকেট থেকে বের করলাম..  আবির কেন কল দিলো..। ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরতে বললো...।

শালা এখন কি করছিস..? কি আর করবো বেটা তোর ভাবির শর্ত পুরোন করতে হচ্ছে..। হা, হা হা, সিনিয়ার মেয়েকে বিয়া করার মজা এখন ভালো করে বুঝবি..?🤣🤣🤣 শালা তোর ও একখান সময় আইবো তখন বুঝতে পারবি..। আমাকে নিয়ে মজার করা উসুল টা ও নিয়ে নিবো..? তাঁর পরে ফোনটা কেটে দিয়ে যখন গাড়িটা স্টার্ট দিতে যাবো, আবার কে যেনো কল দিলো..। আবার কে কল দিলো..? আবার এই বেটা কি বলবে..। রিসিভ করে কানে ধরতে..। কি রে তোর রাগ নাকি সব গুলো পানি হয়ে গেছে...?😄😄(হেঁসে বললো রানা) এরা মনে হয় আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে...। কি হলো চুপ করে আছিস কেন..?(রানা) তোদেরকে আমি আগে কাছে পায় তাঁর পরে দেখাবো রাগ পানি হয়ছে কি না...? ফোন কেটে দিয়ে গাড়িটা স্টার্ট  দিলাম, শালারা আমাকে নিয়ে মজা নিচ্চে, একটি বার কাছে পায় তাঁর পরে বুঝাবো...। এই দিকে রাগিণী আমাকে সারা শহর গুরাচ্ছে..।  ভাবছিলাম বিয়ার পরে একটু বউয়ের সাথে রোমাঞ্চ করবো..। রোমাঞ্চ তো দূরের কথা, ছয় সাত ঘন্টা হয়ে যাচ্ছে, এখন ও বউয়ের কাছে যেতে পারলাম না...। তাঁর পরে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম, দরজাটা দেখছি খুলা..। বাসায় ডুকে দেখি কেউ নাই...

বাসার সবাই কোথায় গেছে,?  আমাদের রুমে এসে দেখি রাগিণী নেই...। এরা সবাই কোথায় চলে গেলো.. আর দরজাটা ও খুলে রেখে চলে গেছে.। ব্যাপারটা কি..? কিছু তো বুঝতে পারছি না....

রুম থেকে বের হয়ে, কিচেনে এসে দেখি রাগিণী রান্না করছে, আমি গিয়ে রাগিণী কে জড়িয়ে ধরলাম..। রাগিনী চমকে উঠলো..। পিছনে ফিরে দেখলো...ও, তুমি.আমি তো ভয় পেয়ে গেছি...

কখন আসলে.. আর বাসায় কি ভাবে ডুকলে..? না, মানি ব্যাপাটা হলো বাসার জিনিস পত্র সব গুলো চুরে নিয়ে যাচ্ছে..। কি ভাবে আমি তো দরজা বন্ধ করে কিচেনে আসছি...।

তুমি তো বন্ধ করে আসবে, এখন কথা না বলে রান্না করো..। ও, সুগন্ধটা সেই, আজকে কি রান্না হচ্ছে...? রাতে খাওয়ার সময় দেখতে পারবে..। আমার জন্য কি আনা হয়ছে..? তারাতাড়ি দাও...।

প্রথমে রান্না করে পেলো তাঁর পরে দেওয়া হবে..। আচ্ছা তাহলে আমাকে ছাড়াে, আমি রান্না করবো..। সেইটা কখনো না, তুমি তোমার কাজ করো আমি আমার টা করি...। তোমার কাজ মানি..?(অবাকক হয়ে)

আরে তেমনি কিছু না, তুমি দেখতে পারবে তো আমি কি করছি, এত অবাকক হওয়ার কিছু নেই.. বুঝলে... তাঁর পরে রাগিণী আর কিছু না বলে রান্না করতে লাগলো, আমি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছি...।

জানি তাঁর কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে, তবো ও আমাকে কিছু না বলে কাজ করতে লাগলো..।  রাগিনী বেশি নড়াচড়া করতে দেখে, আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম..। এই কি করছো আমি ব্যার্থা পাচ্ছি...।

 আমি হেঁসে হাল্কা ছেড়ে দিলাম..।  খাবার রান্না শেষে আমি রাগিণী কানে লতিতে একটা কামড় দিয়ে চলে আসলাম রুমে। সেই চিৎকার দিয়ে বললো..। আমি কিন্তু এই শোত নিবো মনে রেখো...।

সেইটা না হয় পরে দেখা যাবে..। কিছুক্ষণ পরে রাগিণী রুমে আসলো, আমার পাশে বসে বললো, আমার জিনিস খই..?  তোমার পছন্দের খাবার কি, আমি তো জানি না। তাই আনি নাই....।

এই কথা বলতে রুমে থেকে বের হয়ে কোথায় যেনো চলে গেছে, আরে ভাই এতো রাগ করে চলে গেছে। এখন কি হবে...? একটু মজা করতে গেলাম এতো ফুলে টাইট হয়ে গেছে....।

রুম থেকে ফুচকা গুলো নিয়ে ছাঁদে আসলাম, ছাঁদে এসে দেখি রাগিণী দোলনায় পা গুলো উঠিয়ে খুব সুন্দর করে বসে আছে,  একটু একটু অন্ধকার হয়েছে,  ছাঁদে ফুলের সুগন্ধে নিজেকে মাতাল মনে হচ্ছে..।

লাইটে আলোতে দেখতে পাচ্ছি রাগিনী কান্না করছে..। আরে বাপরে এই ছোট একটা কারণে রাগিণী কান্না করছে..। রাগিণী কান্না দেখে আমার মনট খারাপ হয়ে গেছে, আমি গিয়ে তাঁর পাশে বসলাম..।

সেই আমার দিকে একবার থাকিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে পেললো..। আমি তাঁর মাথাটা ধরে আমার কাঁদে রাখলাম..। তাঁর সামনে ফুচকা গুলো রাখতে,  সেই তা দেখে আমাকে কিস করে বসলো...।

আমি তো অবাকক, এখন না এই মেয়ে কান্না করছে, হঠাৎ ফুচকা দেখার সাথে সাথে এটা কি করে বসলো...।🤗🤗🤗 ফুচকা গুলো নিয়ে খেতে লাগলো, আমি তাঁর খাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি...।

তাঁর শরীর গন্ধ টা আমাকে মাতাল করে পেলে..। জানি না রাগিণী কি পারফিউম ইউস করে..! আমি থাকিয়ে আছি রাগিণী খাচ্ছে..। এই কি হলো এই ভাবে থাকিয়ে আছো কেন..? না, দেখছি একটা মেয়ে কতটা সার্থপর হতে পারে...।

কি আমি সার্থপর..? নয় তো কি তোমার পাশে তোমার হাসবেন্ড বসে আছে, তুমি ফুচকা গুলো একা একা খেতে লাগছো..। এটা কি সার্থপর মাঝে পরে না..? না, পরে না, কিছু কিছু জিনিস কারো সাথে শেয়ার করতে নেই..।

তোমাকে একটা কোলো দেখায়..। স্বামী কে কারো সাথে শেয়ার করতে নেই..।  সো এখন আমি খাচ্ছি আমাকে ডিস্টার্ব করবে না বলে দিলাম..। ওকে ফাইন আমি ও আনছি, আমার প্রিয় খাওয়ার তাতে তোমাকে ও দিবো না..।

তাঁর পরে সেইখান থেকে উঠে চলে আছি, দরজা কাছে এসে পিছনে ফিরে দেখে রাগিণী আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে, আর মুখে মধ্যে আঙ্গুল একটা ডুকিয়ে দিয়ে...।

এই মুখ বন্ধ করো না হলে মুখে মাচি ডুকে যাবে..। মুখ বন্ধ করতে কামড় দিয়ে দিলো নিজে আঙ্গুল, আউউউউউ..। আমি দৌড়ে গিয়ে তাঁর আঙ্গুল টা ধরে দেখলাম, আঙ্গুল থেকে রক্ত বের হচ্ছে..।

আমি আঙ্গুল টা মুখে বরে নিলাম, রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে আছে, কিছুক্ষণ পরে আঙ্গুল টা বের করে দেখি রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে..। কেন যে তখন ফাজলামো করতে গেলাম..আমি ও কি না দেখে ফাজলামো করে পেলি..

সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নাই.তুমি এই ভাবে নিজের আঙ্গুল কে কামড় মারনে..। রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে বললো তুমি কেন সরি বলছো, আসলে আমার দেখে মুখ বন্ধ করা ছিলো..।

আসলে আমি সরি, আচ্ছা এখানে বসো..। তাঁর পরে দোলনায় বসলাম..। আসলে রাগবতী বাসার সবাই কোথায় গেছে..? আমি জানি না, মনে হয় কোথায়ও গিয়েছে...। চলে আসবে...

তাঁর পরে রাগিণী আমার কাঁদে মাথা দিলো, তোমার ক্ষিধা লাগে নাই..? দুপুরে তো কিছু খাও নাই..। তবে খেয়েছিলাম, এখন অবশ্য ক্ষিধা লাগছে যদি তুমি খাইয়ে দাও তাহলে খেতে পারি...।

আচ্ছা ঠিক আছে,  নিচে চলো, তাঁর পরে দুইজনে নিচে আসলাম..। রাগিণী খাবার আনতে চলে গেলো, আমি সোফায় বসে আছি..।  রাগিণী খাবার এনে আমার পাশে বসলো.. কি হলো বসে থাকবে নাকি খাইয়ে দিবে...?

কি ভাবে খাইয়ে দিবো..?(আঙ্গুল দেখিয়ে বললো) ও সরি, আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম..। তুমি আমাকে খাইয়ে দাও..?(রাগিণী) কি আর করার.. সেই আসছিলো আমাকে খাইয়ে দিতে, এখন আমাকে খাইয়ে দিতে হচ্ছে..।

 তাঁর পরে রাগিণীকে খাইয়ে দিচ্ছি, আর আমি খাচ্ছি..। খাবার শেষে রাগিণী প্লেট নিয়ে কিচেনে চলে গেছে, আমি সোফায় বসে আছি,  কিছুক্ষণ পরে রাগিণী এসে আমার কোলে বসলো..।

আমি থাকে জড়িয়ে ধরে আছি,  আচ্ছা রাগিণী ডাইরীটা মানি কি..?(ডাইরীর দেখিয়ে বললাম) সেই কিছু না আমি শুধু তোমার ভালোবাসাকে বুঝতে চেয়েছি..। তুমি বুঝতে চেয়েছো নাকি আমাকে বুঝাতে চেয়েছো..?

তুমি যেটা বুঝো সেইটা-ই..। সো এখন ডিস্টার্ব করো না তো, আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো..।  হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো,  এই সময় আবার কে আসলো..?(রাগিণী) আমি কি করে বললো..।

আচ্ছা গিয়ে দেখো কে আসছে..? তাহলে আপনি একটু আমার কোল থেকে উঠেন..। সেইটা কখনো  বলো না, আমাকে নিয়ে চলে যাও.. মনে আছে সকালে কথা, আব্বু, আম্মুকে তোমার জন্য মিথ্যা কথা বলতে হয়ছে....।

এখন আমি তোমার জন্য আর লজ্জা পেতে পারবো না..।  আচ্ছা ঠিক আছে, আর তোমাকে আমার জন্য কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে না, তাঁর পরে রাগিণী মুখ কালো করে আমার কোল থেকে নেমে গেলো..।

আচ্ছা সরি,  আর বলবো না,  তোমাকে ও নিয়ে যাচ্ছে..। আচ্ছা থাক আর আমার প্রতি দরত দেখাতে হবে না, গিয়ে দরজা খুলো, দেখো কে আসছে..। আমি ও আর কিছু না বলে দরজা খুলতে চলে আসলাম..।

এই মাগরিবের পরে কে আসলো, আচ্ছা বাসার সবাই না তো..। দরজা খুলতে গরুর মতো একটা দল বাসায় ডুকে পড়লো..। দেখতে পেলাম এই গুলো আমার বন্ধু, এই বেটা দরজা বন্ধ করে ভাবির সাথে মজা নিচ্ছিস তাই.না.?(রনি) 

চুপ শালা তোদের উপর এখন ও রাগ আছে, বেশি কথ বলবি তোদের হাড্ডি ভেঙ্গে পেলবো..। সো বেশি কথা না বলে কিসের জন্য আসলি সেইটা বল..। খুব তো আদর পাচ্ছিস...?(রানা হেঁসে বললো)

এই ফালতু কথা বলবি না, আচ্ছা আদর পায় কি নাই পাই তাঁদের তোদের কি হ্যাঁ..। বৌটা তো আমার, আমি আদর নিবো না তো কে নিবে...? তুই এই কথা বলতে পারলি রাশেল..? আমি তোর কাছ থেকে এটা আশা করি নাই..।(কান্না ভাব করে আবিদ বললো😥😥😥)

শালা রাখ তোর কমিটি, কি জন্য আসলি সেইটা বল..? আসলে ভাবি হাতে রান্না খেতে মন চাচ্ছে তাই চলে আসলাম..? দোস্ত কিছু মনে করিস নাই..।(আবির হেঁসে বললো) কেন তোরা কি আগে তোদের ভাবি হাতের রান্না খাই নাই..?

এই দেখ দেখ আমাদের প্রাণের জিগার কেমন হয়ে গেছে, তুই এটা ও বলতে পারলি, আমরা তো তখন তোর মামার মেয়ের হাতে রান্না খেয়েছি..। আর এখন আমরা এক বন্ধু বউয়ের হাতে রান্না খেতে আসছি..।

আর তুই কি না এই কথা বলতে পারলি...। কিছু বলতে যাবো তখন রাগিণী বলে উঠলো..আরে তাঁরা শুধু খাওয়ার খেতে তো আসলো নাকি..? এতে এত রিএক্ট করা কি আছে.পিছন থেকে বললো.রাগিণী কি ভাবে শুনলো..? তাঁর মানি কি পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলো..শালা ভাগ দিতে চাচ্ছি না তো..এখন ভাবি নিজে দিচ্ছে..হা হা হা (রানা কানে কানে বললো) আমার যে তখন মাথা একশত বিশ এর মধ্যে,  আমি বলে উঠলাম, তুমি এই হাত দিয়ে কি ভাবে রান্না করবে...? ভাবির হাতে কি হলো..?(রানা) তাঁর দিকে চোখ রাঙিয়ে বললাম,সেই চোখ নিচে নামিয়ে পেললো। আঙ্গুলের একটু ব্যার্থা পেয়েছি, তোমরা বসো। তোমাদের জন্য কফি আনছি ...। তাঁর পরে রাগিণী কিচেনে চলে গেছে, ওই শালা আমার বিয়ে হয়ছে এখন ও বিশ ঘন্টা হয় নাই..। আর তোরা এর মাঝে কবার হাড্ডি হতে চলে আয়লি..? কাহিনী টা কি বলতো..? আজকে বিকালে ও আমাকে ফোন করে ডিস্টার্ব করেছিস..আমি তো তোদের কাহিনী কিছু বুঝতে পারছি না.. দোস্ত সময় হলে সব কিছু বুঝতে পারবি এখন শুধু দেখে যা, আর শুনে যা, যা করছি কারো ভালো জন্য করি.. শুধু এটা মনে রাখবি..।(আবির) তাঁর মাঝে কফি চলে আসলো, রাগিণী এসে আমার পাশে বসলো..। কফি শেষে.....


part_4


কফি শেষে, আচ্ছা ভাবি এখন তাহলে আমরা আসি..?(রানা) আসি মানি খাবার খাবে না..? কি ভাবে খাবার খায়, তুমি হাতে ব্যার্থা পেয়েছো, এই হাত দিয়ে তুমি রান্না করতে পারবে না..। আর তুমি রান্না করতে গেলো ও,  আমাদের রোমিও তা সয্য করতে পারবে না, সো আজকে আমরা কিছু খাচ্ছি না. অন্য একদিন এসে পেট বড়ে খেয়ে যাবো..।(আবির) আরে এতে কিছু হবে না, রান্না সময় তোমাদের রোমিও তো আমাকে হেল্প করবে৷ সো তোমরা বসে বসে এই পক্ষং খাও, এই চলো আমার সাথে, (রাগিণী আমার হাত ধরে বললো) হ্যাঁ, ভাবির সাথে যা আর ভাবিকে রান্না কাজে হেল্প  কর..?(চোখ মেরে বললো আবিদ) শালা এই সময় আমাকে নিয়ে ভালো মজা নিচ্ছস..। সময় আমার ও আসবে তখন বুঝতে পারবি..।(আঙ্গুল দেখিয়ে বললাম) তাঁর পরে রাগিণীর সাথে কিচেনে চলে আসলাম..। এটা অর্থ কি..? কোনটা অর্থ..? তোমার হাতে ব্যার্থা আর তুমি কি না রান্না করতে আসছো..। দশজনের জন্য কি ভাবে খাবার রান্না করবে..? তুমি আসো না, আমাকে হেল্প করার জন্য..।(হেঁসে বললো) আমি তেমনি কিছু করতে পারবো না, সো তুৃমি তোমার কাজ করো আমি আমার কাজ করি...। তাঁর পরে রাগিণী কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম...। রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে হাসলো..। তো মশাই এই ভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরবে নাকি কাজে হেল্প করবে..? সেই টা মুঠে ও আমার কাছ থেকে আশা করো না, আমি শুধু এই ভাবে জড়িয়ে ধরবো...। আচ্ছা তেমার কাছে আশা করবো না ভালো কথা, কিন্তু তুমি যদি আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরো তাহলে আমি রান্না করবো কি ভাবে...?সেইটা তোমার ইচ্ছে, সো আমাকে ডিস্টার্ব না করবে ভালে হবে...।

আচ্ছা ঠিক আছে,আচ্ছা আমাকে ছাড়াে ফ্রিজ থেকে মাংস গুলো আনতে হবে। তোমাকে কোথাও যেতে হবে না, আমি করছি কাজ গুলো, সো তুমি শুধু এই ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করবে, আমি কিচেন থেকে বের হয়ে, বন্ধু পাশ দিয়ে যেতে, রাশেল মজা তো ভালো নেওয়া হচ্ছে..? (রানা) মজা! কার কাছ থেকে মজা নেওয়া হচ্ছে শুনি...? কেন ভাবি কাছ থেকে তো মজা নিচ্ছিস, তা তো আমরা ভালো করে দেখতে পারছি...।(রানা) (তাঁর মানি কি এঁরা  সব দেখে পেলেছে..?) কি হলো চুপ করে আছিস কেন..?(রানা) কার সাথে মজা করলাম..। কেন ভাবির সাথে তো মজা করলি.. তাঁর মানি কি আমি তোর ভাবির সাথে মজা করতে পারবো না...? তা, না, মজার করা একটা টাইম আছে তো, তুই যদি এই অফ সময় মজা নিস তাহলে তো সবাই তোকে বলবে...?(আবিদ হেঁসে বললো) সেইটা আমার দেখলে চলবে না, সো তোরা টিভি দেখ আমি আমার কাজ করি, হয়ছে ভাই তোকে আর বলতে হবে না, আমি ও বিয়ে করবো তখন বুঝতে পারবি৷ (রানা কান্না ভাব নিয়ে বললো) ও আচ্ছা তাহলে বিয়েটা কখন হচ্ছে..? সেইটা তোকে বলতে যাবো কেন..তুই শুধু সময়ের উপর ভরসা করে যা,  হয়ছে শালার পাম খুর, রাশেল তোর কি লবণ লাগবে..?(আবির) what's, লবণ!🤧 লবণ দিয়ে আমি কি করবো...? এই আবির তুই কি পাগল হয়ে গেছি, দেখছি না আমাদের রাশেল কালকে রাতে কত গুলো লবণ খায়ছে, তুই বলছি আরো লবণ নিতে...?(রানা আমার দিকে থাকিয়ে আবিরকে বলে সবাই হাসতে লাগলো)

শালারা আমাকে নিয়ে ভালো মজা নিচ্ছে, এই থাম, না হলে মুখে মাছি ডুকে যাবে, তোরা কিসের কথা বলছি ভালো করে বুঝতে পেরেছি..?😥😥😥 কিন্তু আমার কপালে এই সব নেই মনে হয়,আর তোরা ও কখন থেকে গাঁধা হয়ে গেলি...?

আমরা কখন গাঁধা হলাম..?(সবাই অবাকক হয়ে বললো) এত অবাকক হওয়ার কিছু নেই, তোরা সবাই ভেবে দেখ তাঁর পরে খুঁজে পাবি..। এই বলে  ফ্রিজ থেকে মাংস গুলো নিয়ে রাগিণীর কাছে চলে আসলাম..।

দিলাম এদের একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে, এঁরা এটা নিয়ে কনফিউশানে পড়ে থাকবে, কি হলো মাংস গুলো নিয়ে কি এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি আমাকে  মাংস গুলো দিয়ে হেল্প করবে...?(রাগিণী কথাটা বলে উঠলো, আমি তখন ও ভাবনায় ছিলাম)

ও হ্যা, এই নাও মাংস গুলো, আচ্ছা কালকে এত গুলো মাংস ছিলো এই গুলো কোথায়..? সেইটা আমি কি ভাবে জানবো..। এখন কথা না বলে আমাকে হেল্প করো, আমি হেল্প করতে পারবো না, আমার কাজ যেটা সেইটা-ই করবো...।

তাঁর পরে রাগিণী কে জড়িয়ে ধরলাম, আমি বাইরে উঁকি দিয়ে দেখলাম, এরা ও ভাবনার জগতে আছে, কি হলো এই ভাবে বাইরে উঁকি দিচ্ছ কেন..? একটা ব্যাপার দেখ ছিলাম...।

তাঁর পরে রাগিণী আর কিছু বলছে না, তাঁর পরে রান্না শেষ করে, সবাই বসে খাবার খেলাম, সবাই বললে ভুল হবে, রাগিণী খাবার খাই নাই, বাসার সবার জন্য অপেক্ষা করে আছে, বন্ধুরা অনেক করে বলেছে, কিন্তু তবো ও খাচ্ছে, 

পরিশেষে আমি বসে তাঁদের সাথে খাবার খেলাম, আমার পেটে কি এত গুলো খাবার হজম হবে, একটু আগে ও খাবার খেয়েছি, আর এখন এদের সাথে ও খাবার খেতে হচ্ছে, এরা আমাকে কি পায়ছে আমি নিজে ও জানি না...।

কি হলো খাবার না খেয়ে কি ভাবছো..?(রাগিণী কাঁদে হাত দিয়ে বললো) না কিছু না,  তাঁর পরে অল্প করে খাবার খেয়ে উঠে গেলাম, কি হলো খাবার না খেয়ে উঠে গেলি কেন..? আমাদের উপর কি রাগ করেছিস...।(আবিদ মুখটা কালো করে বললো)

তোদের উপর রাগ করতে যাবো কেন..? আসলে আমরা আজকে আসতে চাই না,ব্যাপারটা কি জানিস, আসলে এই দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম, তোর আর ভাবি শব্দ শুনে  আসলাম..।

তোর সাথে খাবারের কথাটা ফান করে বলেছিলাম, আর তখন ভাবি শুনে পেলে, তার পরে কাহিনী তো তুই ভালো করে জানি, আচ্ছা তোদেরকে কষ্ট দিয়ে থাকলে সরি..। ওই ফকিন্নি তুই কি আমার বন্ধু..?

কেন কোনো ডাউট আছে নাকি...? শালা ফকিন্নি বন্ধুদের মাঝে কি সরি ধন্যবাদ এই সব শব্দ আছে...। না, মানি আসলে ইমোশনাল হয়ে গিয়ে ছিলাম তো তাই বলে পেলেছি..। ও আচ্ছা তাহলে বাছাধন প্রথমে খাবার গুলো খেয়ে নাও তাঁর পরে কথা হবে...?

