Ticker

10/recent/ticker-posts

Add

পরী দ্বারা ধর্ষন - রহস্যময় অদৃশ্য ধর্ষন (season_4, part_21 - part_25 )

পরী দ্বারা ধর্ষন - রহস্যময় অদৃশ্য ধর্ষন (season_4, part_21 part_25 ) 



part_21

season_4


একটু আগেও তো নৌকাতে বৈঠা বাইতে শব্দ শুনলাম,,,

তাহলে কি হচ্ছে এসব.??

ভয়ের মধ্যে ভয় পাচ্ছি,,, 

হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠলো আর তার আলোয় আকাশ থেকে কেউ একজন মুখ চাদরে ঢেকে রাখা এক ব্যাক্তি আকাশ থেকে নৌকায় এসে পড়লো তা দেখতে পেলাম।

লোকটা আমাকে কিছু একটা বললো আর তাতেই আমি মন্ত মুগ্ধের মতন পজেস্ট ব্যাক্তির মতন উনার ইশারায় দেখানো কথা মত উনার নৌকায় উঠতে যাবো আর তখন হঠাৎ করেই মনে হল পিছনে থেকে কেউ একটানে কয়েক হাত পিছনে ফেলে দিলো,,হুরমুর করে উঠে পরলাম পরে থাকা থেকে।

উঠে এদিক ওদিক তাকাতাকি করছি,,

কি হচ্ছে কিচ্ছু বুঝার আগেই সব পাল্টে গেল। 

কোথায় থেকে আলো এসে অন্ধকার কেঁড়ে নিল।

সামনের দিকে সেই অন্ধকার বা নৌকা কিংবা মাঝি কোন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছি না। 

সব কিছু কেমন জানি সপ্ন মনে হচ্ছে। 

কিন্তু পিছনে থেকে টান টা দিল কে.??

আর এতক্ষণ কি হচ্ছিল, কোথায় যাচ্ছিলাম উনি কে বা কিসের জন্য এসব হলো কিছুই তো মাথায় ধরছে না।

সামনে পিছনে সাইটে সব দিকে তাকাতাকি করছি কিন্তু কারোরই কোন অস্তিত্ব নেই,, তবে কিছু সময় পরে একটা হাসির শব্দ শুনতে পেলাম,,হাসিটা একদম বাবুর কন্ঠের হাসি,,,

তাহলে কি বাবুই হাসছে.??

হ্যা কিছুক্ষণ পরেই শিওর হলাম এটা বাবুর কন্ঠ কিন্তু বাবুই কি আমাকে নিতে আসছিল নাকি টেনে পিছনে নিয়ে আসলো সেইটা মাথায় ঢুকছে না তাছাড়া বাবু আড়ালে থাকবে কেনো.??

শব্দটা যেদিক থেকে আসছে সেদিকে দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছি কিছুদূর যেতে না যেতেই হোটচ খেয়ে পরে গেলাম আর সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে গেল। 

ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর ব্যাথা অনুভব হচ্ছে বুকের পাশটাতে,,

চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি আমি ফ্লোরে পরে আছি,,কি ব্যাপার আমি তো বিছানায় শুয়ে ছিলাম কিন্তু ফ্লোরে পরলাম কি করে.??

তাহলে কি ঘুমের তালে ফ্লোরে পরে গেছি আর পরে গিয়ে ব্যাথা পেলাম.??

নাকি স্বপ্নে যে দেখলাম পরে গেছি বা আমাকে টেনে দূরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেই সময় ব্যাথাটা পেয়েছি.?? 

কিচ্ছু মিলাতে পারছি না,,আপাতত তড়িঘড়ি করে উঠে পরি যদি কেউ দেখে ফেলে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবো না,,,

তড়িঘড়ি করে উঠে আরো অবাক হলাম,,

হাসি,, সেই হাসি,স্বপ্নে যেভাবে হাসতে শুনেছিলাম ঠিক সেই হাসি,,আচমকা হাসির শব্দটা বুকে এসে বিঁধল,, হাসিটা পিছনের দিক থেকে আসছে,,মাথা ঘুরিয়ে দেখি বাবু হাসছে,,অন্য রকম সেই হাসি।

হাসির মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে,,জানি না কি লুকানো।

জিগ্যেস করলাম কেনো হাসছে,,,

উত্তরে বাবুঃ- হিহিহিহিহিহি পাপ্পা পলে গেতে🤭🤭😁😁

আমি তবাইলে বলে দিমু😁😁😁

হিহিহিহি পলে গেতে পলে গেতে পাপ্পা পলে গেতে।

বলতে বলতে দে ছুট,,ওরে আর পায় কে,,.?

গুটিগুটি পায়ে যে এতো জোরে দৌড়াতে পারে কেউ তা ওরে না দেখলে বুঝতাম না।

বোল্ট কে হার মানাবে।

পিছনে পিছনে গিয়েও ধরতে পারলাম না।

আমার মানইজ্জতের ফালুদা বানাবে আজ।

স্নেহা ও ওর বান্ধবীরা সবাই মিলে গল্প করছে আর বাবু সোজা সেখানে গিয়ে হো হো করে হাসছে শয়তানের মতো করে,,

সবাই অবাক হয়ে জিগ্যেস করছে হাসির কারনটা কি আর তার উত্তরে,, 

বাবুঃ- জানো আম্মি,,পাপ্পা না বিতানা তেকে পলে গেতে 😁😁আল পলে গিয়ে বেতা পেয়ে কানতাতে😁😁

তুমি যদি দেকতা পাপ্পাল মুকটা😁😁

সবাই বাবুর কথা শুনে হো হো করে হেসো দিলো😥😭😭 না আর যাবোই না ঐ দিকে😭😭

ঘুরে অন্য দিকে চলে আসলাম।

সুমিত সাগরের রুমে গেলাম।

ওদের ডেকে তুলে আমিও আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম,,এদিকে বাসার কাজের জ্বীনটা সরবতের মতন কিছু একটা  নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো। 

কাজের লোকটাঃ- জনাব,ওষুধটা খেয়ে নিন।

আমিঃ- এটা কিসের ঔষুধ.?  আর আমি তো অসুস্থ না।

কাজের লোকটাঃ- জনাব, আপনি নাকি বিছানা থেকে পরে গিয়ে ব্যাথা পাইছেন মাজায়.??

তাই রানি মা আমাক পাঠিয়ে দিলেন ঔষধটা দিয়ে,, খেয়ে দেখেন ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।

কিহহহহ এ কি বলে.?

এ খবর আম্মার কান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে.?? 

না মানইজ্জত আর রইলো না....

আমিঃ- আচ্ছা এ কথা কে বলছে যে আমি ব্যাথা পাইছি.?? 

কাজের লোকটাঃ- কেনো নানু ভাই তে বললো রানি মা কে আর তা শুনে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন,,আচ্ছা জনাব আপনি খেয়ে নিন আর খেয়ে নাস্তা করতে চলে আসুন,,এটা খানা খাওয়ার আগে খেতে হয় তাহলে ভালো কাজ করে,,আমি বরং যাই,,

নাহহহ আমার আর বেঁচে থেকে লাভ নাই😭😭

এতটুকু বাচ্চা ছেলে আমার,,,মানইজ্জত সব ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে 😭😭

যাক কি আর করার,, বাবুকে আগে পেয়ে নেই,,ওর একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে😭😭

যেহেতু ব্যাথা একটু পাইছি তাই ঔষধটা খেয়ে নিলাম।

নাস্তা করতে চলে গেলাম,,যাওয়ার আগে সুমিত সাগরকে ডেকে নিয়ে গেলাম কিন্তু সেখানে গিয়েও সেই একই কথা 😭😭ওরাও বলছে আমি নাকি পরে গেছি ঘুমের তালে😭😭বাবু নাকি বলে গেছে 😭😭

রাগে মাথা গজগজ করছে 😭😭

আল্লাহ আল্লাহ করছি জানি শশুর মশাইকে বিষয়টা না বলে,,তাহলে সত্যি লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবো না,,

মাথা নিচু করে খাবার রুমে যাচ্ছি, যার সাথে দেখা হচ্ছে সেই বলছে ব্যাথার কি অবস্থা 😥😥

এই কথার উত্তর দিতে দিতে জান কয়লা হয়ে গেল😥😥

খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম,,

শশুর মশাই একটু পরে আসলো আর এসেই চেচামেচি শুরু করছে,,কিন্তু কেনো.??

আমার কাছে এসে,,,

শশুর আব্বাঃ-ঐ তোদের কি জ্ঞান বুদ্ধি কোনদিনই হবে না নাকি.??

শুনলি যে জামাই ব্যাথা পাইছে,,তবুও কেনো খাবারটা রুমে দিয়ে আসলি না,,,

এই ব্যাথা নিয়ে এখান পর্যন্ত আসতে হলো😡😡(কাজের লোক মানে জ্বীনদের উদ্দেশ্যে)

তোর তো একটু আক্কেল রাখা উচিৎ ছিল নাকি(স্নেহাকে)

আর তুমি,,,জামাই আসছে,তার কি হল না হলো সে কি কষ্টে আছে নাকি সমস্যার মধ্যে এসব কি তোমার দেখা উচিত ছিল না (শাশুড়ী মাকে)

বাবা তুমি এত কষ্ট করে এখানে আসতে গেলে কেনো.??

ওরাই দিয়ে আসতো(আমাকে)

অনেক ব্যাথা পাইছো না বাবা😥

আমাকে জানাবে না.?? বাবু যদি না বলতো তাহলে তো বিষয়টা জানতেই পারতাম না।

যতবার এই ব্যাথার কথাগুলো শুনছি ততবারই বাবুকে পিটানোর ইচ্ছে করছে😡😡

এটা কোন কথা হইবার পারে😭😭

আমার স্বাদের ছেলেরে😭😭

এদিকে চিল্লাচিল্লি শুনে বাবু ছুটে আসলো আর এসব শুনে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে  যা দেখে সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে 😡😡

না পারছি কিছু বলতে না পারছি সহ্য করতে,,

নেহাৎ ওর আম্মু আমাকে বকে বলে কিছু বলতে গিয়েও পারি না😣😣

যাইহোক খাওয়া বলতে শুধু নামে মাত্র খেলাম।

রাগের মধ্যে কি কিছু খাওয়া যায়.?? 

খাওয়া শেষ হতে না হতেই দুইজন প্রহরী হাজির,,

প্রহরীঃ- জনাব আপনার আম্মিজান আপনার বর্তমান অবস্থা জানাতে বলেছেন,, আমি উনাকে কি বলবো..?

আমিঃ- কিসের আম্মিজান কিসের অবস্থা.?? 

প্রহরীঃ- ঐ যে আপনি পরে গিয়ে মানে হলো আপনি ব্যাথা পাইছেন তাই আর কি,,সে বিষয়ে । 

আমিঃ- তা আম্মু জানলো কিভাবে.??? 

প্রহরীঃ- স্পর্শ নানু ভাই আপনার আম্মিজানকে জানাতে বলেছিল,,তাই জানানোর পর উনি জিগ্যেস করলেন বর্তমানে কি অবস্থা আপনার..?

আমিঃ- বলে দাও যে কোন সমস্যা হয় নি আর আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি( দাতে দাঁত চেপে😡😡)

কেমনডা লাগে আপনারাই বলুন,, 

এই ছোট্ট বিষয়টা পৃথিবী পর্যন্ত ছড়িয়ে দিছে😣😣

এটা কোন কথা হইতে পারে.???

এটা কি নিজের ছেলে.?  এ আমার ছেলে হতে পারে না 😣😣 ধুররর ছাই কিসের মধ্যে কি বলি,,তাহলে কার ছেলে হবে😣😣

যাইহোক সময় সুযোগ বুঝে দিলাম কয়টা জারি,, 

আমিঃ- ঐ তোর কি একটুও লজ্জা সরম বলতে কিচ্ছু নেই.?? 

ঐ কি এমন হয়েছিল যে তুই পুরো প্রাসাদ মাথায় তুলে ফেললি,আবার এই খবর পৃথিবীতে পর্যন্ত পাঠিয়ে দিছিস..?

তোর জন্য কি একটুও শান্তি পাবো না.??

তোর জন্মের আগে থেকেই শুধু ঝামেলা আর ঝামেলার মধ্যেই কেটে যাচ্ছে,, এত দিন অন্যের ঝামেলা সহ্য করতে হতো আর এখন তোর নিজের 😡😡 থাপ্পড়াইয়া তোর দাঁত ফেলে দিবো বাঁদর কোথাকার 😡😡

বাবুঃ-, হিহিহিহি কি মচা কি মচা(মজা)

আমিঃ- ঐ দাঁত ক্যালাচ্ছিস কেন..?

বাবুঃ- হিহিহিহি আমাল তো দাঁত ই হয় নাই😁😁

আল তুমি তাত পেলতে চাচ্চো😁😁

এতটুকু বলতে না বলতেই কথা মোড় ঘুরিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিল,,

বাবুঃ-তুমি আমালে আবালো বকলা😭😭

ও মাম্মি গো,,আমালে মেলে পেললো😭😭

কি রে হঠাৎ করেই হাসির মধ্যে কান্না ঢুকে গেছে কেনো.??

নিশ্চিত কোন ঝামেলা পাকিয়েছে,, পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি স্নেহা রেগেমেগে আগুন হয়ে ঝাঁটা হাতে দাড়িয়ে আছে,, এই দিলো বুঝি😭😭

দে ছুট,,এখানে থাকলে শেষমেশ মার খেতে হবে,,তাও বউয়ের হাতে😭😭

কি ছেলে জন্ম দিলাম আমি😭😭

কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে মহলে প্রবেশ করতেই কোথা থেকে জানি একটা পরী শালি ছুটে আসলো।

পরী শালিঃ- যাহহ আমার দুষ্টু দুলাভাই🙈🙈

(কাচুমাচু করছে আমার নিচের দিকে তাকিয়ে লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে কথা গুলো বলছে)

কি ব্যপার কি হলো এটা..?

এমন করছে কেনো.??

এর ভাব ভঙ্গি তো সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না। 

সমস্যা কি,,তাছাড়া এ মেয়ের আগে থেকেই চরিত্র খারাপ বলে শুনেছি,,পুরুষ দেখলেই লকলক করে। 

এর আগেও আমার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছে আর স্নেহা দূরে দূরে সরিয়ে রাখছে,,আমাকেও বলে দিয়েছে আমি যাতে এর সঙ্গে না মিশি,,কিন্তু এতদিন পর হঠাৎ করেই কি হল এর.??

না বিষয়টা তো  দেখতে হচ্ছে। 

আমিঃ- এই তোমার কি হয়েছে,, এমন করছো কেনো.?? সমস্যা কি.??

পরী শালিঃ- দুলাভাই,, ও দুলাভাই,, 

আপনি এত দুষ্টু কেনো.?

কিছু লাগলে তো সরাসরি বলতে পারেন,,

আপনার এই পিচ্চি ছেলেকে দিয়ে বলাতে হবে.??

আমার বুঝি লজ্জা করে না.?? 

মানে কি, এ বলে কি.??

মানইজ্জত তো সব খাবে,,এর ভাব ভঙ্গি পুরাই আলাদক,,কিন্তু বাবুকে দিয়ে বলইছি মানে..?

উত্তরে যা বললো তাতে মাথা হ্যং হয়ে গেছে আমার😭😭কারন,,,,.????


part_22

season_4


পরী শালিঃ- দুলাভাই,, ও দুলাভাই,, 

আপনি এত দুষ্টু কেনো.?

কিছু লাগলে তো সরাসরি বলতে পারেন,,

আপনার এই পিচ্চি ছেলেকে দিয়ে বলাতে হবে.??

আমার বুঝি লজ্জা করে না.?? 

মানে কি, এ বলে কি.??

মানইজ্জত তো সব খাবে,,এর ভাব ভঙ্গি পুরাই আলাদক,,কিন্তু বাবুকে দিয়ে বলইছি মানে..?

উত্তরে যা বললো তাতে মাথা হ্যং হয়ে গেছে আমার😭😭কারন,,,, 

আমিঃ- বুঝলামনা তোমার কথার আগামাথা কোনটাই,,

পরী শালিঃ-হুহহহ একটু আগে স্পর্শ বাবু এসে আমাকে আম্মু আম্মু বলে ডাকছে,,আমি বললাম আমি তোমার খালমনি লাগি,,আম্মু না।

কিন্তু স্পর্শ বললো না তুমিই আম্মু,, 

আমি জিগ্যেস করলাম কে শিখিয়ে দিছে,, স্পর্শ বাবু বললো পাপ্পা,,,

পাপ্পা বলে দিয়েছে তোমাকে মানে আমাকে আম্মু বলে ডাকতে,,,

আমি জানি আপনি আমাকে পছন্দ করেন অনেক আগে থেকেই কিন্তু স্নেহা আপুর ভয়ে দূরে দূরে থাকেন সেইটাও জানি তাই বলে এরকম বাচ্চা শিশু তাও নিজের ছেলেকে দিয়ে এসব বলাতে গেলেন কেন যদি অন্য কারোর কাছে বলে দিতো তাহলে কি হতো বলুন তো,,,

এখন থেকে যা বলার সরাসরি আমার কাছেই বলবেন😍😍

আমি আপনার জন্য সব সময় ফ্রি আছি 😍😍

এই মেয়ে কি বলে এসব.??

আমার মানইজ্জত দেখি সব গুলা একত্রে করে পাটায় ফেলে তা পিষে গুঁড়ো করে পানিতে ফেলে দিবে এ আর এর লিডার হচ্ছে আমার নিজের ঔরসজাত সন্তান 😭😭

ভাগ্য ভালো আশেপাশে স্নেহা নেই,,যদি থাকতো তাহলে আমাকে মেরে কুটিকুটি করে কিমা বানিয়ে সকালের নাস্তার সঙ্গে পরোটার সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলতো😭

ও আল্লাহ গো,, তুমি এ কেমন ছেলে দিলা আমাকে.??

পরী শালিঃ-কি হল কি ভাবছেন হুমমম.??

এই শুনো না,,,আমার রুম খালি আছে😋😋

বলতে বলতে হাত ধরে ফেললো,,

এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে,, 

আমিঃ-এই মেয়ে তোমার কি মাথা খারাপ নাকি আমাকে পাগল মনে হচ্ছে নাকি আমাকে কুত্তায় কামড় দিছে.??

কি সব আবোলতাবোল বলছো হুমমম আমাকে কি ঐরকম মনে হয়.?? 