আমার কথাটা কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে..?(রানা) তোর আবার কি কথা হারিয়ে যাচ্ছে..? তুই খাবার না খেয়ে উঠে গেলি কেন..? কই খাইছি তো..। এক লোকমা কেউ খাবার খায়..। আসলে তোরা কিছু ভাববি তাই আল্প খাবার খেয়েছি..

আমি তোরা আসার একটু আগে খাবার খেয়েছি..। সেই জন্য আর কিছু খেতে পারছি না..। সেইটা নাকি অন্য কিছু...?(রানা) আমাকে বিশ্বাস না করলে তোর ভাবিকে জিজ্ঞেস করল..

?

 হুম তাই করতে হবে, ভাবি রাশেল যা বলছে তা কি সত্যি..? রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে একটা শয়তানি হাসি ছিলো, তাঁর মানি কি রাগিণী বন্ধুদেরকে মিথ্যা কথা বলবে..?  কি হলো ভাবি বলো...

হ্যা, সেই সত্যি কথা বলছে, ও আল্লাহ বাঁচা গেলো, এর তো ভাব মূর্তি ভালো দেখা যাচ্ছে না..। এই তো সিনিয়ার মেয়ে বিয়ে করলে এই একটা জ্বালা, তাঁদের কে ভালো ভাবে, ঝাড়ি দিতে পারে না..।

তাঁদের কথা মতো চলতে হবে, বলতে গিলে তাঁর স্বাধীন একেবারে নেই, আজকে মতো বেঁচে গেলি..। তাঁর পরে তাঁরা সবাই খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বসলো, আচ্ছা ভাবি তাহলে আমরা আসি....।(সবাই বললো)

আচ্ছা ঠিক আছে, তাঁর পরে সবাইকে রাস্তায় দিয়ে আসলাম, মামা একটা খেলা আসে..।(আবির) কখন.. কালকে, তোকে কিন্তু রেডি থাকতে হবে, ও আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু আমার বাজেট কত...?

সেইটা সময় হলে জানতে পারবি..?(রানা) ও আচ্ছা তাহলে আমি ও সময় হলে খেলতে আসবো, সো আমাকে আর ডিস্টার্ব করবি না...? আমি পিছনে ফিরে চলে আসতে যাবো তখন রানা আমার সামনে আসলো..।

দোস্ত, দোস্ত,  আসলে আমার আসার কারণ হলো এটা, তাহলে শালা এত কাহিনী না করে তো আমাকে তখন বাসার ভিতরে বলতে পারতি..? মিথ্যা কাহিনী বলার কি দরকার ছিলো..।

ভাবি শুনলে খবর  ছিলো, আচ্ছা বল আমার বাজেট কত..? বলতে গিলে ট্রিট অনেক গুলো আছে, কিন্তু তোর পার্সোনাল ট্রিট হলো, টেন...। ও আচ্ছা তাহলে মনে কর, মেসটা জিতা গেছস...।

কালকে ঠিক মতো চলে আসবি, আর তোর ব্যাট আমরা নিয়ে আসছি বাসা থেকে..। ওরে বেড়া তোরা তো অনেক ফাস্ট হয়ে গেছিস..? ফাস্ট না হয়ে কি আর পারি, তোর বউটা যে একটা রাক্ষসী..?(রানা) 

শালা তুই কি বললি, আমার বউয়ের না, এত বড় কথা, দোস্ত, সরি আসলে মুখ থেকে বের হয়ে গেছে..। আমি ভাবতে পারছি না তুই একদিনে বউয়ের বক্ত হয়ে গেলি...? (আবির) 

তোরা কি ফাজলামো করতে থাকবি নাকি বাসার দিকে যাবি..?(রবিন) ও আচ্ছা চল, কালকে সময় মতো মাঠে চলে আসবি, আচ্ছা ঠিক আছে,  তাঁর পরে সবাই চলে গেছে, আমি ও বাসায় চলে আসলাম..।

এতক্ষণ পর্যন্ত বাইরে কি করছিলে..?(রাগিণী)  তাঁরা চলে যাচ্ছে তাই একটু কথা, বললাম, আচ্ছা  বাসার সবাই কোথায় গেছে..? জানি না, আমাকে বললো কিছুক্ষণ পরে চলে আসবে, এখন দশটা বাজে এখন ও আসছে না..।

ফোন করো নাই যে, করছিলাম তাঁরা নাকি আসতেছে...। আচ্ছা নাবিলা ও গিয়েছে..? হুম, গেছে, কিন্তু তুমি নাবিলা কথা জিজ্ঞেস করছো কেন..?(চোখ রাঙিয়ে বললো)

আরে এই ভাবে তাকিয়ে আছো কেন..? এমনি জিজ্ঞেস করছি..। কিছুক্ষণ দুইজনে বসে টিভি দেখলাম, এক ঘন্টা পরে আম্মু আব্বু আসলো, তাঁদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম..।

রাগিণী আব্বু আম্মু সাথে গল্প করছে..। আমি বিচানায় এসে শুয়ে পড়লাম, কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারি নাই..। সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখতে পেলাম আমি রাগিণীকে জড়িয়ে ধরে আছি...।

রাগিণী চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে, কিন্তু শরীর থেকে তাঁর প্রিয় পারফিউমের সুগন্ধি সারা রুমে ঘুড়তেছে..। আমি রাগিণী দিকে থাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানি না..।

রাগিণীর ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো,  এই যে মশাই কয়টা বাজে খবর আছে..?(চার কাপ হাতে নিয়ে বললো) হবে আটটা নয়টা, হু, এখন এগারো টা বাজে, তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠো..।

তাঁর পরে বিচানা থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে চাটা খেলাম, বাসায় আসরের আজান পর্যন্ত থাকলাম, যখন বের হতে যাবো তখন রাগিণী ডাক দিলো..। কোথায় যাচ্ছ..? এই তো একটু বাইরে যাচ্ছি.. 

আচ্ছা ঠিক আছে, তারাতাড়ি চলে আসিও..। তাঁর পরে সেইখান থেকে বন্ধুদের কাছে চলে আসলাম।

শালা তোর আসতে এতক্ষণ লাগে..?(রানা) কথা না বলে নেমে যা..। তাঁর পরে খেলাটা জিতে একে বারের মাঠ থেকে বের হলাম..।

আমার টাকা দেয়..? এই নে টাকা, এখানে কত আছে..? নিজে গুনে দেখ..। এখানে তো আট হাজার,  হুম আর দুই হাজার আমাদের জন্য..। আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার নিছস যে ওই গুলো কি তোর আব্বু দিবে আমাকে..?

তোর কাছ থেকে কখন পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছি..? আমার বাজেট ছিলো পনেরো হাজার টাকা, তাঁর মানি তোরা পাঁচ হাজার হজম করলি, আর আমার কাছ থেকে ও দুই হাজার হজম করলি...।

সো, এখন আমাকে কি করতে হবে বল..? তোকে কিছু করতে হবে না, এই নে তোর সাত হাজার টাকা.কিন্তু এটা বল তোকে এই খবর কে দিয়েছে..?(আবির) কে আর দিবে যে আমাকে নিয়ে বাজেট ধরছিলো সেই নিজে-ই তো বললো..।

এই নে তোদের পাঁচ জনের জন্য দশ টাকা এই গুলো দিয়ে কিছু খেয়ে নিস..? কি আমাদের জন্য দশ টাকা, হুম তোদের জন্য দশ টাকা যদি মিথ্যা কথা না বলতি তাহলে পেয়ে যেতি কিছু টাকা..।

সেইখান থেকে চলে আসলাম, বন্ধুরা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে..। ইয়াও আজকে পনেরো হাজার টাকা হাতে আসলো..। অনেক দিন পরে টাকা গুলো হাতে পেলাম..

ইচ্ছে মতো মার্কিটিং করে,  রাতে দশটা বাজে বাসায় আসলাম, ফোনটা ও বাসায় রেখে আসলাম, তাঁর জন্য মনে হয় রাগিণী ফোন দিতে পারে নাই..। বাসায় এসে কলিং বেল দিতে আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো..।

দরজা খুলে বলতে লাগলো, সেই আসরের আগে গিয়েছিলি..। রাতের দশটা বাজে বাসায় আসলি..।  আর ফোন কেন বাসায় রেখে গিয়েছি..? আরে মা বাইরে রেখে কি বকা দিবে নাকি ভিতরে আসতে বলবে...?

ভিতরে আয়, তাঁর পরে ভিতরে এসে দেখি, মা, আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কি হলো আম্মু সামনে কেনো দাঁড়িয়ে আছো..? সরু আমি ফ্রেশ হবো..তাঁর পরে আম্মু আমাকে একটু সাইড দিলো আমি সেইখান থেকে চলে আসলাম..।

রুমে ডুকে দেখি রাগিণী বিচানায় শুয়ে আছে..। আমি বাথরুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম..কি হলো রাগিণী এই ভাবে শুয়ে আছো কেন...? তুমি কি খাবার খেয়েছো...? রাগিণী চুপ করে আছে..

আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না..। আমি গিয়ে রাগিণী পাশে বসলাম.রাগিনী চুপ করে শুয়ে আছে, আমার সাথে কথা ও বলছে না..। তাঁর মানি কি রাগিণী ঘুমিয়ে গেছে....? হতে ও পরে..

আমি বিচানা থেকে উঠে আম্মু কাছে চলে আসলাম..। আম্মু রাগিণী কি খাবার খেয়েছে..? সেই তুই নিজে গিয়ে জিজ্ঞেস কর..।(কথাটা বলে আমার সামনে থেকে চলে গেছে) এটা কোন ঝামেলা পড়লাম রে..আবার নিজে রুমে এসে রাগিণী শরীর ধাক্কা দিয়ে ডাকলাম..।  এতে ও রাগিণী উঠার কোনো নাম গন্ধ নেই, এই মেয়ে কি আমার উপর রাগ করলো নাকি....?কেন যে তখন বাইরে থেকে গেছি, আমি ও গিয়ে রাগিণী পাশে শুয়ে পড়লাম..রাগিণী উঠো আমি ও খাবার খায় নাই..। তুমি উঠলে তোমার সাথে খাবো..। আমি খাবার খাবো না..।(রাগিণী ঘুম ঘুম চোখে বললো

কেন খাবার খাবে না..? আমার খেতে মন চাচ্ছে না..। তুমি না খেলে আমি ও খাবো না, এখন উঠো খাবার খাবো..। এবং তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ ও আছে...উঠো, তাঁর পরে রাগিণী কে উঠিয়ে বাথরুমে নিয়ে গেলাম..। রাগিণী কিছু না বলে চুপ করে আছে..কি হলো দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি ফ্রেশ হয়ে নাও, রাগিণী চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে..আমি রাগিণী মুখ দুয়ে দিয়ে বিচানায় নিয়ে আসলাম..। এই নাও তোমার ফুচকা.. এই গুলো বসে বসে খাও আমি খাবার আনছি...। রাগিণী আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে, আমি বুঝতে পারছি রাগিণী কিছুটা রাগ ও করেছে...। আমি তাঁর দিকে থাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে কিচেনে এসে আম্মুকে ডাক দিলাম, আম্মু এসে খাবার দিলো, আমি খবার নিয়ে এসে, বসে আছি, রাগিণী ফুচকা খাচ্ছে, ফুচকা খাওয়ার শেষে দুই জন খাওয়ার খেলাম...। রাগিণী চুপ চাপ শুয়ে পড়লো, আমি তাঁর এই আচরণে কিছু বুঝতে পারছি না..তাঁর মানি রাগিণী আমার উপর রাগ করে আছে.......


part_5


তাঁর মানি রাগিণী আমার উপর রাগ করে আছে..? কিন্তু সেই রাগ করে কেন থাকবে..? হয়তো বা রাগিণী চোখে ঘুম আছে, তাই ঘুমিয়ে গেছে.। আমি ও শুয়ে পড়লাম, রাগিণী কে জড়িয়ে ধরে, কখন ঘুমিয়ে গেছি নিজে ও জানি না..। সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন দেখতে পেলাম রাগিণী আমার পাশে নেই, আজকে চাও আনে নাই..। আমি শিওর রাগিণী আমার উপর রাগ করে আছে..। এর যে রাগ ভাঙ্গতে হবে। এতে তাঁর রাগ এত সহজ ভাঙ্গে না..। আমি বিচানা থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে বসলাম, বাগানে দেখতে পেলাম রাগিণী একা বসে আছে, আমি গিয়ে তারা পাশে দাঁড়ালাম, সেই তাঁর নিজের মতো সামনে থাকিয়ে আছে..। আমার দিকে একবার ও থাকায় নাই...। কেন যে প্রেম করে বিয়ে করতে গেলাম..নিজে ও জানি না..তাঁর উপর আরো আমার সিনিয়ার....। রাগিণী আমার জন্য চা নিয়ে আসো তো...? চুপ চাপ বসে আছে, আমার কথায় কোনো কর্ণপাত নেই..। বুঝি না একটু দেরি করে বাসায় আসার জন্য এত রাগ করতে হয় নাকি...? কি হলো আমি কি বলেছি..নিজে গিয়ে খেয়ে আসো...?(নিচে দিকে থাকিয়ে কথাটা বললো) আচ্ছা রাগিণী তোমার কি হয়েছে বলো তো, কালকে রাত থেকে আমার সাথে ভালো ভাবে কথা বলছো না..? আমি কি তোমাকে কিছু বলেছি...? চুপ করে আসে..। কি হলো কিছু বলছো না কেন....। তুমি কি কালকে ক্রিকেট খেলোছো..?(আমার চোখের দিকে থাকিয়ে বললো) তাঁর মানি কাহিনী টা এখানে.. ও নো রাগিনীকে এই গুলো কে বলেছে...? নীলা বলে নাই তো..?(কিন্তু নীলা তো ওখানে ছিলো না, তাহলে রাগিণী এই কথা কে বলেছে...। কি হলো চুপ করে আসো কেন...? আমার কথার উত্তর দাও...।  তুমি খেলোছ কি না সেইটা আমাকে বলো...।

আসলে বন্ধুরা অনেক করে বলেছিলো তাই তাঁদের সাথে খেলতে গিয়েছিলাম..। তাহলে তুমি আমাকে মিথ্যা কথা বলে কেন গিয়েছিলে...?(চোখ লাল করে বললো) আসলে হয়েছে কি.... কি হয়েছে আম্মু রাশেল কালকে কোথায় গিয়েছিলো..?(পিছন থেকে আব্বু বললো) আমি পিছনে ফিরে আব্বুকে দেখে ভয় পেয়ে গেলাম..। রাগিণী চোখে চোখ বললাম প্লিজ আব্বুকে বলো না..? তুমি যা বলবে তাই করবো..। জানি না রাগিণী বুঝছে কি না..যদি আব্বুকে বলে তাহলে আমার খাওয়া বন্ধ বাসায়..তিন বছর আগে ও একদিন রাতে দেরি করে আসছিলাম..সেই দিন ও আমাকে পুরো চার দিন খাওয়ার খেতে দেয় নাই..। পরে আম্মু আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে খাওয়ার দিয়েছিলো..। এখন যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে তো আর বলতে হবে না..। আসলে আব্বু বন্ধু নাকি বাড্ডে পার্টিতে গিয়েছিলো তাই আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো..?(রাগিণী চোখ লাল করে আমাকে বললো) আর যেনো এই রকম ভুল করবি না..।(আব্বু) ঠিক আছে আব্বু। আম্মু আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে আসো তো..। তাঁর পরে রাগিণী আমার হাতটা ধরে আমাকে বাসার ভিতরে নিয়ে আসলো..। দোওয়ালের সাথে এক করে বললো আমাকে কষ্ট দিতে তোমার ভালো লাগে তাই না..?(রাগিণী কান্না করে বললো) সরি, রাগিণী আর হবে না, থাকে জড়িয়ে ধরে..। তোমাকে না বলেছিলাম এই সব খেলা খেলবে না..?(বুকের ভিতর থেকে বললো) সরি, আর খেলবো না, তাঁর মুখ ধরে তাঁর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম..। হুম, মনে তাকে যেনো..। তাঁর পরে রাগিণী আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে আমি হাতটা ধরে আমার দিকে টান দিলাম..। রাগিনী এসে আমার বুকে পড়লো..। এই একদম দুষ্টুমি করবে না...? তা তো আমি শুনছি না...এ........মুখটা বন্ধ করে দিলাম..অনেক লম্বা একটা লিপ কিস করলাম...।

ছেড়ে দিয়ে যখন রাগিণী দিকে তাকালাম, রাগিনী আমার দিকে থাকিয়ে হাসলো, তাঁর পরে কিচেনে দিকে দৌড় দিলো, আমি ও সেইখান থেকে চলে আসলাম, একদিন পরে, রাগিণী বাসা থেকে আমাদের নিতে আসলো..।

দুই জন রেডি হয়ে শশুরের বাসার দিকে রওনা দিলাম.। কিছুক্ষণ পরে চলে ও আসলাম..। মামা, মামির সাথে কথা বলে রাগিণী রুমে এসে ফ্রেশ  হয়ে রেস্ট নিলাম..। কিছুক্ষণ পরে আমার কাছে রাগিণী আসলো..

কিছুক্ষণ পরে আমার বান্ধবীরা আসবে, সো কেয়ারফুল আমি যদি দেখি তাঁদের সাথে হেঁসে কথা বলছ তাহল তোমার খবর আছে বলে দিলাম। এই বলে রুম থেকে চলে গেলো...।

এটা কি হলো, কিছুক্ষণ পরে কাজে বেটি আসলো..। কি করছো ভাইয়া..? কি আর করবো চার দেওয়ালে বন্ধি হয়ে বসে আছি, আচ্ছা তোর আপুকে একটু আসতে বলতো...। আচ্ছা ঠিক আছে, 

তুমি এই গুলো খেয়ে বসো, রাখ এই দিকে তোকে যেটা বললাম সেইটা করল...? তাঁর পরে সেই রেখে চলে গেলো, কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আসলো..কি হলো আমাকে কেন ডাকলে...?

তোমার বন্ধবীদেরকে না আসতে বললো..। কেন..?(অবাকক হয়ে) আমি যদি তাঁদের সাথে কথা না বলি তাহলে তাঁরা কি ভাববে..? সেটা তোমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না..। ও আচ্ছা তাহলে বাইরে চলে যায় তুমি তাঁদের সাথে কথা বলো..।

নাবিলা কোথায় নাবিলাকে আসতে বলো..।  নাবিলাকে কিসের জন্য..?(চোখ লাল করে) থাক তোমাকে ডাকতে হবে না, আমি একা-ই ঘুরে আসতে পারবো..। তুমি এখন কোথাও যাচ্ছ না..।

চুপচাপ আমার রুমে বসে থাকো..। আমি যতক্ষণ আসছি না, ততক্ষণ বসে থাকবে.. তাঁর পরে রাগিণী রুম থেকে বাইরে চলে গেছে, শালা একটা ফোন আছে সেইটা ও বাটম ফোন, রাগিণী যেইটা দিয়েচিলো সেইটা আর খুঁজে পাচ্ছি না..। তাঁর চেয়ে রাগিণীর ফোনটা কোথায় দেখি...?

ফোন করে দেখি..। ফোন দেওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করে পেললো..। কি হলো এখন না দেখা করে আসলাম..। আমাকে না দেখলে কি মন বরে না তোমার..? (ছোট ছোট করে বললো) মনে হয় পাশে কেউ আছে..।

আসলে তোমার ফোনটা লাগবে সেই জন্য ফোন দিলাম..। আচ্ছা বসো আমি আসছি, তাঁর পরে ফোনটা কেটে দিলাম..। একটু পরে আমার কাছে এসে ফোনটা দিলো, আচ্ছা পাঁচওয়াড কি...? ভেবে দেখো আমার সব চেয়ে প্রিয় কি...।

এই বলে রাগিণী রুম থেকে চলে গেছে, যাওয়ার সময় আমার জন্য সুন্দর একখান হাসি দি গিয়ে..। আমি তো তাঁর হাসি দেখে পাগল হয়ে গেছি..। শালা পাঁচ ওয়াডটা ও বলে যায় নাই...।

ফুচকা টাইপ করলাম, খুললো না, তাঁর পছন্দের  কি কি সব গুলো দিলাম কিন্তু খুললো না। হঠাৎ মাথায় আসলো, আসলে তো আমার নামটা টাইপ  করা হয় নাই, তাঁর পর টাইপ করতে খুলে গেলো, আরে ওয়ালপেপার তো আমার ছবি, আরে এটা তো আমার ঘুমান্তু ছবি...।

রাগিণী এটা কখন উঠালো..? আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না..। তাঁর পরে ফোনটা নিয়ে কিছুক্ষণ এফ বি ইউস করলাম, এখানে তো সব গুলো আমার আর রাগিণী পিক..।

তা ও আবার অনলি মি করে দেওয়া..। আমাকে রাগিণী এতটা ভালোবাসে..। কিছুক্ষণ পরে রাগিণী এসে বললো কি হলো এখন ও খুলতে পারো নাই..? (হেঁসে বললো) না, মানি একটা কাজ আছে, এই দিকে আসো তো..।

রাগিণী আমার কাছে আসতে আমি টান মেরে বুকে নিয়ে আসলাম, শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম..। ওয়ালপেপারের এটা কখন দেওয়া হয়ছে..? আর ছবিটা কখন উঠালে..? রাগিণী এসে বললো, একদিন বাসায় গিয়ে দেখি..

তুমি ঘুমিয়ে আছ, তখন তোমাকে দেখতে সুন্দর লাগছিলো, তখন ছবিটা উঠিয়ে ছিলাম..। তাঁর মানি ছুরি করে আমার পিক উঠানো হয়েছিলো..। তাঁর জন্য তোমাকে শাস্তি দিতে হবে...? তুমি যে শাস্তি দিবে আমি তা মাতানত করে নিবো...।

 রাগিণীর ঠোঁট দুইটা আমার ঠোঁট নিয়ে এক করে পেললাম, হঠাৎ কারো আসার শব্দ পেলাম..। সরি, সরি আমি কিছু দেখি নাই..?(চোখে হাত দিয়ে নাবিলা বললো)

রাগিণী আমার কোল থেকে উঠে বাথরুমে দৌড় দিলো..। তুই কি আসার আর সময় পেলি না..? আমি কি ভাবে জানবো তোমরা এই সময় রোমাঞ্চ করছো.. আমার না এখন বিয়ে করতে মন চাচ্ছে তোমার এই গুলো দেখে..?(আমার পাশে বসতে বসতে বললো)

ও আচ্ছা তাহলে দাঁড়া আমি মামা মামিকে বলে তোর বিয়ে করিয়ে দিচ্ছি..। এই না, থাক তোমাকে আর কষ্ট করে উঠতে হবে না..। আমি আমারটা দেখে নিবো তুমি তোমারটা দেখো..

ও আচ্ছা তাহলে ভালো তুমি এটা বলো, এখানে কেন আসলে তুমি..? আসলে তুমি একা একা বসে আসো ভেবে আসছিলাম, আর এসে এই ঘটনা টা ঘটিয়ে দিলাম.. এতক্ষণ যখন একা একা বসেছিলাম..।

তখন তো কেউ আসে নাই, যখন বউয়ের সাথে একটু রোমান্টিকতা করতে যাচ্ছি, তখন তুই এসে কবার হাড্ডি হয়ে গেলি..কাজটা কি ঠিক করলি..? আচ্ছা ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি..এই বলে নাবিলা চলে গেলো..।

আমি বাথরুমে গিয়ে রাগিণী কে ডাক দিলাম..।৷ রাগিণী নাবিলা চলে গেছে এখন বের হও..? আগে দরজাটা লক দাও.. ইয়াও তাঁর মানি বউয়ের সাথে আবার রোমাঞ্চ করতে পারবো...।

খুশি মনে গিয়ে দরজা লক দিয়ে বিছানায় এসে বসলাম.. রাগিণী বাথরুম থেকে এসে আমার পাশে বসে, আমার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে কি যেনো মুছলো..। তুমি ও না দরজা বন্ধ করে করতে পারো না...