পরী শালিঃ- হুহহহ ভাব নিবেন না কিন্তু,, 

সবাই প্রথম প্রথম ভাবই নেয় পরে ঠিকই 😁😁

এত লজ্জার কি হল সেইটাই তো বুঝতে পারছি না। বললাম তো আমার কোন সমস্যা নেই 😁😁

আমি তো কাউকে বলতে যাবো না নাকি🙈🙈

নাাহহহ এর কথা শুনে তো সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে রাগে😡😡 মনডায় চাচ্ছে এখানেই পুতে ফেলি,,কিন্তু এর ই বা দোষ কি,,সব তো করছে আমার গুনধর ছেলে। 

আমি চিন্তায় আছি যদি স্নেহা দেখে একবার😭

এদিকে আবার এগিয়ে এসে হাত ধরে ফেললো।

ওরে আল্লাহ গো আমারে রক্ষা করো😭😭

এখন দেখা যায় নিজের ছেলের জন্য চরিত্র বিসর্জন দিতে হবে😭😭

এদিকে মেয়েটা আমার হাত ধরে টানাটানি করছে আর একেক কথা বলছে,, আর আমি যে ভয়ে আতংকে ছিলাম এতক্ষণ সেইটাই ঘটলো😥😥

টানাটানির এক পর্যায়ে মেয়েটা দৌড়ে পালালো। 

হঠাৎ দৌড় দেওয়ার কারনটা বুঝতে পারলাম না,,

যাক আপদ বিদায় হয়েছে তাতেই খুশি। কিন্তু সেই খুশি বেশিক্ষণ টিকলো না,,কারন আমি তো খেয়াল ই করি নাই যে পিছনে থেকে আমার বউ ঝাঁটা হাতে আমার দিকে তেড়ে আসছে,, তারমানে মেয়েটা স্নেহাকে দেখেই দৌড়ে পালালো,, 

ও আল্লাহ গো,,আমি শেষ,, 

না এখানে অবস্থান করার মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না,,তাই দে ছুট,,,

কে কাকে পায়..?

দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় এসে পৌঁছালাম। 

এদিকে হাঁপাচ্ছি বিষন।

পুলিশের চাকরি করলেও বেশিরভাগ সময় ভুতপ্রেত নিয়ে গবেষণা করি তাই দৌড়াদৌড়ির অভ্যাস একদমই নেই,,,আর আজকেই এই বেলাটুকুতেই দুইবার দৌড়াইলাম তাও বউয়ের ভয়ে,,ছিহহহ কি লজ্জা কি লজ্জা,, 

এই সব কিছু ঘটেছে আমার গুনধর সন্তানের জন্য। 

আজকে ওরে বিচার করেই ছাড়বো,,

চুপিচুপি হাটছি,,টার্গেট বাবুকে খুঁজে বের করা।

কিছু সময় পর সুমিত সাগরের দেখা পেলাম,,

ওরা দুইজনে আমাকে দেখেই,,

সুমিতঃ- ছিহহহহ ভাইয়া তোমার কাছে এটা আশা করি নাই,, তুমি কিনা এ বয়সে এসে ছিহহহ🤧🤧

সাগরঃ- আমরা বিয়ে করি নাই,,আমরা না হয় কিছু একটা করতে পারি,,কিন্তু তুমি বিয়ে করলা, সংসার করলা,,এত সুন্দর বউ,,আবার একটা কিউট ছেলেও হইছে,,আর তুমি কিনা ঐ মেয়ের পিছনে পরে রইছো.??

আমিঃ- ঐ তোমাদের মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি.?? কি সব আবোলতাবোল বকছো.??

(যদিও কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি)

সুমিতঃ- হ এখন তো মাথা খারাপ হবেই আমাদের।

ইটিসপিটিস করার সময় যে ভাবির কাছে হাতেনাতে ধরা খেলে তখন তোমার মাথা বুঝি ঠিক ছিল.?? 

যাক এতক্ষণে শিওর হলাম।

জানি মানইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেছে,, এখন বুঝালে বুঝবে কিনা আল্লাহ পাক ভালো জানেন।

তবুও ট্রাই করলাম,,

সবটা ক্লিয়ার করে বললাম,,

যেহেতু ওরা আমার বিশ্বস্ত তাই অল্পতেই বুঝে গেল।

সুমিতঃ- হিহিহিহি মজা পাচ্ছি আরো বলো...

ভাইয়া এত হাসি পাচ্ছে থামাতেই পারছি না তোমার কথা শুনে,, শেষে কি-না নিজের ছেলে তোমার এভাবে মানইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দিল.?

সাগরঃ- আমি চিন্তা করছি এই পিচ্চি যদি এই বয়সেই এতটা পাকনা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কি হবে..?

আমিঃ- আমি তো চিন্তা করছি এই ছেলে নাকি হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতা,বাদশাহ। 

ওর মাথায় যে পরিমাণ গিরিঙ্গি বুদ্ধি কিলবিল করে তাতে যদি দুই জাতির বাদশাহ হয় তাহলে দেখা যাবে পৃথিবীটাকে জ্বীনদের কাছে বিক্রি করে দিছে আর এর পর জ্বীনের রাজ্যকে এলিয়েনদের কাছে বিক্রি করে দিবে😥😥

এতটুকুন পোলাপান,, এত বুদ্ধি থাকে কই.??

তাও যদি ভালো কোন বুদ্ধি হতো.?

সাগরঃ- ভাইয়া রাতে চেক কইরো তো ঘুমায় নাকি জেগে থাকে। 

আমার তো মনে হচ্ছে না এই শয়তানি বুদ্ধি নিয়ে রাতে ঘুমাতে পারে,,।

সাগরের কথা শুনে সুমিত হো হো করে হেসে দিল।

এদিকে আমার তো টেনশনে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। 

এর মধ্যে কোথা থেকে জানি মহারজার আগমন ঘটলো।

সাগর সুমিত দুইজনেই গিয়ে ধরে নিয়ে আমার সামনে নিয়ে আসলো,,,

আমিঃ- ঐ তুই তোর সাফা আন্টিকে কি বলেছিস.?😡😡

স্পর্শঃ- তাপা আনতি কে পাপ্পা..?(শয়তান মার্কা হাসি হেসে)

আমিঃ- তোর দাঁত আজকে আমি ভাঙবো😡😡

এখন চিনিস না😡😡

স্পর্শঃ- হিহিহিহি কতবার বলবো যে আমাল দাত নাই😁😁

আল বাহহহ লে আমি যতি না না তিনি তো কি কলমু..??

আমিঃ- বেয়াদবির কিন্তু একটা লিমিট থাকে বাবু😡

ভালোয় ভালোয় বল এসব বলেছিস কেনো.??

আর ভঙ্গি করে কথা বলছিস কেন,,,ক্লিয়ার করে কথা বল😡😡😡

স্পর্শঃ- বলবু না😁😁

সাগরঃ- এই তোর কি মাথায় কোন বুদ্ধি নেই যে নিজের বাপের চরিত্রে দাগ লাগাচ্ছিস.? 

সাগরঃ- ঐ পিচ্চি তুই কি রে,,..? নিজের বাবা মায়ের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিচ্ছিস মিথ্যা কথা বলে।

তোরে সত্যি সত্যি পিটানো দরকার।

স্পর্শঃ- হিহি হিহিহিহি মারো আমাকে,,

আমিও বলে দিবো।

সুমিতঃ- কি বলে দিবি😡😡

আমাকে তোর বাবা পাস নাই যে ভয় দেখাবি😡

থাপ্পড় মেরে তোরে বসিয়ে রাখবো,,মাথা ঝিনঝিন করবে এক বছর।

ভিটিবির মতন ঝিরিঝিরি করবি বুঝলি😡

এখনো সময় আছে গিয়ে তোর আম্মুকে সত্যিটা বলে ঠিকঠাক করে দে সব।

স্পর্শঃ-হিহিহিহি চাচ্চুরা,,,

পরী রাজ্যের নিয়ম তো জানো না,,জানলে বুঝতা।

তোমরা যে সাফা খালামনি আর নাদিয়া খালামির সাথে দুইজনে ঐ যে ঐখানে হাত ধরে হাটাহাটি করলা আমি বুঝি তা দেখি নাই😁😁

সোজা নানু ভাইকে জানিয়ে দিবো,,এরপর বুঝবা ঠেলা।

আমাকে মেরে দাও,,আমি কাঁদতে কাঁদতে টুকুস করে নানু ভাইকে সব বলে দিবো আর এটাও বলবো আমি ঐসব দেখেছি বলে তোমরা তিনজনে মিলে আমাকে মেরেছো।

হিহিহিহি তখন বুঝবা কেমন লাগে,,,

সুমিত সাগর দুইজনে বাবুর কথা শুনে ঢোক গিলতে শুরু করলো ভয়ে,,

আমিঃ- কি রে,, বাবু এটা কি বলে,,,.??

সুমিতঃ- না মানে ইয়ে ভাইয়া মানে হচ্ছে,, 

আমিঃ- থাক আর মানে মানে করতে হবে না,,

এতো দেখি তোমাদের উল্টো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালো😭😭

এই ছেলেকে নিয়ে আমি কি করবো😭😭

সুমিত সাগর দুইজনেঃ- ভাইয়া তোমার ঝামেলা মিটাতে এসে আমরা বিপদে পড়ে গেলাম,,

চাচ্চুট ভালো কাউকে কিচ্ছু বলিস না,,তোরে চকলেট কিনে দিবো😥😥

হইছে কাম,,,

আমিঃ-ঐ তুই কি চাস বল তো,,কেন হুদাই ঝগড়া লাগাচ্ছিস.?

স্পর্শঃ- তাহলে বল তুমি আমাকে আর কখনো বকবে না.??

যদি বকা দাও তাহলে কিন্তু আমি😁😁হিহিহিহি।

আমিঃ-আচ্ছা বকবো না,,তবুও আমার সুখের সংসার ধংস করিস না😥😥😭😭

বাবুঃ- ছিহহহ কি বল এ-সব হিহিহিহি... 