আমি আবার কি করলাম..? তুমি তো দরজা খুলে রেখে আসলে...। দেখো নাবিলা এখন আমাদের নিয়ে কি ভাবে..? সেই কি ভাববে সেইটা আমরা ভেবে লাভ কি, আমরা তো আর অবিবাহিত না..।

সো, আমাকে আমার কাজ করতে দাও..। এই এখন আর না..?(মুখে আঙ্গুল দিয়ে বললো) আমি কিন্তু এখন ও তুমি কিসটা অনুভব করতে পারি নাই..। প্লিজ একটা, এই না, রাগিণী উঠে চলে যাচ্ছে...

আমি হাত ধরে আবার টান মারলাম..। এই বার এসে সোজা আমাকে নিয়ে বেডে পড়ে গেছে..। আমি যখন কিস করতে যাবো, তখন রাগিণী আমাকে থামিয়ে বললো..দেখো রাশেল আমাদের পড়া লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত...।

আমরা কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাই না..। আমি তো জাস্ট একটা পাপ্পি চাইছি..এর বেশি কিছু না তো..? মানুষ এটার দ্বারা তো অন্য কাজে লিপ্ত হয়ে যায়.. আমি ও আর কিছু বললাম না চুপ করে শুয়ে আছি..

রাগিণী আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেডে বসে পড়লো..।  আমি নিজের মতো করে শুয়ে আছি, সেই আমার দিকে থাকিয়ে বললো, কি হলো মন খারাপ, দেখো আমার দুইটা বছর ধৈর্য ধরতে পারলে, 

তাহলে আমাদের জীবনটা ভালো ভাবে পরিচলনা করতে পারবো, আমরা তো আমাদের জীবনটাকে উজ্জ্বল করতে চাই, না, ঠিক আছে, আমি নিজে দরে রাখার চেষ্টা করবো.. এখন তো একটু হাসো..।

রাগিণী আমার কথা শুনে হেঁসে দিলো, তাঁর পরে আমি নিজে যতটা পারি ধরে রাখার চেষ্টা করি..। এক সপ্তাহ পরে রাগিণীদের বাসা থেকে চলে আসলাম..। কিন্তু একটা কাজ এখন ও ছাড়তে পারি নাই..

রান্না করার সময় রাগিণীকে জড়িয়ে ধরি, কিন্তু এই সপ্তাহ একবার ও ধরতে পারি নাই..। দুইজনে আবার কলেজে যেতে লাগলাম, প্রতিদিন দুইজনে এক সাথে কলেজে যায়, এক সাথে কলেজ থেকে আসি..।

খুব ভালো করে দুইজনে মিলে মিশে চলছি, দুই মাস পরে আমার সুখের সংসারের পটল ধরিয়ে দিলো..। একদিন রাতে বাসায় এসে দেখি বাসার সবাই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে, তাঁদের সাথে মামা মামিকে দেখলাম...।

আমি রুমে ডুকে বললাম, কি হলো তোমরা সবাই এই রকম করে বসে আছো কেন..? আব্বু বসা থেকে উঠে ঠাসসসসসসসসস ঠাসসসসসসস..। আমি মুখে হাত দিয়ে অবাকক হয়ে দাঁড়িয়ে আছি...।

আমি ভাবতে পারছি না আব্বু আমাকে মারছে, কখন তো আব্বু আমার গায়ে হাত উাঠায় নাই, তাহলে আজকে কি এমন কাজ করেছি যে আব্বু আমাকে মারতে বাধ্য হলো...? ঘুড়ি দিকে থাকিয়ে দেখি এখন সাতটা..

আজকে তো দেরি করে ও বাসায় আসি নাই..। আব্বুর সাথে আর কথা না বলে আম্মু কাছে গিয়ে বললাম, কি হয়েছে আম্মু...? ঠাসসসসসসস ঠাসসসসসস আরো দুইটা আমার মুখে পড়লো...।

রাগিণী কি হয়েছে, আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না..। তার হাতে যত শক্তি ছিলো তা দিয়ে আমাকে একটা থাপ্পড় দিলো..। আমি থাপ্পড় টা খেয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলাম..আমার সাথে কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছি না

মাথাটা ঝিম ধরে গেছে, কান দিয়ে মনে হচ্ছে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে, চোখটা যেনো ঝাপসা হয়ে গেছে, ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে, রাগিণী ছাড়া বাসার সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেছে...।

আমি কি দেয় নাই তোকে, তোকে শুধু একটা কাজ থেকে বঞ্চিত করেছি, সেইটা তোর নিজে ভালো জন্য, তোর যদি মেয়েদের শরীর এত দরকার ছিলো তাহলে আমাকে একটু বলতি...।

আমি তোকে আমার শরীর উজাড় করে দিতাম কেন তুই আমার মন নিয়ে চিনি মিনি করেছিস..? এই ছিলো তোর ভালোবাসা আমার প্রতি, তুই তো আমার মনকে ভালোবাসি নাই..।

তুই আমার শরীরকে ভালোবেসেছিলি..।  ছিঃ ছিঃ তুই এতটা খারাপ হবি তা আমি ভাবতে ও পারি নাই..। (রাগিণী কান্না করে কথা গুলো বললো) তুই তো এখন কিছু বুঝতে পারবি না..

আজকে থেকে যেনো তুই আমার সামনে ও আসবি না..? রাগিণী তুমি মনে হয় কোথাও ভুল করছো..। ভুল তো তখন করেছিলাম যখন তোমাকে বিয়ে করেছিলাম.।এখন আমি তোর কাছ থেকে ডিভোর্স চাই...

কথাটা যেনো আমার বুকে তীরের মতো লাগলো..। কি হয়েছে রাগিণী তোমরা আমার সাথে এমন করছো কেনো..? প্লিজ আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে প্লিজ আমাকে বলো আমি ভুলটা শুধরানোর চেষ্টা করবো...। শুধু শুধু আমাকে কষ্ট দিও না... আমি তো তোমাকে ভালোবাসি প্লিজ বলো আমার ভুলটা কি...? চুপ কর তোর ওই মুখে ভালোবাসা শব্দ টা মানায় না..। আসলে ভুলটা-ই আমার ছিলো নীলা কথা ধরে তোকে ভালোবাসতে আসছিলাম..। আমি নিজে ও জানি না, এর পরে রাগিণী কান্না করতে করতে চলে গেলো..। আমি ফ্লোরে বসে পড়লাম, আমি ভাবতে পারছি না, আমার ভুলটা কি...? আমার জানা মতো তো কোনো ভুল করি নাই...। চোখ দিয়ে অশ্রুকণা ঝড়তে লাগলো, কি হলো তুই এখন ও বাসা থেকে বের হলি না..। তোর মতো ছেলে আমাদের দরকার নেই..আব্বু আমার কলার ধরে দরজার বাইরে বের করে দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলো, আমি চুপচাপ কান্না করে যাচ্চি, আমার মাতায় একটা কথা, আমি এঁদের কাছে হঠাৎ পর হয়ে গেলাম কেন..? আমি তো কাউকে কিছু বলি নাই..। তাহলে আমার সাথে বাসার সবাই এই রকম বিহেভ করছে কেন..? আচ্ছা আমি কি স্বপ্ন দেখছি..? হয় তো বা, স্বপ্নের জগতে চলে আসছি তাই এমন লাগছে..। এখন সব গুলো টিক হয়ে যাবে..। হঠাৎ আমার চোখের পানি পায়ে পড়তে বুঝতে পারলাম..আমি কোনো স্বপ্ন দেখছি না,আমার সাথে যা ঘটনা ঘটে গেলো সব গুলো ঘটে গেলো..। কিন্তু এইটা আমার উপর কেন আসলো...


part_6


কিন্তু এটা আমার উপর কেন আসলো..? দরজা বন্ধ করে সবাই চলে গেছে, আমি মাটিতে বসে পড়লাম, চোখটা ঝাপসা মারছে, কিন্তু বাসার সবাই আমার উপর রেগে আছে কেন..? নিজে একটু একটু ক্লান্তু লাগছে, কখন যে সেইখানে ঘুমিয়ে গেছি নিজে ও জানি না,যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন নিজেকে বিচানায় আবিষ্কার করি, হঠাৎ কারো কথা আমার কানে আসলো, তুমি আবার এই ছেলেটাকে আমার বাসায় কেন ডুকালে..?(আব্বুর কন্ঠ)  আসলে আব্বু জ্বলে তাঁর শরীর পুড়ে যাচ্ছে তাই করুণা করে একটু সেবা করতে চাচ্ছি..।(রাগিণী)  রাগিণী কথা শুনে চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি চলে আসলো, এই মেয়েটাকে আমি ভালোবেসে ছিলাম? যেই কি না আমাকে করুণা করে সেবা করছে, না আমি আর এই শহরের থাকবো না..। আমি প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো নিয়ে কোনো রকম বাসা থেকে বের হয়ে চলে আসলাম, আসার সময় ফোনটা ও বাসায় রেখে আসছি..। আজ থেকে এই শহরের আমার কোনো কিছু নেই, এখন থেকে নিজে একলা ভাবতে হবে, I.m or pine, পকেটে কিছু টাকা ছিলো চলে আসলাম অন্য জগতে, বাসা থেকে কেন আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তা ও জানি না,  চলে আসলাম ঢাকায়, বাসা খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে গেছি, তিন দিন পর্যন্ত কোনো বাসায় পায় নাই.। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, নিজে গন্তব্য কি জানি না, শুধু হেঁটে যাচ্ছি, হাঁটতে হাঁটতে কখন যে নিস্তব্ধ জায়গায় চলে আসলাম জানি না..। চার দিকে গাছ আর গাছ মাঝে শুধু রাস্তা হঠাৎ কারো আওয়াজ আমার কানে ভেসে আসলো.. বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিচ্ছে..। আমি আওয়াজে দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ চোখ পড়লো,  দুইটা ছেলে একটা মেয়েকে...... করতে চাচ্ছে, এই ছেলে...? ছেলে দুইটা আমার শব্দ শুনে আমার দিকে থাকিয়ে আমাকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো... 

আমি যখন সমনে যাচ্ছি ছেলে গুলো মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেলো আমি মেয়ের পাশে গিয়ে দেখতে পেলাম মেয়েটা কাপড় ছিঁড়ে গেছে..। আমি আমার পরনের শার্ট টা খুলে মেয়েটাকে দিলাম, মেয়েটা মাটি থেকে উঠে শরীরে শার্ট টা পেচিয়ে নিলো, মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, আমি ব্যাগ থেকে পানি বের করে মেয়েটাকে দিলাম, মেয়েটা ভয়ে পানির বোতল টা ও ধরতে পারছে না, মেয়েটা হাত কাঁপছে, আপনি ভয় পায়েন না, আমাকে ভাই ভাবতে পারেন..?(মেয়েটা আমার থেকে বড় হবে) মেয়েটা আমার চোখে দিকে কেমন করে থাকালো..। মেয়েটা চোখে একটা ঘোর লাগা কাজ করছে.. তাঁর পরে বোতলটা নিয়ে ফ্রেশ হলো..। দুই জনে রাস্তায় চলে আসলাম,  মেয়েটা এখন ও ভয়ে মাঝে আছে, আমি তাঁর ভয়ে দূর করার জন্য বললাম..আচ্ছা আপনার নাম কি..? মেয়েটা আমার দিকে থাকিয়ে বললো. তানিয়া। নামটা বলে চুপ মেরে গেলো, কি আজব মেয়েরে নাম জিজ্ঞেস করলাম, মেয়েটা আমার নাম জিজ্ঞেস না করে চুপ মেরে গেলো...😥😥😥 আচ্ছা আপনার ফ্যামিলিতে কে কে থাকে...? মেয়েটা আমার দিকে কেমন করে জেনো থাকালো.. আর কিছু না বলে চুপ মেরে গেলো..।আশ্চর্য আমি কি আপনার সাথে কথা বলছি না..? মেয়েটা চুপ করে হাঁটতে লাগলো..। আমি ও আর কিছু না বলে হাঁটতে লাগলাম, তাঁর যখন আমার কথা বিরক্ত লাগছে তাহলে কথা না বলটায় বেটার, আধা ঘণ্টা হাঁটার পরে চুলে আসলাম, একটা বিল্ডিংলের পাশে..। তানিয়া বাসাটায় ডুকে গেছে, আমি আমার রাস্তা ধরলাম..। 

কিছু দূর এসে হঠাৎ পিছন থেকে, এই ছেলে..? আমি পিছনে না ফিরে হাঁটতে লাগলাম.। মেয়েটা আবার ডাকতে লাগলো..। যখন আমি ফিরছি না দেখে দৌড়ে এসে সমনে দাঁড়ালো...। এই তোমাকে ডাকছি শুনতে পাও নাই..?(তানিয়া)

আপনি আমাকে ডাকছেন...?  হুম তোমাকে ডাকছি, তুমি এই দিকে কোথায় যাচ্ছ..? দেখি কোথায় যেতে পারি..। তা আপনি আমাকে কেন ডাকছেন..? চলো আমার সাথে বাসায়..।

আপনার সাথে আপনার বাসায় কেন যাবো...?(অবাকক হয়ে) তুমি কি কথা বলবে নাকি আমার সাথে যাবে..? আপনার সাথে আমি কোথাও যাচ্ছি না, সো, আপনি বাসায় চলে যান আমি এই দিকে যাবো..।

তাঁর পরে হাঁটা ধরলাম, কিছু দূর যেতে পিছন থেকে আমার ব্যাগ ধরে টান দিলো, পিছনে ফিরে দেখি তানিয়া, আমার কথা উপর কথা, এখন চল আমার সাথে...?(রেগে বললো) হায় আল্লাহ এটা মেয়ে নাকি অন্য কিছু..?

কি আর করার মেয়ের সাথে গেইট দিয়ে ডুকলাম, ও..😯😯😯 কি আলিশান বাড়ি, দেখলে প্রাণ জুড়ে যায়, আচ্ছা আপু এটা কার বাসা...? বাসার ভিতরে চলো তাঁর পরে জানতে পারবা..

ঝাক্কাস একটা সুইমিং পুল,😅😅😅  তাঁর পরে বাসার ভিতরে ডুকে পড়লাম, ভিতরে ডুকে আরো অবাকক হয়ে গেলাম কাজের লোক দেখে..। এ কি আমাকে কাজের লোক বানিয়ে ছাড়বে নাকি...?🤐🤐🤐

তানিয়া দেখার সাথে সাথে মেয়ে গুলো তানিয়া কাছে এসে বললো ম্যাডাম কি হয়েছে আপনার..? আর আপনার শরীর ছেলেদের কাপড় কেন..?(কাজের মেয়ে গুলো এক সাথে বললো)

তোমরা কাজ করো, তাঁর পরে তানিয়া আমার হাত ধরে উপরে নিয়ে আসলো, আমি অবাকক হচ্ছি মেয়েটা কান্ড দেখে, আসলে এখানে প্রায় বিশ ত্রিশ জন কর্ম ছাড়ি দেখলাম...।

ব্যাপারটা আমার হজম হলো না..। আসার সময় একটা ছেলেকে দেখে আমার সন্দেহ হলো, ছেলেটা তানিয়া দিকে কেমন করে যেনো থাকালো..। আর ছেলেটা বয়স হবে, আমার মতো..

কি হলো এই ভাবে কি ভাবছো..?(তানিয়া বলে উঠলো) ভাবছি আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসলে..? সেই সব পরে বলবো আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো..?(তানিয়া) ফ্রেশ হলাম কিন্তু কাপড় কোথায় পাবো..

সেইটা তোমাকে ভাবতে হবে না, কাপড় নিয়ে আসছে তোমার জন্য, রুমটার চার পাশে দেখতে পেলাম সব গুলো তানিয়ার ছবি, তাঁর মানি কি এটা তানিয়ার বাসা..? হতে ও পারে..

তাঁর পরে বাথরুমে ডুকে ভাবতে লাগলাম, তানিয়ার এত গুলো গাড়ি আছে, সেই গাড়ি নিয়ে না এসে তখন হেঁটে আসলো কেন..? হেঁটে না আসলে তো ছেলে গুলো তানিয়াকে দেখতে পেতো না..?

তার পরে গোসল করে তানিয়ার কাছ থেকে কাপড় নিয়ে পড়ে বের হলাম, তানিয়া দাঁড়িয়ে আছে, তাঁর পরে তানিয়া ডুকলো বাথরুমে আমি ততক্ষণে বাসাটা ঘুরে দেখি...।  রুম থেকে বের হয়ে একটা একটা রুম দেখছি..

হঠাৎ ওই ছেলেটা আমার সামনে আসলো, এই ছেলে তোকে তানিয়ার সাথে কে আসতে বলেছে..?(ছেলেটা) আশ্চর্য, তানিয়া তো আমাকে বাসায় নিয়ে আসলো, তা ছাড়া আপনাকে তো চিনলাম না..?

আমাকে চিনার দরকার নেই, তোকে যেনো আজকে পর থেকে বাসায় না দেখি..?(এই বলে ছেলেটা চলে গেলো) তাঁর মানি আমার সন্দেহ টা ঠিক ছিলো, আবার এই রকম না তো তানিয়াকে ধর্ষণ করাতে চাওয়ায় এর হাত ছিলো না তো..?

আমি যদি সময় মতো না পৌঁছতাম তাহলে তো বড় ধরণের অঘটন ঘটে যেতো..। একে পরে দেখতে হবে, আগে বাসাটা ঘুরে দেখলাম, ঘুরতে ঘুরতে একটা রুমে ডুকে গেলাম...

রুমে ডুকে তো আমি অবাকক এত গুলো মদের বোতল,  তাহলে আবার সব চেয়ে ভালোটা, কখন ও খায় নাই, তবেঁ বাসর রাতে খেয়েছিলাম😇😇😇 ও সেই...পেটে পড়তে অজ্ঞান হয়ে গিয়ে ছিলাম....।

হঠাৎ রাগিণী কথা মনে পড়তে মনটা উদাস হয়ে গেলো, সোফায় বসে কারো অনুমতি ছাড়া একটা বোতল নিয়ে খেতে লাগলাম, প্রথমে একটু মাথা চক্কর দিতে লাগলো, তবো ও খেতে লাগলাম...।

এক বোতল খেয়ে পেললাম, হঠাৎ রুমে কেউ আসছে, দরজা দিকে থাকিয়ে দেখি তানিয়া রুমে আসছে, সেই আমাকে রুমে দেখে শখ খেলো..। হয়তো বা ভাবছে না আমি এই রুমে থাকবো...

সেইটা পরে বলবো প্রথমে একটু খেয়ে নিয়, এই বলে আরে বোতল নিতে তানিয়া এসে হাত থেকে বোতলটা চিনিয়ে নিলো..। এই কি করছো অলরেডি এক বোতল শেষ করে পেলেছো.এখন যদি আরো খাও তাহলে তো তুমি শেষ হয়ে যাবে..?

আমি তো শে.... তাঁর পরে জ্ঞান হারিয়ে পেললাম, যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখতে পেলাম তানিয়ার বেড রুমে শুয়ে আছি, পাশে তানিয়া ও শুয়ে আছে, তানিয়াকে দেখে শুয়া থেকে লাপ মেরে উঠে পড়লাম,

এক সাইডে এসে দাঁড়িয়ে থাকলাম, কিছুক্ষণ পরে তানিয়ার পাশে গিয়ে তানিয়াকে আস্তে আস্তে ডাক দিলাম, তানিয়া আপু উঠোন আমি চলে যাবো...। হু... আর একটু থাকো না...?

কি..? কি বলছেন আপনি, আমি কেন আর থাকতে যাবো..? উঠোন গা ধাক্কা দিয়ে বললাম, গা ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথে তানিয়া উঠে গেছে..। কি হলো এমন করছো কেন..?,

না মানি আমি চলে যাবো তাই ডাকলাম..। চলে যাবে মানি আজ থেকে আমার সাথে এখানে থাকবে..। (তানিয়া) না, দেখুন আপনি আমাকে ভালো ভাবে চিনেন তা, আপনি আমাকে কি ভাবে বিশ্বাস করবে...?

সেই সব আমি বুঝি না, আজ থেকে এখানে তাকবে, চলো ফ্রেশ হয়ে আসো, দুপুর থেকে তো কিছু খাওয়া হয় নাই, তাঁর পরে দুই জনে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে বসলাম..।

পুরো খাওয়ার টেবিল সাজানো, আমরা দুইজন বসে আছি, আর কেউ আসছে না..। আমি আর কেউ আসছে না দেখে তানিয়ে বললাম, কি হলো এখানে আর কেউ আসছে না কেন....?

তানিয়া আমার দিকে কেমন করে যেনো থাকালো, সাথে কর্মকর্তা গুলো ও অবাকক হয়ে থাকিয়ে আছে, পাশ থেকে একটা মেয়ে বলে উঠলো.. আপু সেই রকম কেউ নেই, আপু একা এই বাসায় থাকে...।(কর্মকর্তা  মেয়েটা দেখতে বেশ লম্বা দেখতে ও সুন্দর) 

আমি মেয়েটা কথা শুনে তানিয়ার দিকে থাকিয়ে দেখলাম, তানিয়া মুখটা কালো করে আছে, সরি আসলে আমি বুঝতে পারি নাই..। কিছুক্ষণ পরে বললো না, ঠিক আছে, তাঁর পরে দুইজনে খাবার খেলাম..।

তবে এত গুলো খাবার খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না, তাই অল্প খেয়ে সোফায় গিয়ে বসলাম..। তানিয়া ও এসে আমার পাশে বসলো..। তো এখন বলো তোমার নাম কি..?(তানিয়া) আমার নাম রাশেল...

শুধু কি রাশেল নাকি আগে পিছে আরো কিছু আছে..?(তানিয়া) সেইটা না বললে বেটার মনে হয়..। ও আচ্ছা তোমার তো এখন লেখাপড়া করার টাইম, আর তুমি এই ব্যাস্ত শহরে পাগলের মতো ঘুরছো কেন..?

একটা মিথ্যা মামলা খেয়ে পরিবার ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে..। তানিয়া আমার কথা শুনে অবাকক হলো, তাঁর পরে বললো আমাকে শুরু থেকে খুলে বললো..। তাঁর পরে তানিয়ে খুলে বললাম...।

so sad😥😥😥 তোমার সাথে খুব খারাপ হয়ছে, আচ্ছা সমস্যা নেই এখন থেকে আমরা ভাই বোনের মতো করে থাকবো, সো তোমার পড়া লেখার দায়িত্ব আমি নিলাম..আমার কোম্পানি দায়িত্ব তোমাকে দিলাম....।

 আমাকে এত তারাতাড়ি বিশ্বাস কেন করছেন..?, আমার কাহিনী তো মিথ্যা ও হতে পারে..? সেইটা পরে দেখা যাবে, আমি তোমাকে ভাই মনে করছি তাই তো বিশ্বাস করছি, সো এখন বোনের কথা শুনো....।(তানিয়া হেঁসে বললো)

আমি ও হাসলাম, আচ্ছা আপু একটা কথা বলবো কিছু মনে করবে না তো..? নিঃসঙ্গে বলে পেলো..। আচ্ছা আপু এখানে চুল লম্বা করে একটা ছেলে আছে, ওই ছেলেটা কে...?

কেন..? তুমি তাঁর কথা কেন জিজ্ঞেস করছো..? সেইটা সময় হলে জানতে পারবে, আগে বলো ছেলেটা নাম কি..?  ও ছেলেটা নাম রুদ্র...।

আচ্ছা আপু তোমার মা বাবা কি হয়ছে..?