আমিও তো তোমার সুখের সংসারের সদস্য 😁😁

তার আগে মাফ চাও,,তাহলে সব ঠিক করে দিবো😁😁 না হলে এমন প্যাচ দিবো না,,

আমিঃ- মাফ চাই বাপ,,দয়া করে মাফ করে দে তবুও আর প্যাচ লাগাইস না😭😭(দাঁতে দাঁত চেপে)

বাবুঃ-থাক থাক আর বলতে হবে না,,আমার বুঝি লজ্জা করে না 🙊🙊

যাও চিন্তা করতে হবে না,,,আম্মিকে আমি সব বুঝিয়ে বলে দিবো।

আমিঃ- আচ্ছা ওয়েট ওয়েট,,

এখন তুই ক্লিয়ার করে কথা বলছিস কিভাবে.?? 

এতক্ষণ তাহলে ভাব নিলি কেন😡😡

স্পর্শঃ-পাপ্পা তুমি কিন্তু আবারো আগের ভুল করতেছো😁😁

আমি কিন্তু এখনো প্যাচ ছাড়াই নাই😁😁

উফফ আচ্ছা ঠিক আছে কিচ্ছু বলবো না,

এরমধ্যেই স্নেহা এসে হাজির,, আমাকে তো গিলে খাবে,,কিসের কুচিকুচি কিসের কিমা😭😭

আস্ত গিলে খাবে😭

যাক এতক্ষণে বাবু একটা কাজের কাজ করলো।

গিয়ে স্নেহাকে মানে ওর আম্মুকে সব বুঝিয়ে শান্ত করলো,,

তবুও স্নেহার ঠিকমতো রাগ কমে নাই।

আমাদের কথার মধ্যে হঠাৎ জ্বীন হুজুরের আগমন। 

উনাকে দেখেই স্বপ্নের কথা মনে পরে গেল। 

উনার থেকে জানতে হবে স্বপ্নের মানেটা কি।

উনাকে আর সুমিত সাগরকে নিয়ে শশুর মশাই এর কাছে উনার দরবারে গেলাম।

গিয়ে বসে সব খুলে বললাম।

শশুর মশাই এর কোন বছর ব্যাক্ষা দিতে পারছেন না।

কিন্তু সব শুনে জ্বীন হুজুর গম্ভীর হয়ে বসে আছেন।

কিছুক্ষণ পর মুখ খুললেন,,

জ্বীন হুজুরঃ-সব বুঝলাম।যা ধারনা করেছিলাম তাই হল,,,মানে,,,.????


part_23

season_4


হঠাৎ জ্বীন হুজুরের আগমন। 

উনাকে দেখেই স্বপ্নের কথা মনে পরে গেল। 

উনার থেকে জানতে হবে স্বপ্নের মানেটা কি।

উনাকে আর সুমিত সাগরকে নিয়ে শশুর মশাই এর কাছে উনার দরবারে গেলাম।

গিয়ে বসে সব খুলে বললাম।

শশুর মশাই এর কোন বছর ব্যাক্ষা দিতে পারছেন না।

কিন্তু সব শুনে জ্বীন হুজুর গম্ভীর হয়ে বসে আছেন।

কিছুক্ষণ পর মুখ খুললেন,,

জ্বীন হুজুরঃ-সব বুঝলাম।যা ধারনা করেছিলাম তাই হল,,,মানে আপনি স্বপ্নে সেই মৃতপূরীটাকেই দেখেছেন,,আপনাকেরযে জায়গায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল সেইটা মৃত্যুপূরী আর যে নৌকা বা নৌকার মাঝি দেখেছেন সেইটা সেই মৃত্যুপূরীর অদৃশ্য রহস্যময় পথের নৌকারোহী। 

আর আমার ধারনা যে আপনাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে মানে আপনাকে ঐ মৃত্যুর যাত্রা পথে থেকে ফিরিয়ে এনেছে সে হয়তোবা স্পর্শ নানু ভাই হবে।

আমি মোটামুটি ৯৯% শিওর যে ঐটা নানু ভাই ই হবে।

যদি নানু ভাই না থাকতো আল্লাহর ইচ্ছায়,,তাহলে কি যে হতো,,,।

একবার যদি মৃত্যুপূরীতে নিয়ে যেতো তাহলে ফিরে আসার কোন পথ খোলা থাকতো না,,

কিন্তু এতকিছুর মধ্যে সবচেয়ে অবাক আর ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ভয়ংকরের চেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল উনারা কেনো আপনাকে টার্গেট করলো.??

উনারা চায় কি..?

জ্বীন হুজুরের সব কথা শুনে আমার মনের ভিতর থাকা কিন্তুটা প্রকাশিত হয়ে গেল। আর জ্বীন হুজুরের কথা গুলো যে সত্যি হবে তাও বুঝতে পারছি। কারন আমি যখন স্বপ্ন থেকে সজাগ হলাম তখন স্পর্শ বাবুকে তো আমার একদম নিকটেই দেখতে পেয়েছিলাম। 

তারমানে স্বপ্নে যে আমাকে টান মেরেছিল সেইটাই স্পর্শ বাবু। 

আমাকে মৃত্যুপূরীর লোকদের থেকে বাঁচাতেই স্পর্শ সেখানে গিয়েছিল আর আমি যাতে না বুঝি এর জন্য দুষ্টুমি শুরু করে দেয়।

আর আমি না বুঝে বাবুকে কতনা গালাগালি করলাম,😭😭😭

তবে জ্বীন হুজুরের কথার সাথে আমিও টেনশনে পরে গেলাম,,,যেহেতু জ্বীন হুজুর নিজেই এর রহস্য বের করতে পারছে না সেখানে আমার তো প্রশ্নই আসে না,,,মানে আমাকে কেনো টার্গেট করলো উনারা..??

যাইহোক তবুও জ্বীন হুজুরের কাছে জিগ্যেস করলাম,,, 

আমিঃ- হুজুর,,, সব বুঝলাম কিন্তু উনারা কেনো টার্গেট করলো আমাকে আর আমাকে কেনো নিতে চায় উনাদের সাথে,, আমার সাথে কিসের শত্রুতা,, কিসের জন্য এমনটা,, হচ্ছে এর কি কোনো হদিস কোন ভাবেই মিলবে না.??

জ্বীন হুজুরঃ-এটা তো আমিও বুঝতে পারছি না তবে হে,,এটা একমাত্র নানু ভাইকে জিগ্যেস করলে সে বলতে পারবে,,,

ওরে বাবা ঐ পিচ্চি শয়তানের উস্তাদের কাছে জিগ্যেস করবো,,প্রশ্নই আসে না।

ওরে জিগ্যেস করা আর একটা কলাগাছের সাথে কথা বলা একই বিষয়। 

কোন উত্তর তো দিবেই না উল্টো আরো কি রেখে কি করবে আল্লাহ পাক ভালো জানেন।

আমিঃ- না মানে ইয়ে ও তো বলবে বলে মনে হচ্ছে না তবে আপনারা জিগ্যেস করে দেখতে পারেন।

জ্বীন হুজুরঃ- মনে তো হচ্ছে না যে আমার কাছে বলবে তবুও চেষ্টা করে দেখবো।

আরো বিভিন্ন কথার মধ্যে দিয়ে আলোচনা শেষ হল।

আর কিছু দিন সেখানে থাকলাম পরে পৃথিবীতে চলে আসলাম কারন ঈদের ছুটি শেষ। 

ভয় ভয় লাগছে কি জানি কার কাছে যাবো কে কোন প্রশ্ন করবে,,বাবুকে নিয়ে কি সব উল্টো পাল্টা কথা শুনাবে।

আরো কি না কি হবে আল্লাহ  পাক ভালো জানেন।

সকালে সূর্যের আলো উঠার আগেই পৃথিবীতে পা রাখলাম।

সরাসরি চলে গেলাম ঢাকার বাসায়।। 

জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে আগে থেকেই  বাসা চেইঞ্জ করে রেখেছিলাম।

নতুন বাসায় গিয়ে উঠলাম।

যাক এখানে অন্তত কেউ বাবুর সম্পর্কে জানবে না আর উল্টো পাল্টা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না। 

। 

নতুন বাসায় সব নতুন,, বেশ মজাতেই আছি।

কোন প্যাড়া নেই যদিও অফিসে কিছু কিছু সময় নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।

যেমন আপনার বাবুর নাকি অনেক শক্তি, সে নাকি গায়েব হয়ে আবার ফিরে আসে,,পানির নিচেও নাকি কয়েকঘন্টা থাকতে পারে।

তার নাকি গায়েবি শক্তি আছে,,সে নাকি সব ধরনের অসুখ ভালো করতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি যা হইছে তাও বলে যা হয় নি তাও বলে,বলতে বলতে এমন পর্যায়ে চলে যায় যে ঈমান আমল সব ধংস হয়ে যাবে। 

যে সমস্ত কথা শুনাও পাপ।

যাইহোক সবটা সময় এরিয়ে চলি।

বেশ ভালো হাসিখুশি কাটাচ্ছি।।। 

বাবু আমার সাথে দুষ্টুমি করলেও আমাকেই আগের মতনই অতিরিক্ত ভালবাসে,,একটা মুহূর্ত থাকে না আমাকে ছাড়া,, অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শুনিয়ে অফিসে যেতে হয়।