আপু আমার দিকে কিছুক্ষণ থাকিয়ে থেকে বললো, আমার আম্মু আমার জম্মের পরে মারা গেছে, আব্বু আরেকটা বিয়ে করে তাঁর পরে ছোট আম্মু আমাকে অনেক জ্বালাতন করতো...।

এই কষ্ট মাঝে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছি, তিন বছর আগে আব্বু মারা যায়, আব্বু মারা যাওয়ার পরে ছোট আম্মু আরেকটা বিয়ে করে কোথায় জানি চলে গেছে...। ও আচ্ছা, তোমার তো আমার কষ্টের চেয়ে হাজার গুন...।

আচ্ছা তোমার তো গাড়ি আছে, তাহলে আজকে দুপুরে তুমি ওখানে গাড়ি ছাড়া কেন গিলে..? আসলে আমাকে হুমকি দিয়ে কেউ নিয়ে গিয়ে ছিলো.. আচ্ছা নাম্বার টা আমাকে দাও তো...।

নাম্বারটা আমি নিয়ে পকেট থেকে একটা ফোন বের করতে তানিয়া বললো এই মোবাইলটা তুমি কোথায় পেয়েছো এটা তো রুদ্রের মোবাইল...। আমি কিছু না বলে ফোন ওপেন করে সিম থেকে নাম্বার বের করে তানিয়াকে দেখালাম..

কি.আমার খেয়ে আমার মারতে চাচ্ছে, এর এত বড় স্পর্ধা, আমি তো থাকে ছাড়ছি না..। তানিয়া নিচে গিয়ে রুদ্র..এই রুদ্র কোথায় তুই..? ম্যাডাম আমি এখানে..কি হয়ছে ম্যাডাম...? তামি আমার জন্য বেতটা নিয়ে আসো তো...।

জ্বি ম্যাডাম, কিছুক্ষণ পরে বেত নিয়ে আসলো, তামি নামের মেয়েটা চাকমা, কি আজম নাম, আমি গিয়ে সোফায় বসলাম, দেখি তানিয়ার রাগ কেমন, মেয়েটা ও রাগিণীর মতো মুখ লাল হয়ে গেছে..।

এটা কি মেয়েদের সভাব নাকি, রাগ করলে মুখটা লাল হয়ে যায়, তাঁর পরে তানিয়া বেতটা নিয়ে রুদ্র কে মারতে লাগলো..। তোর এত বড় সাহস আমার খেয়ে আমাকে শেষ করতে চাচ্ছি...। তোর তো অনেক বড় স্পর্ধা...

তুই আজকে জানতে পারবি এই তানিয়া কি জিনিস, তানিয়া রুদ্রকে মারতে মাতরে রক্তাক্ত করে পেলেছে, তাঁর পরে পুলিশকে ফোন করে বাসায় আনলো..। দশ মিনিটের ভিতর পুলিশ চলে আসলো, ম্যাডাম কি হয়ছে, আমাকে ডাকলে তো চলে আসতাম, স্যারকে বলার কি ছিলো..? এখন এই মুহূর্তে একে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাবে, এ যেনো কোনো দিন ও চার দেওয়ালের গিরা থেকে বের হতে না পারে..? ঠিক আছে ম্যাডাম, আর কিছু না বলে পুলিশ গুলো রুদ্রকে নিয়ে গেলো..তানিয়া আমার পাশে এসে বসলো..। তাঁর পরে আমি এক গ্লাস পানি দিলাম সেই পানি খেয়ে নিলো, এই যে মিস্টার শেখর আপনি কি এখানে আসবেন..? তাঁর পরে শেখর আমার পাশে আসলো..আপনি কি একটু কষ্ট করে বলবেন আপনার দলে কে কে আছে...? কি বলছেন আপনি..? আচ্ছা, তাহলে শুরু করি, না বলছি, তাঁর পরে বিশ জন লোক বের হলো রুদ্র সহ...। আচ্ছা তোমরা এখানে কাকে মারতে আসছো....? সবাই চুপ করে আছে, আমি কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছি..?(ধমক দিয়ে) আসলে তানিয়া ম্যাডামকে মারতে পাঠিয়েছে...।(একজন বললো) আচ্ছা কে পাঠিয়েছে..?  তানিয়া ম্যাডামের ছোট আম্মু পাঠিয়েছে..। আচ্ছা তোদের বাজেট কত... এক লাখ, ছিঃ তোরা কিলার নাকি অন্য কিছু, একে মারতে মাত্র এক লাখ নিলি... তানিয়া আমার কথা শুনে অবাকক হয়ে আমার দিকে থাকিয়ে আছে..। এখন তোদের যদি বাঁচতে মন চাই তাহলে আমার কথা মতো কাজ করবি...। যদি না করিস তাহলে সোজা উপর পাঠিয়ে দিবো...কি করবি তো..? হুম করবো, তাঁর পরে প্লেন বলতে লাগলাম......


part_7


তাঁরা আমার প্লেন শুনে চলে গেলো, তানিয়া আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে, এই যে আপু মুখে মাছি....(হঠাৎ রাগিণী কথাটা মনে পড়ে গেছে এটার বলার কারণে তাঁর আঙ্গুল কেটে গিয়েছিলো) কি হলো চুপ করে গেলি কেন..? আমার সাথে ফ্রী কথা বলবি.. সো এখন থেকে কোনো লজ্জা নেই, আচ্ছা ঠিক আছে,  তাঁর পরে আবার সোফায় বসে থাকলাম..। আচ্ছা ভাইয়া তুমি রুদ্রের মোবাইল কোথায় পেয়েছিলে..? তুমি যখন গোসল করতে ডুকলে তখন সেই আমাকে হুমকি দিতে আসছিলো..। তখন তাঁর পকেট থেকে ফোনটা নিয়ে পেলি..কিন্তু ফোন কেন নিয়েছি আমি নিজে ও জানি না..। হয়তো বা আল্লাহ তোমার ভালো জন্য ফোনটা নিতে আমাকে আদেশ করেছিলো..। জ্বি না আল্লাহ তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছে, তাঁদের কে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য..(কিছুটা ভেবে বললো)🤔🤔🤔  তাঁর পরে ভাই বোন দুইজনে সোফায় বসে থাকলাম..। হঠাৎ তামি মেয়েটা এসে বললো ম্যাডাম কিছু আনবো...? হুম তামি আমার ভাইয়ের জন্য, ঠান্ডা কিছু আনো...। তাঁর পরে তামি চলে গেলো কিছুক্ষণ পরে সেই নাস্তা নিয়ে আসলো তাঁর পরে দুই জনে নাস্তা করলাম, আমার সামনে তানিয়া কাকে যেনো কল করলো ভার্সিটির কথা বলছে, কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটা কেটে দিলো, ভাই পরশু থেকে ভার্সিটিতে চলে যাবে, এখন যদি আমি কিছু বলি তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে, তাঁর পরে আর কিছু না বলে বসে আছি, আমি ভাবতে পারছি না পাঁচ ঘন্টা সময়ের মাঝে আমি তাঁর আপন হয়ে গেলাম, সেই আমাকে বিশ্বাস ও করতে লাগলো, আর আমার পরিবার আমাকে চিনতে পারলো না..। কি হয়ছে ভাই এই ভাবে কি ভাবছো..? কিছু না আপু... দিনটা চলে গেলো রাতে রুমে শুয়ে আছি কোথায় থেকে তানিয়া এসে বললো ভাই ও মেয়েটাকে ওরা নিয়ে আসছে...।(খুশি হয়ে বললো) আমি শুয়া থেকে উঠে বসলাম, তাঁর পরে তানিয়ার সাথে চলে গেলাম মেয়েটাকে  দেখতে..

আমি সেই খানে গিয়ে লাইট জালাতে অবাকক হয়ে গেলাম, এটা কি ভাবে সম্ভব, এটা তো নীলের আম্মু তাঁর মানি কি এই মেয়েটা খারাপ...? আপু এটা কি তোমার আম্মু....? হুম, কেন..? এরে ওকে তো আমি চিনি..। কি তুমি চিনো...?(অবাকক হয়ে) হুম আমি চিনি এর তো একটা ছেলে ও আছে, এর ছেলের নাম নীল...। কিইই, তাঁর মানি এই মেয়ে আব্বুকে বিয়ে করার আগে আরো একজনকে বিয়ে করেছিলো...? হয়তো বা, ছেলেটা বয়স কত হবে..? আমার থেকে এক বা দেড় বছর বড় হবে..। ও, তাঁর পর আমি পানি মেরে আন্টির জ্ঞান ফিরালাম.আন্টি আমাকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো, রাশেল তুমি এখানে..? হ্যাঁ আমি এখানে তোমরা সবাই আমার সাথে কি করছো..?(নর্মাল ভাবে বললাম) হা, হা, হা, আমার ছেলেকে কষ্ট দিয়ে তুই বিয়ে করে সুখে তাকবি তা কি করে ভাবলি তুই..? হুম, হেঁসে নেয়, তানিয়া তুই আমাকে এই ভাবে বেঁধে রাখছিস কেন..?(আন্টি) চুপ, একদম চুপ, একটা কথা ও বলবি না, ভাই যা বলছে তা চুপ করে শুনে যা..। আন্টি তানিয়া কথা শুনে অবাকক হয়ে আমার দিকে থাকালো..। রাশেল তোর ভাই হলো কি করে..?(আন্টি) সেইটা তুই না জানলে ও চলবে..। আচ্ছা আন্টি আমি তো আপনাদের কোনো ক্ষতি করি নাই তাহলে আমাকে কেন আমার পরিবার থেকে আলাদা করলে..? আলাদা তুই তোর ভুলের কারণে হয়েছি, সেই দিন যদি আমার ছেলে রাগিণীর হাতে ধোলাই  না খাওয়াতি তাহলে আজকে ও তোকে এখানে আসতে হতো না..। সো এখন বুঝে নে আমার ছেলেকে কষ্ট দেওয়ার ফল...। আচ্ছা আন্টি রাগিণী এমন কি দেখালে যে সেই আমার উপর এমন রেগে গেলো..। জানতে চাস..। তোর আর অন্য একটা মেয়ের ছবি এডিট করে রাগিণী কে পাঠিয়ে দিলাম..। ব্যাস যার করার রাগিনী করলো...।

ও আচ্ছা তাহলে এখন আমি আপনার একটা ছবি করে পুরো ভিডিও এডিট করে ভাওয়াল জগতে ছেড়ে দিয়, তাঁর পরে আপনি ও খুব খুশি হবে তাই না শয়তানি হাসি দিয়ে বললমা.,😄😄😄 কি করবো..? মুখটা কালো করে চুপ করে থাকলো..। তাঁর পরে তানিয়ার ফোন নিয়ে একটা ছবি করলাম...।

প্লিজ রাশেল এমন কাজ করো না..। আমরা যা করেছি তাঁর জন্য সরি বলতেছি, ও তাই নাকি, সব কিছু সরি দিয়ে মিটে না..। আচ্ছা মানলাম আমি এডিট করবো না, তার পরে ও আপনি তানিয়া আপুর হাত থেকে কি করে বাঁচবে...।

আপনি তানিয়াকে মারতে পাঠালে কেন..? আমার কথা শুনে আন্টি অনেক বড় শখ খেলো..(মনে হলে সেই কিছু জানে না) কি বলছো রাশেল তুমি আমি কেন আমার মেয়েকে মারতে পাঠাবো...? হ্যাঁ আমি মানছি আমি থাকে পেটে নেয় নাই..

কিন্তু আমি তো থাকে লালনপালন করেছি..। তাঁর প্রতি আমার ভালোবাসা আছে, আমি কি করে আমার মেয়েকে মারতে পাঠাবো...?(ইমোশনাল হয়ে বললো) ও মা এটা কেমন ভালোবাসা...?

মেয়ের প্রতি ভালোবাসা নাকি মেয়ের সম্পত্তির প্রতি ভালোবাসা..? আমার মেয়েকে ভালো না ভেসে সম্পত্তিকে ভালোবাসবো নাকি...? তাহলে এই রেকর্ড টা কি... চালিয়ে দিলাম..রুদ্র তানিয়াকে যে করে হোক এই মাসে শেষ করে দিতে হবে..।

যদি তোমরা থাকে শেষ করতে পারো তাহলে এক লক্ষের চেয়ে আরো বোনাস পাবে..। রেকর্ড টা শুনে ডুক গিললো আন্টি..। তানিয়া ও আমার দিকে থাকিয়ে আছে.. তানিয়া ভাবছে এটা আমি কোথায় পেলাম.।।.

তানিয়া এখন তুমি জানো তোমার সৎ মা কি করবে অসৎ বানাবে নাকি সৎ বানাবে...? সো তুমি দেখো আমি রুমে গেলাম তাঁর পরে রুমে চলে আসলাম আধা ঘণ্টা পরে তানিয়া আমার কাছে আসলো...।

তুমি রেকর্ড টা কোথায় পেয়েছিলে..? এই তো রুদ্রের মোবাইলে ফাইল দেখছিলাম, তখন ওটা শুনতে পাই, ও আচ্ছা আমার ভাই টা আমার জন্য একদিনে অনেক কিছু করলো...। এই বলে জড়িয়ে ধরে একটা পাপ্পি দিলো..

আমি তো তানিয়া এমন কান্ড দেখে অবাকক হয়ে গেছি, এটা কি হলো আমার সাথে..? কি আর হবে বোনে ভাইকে আদর করে একটা পাপ্পি দিয়েছে..। ও তাইলে ভালো, তাঁর পরে রাতে খাওয়ার খেয়ে,

আমি অন্য রুমে শুতে যাচ্ছিলাম এমন সময় তানিয়া বললো এই তুমি কোথায় যাচ্ছ..? আমি তো ঘুমাতে যাচ্ছি, ঘুমাতে যাচ্ছ মানি আমার সাথে ঘুমাবে..? আপু দেখো বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু...?

মুঠে ও বেশি হচ্ছে না, ভাইকে আদর করার দায়িত্ব আমার কাছে আছে, সো কথা না বাড়ি এখানে এসে শুয়ে পড়ো..(হালার আদর করার দায়িত্ব নাকি তার কাছে আছে) কি আর করবো তাঁর পরে কিছু না বলে বেডে কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম..।

আপু মাঝে কিন্তু কোরবালিশ থাকবে..। হুম ঠিক আছে, তাঁর পরে কোরবালিশ দিয়ে শুয়ে পড়লাম, ঘুম আসছে না, প্রতিদিন রাগিণীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়তাম, আজকে সেই কোথায় আর আমি কোথায়...।

তাঁর আর আমার মাঝে সম্পর্কে দূরত্ব চলে আসবে..। সেই আমার কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছে..। সেই যখন আমাকে ভুল বুঝে একটু ও না ভেবে ডিভোর্স চেয়েছে, সেই এটাতে খুশি তাকবে..

জেনে তো ডিভোর্স চেয়েছে, তাহলে আমি কেন তাঁর খুশির জন্য ডিভোর্স দিতে পারবো না..? তাঁর খুশি তো আমার খুশি..। কথা গুলো ভাবছি আর এই পাশ ওই পাশ করছি..আমাকে এই রকম করতে দেখে..

তানিয়া বললো কি হলো ছোট ভাই এমন করছো কেন..? তানিয়া কথা শুনে আমার ভাবনার ছেদ ঘটলো..না, আপু নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ তাই ঘুম আসছে না...। তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব হলে...

আমি অন্য রুমে যেতে পারি, আমার কোনো সমস্যা নেই..। আমি কি বলেছি আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে..এখন কথা না বলে ঘুমাও, তাঁর পরে তানিয়া ঘুমিয়ে গেলো..রাগিণী ও কি আমার মতো ছটফট করছে...

হয়তো বা, আবার না ও হতে পারে, সেই তো আমাকে ভুল বুঝে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাহলে সেই কেন এই রকম করবে, রাগিণী কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম..।সকলে তানিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো..।

বিচানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে,ব্রেকফাস্ট করে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলাম, তিনদিন এখানের ঘুরার কারণে সব কিছু ছানা ফানা করে পেলেছি..। ঢাকার এখন অলি গলি ভালো করে চিনা আছে আমার...।

ভার্সিটিতে এসে আমার কলেজে প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে এখানে এডমিশন হলাম..। তাঁর পরে তানিয়া সাথে গাড়িতে এসে বসলাম..(স্যারের সাথে ভালো ভাব থাকার কারনে কোনো সমস্যা হয়ে নাই) এখন কোথায় যাবো...? এখন আমার অফিসে যাবো..

তাঁর পরে ড্রাইভ করতে লাগলাম, আধা ঘণ্টা পরে,চলে আসলাম অফিসের ভিতরে ডুকে তানিয়া সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো..এবং আমাকে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতে বললো...।

আমি না নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তানিয়ার জুরাজুড়িতে নিয়ে নিলাম..। ভালো ভাবে চলে যাচ্ছে আমার দিন গুলো তানিয়াকে ও এখন আর ডিস্টার্ব করে না, নীলের মাকে কি করেছে জানি না..।

সকালে ভার্সিটিতে চলে যায়, বিকালে অফিসে এসে কাজ করি, দুইজনে আগের থেকে ফ্রী হয়ে গেলাম..। চলে গেলো দুইটি বছর পড়ালেখা ও শেষ হয়ে গেলো..প্রতি রাতে রাগিণী কথা মনে পড়তো।।।

যখন বেশি হয়ে যেতো তখন খারাপ জিনিস খেয়ে নিজে তাঁর মায়ার কাছ থেকে বের করতে চায়তাম..। এখন তানিয়ার কোম্পানি টপ.. তানিয়া আমার উপর অনেক খুশি..। রাগিণীকে ও ডিভোর্স দিতে হবে...

ডিভোর্সের আবেদন করছিলাম, প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেলো, এক মাস পরে চলে আসবে, আস্তে আস্তে এক মাস ও শেষ হয়ে গেলো..। ডিভোর্স পেপারটা আমার হাতে চলে আসলো..

পেপারটা হাতে নিতে হাতটা কেঁপে উঠলো, আমাকে সিঙ্গেল ডিভোর্স পেপারের জন্য আবেদন করতে অনেক কষ্ট হয়েছিলো..কোনো রকম আবেদন করলাম..। এখন ডিভোর্স পেপারটা সই করে দিলে আমাদের সম্পর্কে শেষ হয়ে যাবে..।

তিন দিন পরে অফিসে যাচ্ছিলাম, এমন সময় রাস্তা পাশে আবিরকে দেখে অবাককক হয়ে গেছি, তাঁর পাশে একটা মেয়েকে ও দেখলাম..। আমি গাড়ি টা নিয়ে গিয়ে তাঁর সামনে দাঁড় করালাম..।

গাড়ি থেকে নেমে আবিরের সামনে গিয়ে থাকে জড়িয়ে ধরলাম.।সেই আমাকে দেখে চমকে উঠলো.. থাকে দেখে চোখ থেকে পানি চলে আসলো.। কিছুক্ষণ পরে থাকে ছেড়ে দিয়ে.বললাম..

কেমন আছিস আবির..? দোস্ত তুই এখানে...? আমি কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছি..? হুম ভালো আছি, তুই কেমন আছিস..? এই তো ভালো তো এখানে কেন আসলি..? তোর ভাবিকে ডাক্তার দেখাতে আসলাম..।

কিইইই শালা তুই বিয়ে করে পেলেছিস..? শালা তুই বিয়ে করতে পারলে আমি করতে পারবো না. আচ্ছা রাশেল তুই সেইদিন কাউকে কিছু না বলে চলে আসলি কেন..? বাঁধ দে তো.চল কফি খেয়ে আসি..।

ভাবি আসো, কিই গাড়ি টা কর..? এক আপুর গাড়ি.. আর তাঁর অফিসে তো চাকরি করি. তাঁর পরে রেস্টুরেন্টে চলে আসলাম, তিন জনে বসে আছি, কফি চলে আসলো, তিন জনে বসে কফি খেলাম...। এবং গল্প ও করলাম

তাঁর পরে তাঁদের কে নিয়ে হাসপাতালে আসলাম..। আমি আসার সময় তানিয়াকে বলে দিয়েছিলাম, আমি অফিসে যেতে পারবো না..। তাঁর পরে আবিরের বউকে ডাক্তার দেখিয়ে, বের হলাম..।

চল, বাসায়। না, দোস্ত বাসায় যেতে হবে, আরে কালকে যেতে পারবি এখন চল আমার সাথে, না দোস্ত অন্য একদিন এসে ঘুরে যাবো, তাঁর চেয়ে তুই একটা কাজ কর..। তুই আমাদের সাথে চল..।

না, আচ্ছা আমার জন্য একটা কাজ করতে পারবি..। হুম, বল কি করতে হবে,তাঁর পরে ডিভোর্স পেপারটা দিয়ে বললাম, এটা রাগিণীকে দিয়ে দিস..। আর রাগিণী কেমন আছে জানি...?(না চাওয়ার শর্তে ও মুখ থেকে কথাটা বের হয়ে গেলো)

হুম, ভালো আছে, ও আচ্ছা ঠিক আছে, আর এটা রাগিণী ছাড়া আর কাউকে দিবি না..। ঠিক আছে,কিন্তু এটা কি..? সেইটা রাগিণীকে দিলে সেই ভালোভাবে বুঝতে পারবে..আর এটা কেউ যেনো না ধরে..।

তাঁর পরে তাঁদের কে গাড়িতে তোলে দিয়ে আমি অফিসে দিকে রওনা দিলাম..। আজকে আমাদের সম্পর্কটা চিরতলে শেষ হয়ে যাবে, আর থাকবো না আমরা স্বামী স্ত্রী, সেই আবার আগে মতো আমার মামাতো বোন হয়ে যাবে..।

চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগলো, অফিসে সামনে এসে গাড়ি টা থামিয়ে, মুখে পানি দিলাম, যাতে তানিয়া বুঝতে না পারে..। তাঁর পরে আমি গিয়ে আমার রুমে বসে পড়লাম..কিছুক্ষণ পরে তানিয়া ফোন করলো..

ফোনটা রিসিভ করলাম, হ্যালো, আপু বলো.. কোথায় এখন..? এই তো অফিসে.কেন তুমি দেখতে পাও নাই. না, আচ্ছা তুই থাক আমি আসছি, ফোনটা কেটে দিয়ে কাজ করতে লাগলাম..।

এমন সময় তানিয়া আমার কেবিনে এসে দাঁড়ালো,  কি বাবু সকালে কে আসছিলো..? আসলে আসার সময় পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিলো তাই, আসতে দেরি হয়ে গেছে..।

তো বাবু দুপুরে কি খাবার খাওয়া হয়ছে..? না, তুমি খেয়েছো..? তুমি না খেলে আমি কি করে খেতে পারি..। আচ্ছা চলো দুই জনে খাবার খেয়ে আসি, তাঁর পরে দুই জনে ক্যান্টিনে গিয়ে খাবার খেলাম..।

তাঁর পরে আবার অফিসে এসে কাজ করতে লাগলাম. বিকালে দুইজনে বাসায় চলে আসলাম..। বাসায় এসে বেলকুনিতে বসে আছি, একা একা, ভাবতেছিলাম রাগিণীর আর আমার কাটানো দিন গুলো...।

হঠাৎ আমার কাঁধে কে যেনো হাত রাখলো, আমি ফিরে থাকিয়ে দেখি, তানিয়া, তাঁর পরে সেই ও আমার পাশে বসলো, আচ্ছা আপু তুমি বিয়ে কখন করবে..? বিয়ে! তা ও আমি! অসম্ভব আমি এই ঝামেলা নেই...?