এরমধ্যে প্রায় চল্লিশ দিন হয়ে গেছে। 

আমার প্রথম তাকবিরের সাথে নামাজ পড়ার আমল শেষের দিকে। 

এটা হলেই আমি আংটিটা হাতে পড়তে পারবো।

তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার সেই মৃত্যুপূরীর মানুষের সাথে দেখা পেয়েছি স্বপ্নে,,যদিও আমার মন বলে এসব স্বপ্ন না,,সব গুলো সত্যি। 

 দেখতে দেখতে আজ চল্লিশ দিন পুরন হবে।

আজকের এশার নামাজ পড়লেই চল্লিশ দিন শেষ। 

মনে মনে আল্লাহকে স্বরন করছি যাতে উনি অন্তত আজকের সকল বালামুসিবত থেকে রক্ষা করে আজকের এশা পর্যন্ত প্রথম তাকবিরের সাথে নামাজ পড়ার সুযোগ দান করেন।

এক্ষেত্রে দুইটা উপকার হবে,,মুনাফেকির খাতা থেকে নাম উঠে যাবে(যদি কোন ভুলের কারনে নাম লিখা হয়ে থাকে) আর আংটিটা আঙুলে পড়তে পারবো।

মাগরিবের আজান দিচ্ছে,, বাসা থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হলাম।

মাগরিবের আজানের সাথে সাথেই তো নামাজ শুরু হয়,,তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে।

বের হয়ে গেট পর্যন্ত আসতেই স্নেহার ডাক।

বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে ডাকছে অনবরত,, কিন্তু যদি আমি সেখানে দাঁড়াই তাহলে তাকবির ছুটে যাবে।

আমার এই চল্লিশ দিনের কষ্ট বৃথা যাবে।

স্নেহাকে পরে আসতেছি বলে আবার রওনা দিলাম,, কিন্তু বাসার গেট পার হতেই কেমন জানি সব উলোটপালোট মনে হচ্ছে,, মাথা ঘুরচ্ছে,,

চেনা রাস্তা কেমন জানি অচেনা লাগতে শুরু করলো,, মনে হচ্ছে আমি এই রাস্তায় কখনো হাটি নাই,,দুপাশের বাড়ি ঘর সব কেমন জানি লাগছে,,রাস্তাটা কেমন জানি পাকা থেকে কাঁচা গ্রামের মেঠোপথ হয়ে গেছে। 

জনস্রোতের এই শহরের রাস্তা কেমন জানি জনমানবহীন নিস্তব্ধ হয়ে গেল। 

শুধু দুই একটা শিয়াল কুকুরের ডাক ছাড়া আর কিচ্ছু শুনতে পাচ্ছি না। 

কুকুর ঠিক আছে,, কিন্তু শেয়াল.??

এই শহরের ইঁটপাথরের জানজটে শিয়াল কেমনে সম্ভব.?? 

ওহহহ আমারই ভুল হচ্ছে,, আমি তো এখন আর এই শহরে নেই,,কোথায় চলে আসছি নিজেও জানি না।

আংটিটা পকেটেই ছিল,, বের করবো নাকি বুঝতে পারছি না। 

কি হচ্ছে আমার সাথে তাও বুঝতে পারছি না। 

ভয় ও পাচ্ছি না,, আবার স্বাভাবিকও হতে পারছি না।

শুধু একটা টেনশন কাজ করছে,,আর তা হচ্ছে আমার প্রথম তাকবির ছুটে যাবে।

আমার চল্লিশ দিনের পরিশ্রম সব বৃথা হয়ে যাবে। 

এদিকে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। 

কি করবো ভেবেই পাচ্ছি না। 

নাহহহ এভাবে থাকলে তো চলবে না।

একটা বড় গাছ দেখতে পেলাম,,গাছটা অন্ধকারে তেমন ভালো দেখা যাচ্ছে না তবে মনে হচ্ছে এটা বটগাছ হবে।

আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি বটগাছটার দিকে,,

কাছে আসলাম,,একদম গাছের নিচে দাড়িয়ে ভালো করে লক্ষ করলাম,, গাছটা কয়েক হাজার বছরের পুরনো হবে বলে মনে হচ্ছে। 

গাছের ঢাল গুলো মাটিতে লেপ্টে যাচ্ছে। 

গাছের শিকর গুলো বিশাল বড় বড় আর অনেক জায়গা দখল করে দাড়িয়ে আছে গাছটা।

বেশ ইন্টারেস্টিং ও ভয়ংকর একটা গাছ।

গাছের সাথে পরগাছা লতাপাতা ঝুলে মাটিতে পরে রইছে আর তার একটা লতা ধরলাম। 

মূলত এমন পরিস্থিতি আর টেনশনে ভাল্লাগছে না, অস্থিরতা কাজ করছে যার জন্য হাঁপাচ্ছি আর দূর্বলতা অনুভব করছি অতিরিক্ত টেনশনে। 

গাছের লতা ধরে দাড়ানোর কয়েক সেকেন্ড পরে অনুভব করলাম ঘাড়ে কিছু একটার ছোয়া লেগে সুরসুরি লাগছে,,

পিছনের দিকে হওয়ায় আর অন্ধকারে তেমন ভালো দেখা যাচ্ছে না তবুও পিছনে ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম কিসেন জন্য সুরসরি লাগছে,,

দেখার আগে হাত দিয়ে ধরে ফেললাম এক হাতে পরে চোখের কাছে এনে,,,ও মা তো দেখি চুল,,কিন্তু এখানে চুল আসলো কোথায় থেকে তাও লম্বা মহিলাদের চুল।

চুলেন উৎসর সন্ধানে উপরের দিকে তাকালাম,,অন্ধকার আরো ছেয়ে গেছে তাই কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না স্পষ্ট করে,, হঠাৎ করেই আচমকা বিদ্যুৎ চমকালো আর তাতে দেখি বিৎগুটে চেহারার,ভয়ংকর বিশ্রী দেখতে এক মহিলা। 

মহিলার আকৃতি হলেও বুঝতে বাকি রইলো না এটা একটা পিশাচীনি।

আমার চোখে চোখ পড়তেই হো হো করে বিশ্রী শব্দে হেসে দিল, তড়িঘড়ি করে চুল ছেড়ে কিছুটা দূরে ছিটকে সরে গেলাম।

আবার বিদ্যুৎ চমকালো আর তখন দেখতে পেলাম আমি এতক্ষণ যেটাকে লতাপাতা মনে করে ধরর দাড়িয়ে ছিলাম সেইটা একটা বিষাক্ত সাপের লেজ।

তা দেখে আরো কয়েক হাত দূরে ছিটকে গেলাম।

আমার সবচেয়ে বেশি ভয় লাগে সাপ দেখে।

পিছনের দিকে দৌড়াতে শুরু করলাম।

মোটামুটি প্রায় খালি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছি,, প্রায় ঘন্টা খানেকের বেশি দৌড়ালাম।

যেখানে যাই সেখানেই শুধু সেই পিশাচের হাসি আর সাপের বিষাক্ত ছোবলের ফোসফাস শব্দ। 

কুকুর আর শিয়ালের ডাক তো আছেই,,, 

কিছু সময় পর হঠাৎ করেই যে জায়গায় ছিলাম মানে যে জায়গা থেকে ঐ ভয়ংকর জায়গায় গিয়েছিলাম সেই জায়গায় মানে গেটের সামনেই দাড়িয়ে আছি,, কিন্তু অবাক হলাম,,,,,??? 


part_24

season_4

 

মোটামুটি প্রায় খালি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছি,, প্রায় ঘন্টা খানেকের বেশি দৌড়ালাম।

যেখানে যাই সেখানেই শুধু সেই পিশাচের হাসি আর সাপের বিষাক্ত ছোবলের ফোসফাস শব্দ। 

কুকুর আর শিয়ালের ডাক তো আছেই,,, 

কিছু সময় পর হঠাৎ করেই যে জায়গায় ছিলাম মানে যে জায়গা থেকে ঐ ভয়ংকর জায়গায় গিয়েছিলাম সেই জায়গায় মানে গেটের সামনেই দাড়িয়ে আছি,, কিন্তু অবাক হলাম তখনো আজান দিচ্ছে। 

আজানের সুর কানে ভেসে আসছে তখনো,,হন্তদন্ত হয়ে এদিক সেদিক যাচ্ছি আর তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করছি জায়গাটা কি ঠিক আছে বা নাকি কিংবা সময় কত,,,ভালো করে লক্ষ করলাম আর বুঝতে পারলাম জায়গাটা ঠিক সেই জায়গা মানে আমার বাসার গেটের সামনেই আছি আর সময়টা সেই মাগরিবের ওয়াক্ত। মানে এখনো মাগরিবের আজান ই শুনতে পাচ্ছি,, তাহলে একদিন গত হয়ে গেছে.?? 

কিন্তু আমি তো মাত্র বড়জোর হলে ঘন্টা দুই সেখানে ছিলাম মানে যে অজানা অচেনা জায়গায় চলে গিয়েছিলাম সেই জায়গায়,, কি করে একদিন পার হয়ে গেল.?? 

মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না,,কাউকে কিছু জিগ্যেস করবো তার ও কোন উপায় নেই,, লোকে পাগল বলবে।

নাহহহ আগে নামাজটা পড়ে নেই বাকিটা পরে দেখা যাবে।

নামাজের জন্য মসজিদে চলে গেলাম।

নামাজ শেষে ইমাম সাহেব আমাকে ইশারায় বসতে বললেন।

কি জানি,,কি যে বলবে,, বসলাম,,

সবাই চলে যাওয়ার পর,, 

ইমাম সাহেবঃ- কৌশিক ভাই,, আপনার কি কোন সমস্যা.?? 

আমিঃ- কই না তো,,কিসের সমস্যা হবে.?

ইমাম সাহেবঃ- না মানে আপনাকে কেমন জানি পেরেশানির মধ্যে মনে হচ্ছে দেখে। 

তাই জিগ্যেস করলাম আর কি,,

আমিঃ- আচ্ছা আজকে কি বার, কত তারিখ.?? 

ইমাম সাহেবঃ- ও মা,,কিসের মধ্যে কি বলেন.??

সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে যদি তারিখ মনে না থাকে তাহলে চলবে.??

আজ ২২ আগষ্ট রবিবার। 

তারিখটা শুনেই কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো বুকের ভিতর,, 

আমিঃ- আচ্ছা এটা কত সাল..?

ইমাম সাহেবঃ- কৌশিক ভাই আপনি ঠিক আছেন তো.?? না মানে কোন সমস্যা হলে বলতে পারেন।

এভাবে সাল জিগ্যেস করছেন.??

আপনি জানেন না ২০২১ সাল চলে.??

সাল তারিখ দিন মাস সময় সবই তো ঠিক আছে তাহলে আমি যে এতক্ষণ গোলকধাধার মধ্যে ঘন্টা দুই কাটিয়ে আসলাম তাহলে সে সময় কোথায় থেকে আসলো.??,🙉🙉

আমি কি তাহলে বাস্তবে ছিলাম নাকি মাথা চক্কর দিয়ে উল্টো পাল্টা কল্পনার জগতে ঘুরে আসলাম.?

এসব কি সত্যি কল্পনা ছিল নাকি বাস্তব নাকি কিন.??

নাহহহ কোন ভাবেই মিলাতে পারছি না,,

এখানে অপেক্ষা করার চেয়ে বরং বাসায় গিয়ে কিছু সময় রেস্ট নেই,,শরীরটা ভালো লাগছে না।

ইমাম সাহেবকে কিছু না বলেই উঠে রওনা দিলাম,, পিছনে থেকে ইমাম সাহেবের ডাক,,

ইমাম সাহেবঃ- কৌশিক ভাই,, 

ও কৌশিক ভাই, কই চললেন,,শুনুন,, শুনে জান।

পরে কথা হবে বলে মাত্র মসজিদের দরজা দিয়ে বের হয়ে মসজিদের বারান্দায় পা রেখেছি,, 

ইমাম সাহেবঃ-কৌশিক ভাই,, মসজিদের বাহিরে যাবেন না,,একদম মসজিদের বাহির হবেন না আজকের এশার নামাজের আগ পর্যন্ত। 

এত কিছু ঘটে গেল তবুও কি বুঝলেন না,,????

উনার কথা শুনে পা নিজে থেকেই আটকে গেল। 

পিছনে ঘুরে তাকালাম,,,উনি কি বলছেন এসব,,??

উনি কি তাহলে..? 

পিছনে ব্যাক করে ইমাম সাহেবের কাছে এসে,,

আমিঃ- হুজুর,,,আপনি কি সব বলছেন..? 

ইমাম সাহেবঃ-যা শুনেছেন তাই বলেছি,,আপনি এশার নামাজের আগ পর্যন্ত কোথাও যাবেন না।

আপনার জন্য বড্ড বিপদ অপেক্ষা করছে,,মসজিদে অবস্থান করুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ পাক সকল বিপদ দূর করে দিবেন,,বসে বমে কোরআন শরিফ পড়তে থাকেন,,কোন দুষ্টু জ্বীন পরী কিংবা কোন অশুভ শক্তির ক্ষমতা নেই আপনার কোন ক্ষতি করে।

আমিঃ- কিন্তু আপনি এসব বলছেন কি করে.??

আপনি কি কিছু জানেন.??

আপনার কি অলৌকিক কোন শক্তি আছে.??

ইমাম সাহেবঃ- আমি আল্লাহর অতি ক্ষুদ্র একটা বান্দা,, উনার তরফ থেকে যদি কোন ভাবে কিছু জানানো হয় তাহলেই আমি জানতে পারি বু বুঝতে পারি।

আমার কোন শক্তি নেই,,

বুঝতে পারলাম উনি বুজুর্গ ব্যক্তি,,পীর দরবেশ টাইপের, আল্লাহর ওলি।

যাক উনার থেকে কিছু জানা যাবে,,

আমিঃ- আসলে আপনি কিভাবে কি জানেন আর কি কি জানেন তাই তো মাথায় আসছে না।

ইমাম সাহেবঃ- মোটামুটি প্রায় অনেক কিছুই জানি,,

আপনার পরী বউ,আপনার শক্তিশালী আগামী প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুগি ছেলে, আপনার হাতের আংটি, এবং কি আজকের একটু আগেই ঘটে যাওয়া ঘটনা সহ মোটামুটি প্রায় সব।

আমিঃ- সত্যি অবাক না হয়ে পারছি না,,কিন্তু আপনি এসব জানলেন কিভাবে.?? 

আমি তো কখনো আপনাকে কিচ্ছু বলি নাই...

ইমাম সাহেবঃ- আপনাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম সেদিন ই কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছিল, সবার থেকে আলাদা মনে হচ্ছিল,,তাই আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ জমে মনের ভিতর,, আর সেই আগ্রহ থেকেই জানতে জানতে এতদূর। 

তবে আজকে আপনার কপাল ভালো ছিল যে সেখান থেকে ব্যাক করতে পেরেছেন। 

ওরা খুবই খারাপ আর শক্তিশালী জ্বীন জাতি।

এরা আফ্রিকান প্রজাতির জ্বীন।

আপনি যেখানে ছিলেন মানে যেখানে নিয়ে গিয়েছিল গোলকধাঁধায় ফেলে সেটা বাংলাদেশ না,,সেইটা আফ্রিকার একটা দেশ।

আর আপনার থেকে মূলত আংটিটা ছিনিয়ে নিতেই তাদের এ প্রচেষ্টা যদিও সফল হয় নি।

তবে এটা হয়নি শুধু আল্লাহর রহমত আর আপনার ছেলের জন্য,, আপনার ছেলে আপনার সাথে সাথে ছিল বলেই তারা আপনার থেকে নিতে পারে নি আংটিটা,,

ইমাম সাহেবের কথা শুনে সত্যি তাজ্জব হয়ে গেলাম,,

বলে কি.??

আফ্রিকা চলে গিয়েছিলাম.??  তাও এত অল্প সময়ের মধ্যেই.??

আর এখানে স্পর্শ ছিল.?? 

স্পর্শ কেমন করে জানলো আমার বিপদের কথা.? 

মনের ভিতর হাজারো কৌতূহল আর প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যার উত্তর আমার জানা নেই,, ইমাম সাহেব কে প্রশ্ন করবো তার আগেই উনি থামিয়ে দিলেন,,

ইমাম সাহেবঃ-জানি আমার কথাতে আপনি ভয়ের চেয়ে জানার আগ্রহ বেশি জমছে, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝে আটকে আছেন,,তবে সবটাই সত্যি যা বলেছি আর এর থেকে বেশি কিছু জানার চেষ্টা কইরেন না,,হেতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা আছে। 

আমিও আর কোন প্রশ্ন করলাম না তবে সুযোগ বুঝে আগের জমে থাকা প্রশ্নটার উত্তর যদি নিয়ে যেতে পারি,,তাই,,,

আমিঃ-আচ্ছা হুজুর একটা প্রশ্ন কিছু দিন যাবদ মাথায় আটকে আছে,বলতে পারেন গলায় কাটা হয়ে বিঁধে আছে,,

ইমাম সাহেবঃ- জী বলুন,,তবে হে আগামীকাল থেকে কিন্তু আপনিই সব জানতে পারবেন,,

আমিঃ- না মানে ইয়ে হচ্ছে,,, আমার একটা স্বপ্নের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম,,, 

ইমাম সাহেবঃ-ও,,, ঐ যে স্বপ্নে যে মৃত্যুপূরীর লোকেরা নিতে এসেছিল সেইটা.??

ইমাম সাহেবকে যতটা দেখছি ততটাই অবাক হচ্ছি,,আমার স্বপ্নের কথাও উনি জানেন,, আজব ব্যাপার,,

আমিঃ- জি হ্যা ঐটাই,,

ইমাম সাহেবঃ- ঐটা তেমন কিছু না তবে আপনার বিপদ হতো,,মূলত ওরা এরকম টাইপের যে ওদের উপর কেউ প্রভাব বিস্তার করুক তা ওরা মানতে রাজি না,,

কিন্তু আপনার ছেলে একটা সময় ওদের উপর জোর খাটাবে,,এমনকি শুরু করে দিছে অলরেডি, আর সেইটা ওরা মানতে পারছে না,,তাই আপনাকে আটকে রেখে আপনার ছেলেকে ভয় দেখিয়ে তাদের উপর থেকে নজর সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। 

কিন্তু আপনার ছেলের জন্য তা পারে নি,,

তবে হে আপনি মনে হচ্ছে কিছু দিন পর নিজে থেকেই আপনি ওদের ওখানে যেতে পারবেন। 

কোন সমস্যা হবে না,, মানে আপনিও সেই ক্ষমতার অধিকারী হবেন।যেতে পারবেন বলতে আপনাকে যেতেই হবে,,নিজে থেকেই যেতে হবে।

তবে তারজন্য আপনাকে আগের পরিক্ষায় পাস করতে হবে,,,

আপাতত আজকের এই এশার নামাজের আগ পর্যন্ত কোথাও যেতে পারবেন না।

বের হলেই আপনার শত্রুরা যে কোন দিক থেকেই আক্রমণ করতে পারে। 

আমিঃ- আচ্ছা সব বুঝলাম,,কিন্তু সেখানে যেতে হবে কেনো.??