কেন..? বিয়ে করলে কি হবে তোমার..? আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে তোকে বিয়ে করে নিয়..?(হেঁসে বললো) আমি ও তার কথা শুনে হেঁসে দিলাম, তাঁর পরে দুইজনে গল্প করলাম, তাঁর পর দুই জনে ডিনার করে ঘুমিয়ে গেলাম, পরে দিন দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছিলাম, এমন সময় আমার কেবিনে একটা লোককে দেখে চমকে উঠলাম.এটা কি ভাবে সম্ভব, আব্বু এখানে কি করে..? পিছনে দেখতে পেলাম,আম্মু সাথে তানিয়া ও আছে...। আব্বু আম্মুকে দেখে আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম..। কিন্তু আব্বু আম্মু আমার ঠিকানা কোথায় পেলো, আবিরকে তো আমার ঠিকানা দেয় নাই, তাহলে এটা কি ভাবে সম্ভব, আর তানিয়াকে বা কি ভাবে চিনলো...? তানিয়া আব্বু সামনে এসে দুইটা চেয়ার দিলো আব্বু আম্মু বসলো..। রাশেল বসো আমি এদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে আসছি, আজকে আমরা তোমার বাসায় যাবো..। তাঁর পরে তানিয়ে চলে গেলো, আমি তানিয়ার কথায় অবাকক হয়ে গেলাম..। এই কি বলছে আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না, কেমন আছো আব্বু...? আব্বু আমার কথা শুনে কেমন করে যেনো থাকালো, আম্মুর দিকে থাকিয়ে দেখি..। আমার দিকে অবাকক নয়নে থাকিয়ে আছে.. তাঁর মানি কি আবির হাত দিয়ে ডিভোর্স পেপারটা পাঠানো আমার ভুল হয়ে গেছে...? ভাবনা থেকে বের হয়ে আম্মু প্রশ্ন করলাম, কেমন আছো আম্মু...? তোকে ছাড়া কি আর ভালো থাকি.. সরি রে ওই দিন তোকে ভু..... আরে মা বাঁধ  দাও তো, এই সব ভুলে যাওয়া বেটার মনে হয়, তো তোমরা এখানে কেন আসলে...


part_8


তোমরা এখানে কেন আসলে..? কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, আমরা তোকে নিতে আসছি...। (আব্বু) তাঁর পরে আমি বসা থেকে উঠে, চলো তাহলে..?( আমার কথায় আব্বু আম্মু অবাকক হয়ে তাকিয়ে থাকলো..) তাঁরা ভাবতে পারছে না আমি এই রকম রিয়েক্ট করবো...।তাঁর পরে তাঁরা ও উঠে এসে অফিসের বাইরে আসলো, তানিয়াকে দেখলাম বাইরে লাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কি রে এত গুলো লাগেজ কার জন্য..? সেইটা তোকে ভাবতে হবে না, তাঁর পরে সবাই গাড়িতে উঠে বসলাম, তিন ঘন্টা জার্নি করে বাসায় পৌঁছলাম, দরজা পাশে গিয়ে কলিং বেল দিতে কেউ একজন দরজা খুলে দিলো, রাগিণীকে বাসায় দেখে খুব অবাকক হলাম, আরে রাগিণী আপু আপনি এখানে..? আমার কথা শুনে আব্বু আম্মু কেমন করে যেনো থাকালো, আমি সেই দিকে না ভেবে রাগিণী দিকে থাকালাম..। রাগিণী মুখ দেখে বুঝতে পারলাম, রাগিণী খুব অবাককক হয়েছে..। আমি সেই দিকে না থাকিয়ে পাশ কেটে ভিতরে চলে আসলাম,আমার পিছন পিছন তানিয়া ও আসলো..দুই বছর পরে নিজে বাসায় আসলাম.। বাসাটা কেমন যেনো চেঞ্জ হয়ে গেছে.। তাঁর পরে নিজের রুমে এসে দেখলাম রুমটা ও চেঞ্জ হয়ে গেছে। রুমটা ভালো করে দেখতে লাগলাম রাগিণীর আর আমার ছবি টাঙানো আছে..। বেশ ভালো লাগছে এই ছবিটা দেখে, আবার খারাপ ও লাগছে..। কি রে এখানে এই ভাবে কি ভাবছি.? নাকি বউয়ের কথা ভাবছিস..?(শয়তানী হাসি দিয়ে বললো) ধ্যত তুমি ও না, একটু বেশি বুঝো..। তাঁর পরে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম, আমি বের হওয়ার পরে তানিয়া ডুকলো..। তাই ও কিছুক্ষণ পরে বের হলো..। আচ্ছা অফিস কে দেখবে... সেই আমি ওই দিকে সেড করে দিয়েছি..। তাঁর পরে আম্মু এসে নাস্তা খেতে ডাক দিলো...

তাঁর পরে দুই জন গিয়ে টেবিলে বসলাম, টেবিলে আব্বু আম্মু বসে আছে, রাগিণীকে দেখতে পেলাম না, মনে হয় চলে গেছে, পরে দিন সকালে ঘুম ভাঙ্গতে বুঝতে পেলাম দরজা পাশ থেকে কেউ সরে গেছে, আমার দরজার পাশে কে দাঁড়াবে, এখানে তো দাঁড়ার মতো কেউ নেই..? হয় তো বা আমার মনে ভুল..। তাঁর পরে বিচানা থেকে উঠে..। বাথরুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে তানিয়া রুমে গেলাম, দেখতে পেলাম তানিয়া এখন ও ঘুমাচ্ছে..। আমি গিয়ে তাঁর পাশে বসলাম, কি রে তানিয়া আপু আর কতক্ষণ ঘুমাবে..? সেই আগে ঘুমিয়ে দেখি তাঁর পরে না হয়, দেখা যাবে...।(ছোট মেয়ের মতো চক্ষু দুইটা ডলতে ডলতে বললো) হয়ছে আর ছোট মেয়ের মতো কথা বলতে হবে না, এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও..। তাঁর পরে শুয়া থেকে উঠে বসলো..। আচ্ছা তুই আমাকে এটা বললি না কেন..? কোনটা বলি নাই..?(অবাকক হয়ে) কোনটা মানি তুই তোর বউকে ডিভোর্স দিয়েছি এটা বলিস নাই কেন..?(মুখ কালো করে বললো) ও আচ্ছা, তাঁর জন্য সরি..(মুখটা ধরে আমার দিকে ফিরিয়ে বললাম) তাঁর পরে তানিয়া ফ্রেশ হতে চলে গেলো..। আমি বসে বসে রাগিণী কথা ভাবছিলাম..। আমাদের দুই জনের দিন গুলো অনেক ভালো চল ছিলো, হঠাৎ একটা মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে রাগিণী আমাকে ভুল বুঝে আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেলো..। ধ্যত এই সব ভেবে কেন আমি নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি, আমি তো আর সাধে তাঁকে ডিভোর্স দেয় নাই..। আমি তো রাগিণী খুশি থাকার জন্য ডিভোর্স দিয়েছি..। সো এখন আমি কষ্ট পেলে চলবে না..। কখন চোখ দিয়ে পানি বের হলো আমি বুঝতে ও পারি নাই..। হঠাৎ কারো হাতে স্পষ্টে আমার ভাবনার ছেদ ঘটলো..। থাকিয়ে দেখি তানিয়া আমার কাঁধে হাত দিয়ে আছে..। কি রে তুই কান্না করছিস কেন...? কিই..আমি কান্না করছি..?(চোখে হাত দিয়ে দেখলাম চোখ দিয়ে পানি পড়ছে.. আমি অবাকক হয়ে গেছি) তানিয়া দিকে থাকিয়ে দেখি সেই আমার দিকে চোখ লাল করে  থাকিয়ে আছে....।

কি রে তুই ঐ ভাবে থাকিয়ে আছিস কেন..? আমি কি তোকে রাগ করার মতো কথা বলেছি..? মাথা পাঠিয়ে দিবো, আমাকে বোকা বানাতে চাচ্ছিস তাই না..। তুই রাগিণীর জন্য কান্না করছিস আমি ভালো করে জানি..।

আচ্ছা রাগিণী তো দেখতে খারাপ না, আমার থেকে বেশ সুন্দর আর পরিপাটি, বলতে গেলে ভালো একটা মেয়ে থাকে তুই ডিভোর্স দিতে গেলে কেন..? দেখো আপু তুমি ভালো করে জানো আমি কেন দিয়েছি.।।

ও আচ্ছা, বুঝলাম, তুই এখন গিয়ে রাগিণীকে মেনে নেয়..। এটা কখন ও সম্ভব না...! কেন সম্ভব  না..? সেই নিজে-ই চেয়েছে ডিভোর্স পেপারটা। এখন আমি তার করুণা পাত্র....থেমে আবার বললাম

সো আমি আর কারো করুণার পাত্র হতে চাই না..। (চোখ দিয়ে ওজরে পানি পড়ছে) দেখ তোর চোখের পানি ও বলছে তুই থাকে তোর জীবনের চেয়ে ও বেশি চাস...। এবং সেই যে কথা গুলে বলেছে..।

সেই রাগ করে বলেছে..?(তানিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো) আপু হয়তো বা ডিভোর্সের কথাটা রাগ করে বলেছে, সকলে কারো মুখে রাগ থাকে না.। তখন তো আমি তাঁর কাছে করুণা পাত্র হয়ে গেলাম..।

সো এখন এই সব বাঁধ  দাও, চলো নিচে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করা যাক..।(চোখে পানি গুলো মুছে বললাম) না, মুঠে ও না এখন আমি আব্বু আম্মুকে গিয়ে বলবো তুই রাগিণী আবার চাস...?

দেখ আপু এই সব বলতে যাও না..। সো এখন ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই..তাঁর পরে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম। দেখতে পেলাম তানিয়া পাশে রাগিনী বসে আছে...।

তাঁর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে, মনে হয় সারা রাত কান্না করেছে..। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে..। মুখটা আগে থেকে কিছুটা কালো হয়ে গেছে..। শরীরটা ও চিকন হয়ে গেছে..।(এটা তো কালকে কেয়াল করি নাই...।

তোওয়ালটা রেখে, নিচে চলে আসলাম, কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আর তানিয়া ও নিচে আসলো...। তানিয়া দিকে থাকিয়ে দেখলাম সেই আমার উপর রাগ করে আছে, আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসলাম...।

সেই আরো চোখ লাল করে আমার দিকে থাকালো..। আমি তাঁর দিকে আর না থাকিয়ে নাস্তা করে বসলাম, সবার সাথে নাস্তা করে...। আম্মুকে বললাম, আম্মু আমি একটু মামা বাসায় যাচ্ছি....।

হা করে থাকিয়ে আছে, কি হলো এমন করে থাকিয়ে আছো কেন..? আমি কি কোনো মজা কথা বলছি নাকি...। না, তা না, আসলে তোর মুখে মামা বাসায় যাওয়ার কথা শুনে আমার কেমন যেনো লাগছে...।

আমি আম্মু দিকে থাকিয়ে একটু হাসলাম, তানিয়া তুমি কি আমার সাথে যাবে..? তোর সাথে তো আমি আর কোথাও যাচ্ছি না, সো আমার যেতে মন চাইলে রাগিণী সাথে যাবো..। আর যদি তোর মন চাই তাহলে আমাদের পিছু পিছু আসতে পারিস...।(রাগিণীর দিকে থাকিয়ে হাসলো)

আমি আর কিছু না বলে আমার পুরানো বাইকটা বের করলাম..। অনেক দিন পরে শখের বাইক ধরলাম..। মনটা কেমন যেনো একটা ভালো লাগা কাজ করছে.. তাঁর পরে বাইকটা ট্রার্ট দিয়ে মামা বাসায় এসে দাঁড়ালাম..।

কলিং বেল দিতে কাজে মেয়ে এসে দরজা খুলে দিলো..। ভাইয়া তুমি..?(অবাকক হয়ে বললো) কেন অন্য কাউকে আসা করলি নাকি..? তুমি না আগে থেকে আরো ফাজিল হয়ে গেছো...।

আমি কিছু না বলে ভিতরে চলে গেলাম..। মামা মামি কোথায় রে..? রুমে আছে, যাও তাঁর পরে রুমে সামনে এসে দাঁড়ালাম নিজেকে কেমন যেনো লাগছে, ভাবতে ভাবতে নক করলাম..। পিছনে ফিরে অভাকক হয়ে বললো..।

রাশেল তুমি কখন আসলে..? আসবো..। ও হ্যাঁ আয়, বললি না কখন আসলি...?(মামা) এই তো মামা কালকে আসছি, মামা বলার সাথে সাথে মুখটা কেমন যেনো হয়ে গেছে..। আচ্ছা সারপ্রাইজ কি আমি দিচ্ছি...

নাকি ওঁরা দিচ্ছে..। কিছু তো বুঝতে পারছি না, আমাকে তুই করে বলছে, আর আমি মামা ডাকলে আমি খারাপ হয়ে যাচ্ছি কেন..? কি হলো মামা মন খারাপ নাকি..? নাকি আমি আসছি দেখে মন খারাপ করছে.....।

তাহলে আমি চলে যায়..। আরে না, আসলে সকাল থেকে শরীরটা ভালো নেই, বসো, তাঁর পরে মামা মামি পাশে একটা চেয়ার নিয়ে বসলাম..। তো এখন কি করো..?( আজব ব্যাপার)

কিছু তো বুঝতে পারছি না..? এই তো একটা কোম্পানিতে জব করি..। তো মামা এখন শরীর কেমন আছে..? মুটামুটি ভালো আছে, সরি বাবা আগে ঘটনা জন্য...?(আমাদের কথা মাঝে মামি বলে উঠলো)

আরে মামি এই সব ভেবে কেন কষ্ট দিচ্ছ, বাঁধ দাও তো, আমি সব ভুলে গেছি, আচ্ছা আমি আসি পরে না হয় আবার আসবো..। সেই কি কিছু তো খেয়ে যাও..। আরে মামা এটা কি বলতে হয় নাকি...।

আগে যেই রকম ছিলাম তাঁর চেয়ে দুই গুণ ফাজিল হয়ে গেছি, সো আমাকে এর ব্যাপারের কিছু বলতে হবে না..। আমার কথা শুনে মামা মামি হাসলো...।(আমি বুঝতে পারছি এই হাসা মাঝে কষ্ট লুকিয়ে আছে)

তাঁর পরে ফ্রিজে গিয়ে একটা আপেল নিলাম..। খেতে খেতে বের হচ্ছিলাম, দরজা দিয়ে বের হতে কার সাথে যেনো ধাক্কা খেলাম, আমি থাকি দেখি..। রাগিণী সাথে ধাক্কা খেলাম..। এই রে এটা কি হলো....

সরি আপু.আসলে আমি দেখতে পায় নাই...? রাগিণী আমার দিকে কেমন করে যেনো থাকালো..। পাশে তানিয়া দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলো. তাঁর হাসি দেখে আমার মাথায় রাগ উঠে যাচ্ছে..।

আরে ভুলে ধাক্কা খায়ছি, এতে এই ভাবে হাসার কি আছে..? মনে হচ্ছে এখনে জোকার দাঁড়িয়ে আছে..। জোঁকার-ই তো হাসার মতো কথা বললে হাসবো তো..। নিজে বউয়ের সাথে কেউ ধাক্কা খেলে সরি বলে..?

বউ..?  রাখো তো তোমার ফাজলামো, তাঁর পরে বাইরে চলে আসলাম, রাস্তা দিয়ে হেঁটে..। চাচা দোকানে আসলাম..। সেইখানে দেখতে পেলাম..। বন্ধুরা সবাই বসে আছে..। আমাকে দেখে আমার দিকে..।

সেই লেভেলের দৌড়ে আসছে, হায় আল্লাহ আজকে আমার রেহাই নাই..। তবো ও হেঁটে যাচ্ছি..। তাঁরা আমার কাছে এসে ইচ্ছে মতো মারতে লাগলো..। এই লাগছে প্লিজ ছাড়....?

 ছাড়বো তা ও আবার আমরা..?(আবিদ) সেটা তুই কি ভাবে ভাবলি..?(রানা) শালা আমাদের না বলে চলে কেন গিয়েছিলে..? আসলে একটা সমস্যা হয়েছিলো তাই চলে গিয়েছিলাম..। 

রাখ তোর সমস্যা, সমস্যা হলে আমাদের বলতি আমরা সমাধান করতাম..। তুই আমাদের না বলার জন্য এই শাস্তি গুলো পাচ্ছিস..। এই বলে তাঁরা ইচ্ছে মতো মেরে থামলো..

শালারা আমার পিটটা একেবারে লেভেল করে পেলছে..। তাঁর পরে গিয়ে সবাই চাচা দোকানে বসলাম..। চা অডার করা হলো..। তো আবিদ এখন কি করছি..? এখন ও কিছু করছি না, তবে বউয়ের আদর খাচ্ছি...।

ও ভালো তাহলে বিয়ে ও করে পেললি..? তো কি করবো..? তো রানা তোর কি খবর..? আপাতত আব্বুর কোম্পানি সামলাচ্ছি, তো বিয়ে টিয়ে করলি নাকি..? আমার দিকে থাকিয়ে সবাই হাসলো...।

তাঁর পরে আবিদ বললো এখানে সবাই বিয়ে করে পেলছে..। আবির বললো শালা তুই আমাকে ওই দিন ডিভোর্স পেপার কেন দিয়েছিলি..? কিইইই..? এই আবিদ হেতে কি বলে দেখতো..? 

আমার কি তোর সাথে বিয়ে হয়ছে নাকি..? যে আমি তোকে ডিভোর্স দিবো..। আবির কিছু বলার আগে চা চলে আসলো..চা খেলাম. তুই জানি রাগিণী কাগজটা হাতে পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো..।

পরে আমি নিয়ে গিয়ে বাসায় ডুকিয়ে দিলাম.। আমি যদি জানতাম এটা ডিভোর্স পেপার তাহলে.। কখন ও এটা আমি রাগিণী কে দিতাম না..শালা বিয়ে হওয়ার আগে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছি...?(আবির রেগে বললো)

আশ্চর্য তুই কেন রেগে যাচ্ছি..? সেই চায়ছিলো তাই দিয়ে দিলাম..। আচ্ছা আর এই গুলো নিয়ে কথা বলবি না.. তাঁর পরে তাঁরা ও আর এই টপিক নিয়ে কথা বলে নাই..। তাঁর পরে তাঁদের সাথে গল্প করতে করতে 

দুপুরের আজান দিয়ে দিলো..। তাঁর পরে এক এক করে সবাই চলে গেছে..। আবিদ, আবির, রানা, বসে আছে..তো এখন তুই কি করবি..?(রানা) আমি কি আর করবো ছোট কাটু একটা জব করবো..।

এর বেশি কিছু করার তো নেই..। আমি তোকে এই কথা বলি নাই, দেখ রাগিনী তোকে ভুল বুঝে ঐ কথা বলেছে, তুই যাওয়ার দুই মাস পরে সেই সত্যি টা জানতে পারে...তখন থেকে কারো সাথে ভালো ভাবে কথা ও বলে না..।

সারাক্ষণ বাসায় বসে থাকে..। তোকে অনেক জায়গায় খুঁজে দেখেছে..। কিন্তু তোর খবর কোথাও পায় নাই..। কলেজে গিলে আনমনে বসে থাকে..। দেখ সেই তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছে..।

থাকে ফিরিয়ে নেয়..।  আমি আসা অব্ধি রাগিণী আমার সাথে একটু ও কথা বলে নাই..। আমি সরি বলার শব্দ ও সেই তাঁর ধ্বনি উচ্চারণ করে নাই..। তুই বলছি আমি থাকে আবার ফিরে নিবো..?(চোখ দিয়ে পানি পড়ছে)

দেখ রাশেল সেই হয়তো বা, লজ্জা কারণে কথা বলতে পাছে...। সেই তোকে খারাপ ভাষায় কথা বলেছে, হয়তো সেই লজ্জায় তোর কাছে আসতে পারছে না.. লজ্জা তা ও আবার রাগিণী( মনে মনে বললাম)

কেন নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি..। আমরা জানি তুই রাগিণী কে ছাড়া থাকতে পারবি না..।  কে বলেছে আমি থাকে ছাড়া থাকতে পারবো না..? সেই যদি থাকতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না..?

ভুল বললি তুই..?(হেঁসে এখন ও মিথ্যা বলতে পারি না..। রাগিণী কথা বলতে তোর চোখ দিয়ে পানি চলে আসে..। তোর চোখের পানি বলে দেয় তুই রাগিণী কে কতটা ভালোবাসি...? ভুল, তোর ভাবনা এবং বাস্তব জগৎ শূন্য...।

দুইটা বছর থাকে ছাড়া কি ভাবে থাকলাম..। এটা বাস্তবে কাউকে ছাড়া থাকা যায়, যদি তোর মনকে শক্ত করিস..। হা একটু কষ্ট তো পাবি..। তবে সেইটা দিনের বেলায় না..। রাতে যখন একলা পড়ে যাবে..।

তখন একটু কষ্ট পাবি..। চোখ দিয়ে  পানি পড়ছে, দোকানে বসা সবাই আমার কথা শুনছে..। হঠাৎ একজন বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে বললো..বাবা তোমার ধারণা টা ভুল, ভালোবাসার মানুষ কাছে না তাকলে এই পৃথিবীটাকে শূন্য মনে হয়..। হ্যাঁ ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া জীবন পার করা যায়..। কিন্তু প্রতিটা পথকেপে কষ্ট আর কষ্ট...। আমি এখন হারে হারে বুঝতে পারছি..ভালোবাসার মানুষকে ছাড়া জীবন টা মূল্য হীন..। ভালোবাসার মানুষকে কখনো কষ্ট দিও না..। আমি কষ্ট দিয়ে এখন তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি..। এই বলে লোকটা চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো..। আমি আবিরকে বললাম আবির লোকটা কে রে আগে কখনো ও দেখি না..? লোকটা তাঁর ভালোবাসার মানুষকে ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছিলো..। মেয়েটা কষ্ট সয্য করতে না পেরে আত্মাহত্যা করেছিলো..। এখন পাগলে মতো ঘুরছে, ত্রিশ টা বছর ধরে রাস্তা রাস্তা ঘুরছে,। হয়ছে এখন চল দুপুরে খাওয়ার খেতে হবে..। আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তাহলে চলে যায়.তোরা যা, চলে যাবি মানি আজকে আমার সাথে আমার বাসায় যাবি...। আজকে চারজন এক সাথে লাঞ্চ করবো..আরে না ভাবিকে কষ্ট দিতে চায় না..? ভাবি অসুস্থ  আর তুই কি না আমাদেরকে তোর বাসায় নিয়ে যাচ্ছি..? আরে তোর ভাবি অসুস্থ তাতে কি হয়ছে আম্মু আছে না...। না, তবো ও আমরা যেতে চাচ্ছি না. তাঁর চেয়ে একটা কাজ করি আজকে রানা বাসায় গিয়ে খয়..। কি রে রানা ভয় পায়লি নাকি...। আজব তো ভয় পাবো কেন, চল তাহলে.. তাঁর পরে সবাই রানা বসায় চলে আসলাম, তাঁর বাসায় লাঞ্চ করলাম সাথে ভাবিকে ও দেখে আসলাম..। চারজন গল্প করতে করতে মাগরিবের আজান দিয়ে পেলছে...। এখন ও বাসা থেকে ফোন করে নাই..পকেটে হাত দিয়ে দেখি সর্বনাশ......


part_9


পকেটে হাত দিয়ে দেখি, সর্বনাশ মোবাইলটা তো বাসায় রেখে আসছি..। তাঁর পরে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম..। আসার সময় মামার বাসা থেকে বাইকটা নিয়ে আসলাম..। বাসায় ডুকতে ভয় করছে আল্লাহ জানে আজকে কি বকা দেয় আমাকে..? ভয়ে ভয়ে দরজা কলিং বেল চাপ দিলাম....। আল্লাহ জানে আজকে আমার কি হয়...দরজা খুলে দিলো, সামনে থাকিয়ে দেখি রাগিণী দাঁড়িয়ে আছে, তুমি মোবাইল নিয়ে যাও নাই কেন..?(নরম সুরে বললো) রাগিণী কন্ঠ শুনে আমার একটা ভালো লাগা কাজ করলো..। দুইটি বছর পরে রাগিণীর কন্ঠ শুনলাম..। নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, আসলে ভুলে ফোনটা রেখে চলে গিয়েছিলাম..। জানো তোমার জন্য বাসার সবাই খুব টেনশন করছিলো..?(রাগিণী)  আমি কি এখন ও ছোট ছেলে যে আমার জন্য টেনশন করতে হবে...?( এই বলে শার্টের বোতাম খুতে খুতে বাসার ভিতরে চলে আসলাম..।  রাগিণী আর কিছু না বলে চুপ করে দরজা সমানে দাঁড়িয়ে থাকলো..। আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম, শরীরটা ভালো লাগছে না, মনে হয় জ্বর আসবে রাতে..। লেপের নিচে ডুকে শুয়ে পড়লাম, কিছু ভালো লাগছে না, তবো ও কেমন যেনো একটা সুখ অনুভব করছি..। কিন্তু কিসে সুখ সেটা বুঝতে পারছি না..চোখটা লেগে আসলো, হঠাৎ কাউকে আমার রুমে আসার শব্দ পেলাম..। চোখ না খুলে শুয়ে রয়লাম..। কারো হাত কপালে অনুভব করলাম..। আমি খুব ভালো করে বুঝতে পারলাম এটা রাগিণী, আমি চোখ না খুলে অনুভব করতে লাগলাম তাঁর হাতে স্পষ্ট। সেই আমার কপালে হাত বুলাতে লাগলো, চুলে ও হাত বুলাতে লাগলো, আমার আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ হয়ে আসলো, ঘুমিয়ে গেলাম..। যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন আমার বুকে উপর রাগিণী মাথা..। আমার আরেক পাশে দেখি তানিয়া বেডে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে..। পা সরাতে বুঝতে পারলাম..। আমার পায়ের কাছে আম্মু ঘুমিয়ে আছে,  অন্য পাশে থাকিয়ে দেখি আব্বু চেয়ারে ঘুমিয়ে আছে..। এঁরা সবাই এখানে কেন...? নিচে থাকিয়ে দেখি বালতি মধ্যে পানি..। তাঁর মানি রাতে আমার জ্বর আসছিলো....? আমি রাগিণী মাথাটা বুক থেকে নামিয়ে বালিশে দিলাম, তাঁর পরে আস্তে আস্তে লেপ থেকে বের হয়, নিচে নামলা, কেমন যেনো ডুলছি আমি, ভালো ভাবে হাটতে ও পারছি না......