ইমাম সাহেবঃ- সেইটা কালকে বলবো,,আপাতত আজকে এখানেই থাকেন আর কোরআন তেলওয়াত করতে থাকেন,,আমি বরং বাহিরে যাই,,কিছু কাজ ছিল আমার।

এই বলে আর এক দন্ড দাঁড়ালো না।

হনহন করে হেটে মসজিদ থেকে বেরিয়ে চলে গেল 

আমি নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম উনার পথচলার পানে,,

কিছু সময় পর কোরআন তেলওয়াত করতে শুরু করলাম।

কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই এশার নামাজ শেষ

করে বাসায় চলে আসলাম,,

এদিকে বাসার নিচ থেকে আমার ফ্লাটে অনেকর কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি। 

কিন্তু আমার ফ্লাটে  তো স্নেহা আর স্পর্শ ছাড়া আর কেউ নেই,তাহলে এত হট্টগোল কেনো.?

টেনশন আবার চেপে বসলো,,তড়িঘড়ি করে রুমে গিয়ে দেখি পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়ার সবাই এসে কথা বলছে,,কিন্তু কেনো.??

তবে বুঝতে বেশি সময় লাগলো না যে উনারা স্পর্শ বাবুকে নিয়ে কথা বলছেন,,কিন্তু হঠাৎ করেই কি এমন হল যার জন্য সবাই এসে উপস্থিত আর কথা শুনচ্ছে,,.?? 

জিগ্যেস করে উত্তর শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো কারন,,,,.??


part_25

season_4


এদিকে বাসার নিচ থেকে আমার ফ্লাটে অনেকর কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছি। 

কিন্তু আমার ফ্লাটে  তো স্নেহা আর স্পর্শ ছাড়া আর কেউ নেই,তাহলে এত হট্টগোল কেনো.?

টেনশন আবার চেপে বসলো,,তড়িঘড়ি করে রুমে গিয়ে দেখি পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়ার সবাই এসে কথা বলছে,,কিন্তু কেনো.??

তবে বুঝতে বেশি সময় লাগলো না যে উনারা স্পর্শ বাবুকে নিয়ে কথা বলছেন,,কিন্তু হঠাৎ করেই কি এমন হল যার জন্য সবাই এসে উপস্থিত আর কথা শুনচ্ছে,,.?? 

জিগ্যেস করে উত্তর শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো কারন পাশের ফ্লাটের ভাবিকে জিগ্যেস করলাম কি হইছে,, উনি আমাকে দেখে এগিয়ে আসলেন,,

ভাবিঃ-ভাই জান আসছেন,,,.?? আমি যতদুর জানি তাতে আপনি খুবই ভালো একটা মানুষ আর আইনের লোক,,দয়া করে সত্যি বলে আসল ঘটনার সূরাহা করবেন প্লিজ,,,

আমিঃ- আচ্ছা আমি তো আপনার কথার আগামাথা কিচ্ছু বুঝতে পারছি না দয়া করে ক্লিয়ার করে বলবেন প্লিজ.??

ভাবিঃ- এই যে আপনার ছেলে,, স্পর্শ,, 

আমিঃ- হুমমম তো কি হইছে.?? 

ভাবিঃ- এ কি সত্যি মানুষ নাকি,,,??(কথাটা শুনেই মাথাটা কেমন জানি চক্কর দিয়ে উঠলো,আমি নিশ্চিত কোন একটা অঘটন ঘটেছে,আমি কিছু বলার আগেই উনি শুরু করলেন)

না প্লিজ অন্য কিছু ভাববেন না,,আসলে এই কথাটা বলার পিছনে কারন আছে.।

কিছু দিন আগে স্পর্শ আমার মেয়ে রিন্তির সাথে আমাদের ফ্লাটে খেলা করতেছিল,,ফুট বল দিয়ে। 

প্লাস্টিকের বল গুলো আছে না বড় বড় সেই গুলো।

রিন্তি লাথি দিয়ে স্পর্শর কাছে দিল,,স্পর্শের থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বলটা ওয়ালের কাছে ভারি খেল,,স্পর্শ রাগ করে গিয়ে শক্ত করে বলটা ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ঠাস করে বলটা ফেটে গেল,,আমি তো দেখে পুরাই হতবাক হয়ে গেলাম🙉🙉

আমার মাথায় আসলো না এই টুকুন ছেলে বলটা কিভাবে ফাটালো.? 

আমার তো মনে হয় ভাই সাহেব আপনিও বলটা ফাটাতে পারবেন না দুই হাতে চাপ দিয়ে আর সেই বল স্পর্শের মতন বাচ্চা ছেলে,, একেবারে অসম্ভব। 

তবুও ভেবে নিলাম যে এটা হতে পারে দেয়ালের সাথে বলটা আগাত লাগার কারনে হয়তোবা সেখানে কোন কিছু ছিল তার সাথে লেগে ফুটো হয়ে গেছিল আর বাবু ধরার সঙ্গে সঙ্গে ফেটে গেছে।

কালকে আবার আপনার ভাইকে মানে রিন্তির আব্বুকে কথায় কথায় কি জন্য জানি রাগ করে স্পর্শ বলছে যে আঙ্কেল তুমি পতা,তুমি আতকেই একতিতেন্ত কলবা,,

কথাটা হাস্যকর আর নিছক দুষ্টুমি মনে করে উড়িয়ে দেই দুইজনেই,,কিন্তু বাবুর আব্বু অফিসে যাওয়ার পথে সত্যি সত্যি এক্সিডেন্ট করে আর ব্যাথা পায়,,যদিও ততটা গুরুতর না তবুও স্পর্শের বলা কথাটা কিভাবে মিলে গেল আমি আর বাবুর আব্বু দুইজনের একজনেও মানতে পারছি না।

সেইটাও কাকতালীয় ব্যাপার বলেই মনে করে নিলাম কিন্তু আজকে বিকালে বিন্তি আর স্পর্শ দুইজনে ক্রিকেট বল দিয়ে খেলা করছে,,ছোট পোলাপান টেনিস বল দিয়েই খেলছে,,আর ওদের খেলা কেমন হবে তা তো বুঝাই যায়। 

বিন্তিকে বল করতে বলল স্পর্শ কিন্তু ভালো করে বল করতে পারে না বিন্তি তাই রেগে গিয়ে আমার কাছে ছুটে আসে স্পর্শ বাবু। 

আমাকে বলে আনতি আনতি তুমি আমাকে বল কলো আমি বেত কলবো।

ওর কথা মতন দুষ্টুমি করে বল করলাম কিন্তু এতটুকু বাচ্চা ছেলে হয়ে এত জোরে সেই বল মারে যে জানালার গ্লাস ভেঙে নিচে গিয়ে পরে সেই বল।

আপনার কি কিছু ধারনা হচ্ছে যে কত জোরে শর্ট মারলে বলটা গিয়ে জানালা ভেঙে বাহিরে পরবে.??

তাছাড়া আমার তো মনে হয় ঐ বাচ্চা ব্যাট দিয়ে আপনিও টেনিস বলে শর্ট মেরে গ্লাস ভাঙতে পারবেন না।

এ তো সাধারণ ছেলে হতে পারে না,,এটা একদম অসম্ভব ব্যাপার।

আমি কোন ভাবেই মানতে পারছি না।

অবাক হয়ে বাবুর কাছে জিগ্যেস করলাম এত জোরে মারলো কিভাবে,, কিছুই বলে না,,একটা পর্যায়ে রাগ করে ধমকের গলায় জিগ্যেস করলাম আর বাবু ওর আঙুলের ইশারায় দূর থেকেই আমাকে শূন্যে,,এক হাত উপরে তুলে ফেলে🙉🙉🙉আমি ভাসমান অবস্থায় প্রায় মিনিট খানেক ছিলাম শূন্যে।

আপনি কি এর পরেও বলবেন স্পর্শ কোন মানুষ কিংবা মানুষ হলেও স্বাভাবিক কোন মানুষ.???

স্পর্শের শরীরে অশরীরী শক্তি আর ওর মুখের কথা কিংবা ইশারায় সব হয়,,ও একটা অলৌকিক শক্তিধর শিশু,,

আমি সত্যি রীতিমতো ওরে দেখে ভয় পাচ্ছি। 

হাবিজাবি আরো কিছু কথা বলে চলে গেলেন।

আমি শুধু নির্বাক দৃষ্টিতে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি বাবুর দিকে,,

কে খারাপ রে বাবা,,ওর দিকে তাকিয়ে আছি আর ও মুচকি মুচকি হাসছে শয়তানের মতন😡😡

এত বড় কান্ড করে ফেলছে সে দিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।

কেমন ফাজিলের ফাজিল,, এত বড় কান্ড ঘটিয়ে আসছে অথচ বিন্দু মাত্র ভয় নেই। 

আমি এগিয়ে গেলাম কারন ওর ভাব ভঙ্গি ভাল লাগছে না,, মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে ওর ভাব দেখে😡😡

গিয়ে পটাস করে দিলাম গালে একটা চড় বসিয়ে। 

ওমা তাও দেখি হাসছে,,,রাগ তো চরম সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে,, মনডায় চাচ্ছে 😡😡

এদিকে মহারাজের দরদী মা এসে বাঁধা দিল,,

দুই হাতে আগলে ধরে ঝাপটিয়ে নিল বাবুকে,,

স্নেহাঃ- কি হচ্ছে এসব,,,.?? তোমার কি মাথা গেছে নাকি আজব..?

এতটুকু বাচ্চাকে কেউ এভাবে মারে.??