কোনো রকম আব্বু পাশে গিয়ে, থাকে ধরে অনেক কষ্টেই বিছানায় নিয়ে আসলাম..।  পরে আম্মুকে নিয়ে গিয়ে শুয়ে দিলাম, তাঁর পরে নিজে রুমে এসে তানিয়াকে বিচানায় তুলে শুয়ে দিলাম.। তাঁর পরে আমি মাঝে ডুকে শুয়ে পড়লাম..। আমি রাগিণী দিকে থাকিয়ে শুয়ে আছি, মেয়েটা আজকে আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে..। তাঁর দিকে থাকিয়ে আছি, এক ধানে, তাঁর ঠোঁট দুইটা আমাকে আকর্ষণ করছে, সেই আগের মতো সেই অনুভূতি চলে আসলো..। যখন ঠোঁট এক করতে যাবো, তখন নিজের বিবেক বাঁধা দিলো, আমি তো থাকে ডিভোর্স দিয়ে পেলছি তাহলে কি করে আমি থাকে কিস করবো..। তাঁর পরে নিজেকে সামলে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম, সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখতে পেলাম, পাশে কেউ নাই..। বিছানা থেকে উঠতে যাবো তখন কারো হাসি শব্দ পেলাম...। দরজার দিকে থাকিয়ে দেখলাম, রাগিণী আর তানিয়া রুমে ডুকতে ডুকতে কি নিয়ে যেনো হাসা হাসি করছে..। আমি আসার পরে আজকে তাঁর মুখে হাসি দেখলাম..। তাঁর মুখে হাসি দেখে মনটা জুরে গেলো, এই যে মশাই ঘুম ভাঙ্গলো..?(তানিয়া হেঁসে বললো) হু, হু না হুম বলো..। আমি ভাবনা থেকে বের হলাম, তো কালকে তো জ্বলে মরে যাচ্ছ.। কালকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে...? (তানিয়া) রাগিণী চুপ করে আমার দিকে থাকিয়ে আছে..। আসলে অনেক দিন পরে বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছিল তো তাই তাঁদের সাথে জমে গল্প করলাম..। ও মা এই দিকে অনেক দিন পরে বউয়ের সাথে দেখা হলো ও বউকে সময় না দিয়ে মশাই বন্ধুদের সময় দিচ্ছে..। আমি তানিয়া কথা শুনে চোখ বড় করে থাকালাম.তাঁর পরে লেপের ভিতর থেকে বের হয়ে বাথরুমে দিকে চলে যাচ্ছি..। এমন সময় তানিয়া বললো অবশ্য তুই সময় দিয়েছিস কিন্তু সেই ভালো ভাবে তোর স্পষ্ট অনুভব করতে পারে নাই..তাই বলছি কি তুই যদি এখন একটু আদর করতি তাহলে অনেক উপকার হতো..?(তানিয়া রাগিণী দিকে থাকিয়ে বললো)

আমি পিছনে ফিরে দেখি রাগিণী মুখ লাল হয়ে গেছে.। সেই লজ্জা পেয়ে রুম থেকে দৌড়ে চলে গেলো..আমি আর কিছু না বলে বাথরুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম..। দেখতে পেলাম তানিয়া বেডে বসে আছে..

আমি গিয়ে তাঁর পাশে বসলাম, কি রে আপু এই ভাবে কি ভাবছিস..? আমার দিকে থাকিয়ে বললো, কিছু না, ভাবছি তুই না অনেক খুশি আছিস..। তোর ফ্যামিলিতে যদি আমি থাকতাম..।

তাহলে আমি ও না এই রকম মা বাবা কাছ থেকে ভালোবাসা পেতাম..?(মন খারাপ করে বললো) আমি আপুর মাথাটা ধরে আমার কাঁধে রাখলাম..। কি সব বলছো তুমি এটা তো তোমার-ই পরিবার..।

সো না হলে একটা কাজ করো তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও তাহলে এমন একটা পরিবার পাবে..?(হেঁসে বললাম) হুম তাই করতে হবে..?(আমার গাল ধরে বললো) আমি ও হাসলাম..।

হঠাৎ দরজা দিকে থাকিয়ে দেখলাম, রাগিণী কান্না করছে..। আমরা তো দুই জনে অবাকক হয়ে গিছি, তানিয়া আমার দিকে থাকালো, আমি ও তার দিকে তাকালাম..। আমরা বুঝতে চাচ্ছি এটা কি হচ্ছে..।

তানিয়া উঠে রাগিণীর কাছে যেতে রাগিণী দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো..। তানিয়া আমার দিকে থাকিয়ে বললো রাশেল এটা কি হলো..? আমি কি ভাবে বলবো..? দেখ রাগিণী আমাদের ভুল বুঝে চলে গেলো...।

তার পরে দুই জনে নিচে আসলাম, এসে দেখি রাগিণী নেয়..। আমি সারা বাড়ি ঘুরে দেখলাম..। মা আমার কাছে এসে ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস  করে দুইটা থাপ্পড় দিলো..। মেয়েটাকে তোর কষ্ট না দিলে ভালো লাগে না তাই না..?

আমি অবাককক হয়ে মার দিকে থাকিয়ে রয়লাম..। ছিঃ তুই এতটা খারাপ..। তুই জানিস রাগিণী ডিভোর্স পেপার হাতে পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলেছিলো..। এমন কি মেয়েটা আত্মাহত্যা করতে গিয়েছিলো...

তোর মামা যদি না দেখতো তাহলে, আজকে রাগিণী আমাদের মাঝে থাকতো না..। আচ্ছা তুই কি মেয়েটাকে মেরে পেলতে চাস..ছিঃ তোকে এখন আমার ছেলে ভাবতে ও কষ্ট হয়...।(আম্মু কথাটা বলে কান্না করতে করতে দরজা বাইরে চলে গেলো)

পিছু পিছু তানিয়া ও গেলো..। আমার দোষ গুলো কি আমি নিজে ও জানি না..সবাই আমাকে এই ভাবে দূরে টেলে দিচ্ছে কেন..? চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, গা দুইটা জ্বলছে, কিন্তু সেই দিকে আমার কোনো কেয়াল নেই..।

আমি তো এই বাসায় আসতে চাই নাই..। তাহলে তারা আমাকে আনতে গেলো কেন..? বুকটা দুঃখ পেটে যাচ্ছে..! অবহেলা পাত্র,অবহেলা পাত্র-ই আছি...। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,। 

বাসা থেকে বের হয়ে, বাইকটা নিয়ে ফোল স্পিডয়ে  বাইকটা চালাচ্ছি..। কিছু দূর আসতে আবির আমাকে দেখে ডাক দিলো..আমার সেই দিকে খেয়ে নেয়..। দুই কি এক ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে একটা জায়গায় চলে আসলাম.।.

আগে মন খারাপ থাকলে এই জায়গায় এসে বসে থাকতাম..।  সেই সকাল থেকে বসে আছি, দুপুরে পরে মোবাইলটা বেজে উঠলো, স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি রাগিণী নাম্বার থেকে কল আসলো..।

মোবাইলটার উপর রাগ উঠতে লাগলো, মোবাইলটা জঙ্গলের দিকে চুরে মারলাম..। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, এখন নিজেকে নিজর খারাপ লাগছে..। চিৎকার করে কান্না করতে মন চাইলো..

এই জঙ্গলে মধ্যে কেউ নেই মনে হলো, তাই ইচ্ছে মতো চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম..। এখন নিজেকে হাল্কা লাগছে..। মনে হচ্ছে আমার মন থেকে অনেক বড় একটা বোজা নেমে গেলো...।

বসে থাকতে থাকতে আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, তবো ও বসে আছি, এই অন্ধকারে বসে তাকতে এখন ভয় করছে না.। এঁদের কষ্টে চেয়ে এই ভয়টা তাঁর কাছে কিছু না, মন চাচ্ছে আত্মাহত্যা করি..।

কিন্তু আত্মাহত্যা মহা পাপ, তাই আর সেই দিকে পা দিচ্ছি না, নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি..। সকালে ও খাবার খাওয়া হয় নাই, পেটটা খালি হয়ে গেছে, মন চাচ্ছে কিছু খায়.।. 

কিন্তু পাশে কোনো দোকান নেই, বাইকটা নিয়ে কিছু দূর আসতে একটা দোকান দেখতে পেলাম..। সেই খানে দাঁড়িয়ে কোনো রকম বিস্কুট আর চা দিয়ে খেলাম..। তা দিয়ে যদি কিছু কাজ করে..।

একটু একটু শীত ও করছে, তাঁর পরে বাইকটা নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ডুকে খাবার খেলাম..। ক্লাব এ চলে আসলাম, এই প্রথম  নিজের টাকা দিয়ে নেশা করবো, কষ্ট গুলো ভুলানো জন্য...।

ইচ্ছে মতো ড্রিংক করলাম, রাত একটায় সেইখান থেকে চলে আসলাম, বাইকটা ভালো মতো চালাতে ও পারছি, একটু দূরে এসে ল্যাম্পুপোস্টে বাইক দিয়ে ধাক্কা দিলাম..। আমি বাইকে তলে চলে গেলাম...।

আউউউউউউউ, মনে হয় পা চলে গেছে, বাইকে তল থেকে উঠার অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু উঠতে পারছি না..। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু আমি ব্যার্থ. ডান পা দিয়ে বাইকে বেডে পা দিয়ে বাইকটা উপরো উঠাতে চাচ্ছি..।

কিন্তু আমি পেরে উঠতে পারছি না..। কি করা যায়, আবার চেষ্টা করলাম, এবার ও ব্যার্থ চেষ্টা করতে তাকলাম, করতে করতে, এক সময় আমি সফল হলাম, একটু উঠলো বাইকটা আমি তারাতাড়ি বাম পা উঠিয়ে তল থেকে নিয়ে পেললাম..।

তাঁর পরে ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে দেখতে পেলাম, পা কিছুটা কেটে গেছে, এবং হাঁটু থেকে ও রক্ত বের হচ্ছে..। এখন ও নেশা মাথা থেকে বের হয় নাই..তাঁর পরে কিছুক্ষণ বসে তাকলাম..।

কাটা পায়ে, তাঁর পরে বাইকটা উঠিয়ে কোনো রকম চালিয়ে আবিদের বাসায় চলে আসলাম, সামনে এসে বেল দিলাম..। কোনো সারা শব্দ নেই..। শালা মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে...।

হঠাৎ পিছন দেখে কে যেনো মোবাইলের Flashlight  দিয়ে আবিদের বাসার দিকে আসছে..। আমি তাঁর দিকে থাকিয়ে আছি..। আমার কাছে আসার পরে বুঝতে পারলাম।

এটা আবিদ, আবিদ আমাকে তাঁর বাসায় সামনে দেখে শখ খেলো মনে হয়..? কি রাশেল তুই এখানে.আর আমরা তোকে সারা শহর খুঁজে যাচ্ছি.। (আবিদ) আমি তাঁর দিকে হা করে থাকিয়ে আছি..।

কি চল ওকে তোর জন্য সবাই পাগল হয়ে গেছে..। আমার কাছে এসে কাঁধে হাত দিয়ে বললো, হঠাৎ আমার দিকে কেমন করে যেনো থাকালো..। তুই মদ খেয়েছিস..?(আবিদ রেগে বললো)

আমি তাঁর দিকে থাকিয়ে হাসলাম, জানি না অন্ধকারের মধ্যে সেই আমার হাসিটা দেখতে পায়ছে কি না..। তাঁর পরে সেই বাইক চালাচ্ছে আমি পিছন থেকে বসলাম..। 

আচ্ছা ভাই এই সব করে লাভ কি বলতো..? (আবিদ হঠাৎ বললো) আমি তাঁর কথায় জবাব না দিয়ে  চুপ করে বসে আছি, কি রে চুপ করে বসেছিস কেন..? ভালো লাগছে না আবিদ তোকে অন্য কোনো দিন উত্তর টা দিয়ে দিবো..।

আচ্ছা তুই সকালে এই ভাবে বাইক চালিয়ে কোথায় গিয়েছিলি..? আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকালাম, তার পরে আবিদ ও আর কিছু বলে নাই..।

সেই বাইকটা চাচ্ছে, বাইকটা বাসায় এনে থামালো, আবিদ তুই বাইক নিয়ে চলে যায়, সকালে নিয়ে আছিস..? হঠাৎ কে যেনো দরজা খুললো..। দরজার দিকে থাকিয়ে দেখি আম্মু..

আচ্ছা তুই চলে যায়.তাঁর পরে আবিদ বাইক নিয়ে চলে গেলো, আমি বাসার ভিতলে চলে আসলাম, আম্মু সামনে নিজে দরে রেখে আস্তে আস্তে হাঁটছি,  আম্মু না বুঝার জন্য, আম্মু আমার দিকে থাকিয়ে আছে...। হয়তো বা বুঝতে ও পেড়েছে.।

রুমে ডুকতে বুঝতে পেলাম, আমার রুমে রাগিণী শুয়ে আছে, আমি বাথরুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি আম্মু দাঁড়িয়ে আছে, চলো খাবার খাবে..?(আম্মু) আম্মু দিকে থাকিয়ে দেখি মনে হয় কান্না করেছে...।

আমি খেয়েছি আম্মু, রুমে গিয়ে ঘুমাও..।  তাঁর পরে আম্মু চলে গেলো..। আমি দরজা লক করে সোফায় শুয়ে পড়লাম..চোখ গুলো লেগে আসলো। ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানায় কেউ নেই..

তাঁর পরে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম..। চোখটা লেগে আসছে, হঠাৎ বুঝতে পারলাম আমার লেপের ভিতর কেউ ডুকছে, বাম সাইডে মুখ নিয়ে গিয়ে দেখলাম৷ রাগিণী ডুকছে, আপু তুমি এখানে কি করছো..?

সরি। আচ্ছা ঠিক আছে  বের হও..? মানি কি আমি সরি বলছি তো তবো কেন বের করে দিচ্ছ..? দেখেন আম্মু দেখলে খারাপ ভাববে..। সো বের হয়ে গেলে ভালো হবে, রাশেল প্লিজ আমাকে এই বারের মতো ক্ষমা করে দাও..?

আসলে আমি তোমার সাথে ভুল বুঝে, খারাপ ভাষা কথা বলেছি, প্লিজ এই বারের মতো মাপ করে দাও..? আমি জীবনে ও তোমাকে ভুল বুঝবো না প্লিজ..।(কান্না করে বললো)

আমার ও কান্না চলে আসছে তাঁর চোখের পানি দেখে..। তবো ও কিছু করার নেয়, এত তারাতাড়ি মেনে নিলে আরেক বার ভুল করার সময় এক বার ও ভাববে না...। প্লিজ বিশ্বাস করো আবার ভুল করার আগে একশত বার ভাববো..।

প্লিজ এই বারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দাও..।  আমি চুপ করে আছি, মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছে. আমার আত্মা টা কান্না করছে কিন্তু আমি কিছু করতে পারছি না.। আমি কি ইগনোরের কারণ রাগিণীকে হারাবো...?

নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম..। কোনো উত্তর পায় নাই..। তবে আমারটা আমি বুঝে নিয়েছি, হয়তো বা এখানে আমার ও ভুল বোঝাবুঝি হয়ছে..। আমি চাইলে তো তাঁর ভুলটা ভেঙে দিতে পারতাম...?

তাহলে আমি সেইটা না করে তাঁর কাছ থেকে দূরে কেন চলে গিয়েছিলাম..? এটা কি ইগোর কারণে..? আমি ও তো ভালোবাসি তাকে তাহলে..আমি কি করে তাঁর কাছ থেকে দূরে থাকলাম...?

এটা কি আমার ভালোবাসা, ছিঃ এখন নিজেকে নিজের উপর ঘৃণা লাগছে.। সত্যি তো আমি কারো ভালোবাসার যোগ্য না, আমি শুধু করুণা পাত্র..। আমার মতো ছেলেরা শুধু করুণা পেতে পারে কারো ভালোবাসা পাওয়া যোগ্য না..।

কি হলো চুপ করে আসো কেন..? প্লিজ এই বারের মতো ক্ষমা করে দাও..। আমি শুয়া থেকে উঠে বসলাম,রাগিণী ও বসলো, রাগিণী আমার হাত ধরে বললো। প্লিজ আমার ভুল হয়ে গেছে,

আমার সেই ভাবে কথার বলা ঠিক হয় নাই..। বিশ্বাস করো আমার রাগ উঠলে আমি কি বলি নিজে ও জানি..। আর নীল তো সেই এই খারাপ ছবি গুলো দেখিয়ে আমাকে রাগ উঠিয়ে দিলো..।

তাই তোমার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেছি, প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও..? আরে তুমি কেন ক্ষমা চাচ্ছ, ভুলতো আমার হয়েছিলো, আসলে আমি কারো ভালোবাসা যোগ্য না, আমি শুধু করুণা পাত্র। (চোখ দিয়ে দুই ফুটা পানি পড়লো, রাগিণী হাতে, রাগিণী আমার চোখের পানি দেখে বললো..। প্লিজ ভুল হয়ে গেছে, আর কখনো তোমাকে এই ভাবে কথা বললো না, প্লিজ তোমাকে কান্না করলে মানায় না। সেই আমার চোখের পানি মুছে দিলো..। আমার খুব ইচ্ছে করছে তাকে জড়িয়ে ধরতে..কিন্তু কিছু একটা আমাকে বাঁধা দিচ্ছে..। তুই তো থাকে ডিভোর্স দিয়ে পেলছিস তাহলে কোন মুখে থাকে জড়িয়ে ধরবি..? কি হলো জড়িয়ে ধরো..?(এত কি ভবছো) সেই আমার মনে কথা কি ভাবে বুঝতে পারলো..? আমি চুপ করে তাঁর দিকে থাকিয়ে আছি..। কি হলো এখন ও তোদের মান অভিমান ভাঙ্গা হলো না..?(তানিয়া রুমে ডুকতে ডুকতে বললল) পাগল কোথা কার. জড়িয়ে ধরতে এত ভাবতে হয় নাকি..? তোর ডিভোর্স পেপারটা  সেই দিন পুড়িয়ে পেলছে..। এখন এত না ভেবে জড়িয়ে ধরে, বউয়ের কষ্ট গুলো ভুলিয়ে দেয়..?(হেঁসে কথাটা বলে রুমে বাইরে চলে গেলো...) আমি রাগিণী দিকে থাকিয়ে আছি..সেই লজ্জা পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো..। সরি, আর এমন ভুল করবো না..?(বুক থেকে রাগিণী বললো) তুমি কেন সরি বলছো, আসলে সরি আমি..ভুলটা আমার-ই ছিলো, আমি চাইলে তোমার ভুলটা ভেঙে দিতে পারতাম..। কিন্তু আমি সেইটা না করে আরো জিত ধরে চলে গিয়েছিলাম..? না, ভুলটা আমার ছিলো, অজতা যাচাই না করে তোকে ভুল বাল বলেছি..। আচ্ছা ঠিক আছে..। এখন তো অভিমান ভাঙ্গছে তাই তাহলে..উঠো আমি ফ্রেশ হতে যাবো..। ও আচ্ছা তাহলে আগে আমারটা আমি নিয়ে নিয়..? এই বলে আমার ঠ.........


part_10


এই বলে রাগিণী আমার ঠোঁট বন্ধ করে দিলো..। আমি ও পাগলের মতো চুষতে লাগলাম..অনেক বছর এই ঠোঁটের স্পষ্ট পায় নাই.। কয় মিনিট থাকলাম নিজে ও জানি না, যখন ছেড়ে দিলো তখন দুইজনে হাঁপাচ্ছি,আমার দিকে থাকিয়ে আছে রাগিণী।  কি আমার সাথে আর রাগ করে চলে যাবে...? আমি তাঁর দিকে থাকিয়ে মুচকি হাসলাম...। আবার যদি রেখে চলে যাও তাহলে কিন্তু আত্মাহত্যা ক...আমি মুখে হাত দিয়ে আর কিছু বলতে দিলাম না..। সকাল সকাল কি বক বক করবে নাকি কিছু খাওয়াবে..? আমার কথা শুনে হেঁসে দিলো..। (কান্না মিশ্রিত) তাঁর পরে নিচে চলে আসলাম, চেয়ার বসে আছি..। কি হলো তোদের মান অভিমান অনুতাপ কি শেষ হলো..?(আম্মু বললো) আমি কিছু না বলে নিচে দিকে থাকিয়ে আছি..। রাগিণী আমার দিকে তাকিয়ে বললো.হুম আম্মু শেষ হয়েছে..। তাঁর পরে সবাই বসে খাবার খেলাম..। খাবার খেয়ে আবার রুমে এসে বসে পড়লাম.হঠাৎ রাগিণী আর তানিয়া আসলো, রাগিণী আমার কাছে এসে একে বারে গা ঘেঁসে বসলো..। তানিয়া আমার উপর পাশে এসে বসলো, ঠিক রাগিণী মতো..। রাগিণী তানিয়া দিকে কেমন করে যেনো থাকালো...? কিন্তু তানিয়া ও ছাড়া পাত্র না, ঐ এই ভাবে কি দেখছো, তোমার যত দূর অধিকার আছে, আমার ও তাঁর সমান অধিকার আছে...।

তোমরা শুধু একটা কাজ করতে পারবে আমার থেকে ভিন্ন, ব্যাস এর থেকে বেশি কিছু না(হেঁসে বললো) জ্বি না, তুমি পাবে বোন হিসাবে ভালোবাসা, আর আমি পাবো ভালোবাসার মানুষ হিসাবে ভালোবাসা..।(আমার হাত জড়িয়ে ধরে বললো) হি হি হি তাতেই কি হয়ছে, ভালোবাসার মানুষের চেয়ে বোনকে বেশি ভালোবাসে ভাইয়ে..। কি ভাইয়া ঠিক বলি নাই..? ওরে বোন আমার এই দিকে আয় একটা পাপ্পি দিয়, তুই একদম আমার মনে কথাটা বললি..? তানিয়া মুখটা আমার কাছে আনতে এটা দিয়ে দিলাম..? আরে ভাই দিয়ে দিলাম আর কি..?😆😆😆 রাগিণী দিকে থাকিয়ে দেখি সেই লেভের ফুঁলে গেছে...।

হো, হো, আমি তানিয়া দিকে থাকিয়ে দেখি সেই ও আমার তালে তালে হাসছে..।

হয়ছে, তোমাদের নাটক বাজি, এখন চলো ব্রেকফাস্ট করবো..?(রেগে বললো) সমস্যা নেই ব্রেকফাস্ট না করলে ও, আমার ভাইটাকে আদর করলে আর ব্রেকফাস্ট করতে হবে না..?তা ছাড়া ব্রেকফাস্ট তো করছি,(কি ভাই ঠিক বলি নাই..?) একদম ঠিক বলছো তুমি...। আমার কথা শেষ হতে আমার উপর উঠে কিল ঘুশি মারতে লাগলো..। আরে রাগিণী কি করছো ব্যার্থা পাচ্ছি তো...? কোনো কথা না বলে মারতে লাগলো, আমি বিছানায় পড়ে গেলাম, তানিয়া আমার কান্ড দেখে হাসছে, যখন রাগিণী মার থামাচ্ছে না,তখন খুব শক্ত করে আমার বুকের সাথে এক করে পেললাম..। এক হাত দিয়ে রাগিণী চুল গুলো খুলে দিলাম, তানিয়া দিকে আমার কোনো খেয়ার নেয়..। আমি অদ্ভুত মায়ায় ডুবে গেলাম..। রাগিণী তাঁর মার বন্ধ করে দিয়ে আমি কি করছি তা দিকে থাকিয়ে তাকলো..। আমি চুল গুলো খুলে দিয়ে তাঁর সৌন্দর্যের প্রতীক দেখতে লাগলাম..। যে অনুতাপে ডুকে পড়েছিলাম সেইখান থেকে একটু একটু বের হচ্ছি..। এই অনুতাপ্ত জায়গাটা অনেক কঠিন, যা সহজে কেউ সেই খানে প্রবেশ করতে পারে না..। যখন ডুকে যায় তখন বের হওয়ার শক্তি তার হাতে থাকে না..। তখন অন্যের হাতে চলে যায়.।.

সেই আমার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে, হঠাৎ ঠোঁট টা আমার ঠোঁটে ডুবিয়ে দিলো..। কাশি দিলো হঠাৎ কেউ, আমরা দুইজন দুইজনকে ছেড়ে দিয়ে তাকিয়ে দেখি, তানিয়া এই রে এ তো এই খানে ছিলো..? আমার তো কিছু মনে ছিলো না..।  এই তো রাগিণী এই একটা জিনিস করতে পারি না.সেই জন্য তোমার থেকে একটু আদর কম পায়..?(হেঁসে বললো) রাগিণী ও আমার দিকে তাকিয়ে আসলো, আমি তাঁকে বিছানায় রেখে বাথরুমে ডুকে পড়লাম..। শালার মাথা কাজ করা ও বন্ধ করে দেয়, কেন যখন তখন তাঁর চুল গুলো খুলতে গেলাম, জাদু আছে বলতে হয় তাঁর চুলে, খুলে সাথে সাথে যেনো কোথায় হারিয়ে গেলাম..।। কিছুক্ষণ পরে.. এই যে বাবু তানিয়া চলে গেছে এখন বাইরে আসতে পারো..।(রাগিণী) রাগিণী কথায় বাইরে গিয়ে দেখি তানিয়া নেই, আচ্ছা রেডি হয়ে নাও, আজকে ঘুরতে যাবো..? কি এই সূর্যের তাপে ঘুরতে যাবো..?(অবাকক হয়ে) হুম কি হয়ছে..? না, মানি আমি পারবো না..। কি পারবে না..?(পিছন থেকে তানিয়া বললো) আসলে আপু এই সূর্যের মধ্যে নাকি ঘুরতে যাবো.এটা কি মানায় বলো প্লিজ...। একদম রাগিণী ঠিক বলেছে, এখন এত কথা না বলে রেডি হয়ে যা..? আমি কিন্তু পালিয়ে যাবো..। সেইটা পরে দেখা যাবে, কি আর করা রেডি হলাম রাগিণী একটা কালো রঙের পাঞ্জাবি এনে দিলাম..। পড়ে বিছানায় বসে আছি, এই শুনছো..?(বাথরুম থেকে রাগিণী বললল) হুম, বলো..। একটু কি ভিতরে আসতে পারবো..? বাথরুমের ভিতর গেয়েতো আমি অবাকক হয়ে গেছি, ও মাই গড, এই গুলো আমি কি দেখলাম..? (আরে ভাই আপনার একটু চোখ বন্ধ করেন আমি কিছু বলে যায়..😉😉😉 চোখ বন্ধ করলে তো শুনতে পারবে না তাই..?😋😋😋 দেখন দেখন কি খারাপ লোক এঁরা এখন ও চোখ খুলা রাখছে..। যাও তোমাদেরকে আর বলুম না..?🤥🤥🤥 এখন গল্পে যাওয়া যাক

কি হলো হা করে থাকিয়ে আছো কেন..? আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দাও..।(হে হে হে পাটকরা ছ্যাগা খায়ছে, তাঁরা ভাবছে কি আর হয়ছে কি..?😀😀😀😀) আমি! হুম তুমি...।

কেন তুমি পড়তে পারো না..? আমি পাড়লে তো আর তোমাকে পড়াতে বলতাম না..। ও আচ্ছা তাহলে আগের গুলো কি ভাবে পড়লে..? সেই গুলো তো আম্মু পড়িয়ে দিয়েছিলো..। তাহলে আমি আম্মুকে পাঠাচ্ছি..।

এই একদম বাইরে যাবে না, আমার সামনে এসে দরজাটা লাগাতে লাগাতে বললো..। আমার তো একটা ইচ্ছে আছে নাকি..? আমার বাবুর কাছ থেকে শাড়ি পড়ার..। তো এতক্ষণ পর্যন্ত সত্যটা না বলে মিথ্যা নাটক করতে গেলে কেন...?

আচ্ছা সরি বাবু..? শাড়িটা পড়িয়ে দিলাম, পড়িয়ে দেওয়ার সময় তাঁর পাটে হাত লাগছিলো, রাগিণী কেঁপে কেঁপে উঠলো, আর সাথে সাথে চোখ বন্ধ করছিলো..। আমি দেখে তো আমার সেই লেভের কেলানি উঠে গিয়েছিলো, তবো ও ধরে রাখছিলাম..।

বউয়ের সৌন্দর্যের কারণে, হি হি, তবে আরেকটা জিনিস দেখছিলাম ওটা সিক্রেট তাই বলা যাবে না হি হি, তাঁর পরে আমরা তিন জনে মিচিং রঙের কাপড় পড়লাম পড়লাম..। সিঁড়ি দিয়ে নামতে আব্বু আম্মু আমাদের দিকে হা করে থাকিয়ে আছে...।

নিচে নেমে তাঁদের সামনে তিন জনে দাঁড়ালাম, আমাদের মেয়ে দুইটাকে অনেক সুন্দর লাগছে..। আর ছেলেটাকে তো বান্দরের মতো লাগছে..?(আব্বু) আমি তাঁদের কথায় হাসলাম, শালার এদেরকে এই বাসায় এনের আমার ভালোবাসা..।

কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো..। কেন যে আনতে গেলাম..। এই কি হলো এত মনোযোগ দিয়ে কি দেখছ..? আরে দেখছি না ভাবছি..। কি ভাবছ..? সিক্রেট বলা যাবে না..। আমার থেকে ও সিক্রেট...?

হুম, এখন কথা বলবে নাকি যাবে..।  তাঁর পরে মা বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাইরে চলে আসলাম, আমি গাড়ির ড্রাইভ করছি, পিছনে ওঁরা দুইজন বসে আছে, মনে হচ্ছে আমি ওদের চাকর...।

শালার মন ভালোবাসার জন্য আর কোনো মেয়ে পেলি না..? গ্লাসে রাগিণী দিকে থাকিয়ে দেখি সেই আমার দিকে কেমন করে যেনো থাকাচ্ছে..। তাঁর ও মন চাচ্ছে আমার পাশে বন্ধতে কিন্তু তানিয়ার কারণে পারছি না..।

কিছু দূর এসে একটা ফুচকার দোকান দেখতে পেলাম, আমি সেইখান থেকে গাড়ির স্পিড আরো বাড়িয়ে দিলাম..। এই গাড়ি থামাও, আমরা ফুচকা খাবো..। শালার কোন জ্বালায় পড়লাম নিজে ও জানি না..।

তাঁর পরে গাড়ি দাড় করিয়ে তাঁদের কে ফুচকা খাওয়ালাম, আমাকে ও দুইজনে খাইয়ে দিয়েছিলো,  তাঁর পরে গাড়িতে উঠে বসলাম, সারা শহর তানিয়াকে ঘুরি ঘুরি দেখালাম, তাঁর মন্তব্য শুনার টাইম এখন আমার নাই ভাই..। 

বউ পাশে আছে অথচ তাঁর সাথে মন খুলে কথা বলতে পারছি না..। কপাল, কপাল সবি কপাল..। দুপুরে রেস্টুরেন্টে ডুকে তিন জনে লাঞ্চ করলাম..।এর পরে ঘুরা আর ঘুরা,  মাগরিবের পরে শপিং করতে ডুকলাম..।

এঁরা আমার টাকা শেষ করার জন্য আনছে, কপাল লেখা থাকলে যা হয় আর কি সকাল থেকে ড্রাইভার হয়ে থাকলাম, আর এখন কত টাকা দিতে হয় জানি না..। কিছু করার নাই, এরা শপিং করছে..।

আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শপিং করা আর তাঁদের শপিংয়ের প্যাক বয়ে যাচ্ছি, আমার দুই হাত ভর্তি হয়ে গেছে, আমি গিয়ে ওই গুলো গাড়িতে রেখে আসলাম..। আমার একাউন্টে টাকা গুলো আজকে শেষ..।

তাঁর পরে তাঁরা তাঁদের ইচ্ছে মতো শপিং করলো. আমাকে একবার ও জিজ্ঞেস করে নাই, আমার কি কিছু লাগবে..। তাঁর পরে গাড়িতে এসে বসলাম, তাঁরা ও বসলো, ড্রাইভ করছি, চুপ করে সকালের মতো চালাচ্ছি...।

গাড়ি যখন বাসার দিকে নিয়ে যাচ্ছি..। তখন রাগিণী বললো এই গাড়ি আমাদের বাসার দিকে নিয়ে যাও, তাঁর পরে গাড়ি মামা বাসার সামনে নিয়ে আসলাম, এক এক করে সব গুলো বাসায় নিয়ে গেলো..।

আমি গাড়ি টা ঘুরিয়ে বাসায় চলে আসলাম..। মাথাটা বন বন করছে, বাসায় এসে লম্বা একটা ঘুম দিলাম, কারো হাতে স্পষ্টে আমার ঘিম ভাঙ্গালো.। চোখ খুলে দেখি আম্মু আমার বুকে হাত বুলাচ্ছে.।

আমি আম্মু দিকে থাকিয়ে বললাম, কি হলো আম্মু..? তুমি কান্না করছ কেন..? না, এমনি..। আরে মা কি হয়ছে বলবে তো নাকি...? সরি, তোকে ভুল বুঝে অনেক কিছু বলে পেলেছি...।

আরে মা এই সব তো আদৌ কাদৌ ভুল হবে, তাঁর জন্য ছেলে কাছে কি ক্ষমা চাইতে হয়..? (মা চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম) আম্মু হেসে বললো ওমা তুই তো অনেকক বড় বড় কথা শিখে গেছি...? 

আচ্ছা শুন আমাকে কিন্তু নাতনী এনে দিতে হবে..? অসম্ভব আমি পারবো না..। দেখ তুই রাগিণী ভুল বুঝিস না.. তোর স্বাভাবিক ভাবে কথা বলা রাগিণী মুঠে ও বিশ্বাস করতে পারছিলো না..।

তোর তো সবার সাথে রাগ করার কথা, কিন্তু তুই সবার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কেন কথা বলছি তা আমরা সবাই ও বুঝতে পারছি না..। রাগিণী প্রতিদিন রাতে আমার কোলে মাথা কান্না করতো..।

কয়েক বার আত্মাহত্যা করতে চেয়েচিলো, আমি বারণ করার শর্তে সেই আর ওই দিকে পা দেয় নাই..। আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলতো তুই কেন রাগিণী সাথে ভালো ভাবে কথা বললি...?(আম্মু)

আম্মু দিকে থাকিয়ে বললাম, ভালোবাসাটা তোমার কাছ থেকে শিখেছিলাম মা..। কারো উপর রাগ করাটা তো তুমি আমাকে শিখাও নাই.. তবে হ্যাঁ রাগিণী উপর অনেক অভিমান বরে গিয়েছিলো, কিন্তু অভিমানের কারণে আমি একটু একটু অনুতাপে ডুকে গিয়েছিলাম..।

তাঁর সাথে অযথা রাগ করে লাভ কি..। তাঁকে তো ডিভোর্স দিয়ে পেলেছি তাহলে, তাঁর সাথে রাগ আর অভিমান মানায় না, তাই মামাতো বোন হিসাবে ভালোবাসা বুঝাতে লাগলাম..। আমি জানতাম আমি যদি রাগিণী সাথে এই ভাবে কথা বলি তাহলে..।

তাহলে রাগিণী বুঝতে পারবে ভালোবাসা অর্থ কি.। ভালোবাসার অর্থ কি কারো বিশ্বাস করা নাকি না করা..? ভালোবাসা মানি কাউকে বিশ্বাস করা, তা বুঝাতে চেয়েছি..। কারো ভুল বাল শুনে অবিশ্বাস করা না..।

তাঁকে এটা উপলব্ধি করাতে চেয়েছি..। কিন্তু কেন জানি থাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগো না..হয়তো ভালোবাসি বলে..। না, সেই তোর থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছে, তাই তোর রাগিণীকে কষ্ট দিতে মন চায় না.।.

সেই সত্যিটা জানার পরে প্রায় পাগল হয়ে গিয়ে ছিলো..। আচ্ছা রাশেল তুই খারাপ কাজ কখন থেকে করতি..? খারাপ কাজ মানি..?(অবাকক হয়ে বললাম) আইমিন আমি বলতে চাচ্ছি কখন থেকে খারাপ জিনিস খেতে তাকলি..?

আম্মু কথা শুনে খুব অবাকক হলাম, তাঁর মানি আম্মু কালকে রাতে আমার মদ খাওয়ার ব্যাপারটা বুঝে নিয়েছিলো..? কই আম্মু আমি কখন এই সব খয়.?? দেখ মিথ্যা বলবি না, আমি কালকে রাতে বুঝতে পেলেছি..।

আজকে থেকে এই সব খাবি না, আর হ্যাঁ এখন ফ্রেশ হয়ে তোর মামা বাসায় চলে যা, কালকে সকালে তিন জন চলে আসবি..। কিন্তু মামার বাসায় আমি কেন..? সেই তোকে জানতে হবে না.।।

আম্মু রুম থেকে চলে গেলো, আমি ফ্রেশ বাসার বাইরে চলে আসলাম, পিছন পিছন আব্বু আম্মু ও আসলো, বাসার গাড়ি নিয়ে চলে যা..?(আম্মু) কি আর করা গাড়ি টা নিয়ে মামা বাসায় চলে আসলাম..।

তানিয়া এক বার ও কল দিলো না.। আর রাগিণী ও কল দেয় নাই..। বুঝতে পারবি এখন আমাকে কল না দেওয়া, চাচা দোকানে এসে দেখি সব বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছে, উু, অনেক দিন পরে আড্ডায় আসলাম..।

গাড়িটা থামিয়ে, তাঁদের সামনে যেতে,আমাকে দেখে বললো কিরে এখানে কেন..? মজা নিতে আসলাম, কেন এখানে কি মজা পাওয়া যায় না..? হিম ঠিক বললি, এখন এখন মজার পোকা চলে আসলো..।(সবাই হেঁসে বললো)

তাঁর পরে তাঁদের সাথে বসে সেই লেবেলের আড্ডা দিলাম, আড্ডা দিতে দিতে কখন একটা বেজে গেছে, নিজে ও জানি না..। আল্লাহ এখন মামার বাসায় কি ভাবে ডুকবো..? এক এক করে সবাই বিদায় নিলো, 

তাঁর পরে গাড়িতে এসে বসলাম, গাড়ি নিয়ে মামার বাসায় চলে আসলাম, গাড়ি টা পার্ক করে কি ভাবে ডুকবো ভাবছিলাম, বাসা পুরা অন্ধ কোতাও আলো নেই, হঠাৎ মনে পড়লো, আগে রাগিণী কে যে ভাবে দেখতে যায়তাম..।

সেই ভাবে বাসায় ডুকতে হবে, কিন্তু এটা বেশি রিক্স। এত বড় গাছ এটা বেয়ে কি ভাবে উপরে উঠবো..। যেই ভাবে হোক বাসায় তো ডুকতে হবে..। কোনো রকম গাছে অর্ধেক উঠতে আমার ইজ্জতের তেরোটা বেজে গেলো..😥😥😥

একদম মেইন ঘুরায় পেন্টটা পেটে গেছে.।🤐🤐🤐(লজ্জার ব্যাপার, আপনার আবার লজ্জা দিয়েন না😥😥😥) কোনো রকম ছাঁদে উপরে উঠে পড়লাম, ও আল্লাহ আমার ইজ্জত শেষ..।

আমি এখন পড়ার জন্য পেন্ট পাবো কোথায়..। চুপিচুপি রাগিণী রুমে আসলাম, থাকিয়ে দেখি রাগিণী একা শুয়ে আছে,অন্য রুমে গিয়ে দেখি তানিয়া শুয়ে আছে, তাঁর মানি এঁরা আরাম করে ঘুমাচ্ছে.।.

আমি একটা রুমে গিয়ে দরজা লক দিয়ে বেডে বসে পড়লাম..। হঠাৎ একটা লুঙ্গি দেখলাম, এটা পড়ে  শুয়ে পড়লাম যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন বাসায় বাইরে টল চলছে মনে হয়..।

সেই কি চিৎকার বাসার সবাই হয় ছয় করছে.। আমি ফ্রেশ হয়ে বাইরে গিয়ে বললাম, মামি খুশি খিদা লাগছে খাবার দাও তো.। হঠাৎ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে.। কি হলো সবাই এমন করে তাকিয়ে আছো কেন..? 

তুমি কখন আসলে..? মানি কি কালকে রাতে তো আসছি..। তোমাকে দরজা কে খুলে দিলো..?(রাগিণী) কেন, কাজের মেয়ে তো খুলে দিলো..। আমি খুলে দিয়েছি..?(কাজের মেয়ে বললো)

তোরা কি কথা বলবি নাকি রাশেলকে খাওয়া দিবে..? তা ছাড়া নাহিদার ও কিছু ভুলে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাঁর পরে তাঁরা খাবার দিলো, খাবাট খেয়ে, রাগিণী রুমে গিয়ে বসে আছি,

কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আসলো, আমার হাত ধরতে, আমি রাগিণী হাত কাটা দেখলাম। রাগিণী এখানে ব্যান্ডেস করা কেন..? সেই চুপ করে আছে..। কি হলো চুপ করে আসে কেন....? আমাকে কি বলবে তোমার হাত কাটা কেন...? রাগিণী কিছু না বলে মাথা নিচু করে চুপ করে আছে। আমি কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছি...(চিৎকার দিয়ে বললাম) রাগিণী চমকে উঠলো.কি হয়েছিলো আমাকে বললো,(রেগে বললাম) আসলে পরশু সকালে তানিয়া আর তুমি যখন বিয়া কথা বলেছিলে তখন আমার খুব কষ্ট লাগছিলো, তাই বাসায় এসে সুইসাইড করতে গিয়ে ছিলো..?(মাথা নিচু করে বললো) কি তুমি না, বুঝে না জেনে আবার সুইসাইড করতে গিয়েছিলে...।( রেগে বললা) রাগিনী না বলে মাথা নিচু করে আছে..। আমি আর এক মুহুর্তে ও তাঁর সামনে না থেকে বাইরে চলে আসতেছি...এমন সময় রাগিণী বললো কোথায় যাচ্ছ তুমি...?(কান্না করে বললো) মরতে যাচ্ছি তাতেই তোমার কি হ্যাঁ...? তোমার মতো তো আর আমি সেলফিশ না, এই বলে ছাঁদে চলে আসলাম, কুব কষ্ট লাগলো, রাগিণী এই হাল দেখে, মেয়েটা যদি আমাকে এতটা ভালোবাসে তাহলে আমাকে তাঁর কাছ থেকে দুইটা বছর দূরে রাখলো কেন..? আমাদের ভুলের  জন্য আজকে ও রাগিণী সুইসাইড করতে গিয়েছিলো...। থাকে কি আমি শাস্তি দিবো নাকি না......


part_11_last


তাঁকে কি শাস্তি দিবো নাকি, তাঁকে অন্য কিছু করতে হবে..। না একে শাস্তি দিতে হবে, ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো, আসলে মেয়েটা সব সময় নিজেকে শেষ করার ভাবনা মাথায় রাখে কেন..? আমি তো কিছু বুঝি না, আচ্ছা তাঁর কষ্ট কি আমার কষ্টেই চেয়ে বেশি..?(নিজের মনকে প্রশ্ন করলাম) উত্তর টা পাওয়া হয় নাই..। হতে পারে আমার কষ্টেই চেয়ে রাগিণী কষ্ট বেশি...। ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ কারো হাত আমার কাঁধে আসলো, তারাতাড়ি চোখের পানি গুলো মুছে পিছনে ফিরলাম..। দেখতে পেলাম রাগিণী আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে..। চোখটা আবার ফোলা দেখা যাচ্ছে, হয়তো বা এতক্ষণ কান্না করেছে...। বুঝি না এত কান্না করার মানি কি...? আমি তো তাকে এখন ও কষ্ট কাকে বলে বুঝায় নাই..। তাহলেই কান্না করার মানি কি...? কি হলো তুমি এখানে কেন আসছ..?(চিৎকার দিয়ে বললাম) সরি, আর কখনো সু....। প্লিজ আমি কিছু শুনতে চাই না, দয়া করে আপনি আমার সামনে থেকে চলে যায়...।(মুখটা অন্য দিকে ফিরিয়ে বললাম) প্লিজ, বিশ্বাস করো আমি কষ্ট গুলো আমার বুক থেকে উধাও করতে পারছিলাম না, যখন ভাবছি তোমার কাছে যাবো তখন তোমার আর তানিয়া বিয়ার কথা মনে পড়ে যেতো, কয়েক বা ব্লেড হাতে নিয়ে ও হাত কাটতে পারি না..। হাত থেকে ব্লেডটা পরে গিয়েছিলো, হঠাৎ তোমার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলার মুহূর্তে গুলো আমার চোখের সামনে ভাসছে...। জানি না তখন পৃথিবীতে যতরকম খারাপ কাজ করেছি সব গুলো আমার চোখের সামনে ভাসছিলো..। তখন নিজের বাঁচানো আপ্পয়ন চেষ্টা ও করি নাই, ব্লেডটা নিয়ে হাতে পুষ দিলাম..। তাঁর পরে কি হলো জানি না, আমি জানি না তখন আমার সব খারাপ কাজে দৃশ্য কি ভাবে দেখতে পেলাম..। হয় তো বা এটা উপর ওয়ালার লিলা খেলাম..। এই বারের মতো ক্ষমা করে দাও প্লিজ..?(রাগিণী আমার হাত ধরে বললো) রাগিণী কে কি মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব...? আমি ছাঁদ থেকে নিচে চলে আসলাম, পড়নে এখন ও লুঙ্গি নিজেকে কেমন যেনো লুঙ্গি ওয়ালা লাগছে.।

নিচে আসতে মামা মামি আর তানিয়া দাঁড়িয়ে আছে, আমি নামতে তানিয়া দৌড়ে এসে আমার কাছে আসলো..। কি হলো ভাই আবার রাগিণী সাথে এই রকম কেন করছি..? সেইটা তুমি নিজে গিয়ে শুনে আছো..। মামি আমি যাচ্ছি..? সেই কি বাবা কালকে আসছ আর আজকে কেন চলে যাচ্ছ..?