আমিঃ- কিহহহ এ বাচ্চা.?? 

এটাকে কি কেউ বাচ্চা বলে,,.?

দেখো দেখো কি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে.? 

ওর মধ্যে কি বিন্দু মাত্র ভয় কিংবা লজ্জাবোদ কাজ করছে.??

মনডায় চাচ্ছে থাপ্পড়াইয়া সব দাঁত ফেলে দেই😡😡

তুই শক্তিধর,,তোর শক্তি আছে ভালো কথা। 

তাই বলে সবার সামনে এভাবে প্রকাশ করতে হবে.??

মানুষের কাছে হাসির পাত্র বানাতে হবে আমাদেরকে.??

মানুষজনকে ভয় দেখাতে হবে.??

সব কিছুর একটা লিমিট থাকে,, 

আবার মারতে যাবো তা আর সুযোগ স্নেহা দিল না।

বাবুকে নিয়ে নেকা কান্না করতে করতে পাশের রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিল।

এদিকে আমার রাগ কোন ভাবেই কমছে না।

রেগেমেগে বেরিয়ে আসলাম বাহিরে,,সোজা ছাঁদে। 

ছাঁদে হাটাহাটি করছি একা একা তাতে যদি রাগটা কমে।

মনে মনে চিন্তায় পরে গেলাম।

বাবুর কান্ডকারখানা তো সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না। ভালো কোন কিছু তো ওর মধ্যে খুব কম ই লক্ষ করছি,,সবটাই তো দুষ্টুমি আর মানুষকে ভয় দেখানো ওর নেশা হয়ে গেছে। 

এদিকে হাটাহাটি করতে করতে দোলনায় বসে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি টের পাই নি,, 

ঘুম ভাঙলো বিকট শব্দে।

পাঁচ তলা বা চার তলা থেকে শব্দটা আসছে,মনে হচ্ছে কেউ পুরো বাসা ভেঙে চুরে খানখান করে দিচ্ছে।

কি হল হঠাৎ করেই,, নাহহহ নিচে গেলাম দেখতে হবে বিষয়টা কার কি সমস্যা হল,,প্রথমে ভাবছি হয়তোবা স্বামী স্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হইছে আর রাগারাগি করে চেচামেচি শুরু করছে আর ভাংচুর। 

নিচে নামতেই অনেকের হট্টগোল দেখতে পেলাম।

অনেকে বলতে প্রায় পুরো বিল্ডিং এর সবাই ঐ চারতলার বি ফ্লাটটার সামনে দাড়িয়ে আছে। 

বিলি কেটে এগিয়ে গেলাম,,পরিস্থিতি দেখার জন্য। 

ওমা দরজার কাছে গিয়ে তো নিজেরই ভয় লাগছে,,

এক মহিলার কন্ঠে কেউ হুংকার দিচ্ছে। 

এমন বিকট শব্দ আর ভয়ানক হাসি কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বিশ্রী সব কথা বার্তা। 

এত বাজে ভাষায় কথা আগে কখনো শুনি নাই।

দূর থেকেই বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা কোন বাজে জ্বীন পরীর আছড় লেগেছে। 

শরীরে ভর করেছে অশরীরী কোন কিছু। 

এসব নিয়ে চলাফেরা করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

যাইহোক এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু এত লোক যে ফ্লাটের ভিতর প্রবেশ করার মতন সুযোগ পাচ্ছি না।

এদিকে সবাই এখানে তাহলে স্নেহা বা বাবুকে তো দেখতে পাচ্ছি না,, ওরা কি নিচ তলায় মানে আমাদের ফ্লাটেই রয়ে গেল নাকি তা দেখার জন্য নিচে গেলাম,,

নিচে গিয়ে মাথা বাজ পড়লো,,

ফ্লাটে তালা,,,তার মানে  ওরা এখানে নেই। 

তাহলে কি উপরে ঐ বাসায় গেছে.?? 

আবার উপরে উঠে আসলাম,,

ওমা এতক্ষণে দেখি সব ঠান্ডা, লোকার বলাবলি করছে ভুতটা নাকি পালিয়েছে তাও মাফ চেয়ে। 

কিন্তু যে পরিস্থিতি বাহিরে থেকে শুনেছিলাম তাতে তো এত তাড়াতাড়ি পালানোর মতন জ্বীন না ঐটা।

এই অসাধ্য সাধন করলো কে..?

এরমধ্যে আবার কেউ কেউ বলাবলি করছে,, একজনঃ-অসম্ভব,, অসম্ভব ব্যাপার,,এতটুকু বাচ্চা ছেলে কিভাবে এত বড় জ্বীনের সাথে লড়রো।

আরেকজনঃ- লড়লো কি,,বাচ্চাটাকে দেখেই তো লেজ গুটিয়ে মাফ চেয়ে পালিয়ে গেল। 

আরেকজনঃ- আমার কি মনে হচ্ছে জানেন,, ছেলেটা মানুষ না,হয়তোবা জ্বীনেদের সর্দারের ছেলে বা বাদশাহ এর ছেলে, তাই তো ভয়ে পালিয়েছে।

এর আগেও তো কত বড় বড় ওজার কাছে মহিলাটাকে নিয়ে যাওয়া হইছে,সব তান্ত্রিক বা হুজুরেরা দেখেই মানা করে দিয়েছে যে এটা তাদের কাম্য না।

আর এই বাচ্চা ছেলেটাকে দেখেই পালিয়ে গেল.?

এরমধ্যেই আবার সেই রিন্তির আম্মুর কথা শুনতে পেলাম।

রিন্তির আম্মুঃ- আরে ভাই জান কি বলবো আর,,নিজের চোখে দেখা।

বাচ্চাটার অলৌকিক সব ক্ষমতা,বিশ্বাস করবেন না ভাই,, যদি বাচ্চাটা বলে যে আপনি অসুস্থ হবেন সঙ্গে সঙ্গে সেইদিন ই অসুস্থ হয়ে যায়, যদি বলে সুস্থ হবেন তাহলে সুস্থ, মোট কথা মুখ দিয়ে যা বলে তাই হয়ে যায়। 

আগাম বলতে পারে।

ভবিষ্যতে কি হবে তা সব জানে(নাউজুবিল্লাহ)

এমন কি এই বাচ্চাটা তো আমাকে আমার বিছানা সহ হাতের ইশারায় শূন্যে তুলে ফেলেছিল,,পরে হাতে পায়ে ধরে মাফ চাওয়ার পর আমাকে নিচে নামিয়ে দেয়(এই হল বাংগালীর স্বভাব,, তিলকে তাল বানানো)

আরো কত কি করে যদি শুনেন,,

অন্য ধর্মের এক মহিলাঃ- তাহলে তো এটা কোন সাধারণ মানুষ না,,

সাক্ষাৎ (........)মানুষের রূপে পৃথিবীতে অবতরণ করেছে (নাউজুবিল্লাহ) জয়,(,,,......) এর জয়।

মোটকথা মহূর্তের মধ্যেই বাবুকে মানুষ থেকে. (......) বানিয়ে দিল।

ছিহহহ মানুষের কি স্বভাব আর কতটুকু ঈমান ছিহহহ।

যাইহোক এর মধ্যে কেউ কেউ বাবুকে পীর দরবেশ মানতে শুরু করে দিছে।

কেউ কেউ তো দেখলাম যারযার বাসায় গিয়ে পানি এনে বাবুর থেকে পানি পরা নিতে হট্টগোল বাজিয়ে দিছে ঐ রাতেই।

মোটা কথা এদের ধারনা বাবু ফু দিলে নাকি সব রোগ ভালো হয়ে যাবে (((নাউজুবিল্লাহ, মানুষের কোন শক্তি নেই রোগ ভালো করার,,সব ক্ষমতা ঐ সৃষ্টি কর্তার হাতে যিনি আমাকে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন))))

এদের কান্ডকারখানা দেখে হাসবো নাকি কাঁদবো বুঝতে পারছি না। এদের জন্য এমন একটা সমস্যার মধ্যে পরে গেছি যে আমি ঐ ভিতরেই যেতে পারছি না আর বাবু বা স্নেহাও আসতে পারছে না বাহিরে।

এদিকে রাগে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

কোন মতে নিচে ফ্লাটের সামনে গিয়ে হেলান দিয়ে ফ্লোরে বসে রইলাম।

ঘন্টা খানেক পরে ওদের আসার সময় হল,,ওদের দুইজনের অবস্থা দেখে সব রাগ পানি হয়ে গেছে। 

কি বলবো মানুষজন হেনেস্তা করে এমন একটা অবস্থা বানিয়ে ফেলেছে যে ওদেরকে চেনাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। 

কোনমতে ফ্লাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে পরলাম আর দরজা বন্ধ করে দিলাম।

এরপর বিস্তারিত শুনতে পেলাম,,

কাহিনিটা সিম্পল বিষয়,, সবার মতন চিল্লাচিল্লি শুনে স্নেহা আর বাবু যায় ঐ ফ্লাটে ঘুম থেকে উঠে। 

বাবু যাওয়ার সাথে সাথে বাবুকে দেখা মাত্র জ্বীন মাসে অশরীরীটা ভয়ে আতংকে জড়সড় হয়ে মাফ চেয়ে চিরতরে চলে যায় মহিলার শরীর থেকে। 

আর এটা দেখেই বাকিরা,,,,

যাক আপাতত ঘুমানো দরকার, সবাই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত । 

শোয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলাম, ঘুম ভাঙলো হট্টগোলে আর উঠে দেখি,,,,,..??

Post a Comment

0 Comments