আচ্ছা বুঝতে পেরেছি, রাগিণীর সাথে তোমার ঝগড়া হয়ছে তাই চলে যাচ্ছ তাই না..?(মুখটা কালো করে বললো আমি কিছু না বলে চুপ করে দাড়িয়ে আছি..। আচ্ছা রাগ করছ তুমি রাগিণী সাথে তাহলে আমার সাথে কেন কথা বলছ না..?(মামি) এখন তুমি কোথাও যাচ্ছ না ব্যাস, কিন্তু মামি আ.... ব্যাস আর কোনো কথা নেয়, আমার কথা কি তুমি শুনবে না..? কি আর করার মামির আর মামার দিকে তাকিয়ে রুমের দিকে চলে আসলাম..। মামা আমাকে দেখে হাসছে..। মামার হাসা দেখে মামাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, শালা মেয়েটা পয়দা না করলে কি হতো..। শালার মামা পয়দা করছস ভালো কথা, তাঁর উপর শ্রেয় লেভের রাগ..। নাম যেমন মেয়ে ও সেই রকম..। রাগিণী রুমে এসে শুয়ে আছি, তানিয়া ছাঁদে চলে আসলো..। রাগিনী ছাঁদে হাঁটু ঘিরে বসে আছে, তানিয়া তাঁর কাছে গিয়ে বললো, কি হলো রাগিণী তুমি এখানে বসে আছো কেন..? তানিয়াকে দেখে জড়িয়ে ধরলো, তানিয়া রাশেল আবার আমার সাথে অভিমান করে কথা বলছে না, গত কালকে তো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছিলো, কিন্তু আজকে সব কথা রাগ আর অভিমান দেখা যাচ্ছে..?(কান্না করতে করতে বললো) প্লিজ রাগিণী থামো কি হয়ছে আমাকে খুলে বললো..। আমার কান্না থামতে-ই চাচ্ছে না তানিয়া, আমার হাত কাটা রাশেল দেখে পেলেছে, তাঁর পর থেকে আমার সাথে ভালো ভাবে কথা ও বলছে না, কথা বললে ও রাগ দেখি চলে যায়..। আমি তানিয়া বাঁচতে চাই না, রাশেল চলে যাওয়ার পরে অনেক কষ্টে নিজেকে সুইসাইড থেকে বাঁচিয়ে রাখছিলাম, তবো ও অনেক বার করতে গিয়ে ছিলাম মা বাবা দেখে পেলেছিলো, আমি আর এই  কষ্ট গুলো নিতে পারছি না, আমি বাঁচতে চাই না...?(অঝোরে কান্না করে বললো) চুপ একদম চুপ আর সুইসাইডের কথা মুখে ও আনবি না...?(তানিয়া রেগে বললো) সুইসাইড করলে কি তোর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে...? সমাধান তো হবে না, বরং তোর পরিবার আরো তোর আশেপাশেই মানুষ গুলো কষ্ট পাবে..।

কিন্তু তানিয়া আমি যে ভিতরে মরে যাচ্ছি..? সেইটা তো কেউ উপলব্ধি করতে পারছে না..। আমি যে তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি..আমি জানতাম না. রাশেল এই সুইসাইড ব্যাপারটা নিয়ে এত সিরিয়াসলি নিবে...।

চুপ করতো, সেই যখন এই সব দেখতে পারে না..। তাহলে করতে যাস কেন..? এখন কথা না বলে আমার সাথে চলো, তাঁর পরে তানিয়া আর রাগিণী নিচে নেমে আসলো..।

আমি টিভি টা ওপেন করে, মুভি দেখতে লাগলাম..। হঠাৎ ঠাসসসস ঠাসসসসসস আমার গালে পড়লো, চোখ উঠিয়ে দেখি তানিয়া রাগে লাল হয়ে গেছে..। আমি কি হয়েছে জানার জন্য তার দিকে থাকিয়ে আছি..।

আচ্ছা আপু হয়ছেটা কি বলো তো..। আউউউউ (মুখে হাত দিয়ে) এত জুড়ে কেউ মারে...? ঠাসসসসস, আরেকটা আমার গালে পড়লো..। আউউউউউউ, আরে কি ক..ঠাসসসসসসস, ওমা তাঁর মানি শব্দ করলে মাইর..।

না চুপ করে বসে থাকি..। হঠাৎ রাগিণীকে তানিয়ার পিছনে দেখলাম..। মুখটা লাল হয়ে গেছে.। চুপ করে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি মুখে কোনো কথা নেই..।

রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে আছে, পাশ থেকে রিমোট টা নিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিলো তানিয়া.। তানিয়া রাগিণী হাত ধরে আমার কাছে আনলো...। তুই কি মেয়েটাকে শান্তি মতো থাকতে দিবি না...?

কেন? আমি তো থাকে শান্তি মতো থাকার জন্য ছাদে রেখে আসছি...।(হাত আর মাথা দিয়ে বলে দিলাম) ওই মুখ নেয়? মুখ দিয়ে বল, তুমি তো কথা না বলতে বলছ..?(হাত দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম)

এখন বল..। তুমি মারবে না তো..? না মারবো না..। তাঁর পরে তানিয়াকে কথা গুলো বললাম..। 

তুই আবার রাগিণীর সাথে রাগ করলি কেন..? অনেক কষ্টেই তোদেরকে মিল করেছিলাম...।(তানিয়া)

তুমি মিল করছ মানি..?(অবাকক হয়ে বললাম) সেইটা তোকে না জানলে ও চলবে..। তুই বসা থেকে উঠবি নাকি তোর গালটা আবার লাল করবো..? এই না না এখন উঠছি, তাঁর পরে উঠে দাঁড়ালাম ..।

হালার শাসন, সবাই কি শাসন করার জন্য আমার কাছে আসে..? প্রেম করার সময় ও হেব্বি কেলানি খায়ছিলাম, প্রেম হওয়ার পরে ও কেলানি বিয়ার করার পরে ও, ডিভোর্স হওয়ার পরে ও, আর এখন তানিয়া আপু  এসে ও কেলানি...।

কি হলো হাবলার মতো দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস..? তুই এখন গিয়ে রাগিণী কে জড়িয়ে ধর..। আমি? হুম তুই..। না, আপু দেখো রাগিণী সব সময় নিজেকে ক্ষতি করতে চায়, তা ছাড়া তাঁর আর আমার মিলে না...।

তুই কি জড়িয়ে ধবি নাকি অন্য কিছু করতে হবে..? না, থাক যাচ্ছি, আমার কিন্তু এত তারাতাড়ি মেনে নেওয়ার প্লেন ছিলো না...? এই দাঁড়া...(তানিয়া আমার দিকে আসতে আসতে বললো)

আমি তাঁকে পাকি দিয়ে রাগিণীর কাছে এসে তাঁর হাত ধরে, দুই জন দৌড়তে লাগলাম..। দুই জনে ছাঁদে চলে আসলাম..। তানিয়া রুমে দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলো, আমি  রাগিণীকে ছাঁদে এনে ছেড়ে দিলাম..।

আমি ছাঁদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি..। সামনে দিকে থাকিয়ে, বেশ কিছুক্ষণ পরে রাগিণী দৌড়ে এসে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো..। আমি কিছুটা কেঁপে উঠলাম..। আহোও আহোও ভালোবাসা..।😆😆😆

রাগিণী জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে আমার পিঠটা ভিজিয়ে পেলছে..। এই কি হললো আমার শখের শার্ট কি এই ভাবে নষ্ট করে পেলবে...? ঐ কথা বলতে রাগিণী আরো কান্না করতে লাগলো..।

নিজের শরীরের যত শক্তি ছিলো তা দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো..। মনে হচ্ছে আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি. এই যে এই ভাবে জড়িয়ে ধরলে তো ভালোবাসা মরে যাবে...?

আমাকে ছেড়ে দিয়ে সামনে আসলো, আমি রেলিং ছেড়ে দিলাম, তাঁর পরে আমাকে সামনে থেকে জড়িয়ে ধরলো, আমি তাঁর মুখটা উঠিয়ে চোখের পানি মুছে দিলাম..। তো আবার কবে সুইসাইড করার প্লেন আছে...?

আমার কথা শুনে আমার চোখের দিকে থাকিয়ে আছে..। রাগিনীর চোখে ঘোর লাগা কাজ করছে..। এই একদম কাজটা করবে না..। আর হা শুনো আবার যদি শুনি তুমি সুইসাইড করতে গিয়েছ তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম..।

হুম করবো না, যদি তুমি আমাকে ছেড়ে না যাও..? আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলে কেন শুনি...? আমার কথা শুনে মুখ কালো করে পেললো..। আমি রাগিণীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম.. জানি এখন তাঁর মন খারাপ..।

কিছুক্ষণ পরে দুইজন ছাঁদ থেকে নিচে চলে আসলাম.। নিচে নামতে তানিয়া সামনে পড়লো, আমাকে এখানে রেখে বউকে নিয়ে আলাদা ভাবে আদর করতে গিয়েছিলি তাই না..? আসলে আ... পাশ থেকে রাগিণী বলে উঠলো৷ তানিয়া এখন ও কিন্তু আদর করে নাই..? মনে হয় এখন ও রাগ করে আছে..।

কি বললে তুমি, আমার কথা শুনে নাই..?(প্রচুর রেগে বললো) ও আল্লাহ মনে হয় আজকে আমি শেষ, রাগিণীর দিকে তাকিয়ে দেখি হাসতেছে..। শাঁকচুন্নি হেঁসে নেয়, পরে বুঝতে পারবি হাসা কাকে বলে...।

তানিয়া আমাকে গালি দিয়েছে..?(রাগিণী বললো তানিয়াকে) মাইরে মেয়েটা কি ভাবে শুনলো) তানিয়া আপু বিশ্বাস করো আমি রাগিণীকে গালি দেয় নাই..? যদি দিতাম তাহলে তো তুমি শুনতে..?

আপু আমার দিকে রেগে আসছিলো, আমি মরা, চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি, হাত পা কাঁপছে..। কিছুক্ষণ পরে অনুভব করলাম মুখে নরম কি যেনো স্পষ্ট করলো, চোখ খুলে দেখি রাগিণী রুম থেকে বের হচ্ছে...।

আমি থাকে দেখে দৌড়ে ধরতে যাবো, তখন রাগিণী চলে গেলো, দিনটা  তিন জনে দুষ্টুমি করতে করতে চলে গেলো, রাতে সবাই গল্প করে কাবার শেষ করে রুমে গিয়ে বসে আছি, রাগিণী এখন ও আসছে না.।

কিছুক্ষণ পরে রাগিণী আসলো, দরজা লক করে আমার কাছে এসে বসলো, আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছ, আজকে সব গুলো শুধরিয়ে নিবো, এই বলে মুখ বন্ধ করে দিলো রাগিণী..। আমি ও রেসপন্স দিলাম..।

দুইজনে চলে গেলাম এক সুখের সাগরে..। পরে দিন সকালে রাগিণীর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো, চোখ খুলে দেখি রাগিণী গোসল করে এসে চুল মুছতেছে..। আমি এই দৃশ্য দেখে পাগল হয়ে গেলাম..

বিছানা থেকে উঠতে যাবো তখন সর্বনাশ এটা কি হলো নিচে তো কিছু নাই..। রাগিণীর দিকে থাকিয়ে দেখলাম সেই হাসছে..এই আমার কাপড় কোথায়..? খুঁজে নাও, তাঁর পরে খুঁজতে খুঁজতে কাপড় গুলো পেলাম.।.

এই গুলো পড়ে নিয়ে, বাথরুমে গিয়ে গোসল করে আসলাম..। এসে দেখি তানিয়া আর রাগিণী রুমে বসে আছে, কি মশাই রাত কেমন হলো..?(হেঁসে তানিয়া বলো) এই রে একে কে বলেছে..?

তাঁর মানি রাগিণী বলেছে..। আমি ও ফাজলামো করে বললাম, রাত খুব খারাপ কাটলো..। কেন কেন? এই ভাবে বলছিস কেন..? সব প্রশ্ন উত্তর দেওয়া যায় না..।(হেঁসে বললাম) আমার কথা শুনে বললো এই রে তাহলে এই ব্যাপার....

তাঁর পরে তিন জন ব্রেকফাস্ট করলাম, আরো দুই দিন থেকে আমাদের বাসায় চলে গেলাম..। রাগিণী এখন অনেক খুশি,।  কেন খুশি সেইটা তো ভালো করে বুঝছে...।

রাতে রুমে শুয়ে আছি, আমার বুকে রাগিণী মাথা.। আচ্ছা তানিয়া চলে যাবে বলছে..(হঠাৎ রাগিণী কথাটা বললো) আমি শুনে চুপ করে থাকলাম..। তো তানিয়া সাথে কি তুমি ও যাবে..?(মুখ কালো করে বললো)

হুম আমাকে ও যেতে হবে, তাহলে আমার কি হবে..?(কান্না কান্না ভাব নিয়ে বললো) মনে হয় কান্না করে দিবে, ওরে আমার রানী তোমাকে ছাড়া কি আমি থাকতে পারবো..। তাঁর পরে দুইজন ঘুমিয়ে গেলাম, 

পরে দিন দুপুরে সবাই রেডি হয়ে, ঢাকা উদ্দেশ্য বের হলাম, আব্বু আম্মু অনেক কান্না করছিলো, তাঁদের শান্তনা দেওয়া মতো আমার ক্ষমা ছিলো না, আমি ও জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলাম...।

তাঁর পরে চলে আসলাম, ঢাকায়, তানিয়া বাসায় গিয়ে উঠলাম, রাগিণী আর তানিয়া আসার সময় অনেক কান্না করছিলো, চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে..। নিজে সেই আগের নিয়মে মানিয়ে নিলাম...।

সকালে অফিসে চলে যায় তিন জনে, রাগিণী ও এখন আমাদের সাথে কাজ করে..। আবার বিকালে তিন জনে বাসায় চলে আসি...। দিন গুলো খুব ভালো চলছিলো, মাঝে মাঝে  ঘুরতে ও যায়তাম।

কেটে গিলো তিন মাস, এক দিন হঠাৎ রাগিণীর মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলো, হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জানতে পারি, রাগিণীর  আম্মু হতে যাচ্ছে...। আমরা শুনে অনেক খুশি হলাম, অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালাম.।।.

বাসায় ও খবর দিয়ে দিলাম..। তাঁরা কথাটা শুনে শ্রেয় লেভের খুশি হলো, তাঁর পরে রাগিণীকে বাসায় নিয়ে আসলাম, বিকালে  বাসায় গিয়ে দেখি মামা মামা নাবিলা আব্বু আম্মু আরো অনেকে বাসায় চলে আসলো..।

আমাকে দরজা দিয়ে ডুকতে দেখে, আম্মু দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো..। আম্মু কান্না করে দিলো..। আম্মু কান্না করছো কেন..? সরি বাবা তোকে খারাপ ভাবার জন্য..?(মানি অবাকক হয়ে বললাম)

আমি ভাবতে ও পারি নাই, তুই সব কিছু ভুলে গিয়ে রাগিণী কে আবার মেনে নিবি..? আরে মা আমি তো রাগিণীকে মামার বাসায় মেনে নিয়ে ছিলাম..? এই কি বললি মামা..?(রেগে বললো)

কেন খারাপ কিছু বললাম নাকি..? আজকে থেকে আব্বু ডাকবি ব্যাস..। যদি ডাকতে না পারি তাহলে নাতনী আর মেয়েকে নিয়ে যাবো...। তখন কিন্তু বুঝতে পারবি..। আচ্ছা ঠিক আছে, try করবো..।

কোনো কিছু শুনতে চাই না। আজ থেকে আব্বু বলে ডাকবি..।  আচ্ছা,  আমার কথা শুনে সবাই হেঁসে দিলো, হঠাৎ তানিয়া বললো সবার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে...?(তানিয়া সিঁড়ি উপরে দাঁড়িয়ে বললো)

সবাই তানিয়া দিকে থাকিয়ে আছে, সবার মুখের ভাব দেখে বুঝা যাচ্ছে, তাঁরা জানতে চাচ্ছে সারপ্রাইজ টা কি..? তানিয়া সবাইকে হা করে রাখছে, আমি বাঁধে কারণ সারপ্রাইজ টা কি আমি জানি...।

তানিয়া বলছে না দেখে, অনেকে অনেক কথা বলছে, তানিয়া তাঁদের দিকে থাকিয়ে হাসতেছে.। কিছুক্ষণ পরে বললো, আমরা এখান থেকে চিটাগং চলে যাচ্ছি...। কথাটা শুনে সবাই অবাকক হয়ে মুখে হাত দিলো..।

কি বলছো মা তুমি..?(তানিয়াকে বললো আম্মু) হুম আম্মু ঠিকই বলছি ভাইয়ের জন্য এটা করতে পারবো না আমি..। রাগিণী অবেক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, বার বার তানিয়ার দিকে আর আমার দিকে থাকাচ্ছে..।

চার দিন পরে  কর্মকর্তা কে বিদায় জানিয়ে, চলে আসলাম চিটাগং, এখানে একটা অফিস আছে, শাখা বির্তিক..। রাগিণীকে এখন কোনো কাজ করতে দেয় নাই..। অফিসে আসতে দেয় না.।

অফিসটা আমি আর তানিয়া দেখা শুনা করছি, রাগিণী অনেক খেয়াল রাখছি আমি, আমি বললে ভুল হবে বাসার সবাই তাঁর দেখা শুনা করছে, তানিয়া তো  সব চেয়ে বেশি দেখা শুনা করছে..।

রাতে শুয়ে আছি, রাগিনী বুকে মাথা দিয়ে বললো আমার কিন্তু বাবু হবে..? আমি রাগিণীর কথা শুনে অবাকক হলাম, ডাক্তার ও বলেছিলো ছেলে..। আমি রাগিণীকে বললান না, আমার বাবুনি হবে..এই মাথা খারাপ করবে না বলে দিলাম..?(রেগে বললো) ওরে বাবা এ তো দেখি বাবু আসার কথা শুনে আমাকে ও মারতে চাচ্ছে, তাঁর মানি বাবু আসলে আর আমাকে একটু ও ভালোবাসবে না..? (মুখটা কালো করে বললাম) রাগিণী আমার দিকে থাকিয়ে বললো ওরে বাবুরে তোমাকে কি করে ভুলে যায়, তুমি যে আমার আত্মা..। আচ্ছা আমার যদি বাবু ডেলিভারি করতে কিছু হয়ে যায় তাহলে কি তুমি খুব কষ্ট পাবে..?(রাগিণী) প্লিজ এই রকম কিছু বলো না আমার যে খুব কষ্ট হয়..। চোখ দিয়ে পানি পড়ছি, রাগিণী কথা শুনে.. আচ্ছা সরি, আর বলবো না, এখন ঘুমাও, এই ভাবে দিন কাটতে লাগলো...। , তিন ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি (রাগিণীর বাবু ডেলিভারি তারিখ),হাসপাতালে  ভিতর থেকে কোনো খবর আসছে না, এই তো একটা ডাক্তার বের হলো, আপু রাগিণী কেমন আছে..? ডাক্তার টা আমার দিকে হা করে থাকিয়ে আছে...। কি হলো আপনি হা করে আছে কেন, আর আপনার মুখ কালো কেন...? বলোন প্লিজ..। আমরা বাচ্চা কে বাচাতে পেরেছি আর মাকে বাচাতে পারলাম না...। নানননননননননন  এই বলে রুমে ডুকে দেখি রাগিণী কে বেডে শুয়ে দেওয়া হলো, শরীরের অর্ধেক সাদা কাপড়, আমি গিয়ে রাগিণী কে জড়িয়ে ধরলাম, প্লিজ রাগিণী আমাকে ছেড়ে যেওনা আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না.। প্লিজ এক বার ফিরে আসো আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না..। কেন জানি হাত পা অবসর হয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ আমার কানে লুতিতে কামড় পড়লো,মুখ উঠিয়ে দেখলাম রাগিণী হাসতেছে থাকে দেখে আমার যেনো প্রাণ ফিরে আসলো, শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম..। এই পাগল তোমাকে ছেড়ে আমি কোথায় যাবো..তাহলে ডাক্তার যে বললো তুমি... আরে ওঁদের আমি বলতে বলেছিলাম আমাকে দেখতে হবে না বাবুর আব্বু আমাকে কতটা ভালোবাসে...। এই বলে হাসতে লাগলো, এই ছাড়ো আব্বু আম্মু আসছে.।. না ছাড়বো না, আরে বাবুকে তো দেখো নাকি..? তাঁর পরে রাগিণীকে ছেড়ে দিয়ে,ছেলেকে কোলে নিলাম, কোলে নিয়ে যখন চুম্মু দিতে যাবো, তখন থাপ্পড় দিলো পিছন থেকে ফিরে দেখি আব্বু আম্মু দাঁড়িয়ে আছে, এই আমাদের আগে দেয় আমার নাতি কে কিছু করবি না, ব্যাস, আমার কোল থেকে নিয়ে আদর করতে লাগলো, বাসার সবাই বাবুকে পেয়ে পাগল। আমি গিয়ে রাগিণীর পাশে বসলাম, 

রাগিণী আমার এক হাত ধরে চোখের দিকে থাকিয়ে আছে, কি হলো এই ভাবে থাকিয়ে আছো কেন..?(কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিস ফিস করে বললাম) ভাবছি বাবুর আব্বু বাবুর আম্মুকে কতটা ভালোবাসে, যদি আমাকে ও তুমি এই ভাবে  ভালো বাসতা না তাহলে খুব খুশি হতাম..।(হতাশ সুরে বললো) ওমা তাই নাকি, তাঁর পরে সবার আড়াল করে তাঁর কপালে একটা পাপ্পি দিলাম..। রাগিণী ও আমার কপালে একে দিলো ভালোবাসার পরশ..। ভালোবাসা মানুষ গুলো না খুবই অদ্ভুত কখন কি করে বুঝা যায় না..। রাগ থেকে কখনো অভিমান জম্ম নেয় না.। অভিমান জম্ম নেয় কষ্ট থেকে..। তাই ভালোবাসার মানুষকে কেউ কষ্ট দিবে না..। আপাতত আমার বলার মতো কিছু নাই, মুই চলে যাচ্ছি আপনাদের ছেড়ে..। বাই বাই..

...............................The End...................


আরো ভালো ভালো গল্প পরতে এখানে ক্লিক করেন - Golper Dibba

Post a Comment

0 Comments